সব জেলায় পৌঁছে গেছে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম: ইসি

  ভোট এলো, এলো ভোট


স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের জন্য ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম সারাদেশের জেলা রিটার্নিং অফিসে পৌঁছে গেছে। তবে কয়েকটি আসনে প্রার্থীর প্রার্থিতা বৈধ নিয়ে মামলা চলমান থাকায় ওই আসন বাদে সব আসনে পৌঁছে গেছে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম।

নির্বাচনী সরঞ্জামধীর মধ্য আছে, স্বচ্ছ ব্যালট বক্স, চটের থলি, স্ট্যাপলার মেশিন ও পিন, অমোচনীয় কালির কলম, রাবারের সিলমোহর, মার্কিং সিল, স্ট্যাম্প প্যাড, গালা, চার্জার লাইট, মনিহারি সামগ্রীর মধ্যে বলপয়েন্ট কলম, সাদা কাগজ, কার্বন কাগজ, ছুরি, সুই বড়, সুতার বল, মোমবাতি, দিয়াশলাই, গাম ও স্ট্যাম্প প্যাডের কালি।

এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বার্তা২৪.কমকে বলেন, গত ২৫ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৬৪ জেলা রির্টানিং অফিসে সরকারি বিজি প্রেস থেকে ব্যালট পাঠানো শেষ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কয়েকটি আসনের প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া নিয়ে উচ্চ আদালতে শুনানি চলমান থাকায় ওই আসনগুলোর ব্যালট পেপার এখনো ছাপা হয়নি। সেগুলো আজকালের মধ্য সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

ব্যালট পেপারের নিরাপত্তা নিয়ে ইসির এই অতিরিক্ত সচিব বলেন, সরকারি প্রেস কঠোর নিরাপত্তায় জেলা রিটার্নিং অফিসের ট্রেজারিতে পাঠানো হয়। সেখানে এইসব সরঞ্জাম বিতরণ করা হবে।

এবার অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের জন্য ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন । তবে দুর্গম পার্বত্য এলাকা, হাওর ও চরাঞ্চলসহ জেলা-উপজেলা-মহানগর থেকে বেশি দূরে অবস্থিত কেন্দ্রে ভোটের আগের দিন পৌঁছানো হবে। ইসির তথ্য অনুযায়ী এইরকম উপজেলার সংখ্যা ১৭২।

এবার ৩শ সংসদীয় আসনে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজার ১০৩টি। এসব কেন্দ্রে ভোটকক্ষ থাকবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসেব মতে এবার ১০ হাজার ৩০০টি কেন্দ্রে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তালিকা দেওয়া হয়েছে ইসিতে।

এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। গত ২ নভেম্বর সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার সংখ্যা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন। নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। আর হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৮৫২।

   

উপজেলা ভোটে এমপি-মন্ত্রীদের অবৈধ চাপ না মানার নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

রাজনৈতিক দলের কোনো সংসদ সদস্য কিংবা মন্ত্রী অবৈধ চাপ দিলে তা আমলে না নেওয়ার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ রুমে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, রাজনৈতিক দলের এমপি মন্ত্রী যেই হোক না কোনো অবৈধ চাপ দিলে তা আমলে না নেওয়ার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সমস্ত প্রার্থী আমাদের কাছে সমান। কে কার আত্মীয় এসব কোনো কিছু আমলে নেওয়া হবে না। প্রার্থী যেই হোক না কেন, সবার প্রতি সমান আচরণ করতে হবে। আর কোনো প্রার্থী যদি আচরণ বিধি না মানে বা অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, কমিশন ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ইসি সচিব সংসদ সচিবালয়ের সচিবকে একটি পত্র দেবেন। স্পিকারের দৃষ্টিতে আনবেন, আমরা কী ধরণের নির্বাচন চাই সেটা ওখানে থাকবে। চিঠিও সম্ভবত চলে গেছে। বার্তাটা হলো মন্ত্রী, এমপিদের আত্মীয় স্বজন প্রার্থী থাকতে পারে, কিন্তু কোনো অবৈধ প্রভাব বিস্তাব করতে পারবেন না।

তিনি আরো বলেন, প্রিসাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ আসে এটা প্রমাণের প্রয়োজন নেই। যে কোনো প্রার্থী যদি বলে উনি অমুকের আত্মীয় বা ওই পক্ষের হয়ে কাজ করেছেন, তাহলে প্রমাণ ছাড়াই নিয়োগ বাতিল করা হবে। শুধু শুধু কারো প্রতি অভিযোগ আসবে না। এক্ষেত্রে আমাদের প্যানেল থেকে অন্য একজনকে নিয়োগ দেবো। প্যানেলে যোগ্য লোক না পেলে প্রয়োজনে পাশে জেলা বা উপজেলা থেকে প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হবে। এটা ট্রেনিং শুরু হওয়ার আগেই করতে হবে। আমাদের প্রিসাইডিং অফিসারের অভাব নাই। তবে কোনো প্রার্থী তালিকা দিলে সেটাও নেওয়া যাবে না। পক্ষপাতমূলক আচরণ করলে রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলে প্রমাণ দিতে হবে। যেহেতু রিটার্নিং অফিসার আমাদের অতো নেই।

এবার ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

 

  ভোট এলো, এলো ভোট

;

প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে প্রমাণ ছাড়াই বাদ: ইসি আলমগীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনে কোন প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে কোন প্রার্থী অভিযোগ করলেই প্রমাণ ছাড়াই তাকে দায়িত্ব থেকে বাদ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ রুমে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।

মাঠ ঘুরে আসায় ভোটের পরিস্থিতি নিয়ে মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ ভাল। উৎসবমুখর। আইন-শৃঙ্খলা কোনো থ্রেড নাই, সমস্যা নাই। গোয়েন্দা রিপোর্টেও কোনো থ্রেড নাই বলেছে। যেহেতু কয়েক ধাপে ভোট হচ্ছে, তাই ফোর্স বেশি দেওয়া সম্ভব হবে। জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে বেশি ফোর্স মোতায়েন করা হবে। এছাড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে ক্ষমতা দেওয়াই থাকে, প্রয়োজন হলে তিনি অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করতে পারবেন।

তিনি আরো বলেন, প্রিসাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ আসে এটা প্রমাণের প্রয়োজন নেই। যে কোনো প্রার্থী যদি বলে উনি অমুকের আত্মীয় বা ওই পক্ষের হয়ে কাজ করেছেন, তাহলে প্রমাণ ছাড়াই নিয়োগ বাতিল করা হবে। শুধু শুধু কারো প্রতি অভিযোগ আসবে না। এক্ষেত্রে আমাদের প্যানেল থেকে অন্য একজনকে নিয়োগ দেবো। প্যানেলে যোগ্য লোক না পেলে প্রয়োজনে পাশে জেলা বা উপজেলা থেকে প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হবে। এটা ট্রেনিং শুরু হওয়ার আগেই করতে হবে। আমাদের প্রিসাইডিং অফিসারের অভাব নাই। তবে কোনো প্রার্থী তালিকা দিলে সেটাও নেওয়া যাবে না। পক্ষপাতমূলক আচরণ করলে রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলে প্রমাণ দিতে হবে। যেহেতু রিটার্নিং অফিসার আমাদের অতো নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাঠের প্রস্তুতি সবাই ভালো বলেছে। সংসদ নির্বাচনে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তাদেরকেই ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা কোনো চাপ পাচ্ছেন না। তাদের বলা হয়েছে, প্রেশার দিলে সে যেই হোক না কেন, তা আমলে নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোনো প্রার্থী নির্বাচনে থাকবে কি, থাকবে না তা সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের বিষয়। নির্বাচন কমিশন যেটা দেখবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি প্রার্থী হওয়ার যোগ্য কিনা। অনেক প্রার্থী, এমনকি অনেক দল অংশ না নিলে স্থানীয়ভাবে অনেক দলের প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন।

এবার ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।

তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

  ভোট এলো, এলো ভোট

;

গাংনী উপজেলা নির্বাচন: প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ১৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তানভীর রুম্মন আহমেদ প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেন।

চেয়ারম্যান পদে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টো- ‘কই মাছ’, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান এম এ খালেক- ‘আনারস’, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক একেএম শফিকুল আলম- ‘কাপ-পিরিচ’, গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুল- ‘হেলিকপ্টার’, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক লায়লা আরজমান বানু- ‘দোয়াত-কলম’, আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম জুয়েল- ‘ঘোড়া’, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেন- ‘মোটরসাইকেল’ ও আওয়ামী লীগ কর্মী মুকুল আহমেদ-‘শালিক পাখি’।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি দেলোয়ার হোসেন মিঠু- ‘তালা’, আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন- ‘টিউবওয়েল’ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রেজাউল করিম- ‘চশমা’ প্রতীক পেয়েছেন।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান নারী ভাইস চেয়ারম্যান এবং যুব মহিলা লীগ নেত্রী ফারহানা ইয়াসমিন- ‘হাঁস’, নাসিমা খাতুন-‘ফুটবল’ এবং জাকিয়া আক্তার আলপনা- ‘কলস’ প্রতীক পেয়েছেন।

চেয়ারম্যান পদে একই প্রার্থী একই প্রতীক দাবি করায় লটারির মাধ্যমে প্রতীক নির্ধারণ করা হয়।

প্রসঙ্গত, গাংনী উপজেলা পরিষদের এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জনসহ মোট ১৪ প্রার্থী প্রতীক নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে মাঠে লড়বেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে শুধুমাত্র জুলফিকার আলী ভুট্টো বিএনপি নেতা। বাকি ১৩ জন প্রার্থী আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।

আগামী ২১ মে সারাদেশে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 

 

  ভোট এলো, এলো ভোট

;

উপজেলা ভোট: ২য় ধাপের প্রতীক বরাদ্দ শেষে প্রচার শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উপজেলা ভোট: ২য় ধাপের প্রতীক বরাদ্দ শেষে প্রচার শুরু

উপজেলা ভোট: ২য় ধাপের প্রতীক বরাদ্দ শেষে প্রচার শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে সকালে প্রতীক বরাদ্দের কাজ চলছে। প্রতীক পেয়ে বৃহস্পতিবার (২ মে) প্রচার শুরু করেছেন প্রার্থীরা। এদিন থেকে ১৮ দিন নির্বাচনি প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থীরা।

নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার প্রতীক বরাদ্দের কাজ চলছে। প্রতীক পেয়েই প্রার্থীরা প্রচারে নামতে পারবেন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আইন অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ শুরুর আগের ৩২ ঘণ্টা পূর্বে প্রচার বন্ধ করতে হবে। ভোটগ্রহণ শুরু হবে আগামী ২১ মে সকাল ৮টায়। এক্ষেত্রে ১৯ মে মধ্যরাত ১২টায় সকল ধরণের প্রচার বন্ধ করতে হবে। এতে প্রার্থীরা মোট ১৮ দিন সময় পাচ্ছেন প্রচারের।

নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ধাপে ১৬০ উপজেলা ভোটে মনোনয়নপত্র দাখিল, বাছাই, আপিল শেষে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী রয়েছেন এক হাজার ৮২৮জন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৪ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫২৯ জন প্রার্থী রয়েছেন।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারি রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত রয়েছেন।

এদিকে সারাদেশের মোট ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন চারটি ধাপে অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। অবশিষ্ট ১৯টি উপজেলা পরিষদের মেয়াদপূর্তি না হওয়ায় পরবর্তীতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজন হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৬ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

 

  ভোট এলো, এলো ভোট

;