করোনা আতঙ্কের মধ্যেই তিন আসনে উপ-নির্বাচন শনিবার

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যেই দেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তিনটি সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচন।

চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্তের সমালোচনাকে তোয়াক্কা না করেই শনিবার (২১ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন।

এ তিন আসনের মধ্যে ঢাকা-১০ আসনের সবকটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হবে। যদিও সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা বলেছেন, নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। কেননা ফিঙ্গারপ্রিন্টযুক্ত ইভিএমে ভোটদানে ভাইরাস বিস্তারের ঝুঁকি আছে।

সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইচ্ছা করলে নির্বাচন ৩ মাস পিছিয়ে দিতে পারেন। যদিও কমিশন ভোটারদের করোনাভাইরাসের ঝুঁকিমুক্ত রাখতে প্রতিটি কেন্দ্রে সতর্কীকরণ ব্যানারসহ হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান, টিস্যু পেপারের ব্যবস্থা রেখে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। একই সাথে ভোটারদের ভোট প্রদান করে দ্রুত কেন্দ্র ত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছে। হাত ধুয়ে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

তিনটি সংসদীয় আসনে ভোটার রয়েছেন প্রায় সাড়ে ১০ লাখ। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা রয়েছেন প্রায় সাত হাজার। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবেন ২০ হাজারের বেশি। একই দিনে নির্বাচনী আসনগুলোতে এত বিপুলসংখ্যক মানুষের যাতায়াত করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার বড় হুমকি বলে মনে করছেন ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ঢাকা-১০ আসন:
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ড (ধানমন্ডি ও লালবাগ থানা) নিয়ে গঠিত ঢাকা-১০ সংসদীয় আসন। এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ১২ হাজার ২৮১ জন। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১১৭টি এবং ভোটকক্ষ ৭৭৬টি। নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন— আওয়ামী লীগের মো. শফিউল ইসলাম (নৌকা), বিএনপির শেখ রবিউল আলম (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টি-জাপার হাজী মো. শাহজাহান (লাঙ্গল), বাংলাদেশ কংগ্রেসের অ্যাডভোকেট মো. মিজানুর রহমান (ডাব), বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী (হারিকেন) ও পিডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী আব্দুর রহিম (বাঘ)।

২৯ ডিসেম্বর ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিতে তাপস পদত্যাগ করায় তার আসন শূন্য হয়।

গাইবান্ধা-৩:
গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) সংসদীয় আসনের ভোটগ্রহণের জন্য শুক্রবার সকাল থেকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদেরকে বিতরণ করা হয় নির্বাচনের সরঞ্জাম। গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমান জানান, শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে।

একটি পৌরসভা ও ১৯টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই সংসদীয় আসনে ভোটার ৪ লাখ ৩৫ হাজার ২১১ জন ও ভোট কেন্দ্র ১৩২টি। ভোটগ্রহণের জন্য ১৩২ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ৭৮৬ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ১৫৭২ পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।

গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ করতে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে একজন সহকারী পরিদর্শকসহ ৫ জন পুলিশ ও ১২ জন আনসার দ্বায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া দুই উপজেলায় ১০ প্লাটুন বর্ডার গার্ড ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক র্যাব সদস্যের মোবাইল টিম দায়িত্ব পালন করবে।

আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ডা. ইউনুস আলী সরকার ২০১৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর মারা যাওয়ায় এ আসনটিতে উপ-নির্বাচন হচ্ছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি, বিএনপির দলীয় প্রার্থী গাইবান্ধা জেলা বিএনপি সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মইনুল হাসান সাদিক ও জাপার প্রার্থী মইনুল রাব্বী চৌধুরী।

এদিকে গত বুধবার জাসদের প্রার্থী খাদেমুল ইসলাম খুদি নৌকার সমর্থনে তার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন।

বাগেরহাট-৪:
বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনের উপ-নির্বচনে দুটি উপজেলার ১৪৩টি কেন্দ্রে ৩ লাখ ১৬ হাজার ৫১০ জন ভোটার রয়েছে। পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা এলাকায় এলাকায় টহল দিচ্ছেন। শুক্রবার সকাল থেকে নির্বাচনী এলাকার ১৪৩টি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করে ইসি।

এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন এবং জাতীয় পার্টি-জাপার সাজন কুমার মিস্ত্রী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও বাগেরহাট-৪ আসনের রিটার্নিং কর্মকতা মো. ইউনুচ আলী বলেন, ভোট নির্বিঘ্ন করতে দশ প্লাটুন বিজিবি, দুই প্লাটুন কোস্টগার্ড, র্যাবের ১০টি টহল টিম নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এই নির্বাচনে ২৩ জন নির্বাহী, দুইজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের ২১টি ভ্রাম্যমাণ টিম এবং দশটি স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে।

১৪৩টি ভোটকেন্দ্রে স্বচ্ছ ব্যালট ব্যাক্স, সিলসহ সব সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভোট উপহার দিতে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন করে পুলিশ সদস্য এবং ১২ জন আনসার সদস্য থাকবেন। নির্বিঘ্নে ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে আহ্বান জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা।

গত ১০ জানুয়ারি বাগেরহাট-৪ আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেনের মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য হয়। ৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।

   

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোখছেদুল মোমিন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে নীলফামারী-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মোখছেদুল মোমিন। তিনি সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সমাবেশ করেছেন।

শুক্রবার(৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ বৈশাখী হোটেলের পাশে নিজস্ব অফিস উদ্ধোধন ও সমাবেশ করেন তিনি।

নির্বাচনী আচরণবিধিতে বলা হয়েছে, প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো প্রার্থীর পক্ষে মিছিল-সমাবেশ করা যাবে না। তবে আচরণবিধির তোয়াক্কা না করেই সমাবেশ করেছেন এ আওয়ামী লীগের নেতা।

সরেজমিনে দেখা যায়, সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার কয়েকশত সমর্থক নিয়ে এ আয়োজন করেন। তার সমর্থকরা এ সময় তার নামে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। প্রায় কয়েকশত মানুষ সারি সারি বসে আছেন এ সমাবেশে। সমাবেশে নির্বাচনী বক্তব্যে তার পক্ষে ভোট চায় বক্তরা। এ সময় দীর্ঘ বক্তৃতায় তার পক্ষে ভোট চেয়ে সমর্থকদের হাত তুলে শপথ করানো হয়।

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোখছেদুল মোমিন বলেন, সভা সমাবেশ স্বাভাবিক। আমরা দোয়া মাহফিল করেছি। এখন নির্বাচনে এমন বিষয় স্বাভাবিক।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা পঙ্কজ ঘোসের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি৷

জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন এ বিষয়ে বলেন, অনুমতি ছাড়া এ সময় কোন রাজনৈতিক সমাবেশ করতে পারবে না।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

প্রার্থিতা ফিরে পেতে ইসিতে ৪৩১ আবেদন 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে প্রার্থিতা ফিরে পেতে ৪৩১ জন আবেদন করেছেন। প্রথম দিনে আপিল আবেদন ছিল ৪২টি। দ্বিতীয় দিনে ১৪১টি, তৃতীয় দিনে ১৫৫টি  ও আজ চতুর্থ দিনে ৯৩টি আবেদন জমা পড়ে।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে এই  তথ্য জানা যায়। এ সময় বৈধ প্রার্থীর বিরুদ্ধেও আপিল আবেদন জমা পড়ে।

ঢাকা অঞ্চলে ১৭ জন, কুমিল্লার ১১ জন, চট্টগ্রামের ৯ জন, ফরিদপুরের ৫ জন, সিলেটের ৪ জন, ময়মনসিংহের ১৪ জন, বরিশালের ৪ জন, খুলনা ১১ জন, রাজশাহীর ১৩ জন ও রংপুর অঞ্চলের ৫ জন প্রার্থী আপিল আবেদন করেছেন।

এবারের জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১ টি।

আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। আর ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর আপিল নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন।

প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।




  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

আমরা কোনো নিষেধাজ্ঞায় উদ্বিগ্ন নই: ওবায়দুল কাদের 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘আমরা কোনো নিষেধাজ্ঞায় উদ্বিগ্ন নই। আমরা আমাদের সংবিধান মেনে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনার অধীনে একটা শান্তিপূর্ণ অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।’ 

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসররা যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার যোগ্যতা অর্জন করেছে। যুক্তরাষ্ট্র যদি নিষেধাজ্ঞা দিতে চায়, সেটা শুধু একমাত্র বিএনপি ও তার দোসররা দিতে পারে। তারা এ নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।

বাংলাদেশে নিষেধাজ্ঞা আসার কোনো কারণ নেই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখানে নিষেধাজ্ঞা আসবে কেন? নিষেধাজ্ঞা এখন কম্বোডিয়া দিয়েছে, কেন দিয়েছে এটা তাদের ব্যাপার। নিষেধাজ্ঞা এলে এখানে বিএনপির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আসবে, যারা নির্বাচনে বাঁধা দিচ্ছে।  আমেরিকা তো বলছে, যারা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দিবে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আসবে। সেটা হচ্ছে না কেন? তারা নাশকতা করছে, গাড়ি জ্বালাচ্ছে, ট্রেন পোড়াচ্ছে, মানুষ মারছে। এটাই তো সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের বিরোধিতা।’

যুক্তরাষ্ট্র যদি নিষেধাজ্ঞা দিতে চায় সেটা শুধু একমাত্র বিএনপি ও তার দোসড়রাই পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সবসময় স্বাধীন। নির্বাচন কমিশনকে আমরা সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। নির্বাচন পর্যন্ত আমরা তাদের সহযোগিতা দিয়ে যাব। কোনো বিপত্তি, হুমকি,  নাশকতা বা সন্ত্রাস এ নির্বাচনী অনুষ্ঠানে বাধা হতে পারবে না। কারণ, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এদেশের জনগণ আজ নির্বাচনমুখী। নির্বাচনমুখী ভোটাররা যেকোনো উপায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর। এতে যারা বাধা দিবে, কার্যক্রমের বিপত্তি সৃষ্টি করবে, তাদেরকে দেশের ভোটাররাই প্রতিহত করবে।’ 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে নির্বাচনে বিএনপি এবং তার সহযোগীরা অনেকে অংশ নেয়নি। তবে সারাদেশের একইভাবে নির্বাচনের তৎপরতা চলছে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি চলছে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী গার্মেন্টস সেক্টরের শ্রমিকদের বেতন বাড়িয়েছে। এই সেক্টর উন্নয়নে, শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষণে আরও কিছু করার ব্যাপারেও সরকার অত্যন্ত যত্নশীল। কাজে এই নিয়ে পানি ঘোলা করার কারণ নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এখানে দলীয় কোনো বিষয় নেই। নির্বাচন কমিশন আচরণবিধি অনুযায়ী চলছে। প্রার্থীরা আদালত পর্যন্ত যেতে পারে। সেখানে আল্টিমেটলি যে সিদ্ধান্ত আসবে সেটার উপর আমাদের কোনো হাত নেই। তাই এ ব্যাপারে বাধাগ্রস্ত করার কোনো প্রক্রিয়াতে আমরা নেই।’

জাতীয় পার্টি কি প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠতে পেরেছে?- এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা জাতীয় পাটিকে জিজ্ঞাসা করুন। তারা কি ভূমিকা রাখতে চায়। আমাদের সাথে বসলে আমরা তাদের নীতি আদর্শ নিয়ে কথা বলি না।’

স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আদালতের রায় সেটা তো আমরা বলতে পারিনা। ১৭ তারিখের আগে এ ব্যাপারে মন্তব্য না করাই ভালো।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে জেতার জন্য আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে কথা বলবে। পাবলিকের সাপোর্ট নেয়ার জন্য তো বিরুদ্ধে কথা বলবেই।’

এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

চট্টগ্রামের ৬ ইউএনওর রদবদল



স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের ছয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বদলি করা হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনায় তাদেরকে বিভিন্ন উপজেলায় পদায়ন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সম্মতিক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখার উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পী স্বাক্ষরিত দুটি পৃথক আদেশে তাদের বদলি করা হয়।

আদেশে বোয়ালখালীর মোহাম্মদ মামুনকে বান্দরবানের থানচিতে, রাঙ্গুনিয়ার আতাউল গনি ওসমানীকে বান্দরবানের আলীকদমে, পটিয়ার মোহাম্মদ আতিকুল মামুনকে বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে, সন্দ্বীপের সম্রাট খীসাকে কক্সবাজার সদরে, কর্ণফুলীর মো. মামুনুর রশীদকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায়, রাউজানের আবদুস সামাদ শিকদারকে কুমিল্লার মুরাদনগরে বদলি করা হয়েছে।

এদিকে, কক্সবাজারের ইমরান হোসেন সজীবকে বোয়ালখালী, কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের মো. রায়হান মেহেবুবকে রাঙ্গুনিয়ায়, কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার দীপঙ্কর তঞ্চঙ্গ্যাকে কর্ণফুলীতে, বান্দরবানের রোয়াংছড়ির মো. খোরশেদ আলম চৌধুরীকে সন্দ্বীপে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার অংগ্যজাই মারমাকে রাউজানে এবং কুমিল্লার মুরাদনগরের মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ভূঁঞা জনীকে পটিয়ায় পদায়ন করা হয়েছে।

এর আগে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে দেশের সব ইউএনওকে পর্যায়ক্রমে বদলি করার সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। গত ৩০ নভেম্বর ইউএনওদের বদলির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;