ক্ষমা চেয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাপা প্রার্থী 

  ভোট এলো, এলো ভোট
  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,সিলেট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়ার সময় এক বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ক্ষমা চেয়েছেন সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট) আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পাওয়া সাব্বির আহমদ।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'একটি কুচক্রি মহলের প্ররোচনায় বুধবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম নির্বাচনের পরিবেশ ঠিক নেই। বিভিন্ন সংস্থা নির্বাচন থেকে আমাকেসহ বিভিন্ন প্রার্থীকে সরে দাঁড়ানোর জন্য হুমকি-ধমকি দিয়ে চাপ সৃষ্টি করছে। কিন্তু এ বিষয়টি একেবারেই সঠিক নয়; কুচক্রি মহলের বিষয়টি বুঝতে না পেরে তাদেরকে অভিযুক্ত করেছি- এজন্য সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।' 

বিজ্ঞাপন

জকিগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সিলেট জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সাব্বির আহমদ বলেন, 'নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য কেউ আমাকে চাপ দেয়নি, নিজেই সরে দাঁড়িয়েছি। জকিগঞ্জ-কানাইঘাট এলাকার জনগণ একজন সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন বলে আমার বিশ্বাস।'  

তিনি বলেন, 'সিলেট-৫ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হয়েছিলাম। লাঙ্গল মার্কায় জনগণের কাছে ভোটও চেয়েছি। কিন্তু মূলত নির্বাচনী মাঠে নিজ দল ও সহযোগী সংগঠনের সহযোগিতা না পেয়ে এবং পারিবারিক ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।' 

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, 'নির্বাচন কমিশন ও সরকার সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ লক্ষ্যে আইন- শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী তথা সরকারের বিভিন্ন সংস্থাও নিরলসভাবে কাজ করছে।' 

এর আগে বুধবার (৩ জানুয়ারি) সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেন তিনি। 

সিলেট-৫ আসনের (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট) জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী সাব্বির আহমদ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ নেই উল্লেখ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বয়কট করেন।

সাব্বির আহমদ বলেন, 'সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিলেটে এসেও একই কথা বলেছিলেন। কিন্তু আমরা মাঠে সেরকম কোনো পরিবেশ পাচ্ছি না। তাই নির্বাচন করা খুবই কঠিন।' 

তিনি বলেন, 'গত ৩০ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিলেট সার্কিট হাউজে সকল প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সে সময় আমরা বিভিন্ন অভিযোগ দিয়েছি। তিনি বিষয়টি নোট করেছেন। এ অভিযোগ দেওয়ার নির্বাচনের পরিবেশ আরও খারাপ হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে নির্বাচন করার কোনো পরিবেশ নেই। তাই নির্বাচন বয়কট করেছি।'