করোনায় চট্টগ্রামে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে আরও ৪৬ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় ৭৫৪ জনের নমুনায় পরীক্ষায় ৪৬ জন সংক্রমণ হয়। এদিন নমুনা পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণের হার ছিল ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
এদিন চট্টগ্রামের এগারোটি ল্যাবে এসব নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
একই সময়ে চট্টগ্রামের বিআইটিআইডি ল্যাবে ৬৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ১১টি পজিটিভ পাওয়া যায়, চমেক ল্যাবে ৩১ টি নমুনায় ৩টি, সিভাসু ল্যাবে ৪৪ টি নমুনায় ১টি, ইমপেরিয়ালে ৫৪ টি নমুনায় ৪টি, শেভরন ল্যাবে ৩৬ টি নমুনায় ৯টি এবং এশিয়ান হাসপাতাল ল্যাবে ২৮২ টি নমুনায় পরীক্ষা ৬টি পজিটিভ আসে। সবমিলে এদিন নগরে নতুন শনাক্ত হয় ৪৪ জন। এদিন উপজেলায় রোগী শনাক্ত হয় ২ জন।
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কালাসোনার বালুচর থেকে আকাশ (১১) নামের এক আহত স্কুল শিক্ষার্থীকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছে স্থানীয় লোকজন। বর্তমানে আহত ওই কিশোর গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত পৌঁনে ১ টার দিকে বিষয়টি মোবাইল ফোনে বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিফুজ্জামান বসুনিয়া।
এরআগে একইদিন সন্ধ্যা ৭ টার দিকে চর কালাসোনা এলাকার নদীর ধার থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এর দুই ঘণ্টা আগে ওই কিশোর নিখোঁজ হয় বলে দাবি করে পরিবারের সদস্যরা।
উদ্ধার হওয়া কিশোর আকাশ ফজলুপুর ইউনিয়নের বাজে তেলকুপি এলাকার মঞ্জু মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় চরকৃষ্ণমণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।
কিশোরের পরিবারের দাবি, তাদের প্রতিপক্ষরা শত্রুতাবশত আকাশকে হত্যার উদ্দশ্যে এমন ঘটনা ঘটায়। আহত ওই কিশোরের জ্যাঠা মিলন মোবাইল ফোনে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ' আমার আপন ছোট ভাইয়ের ছেলে আকাশ। আমার ভাতিজা বুধবার সন্ধ্যার আজানের দিকে নিখোঁজ হয়। এরপর ৭ টার দিকে চর কালাসোনার নদীর কিনারার একটি ঘাঘড়ায় বালুর নিচ থেকে তাঁর হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় চৌকিদার ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাদের খবর দেয়। পরে আমরা তাকে নিয়ে কালিরবাজার থানায় যাই। থানা পুলিশ চিকিৎসার জন্য আমাদেরকে হাসপাতালে পাঠায়। আমরা এখন গাইবান্ধা হাসপাতালে আছি।
এসময় তিনি দাবি করেন, আমার বাবা লাল মিয়াকে পিটিয়ে হত্যা করেছে এনায়েত গংরা। আমরা মামলা করেছি, মামলা চলমান রয়েছে। আমরা যাতে মামলা প্রত্যাহার করে নেই সেই জন্য এনায়েত গংরা আমার ভাতিজাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাত-পা ও মুখ বেঁধে বালু চাপা দেয়। এসময় আহত আকাশের বরাতে তিনি আরও দাবি করেন, হাকিম ও রিপন নামের দুইজন সহ আরও ১০ থেকে ১২ জন আমার ভাতিজাকে হত্যার চেষ্টা করে।
তিনি আরও বলেন, এই হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে আমরা আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সকাল ১১ টায় ফুলছড়ি উপজেলা হেড কোয়াটার কালিরবাজারে মানববন্ধন করবো এবং থানায় মামলা দায়ের করবো।
ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিফুজ্জামান বসুনিয়া বলেন, "এরআগে ওই এলাকায় একটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। উদ্ধার হওয়া কিশোর হামলায় নিহত ব্যক্তির নাতি হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই সব কারণে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোলা-২ (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও দৌলতখান উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলী আজম মুকুলসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলা হয়েছে। এটি তার বিরুদ্ধে হওয়া ৩য় মামলা। এর আগেও তার বিরুদ্ধে দৌলতখান এবং ভোলা সদর থানায় আরো দুটি মামলা হয়েছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বোরহানউদ্দিন উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক পরাণ আহসান বাদী হয়ে বোরহানউদ্দিন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন।
আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য ভোলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে নির্দেশ দেন।মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহ্ মো. আহসান উল্লাহ সুমন।
মামলার অন্যান্য ৫ আসামিরা হলেন- বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইবনে মাসুদ সোহাগ, যুবলীগ কর্মী সবুজ গোলদার, হুমায়ুন গোলদার, নুরনবী এবং নূর উদ্দিন ফরাজী।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালের ৩ নভেম্বর দুপুরের দিকে ভোলা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুলের নির্দেশে পৌরসভা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইবনে মাসুদ সোহাগসহ উল্লেখিত আসামিরা তাকে বোরহানউদ্দিন পূর্ব বাজার থেকে অপরহরণ করে। পরে মুকুলের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে তাকে মারধর করেন তারা। এ সময় তার টাকা-পয়সা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় আসামিরা।
এমনকি তার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে প্রবেশ করে সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ ইব্রাহীমসহ বিএনপির গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ পোষ্ট করেন তারা।
ভোলা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক সামসুল আরেফিন জানান, এমপি মুকুলের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি বিচারক ডিবিকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছে।
ফেনীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ ফেনী সদর উপজেলার কাজীরবাগ এলাকার জিয়াউদ্দিন ডালিম, জীবন কৃষ্ণ দে, ইয়াসিন হাসান এবং দাগনভূঞার এনায়েতপুর এলাকার মেহেরাজ নামে চারজনকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ফেনী সদর উপজেলার কাজীরবাগ ও দাগনভূঞা উপজেলার রামচন্দ্রপুর এলাকায় পৃথক অভিযানে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি শর্টগান ব্যারেল ও শর্টগানের সরঞ্জামাদি, ৩৭টি শর্টগান এ্যামো, ১টি এয়ারগান ও বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, যৌথবাহিনীর নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে বুধবার সকালের দিকে ফেনী সদর উপজেলার কাজিরবাগ এলাকা থেকে জিয়াউদ্দিন ডালিম ও তার সহযোগী জীবন কৃষ্ণকে মাদকদ্রব্যসহ আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে শহরের একাডেমি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইয়াসিন হাসান নামের এক যুবককে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আটক করা হয়।
একইসময়ে পৃথক অভিযানে দাগনভূঞা উপজেলার এনায়েতপুর এলাকা থেকে আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি মেহেরাজকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, যৌথবাহিনীর অভিযানে তিনজনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে একজনকে নিয়মিত মামলা ও অন্য দুজনকে অস্ত্র মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দাগনভূঞা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় মেহেরাজকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নওগাঁর পোরশা উপজেলার সীমান্ত থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে আটক করে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বুধবার ( ১৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার নিতপুর সীমান্তের শিতলীঘাট এলাকার ভড়কা দাঁড়া থেকে তাদের আটক করে নিয়ে যায়।
আটকরা হলেন- উপজেলার নিতপুর শিতলীঘাট বড়পুকুর গ্রামের মইমুদ্দিনের ছেলে সানাউর (৩৫) এবং শিতলী গ্রামের সাইফুলের ছেলে শম্ভু (২০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে শম্ভু ও সানাউরসহ ১০-১২ জনের একটি দল চোরাইপথে গরু নিয়ে আসার জন্য ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। বুধবার ভোরে গরু নিয়ে আসার পথে বিএসএফ সদস্যরা তাদের উপস্থিতি বুঝতে পারে। এসময় ২৩০ মেইন পিলারের শিতলীঘাট এলাকায় ৬০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে ৮৮ হরিসচন্দ্রপুর ক্যাম্পের বিএসএফ এর টহলরত সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে।
এসময় অন্যরা পালিয়ে আসতে পারলেও শম্ভু ও সানাউর কে আটক করে ধরে নিয়ে যায়। আটককৃতদের হরিসচন্দ্রপুর ক্যাম্পে রাখা হয়েছে বলে সূত্রটি জানায়।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে নীতপুর ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মাইদুর। তিনি জানান, ‘শম্ভু ও সানাউরসহ ১০-১২ জনের একটি দল চোরাইপথে ভারতে গরু নিতে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে বিএসএফের তাড়া খেয়ে অন্যরা পালিয়ে গেলেও তাদের একজন সানাউরকে আটক করে নিয়ে যায়।’
নিতপুর বিজিবি-১৬ ক্যাম্পের সুবেদার মুনসেদ আলী জানান, এ বিষয়ে তাদের কাছে কেউ অভিযোগ বা যোগাযোগ করেনি। আমরা বিএসএফের সাথে যোগাযোগ করছি। পরে বিস্তারিত জানা যাবে।