শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘আম-কাঁঠালের ছুটি’র বিশেষ প্রদর্শনী
বিনোদন
শরীফ উদ্দিন সবুজের ছোটগল্প অবলম্বনে মোহাম্মদ নূরুজ্জামান নির্মিত শিশুতোষ ঘরানার চলচ্চিত্র ‘আম-কাঁঠালের ছুটি’। সিনেমাটি দেশের দর্শকদের জন্য আগামী ১৮ই আগস্ট মুক্তি পেতে যাচ্ছে। চলচ্চিত্রটির আন্তর্জাতিক সংস্করণের নামকরণ করা হয়েছে ‘সামার হলিডে’।
রোববার (০৬ আগস্ট) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালেদ। প্রদর্শনী উদ্বোধন করবেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে নির্মাতা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান বলেন, সত্তর-আশি কিংবা মধ্য নব্বইয়ের দশকে যারা শৈশব-কৈশোর পার করেছেন তারা নিজেদের খুঁজে পাবেন এ সিনেমায়। সেইসঙ্গে হারিয়ে যাওয়া কিংবা হারাতে বসা প্রাকৃতিক পরিবেশ আর আমাদের নিজস্ব লোকজ সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হবে নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোররা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, স্বনামধন্য চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলামসহ অনেকে।
বিজ্ঞাপন
এই নির্মাতা আরও বলেন, ইতোমধ্যেই ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া, আর্জেন্টিনাসহ বিশ্বের বেশকিছু চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে। একইসঙ্গে প্রশংসাও পেয়েছে। সিনেমা নিয়ে আমার তেমন প্রত্যাশা নেই৷ সততা দিয়ে কাজটি করতে চেয়েছি, লাভ লোকসানের হিসাব না করে।
‘আম-কাঁঠালের ছুটি’ চলচ্চিত্রটিতে প্রধান চরিত্রগুলোতে অভিনয় করেছেন- লিয়ন, জুবায়ের, আরিফ, হালিমা ও তানজিল। অন্যদের মধ্যে ছিলেন- ফাতেমা, কামরুজ্জামান কামরুল, আব্দুল হামিদ প্রমুখ।
গীতিকবি সংঘ বাংলাদেশ ও ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মধ্যে এক দ্বিপাক্ষিক কর্পোরেট স্বাস্থ্যচুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ এই চুক্তিতে যৌথভাবে স্বাক্ষর করেন ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ আশীষ কুমার চক্রবর্ত্তী, এসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) একেএম সাহেদ হোসেন ও হেড অব কর্পোরেট নিতা চক্রবর্ত্তী এবং গীতিকবি সংঘ বাংলাদেশ এর সভাপতি আসিফ ইকবাল, সহ-সভাপতি মো. বাপ্পি খান ও সাধারণ সম্পাদক জয় শাহরিয়ার। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (ব্র্যান্ড এন্ড কমিউনিকেশন) সি.এফ. জামান ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ (কর্পোরেট বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) আমিনুল ইসলাম সুমন এবং গীতিকবি সংঘ বাংলাদেশ এর সাংগঠনিক সম্পাদক সীরাজুম মুনির ও অর্থ সম্পাদক এনামুল কবির সুজন।
চুক্তির আওতায় গীতিকবি সংঘ বাংলাদেশ-এর সকল সদস্য এবং তাদের পরিবার এখন থেকে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক্সিকিউটিভ হেল্থ চেক-আপ, কার্ডিয়াক হেলথ চেক-আপ ও অন্যান্য স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বিশেষ ছাড় পাবেন। এছাড়াও ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিশেষ ছাড়ে চিকিৎসা সেবা গ্রহণের পাশাপাশি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা পাবেন।
বেশ লম্বা সময় যুক্তরাষ্ট্রে থেকে গত ৩১ ডিসেম্বর দেশে ফিরেছেন নন্দিত সঙ্গীতশিল্পী ফাহমিদা নবী। সেখানে বেশ কয়েকটি শোতে গাওয়ার পাশাপাশি ঘোরাঘুরি করে দারুণ সময় কাটিয়েছেন তিনি। সেখানকার কিছু মুহূর্ত ফেসবুক ভক্তদের সঙ্গে ভাগাভাগিও করে নিয়েছেন। আগামীকাল এই তারকার জন্মদিন, এ উপলক্ষে আসছে নতুন গান। এসব নিয়েই তার সঙ্গে কথা বলেছেন মাসিদ রণ
কেমন আছেন?
আমি বেশ ভালো আছি। যুক্তরাষ্ট্রে দারুণ কিছু শো করলাম, মনের মতো দর্শক পেয়েছিলাম। প্রতিটি শোতেই আমার গানের লিস্ট ফুরিয়ে যায়, কিন্তু তারা আরও গান শুনতে চায়! একজন শিল্পীর জন্য এর চেয়ে বড় আনন্দ আর নেই!
আগামীকাল জন্মদিন। কিভাবে সেলিব্রেট করবেন?
জন্মদিনে নিজে কিছু না করলেও মনের ভেতরে আলাদা অনুভূতি কাজ করে। আমার ভক্তরাই আমার জন্মদিন স্পেশ্যাল করে দেয় প্রতিবছর। আর আমি সেই ভালোবাসার মূল্য দিতেই চেষ্টা করি নতুন কোন গান তাদের উপহার দিতে। এবারও আসছে নতুন একটি গানের ভিডিও। গানটির নাম ‘কাছের মানুষ’। এটি লিখেছেন ইলা মজি, সুর করেছি আমি নিজেই। সঙ্গীতায়োজন করেছেন সজীব দাস, মিউজিক ভিডিও করেছেন আশিক মাহমুদ। প্রেমময় আবেশের গানটি আমার ভক্ত অনুরাগীদের ভালো লাগবে বলে বিশ্বাস।
আপনি বিখ্যাত বাবার মেয়ে। এরপর নিজেদের যোগ্যতায় আপনারা দুই বোন (সামিনা চৌধুরী ও ফাহমিদা নবী) জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। দেশের অধিকাংশ মানুষ আপনাদের চেনে, অন্যরকম চোখে দেখে। এগুলো ভাবতে কেমন লাগে?
এটাকে আমার নিখাদ ভালোবাসা মনে হয়। এই ভালোবাসা এক অনন্য অর্জন। সবার ভাগ্যে তা জোটে না। এটা কেউ দুম করে পেয়ে যায় না। অনেকেই পপুলারিটি পেয়ে যেতে পারেন হুট করে, কিন্তু মানুষের মনে এভাবে জায়গা করে নেয়া সহজ নয়। অর্জন করতে হয়। আমার বাবা কিংবা আমরা ভাই বোনেরা কষ্ট, সাধনা আর সততা দিয়ে সেটা অর্জন করেছি। এবার নিউইয়র্কে আমার বাবার স্মরণে (প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী প্রয়াত মাহমুদুন্নবী) যে প্রোগ্রামটা করলাম, আমেরিকার মতো ব্যস্ত দেশে একটা ওয়ার্কিং ডে’তেও এতো মানুষ আসবেন, এভাবে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা দেবেন সেটা ভাবতেই পারিনি। টানা তিন ঘণ্টা আমি গাইলাম, তারপরও দর্শক সিট ছেড়ে নড়ছিলেন না। এটা এক বিরল অভিজ্ঞতা আমার জন্য।
ফেসবুকে আপনি নানা ধরনের লেখালেখি করেন। লেখালেখির ব্যাপারটা কিভাবে এলো?
গানটা যেমন আমার ভাবনার একটি অংশ, তেমনি লেখাটাও আমার ভাবনারই অংশ। আমার যাপিত জীবনের নানা অভিজ্ঞতার কথাই আমার ফেসবুক অনুসারীদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করি। আমার লেখায় সমসাময়িক বিষয়গুলো উঠে আসে। মানুষের বেঁচে থাকা, চিন্তার জগৎ, চাওয়া-না পাওয়ার কথাগুলোই তো লিখি। আমাদের চলার পথে কতো কর্মযজ্ঞ, কখনো তা ভুল হয়, কখনো বা ঠিক। জীবন কখনো সহজ, কখনো কঠিন। ভুল থেকে শিখে যে জীবন চলতে পারে তার জীবন সহজ হয়ে যায়। মুখে ফুটে ওঠে এক টুকরো হাসি। আর এসব আবেগ অনুভূতি নিয়েই তো গান।
লেখালেখি কবে থেকে শুরু হলো?
অনেক আগে থেকেই আমি লিখি। আর এখন তো ফেসবুকে ফাহমিদা নবী’স ডায়েরী নামের একটি অ্যালবামে লিখি। আমি জীবনকে অনেক সহজভাবে দেখি। জীবনে নানা চড়াই-উৎরাই আসবেই, কিন্তু হাসি ভুলে গেলে চলবে না। কাউকে একটা ফুল উপহার দিলে দেখবেন তার মুখে হাসি ফুটে ওঠে। এই হাসি তো অমূল্য। এগুলো আমি ছোট্ট বেলা থেকেই তো শিখিনি। এক একটা ঘটনা থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। আমার মনে হয়, আমার এই অভিজ্ঞতাগুলো জেনে কারও হয়তো ভালো লাগবে, কারও চিন্তার নতুন দিক উন্মোচিত হবে, কেউ কেউ আবার কিছু সমস্যার সমাধান হয়তো খুঁজে পাবে।
ফেসবুক খুললেই দেখা যায় এখন সবাই নাচ করে, গান করে, লেখালেখি করে, ফটোগ্রাফী করে। এই বিষয়টাকে কিভাবে দেখেন?
এখন যার যার ফেসবুক আইডি যেন নিজস্ব এক একটা টিভি চ্যানেল! এখন সব একা করা যায়। সবার মনেই গান আসে, কবিতা আসে। সবাই তা মানুষের সামনে প্রকাশ করতে চায়। কিন্তু এতোকিছু করেও তারা তাদের কাঙ্খিত জায়গাটিতে পৌঁছতে পারছে না। ফলে আমি বলবো- কেউ একটু শিখে, চর্চা করে তারপর ফেসবুকে প্রচার করে তাহলে কিন্তু সে নিজেকে একটা পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। নিজের মেধাকে প্রকাশের যে সুযোগ ফেসবুক করে দিয়েছে সেটার সুন্দর ব্যবহার তাহলে করা সম্ভব।
আপনার প্রিয় গীতিকার-সুরকার কারা?
আমাকে যদি গান বাছাই করতে হয় তাহলে আমি কারও নাম দেখে বাছাই করি না। যার গানের কথা কিংবা সুর ভালো তারটাই বাছাই করি। ফলে আমার কাছে কার বয়স কতো, কার জনপ্রিয়তা কতোখানি এগুলো ম্যাটার করে না।
এমন কোন শিল্পী আছে যার সঙ্গে কাজ করতে পারলে মনে কতো সঙ্গীতজীবনের ষোলকলা পূর্ণ হলো?
আমি আবারও বলব, যে আমাকে বোঝে, যে আমাকে আমার চিন্তা-ভাবনার সঙ্গে মিল রেখে গান করবে, আমি তার সঙ্গে কাজ করেই নিজেকে ধণ্য মনে করি। আমি এমন অনেক কম বয়সীদের সঙ্গেও গান করেছি, যাদের সঙ্গে কাজ করে মনে হয়েছে দারুণ কিছু করলাম।
এমন কি কিছু আছে যা করা বাকী রয়ে গেলো?
আমি আমার গান নিয়ে আছি। গানের স্কুল ‘কারিগরী’ নিয়ে ব্যস্ত থাকি। এখন আমার একটা ইচ্ছে আছে দেশে এবং দেশের বাইরে বাচ্চাদের নিয়ে কিছু কাজ করতে চাই। কারণ তারাই তো আসলে ভবিষ্যতে আমাদের দেশের সংস্কৃতিকে টেনে নিয়ে যাবে সামনের দিকে।
স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ (৩ জানুয়ারি)। ২০২১ সালের এই দিনে তিনি গত হয়েছিলেন। ২০২২ সাল থেকে বাংলা একাডেমি ‘রাবেয়া খাতুন কথাসাহিত্য পুরস্কার’ প্রবর্তন করেছে। রাবেয়া খাতুনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘রাবেয়া খাতুন স্মৃতি পরিষদ ও রাবেয়া খাতুন ফাউন্ডেশন’ কবর জেয়ারত, বিশেষ দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
খ্যাতিমান এই লেখকের উপন্যাস, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, কিশোর উপন্যাস, স্মৃতিকথাসহ চলচ্চিত্র ও নাট্য জগতেও বিচরণ ছিল। তার মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস ‘মেঘের পরে মেঘ’ জনপ্রিয় একটি চলচ্চিত্র। ‘মধুমতি’ এবং ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’ও প্রশংসিত হয়েছে সব মহলে। তাঁর নিজস্ব সম্পাদনায় পঞ্চাশ দশকে বের হতো ‘অঙ্গনা’ নামের একটি মহিলা মাসিক পত্রিকা। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা শতাধিক। উপন্যাস, গবেষণাধর্মী রচনা, ছোটগল্প, ভ্রমণ কাহিনী, কিশোর উপন্যাস, স্মৃতিকথা ইত্যাদি। রাবেয়া খাতুন বাংলাদেশের ভ্রমণসাহিত্যের অন্যতম লেখক।
গত ২৭ ডিসেম্বর ছিল এই গুণী লেখকের জন্মদিন। তার জন্মদিনকে ঘিরে ছিল তিনদিন ব্যাপী নানান আয়োজন। ২৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয় ইরাজ আহমেদ এর অনুবাদে- ‘FREEDOM’S FLAMES’ গ্রন্থ। ২৭ ডিসেম্বর লেখকের জন্মদিনে ‘Story of shumon and Mithu’ এবং ‘লাল সবুজ পাথরের মানুষ ও একাত্তরের নিশান’ গ্রন্থ দুটি প্রকাশিত হয়। আয়োজন করা হয় রাবেয়া খাতুন-এর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান এবং শীতবস্ত্র বিতরণ। ২৮ তারিখে বাংলা একাডেমি প্রবর্তিত রাবেয়া খাতুন কথাসাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হয়। এ বছর রাবেয়া খাতুন কথাসাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন- সামগ্রীক অবদানের জন্য সুশান্ত মজুুমদার এবং ‘রাইমঙ্গল’ উপন্যাসের জন্য সুমন মজুমদার।
যে সময়ে ঢালিউডের সিনেমা দেখতে দর্শক প্রেক্ষাগৃহে আসে না বললেই চলে, তখন একটি সুপারহিট সিনেমা উপহার দেওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। সেই কঠিন কাজটিই করেছিলন নির্মাতা রায়হান রাফী। আর সেই ‘পরাণ’ ছবিতে জুটি বেঁধে অভিনয় করে দারুণ আলোচিত হন চিত্রনায়ক শরিফুল রাজ এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। এরপর একই নির্মাতার ‘দামাল’ ছবিতেও তারা জুটি বেঁধে প্রশংসা কুড়ান।
তাদের রসায়ন দর্শক বেশ পছন্দ করছিলো। গড়ে উঠতে পারতো একটি সফল জুটি। কিন্তু রাজের তৎকালীন স্ত্রী পরীমণি নানা ধরনের কুৎসা রটিয়েছিলেন বিদ্যা সিনহা মিম আর রাজকে ঘিরে। ফলে মিম নিজের ইমেজের কথা চিন্তা করে রাজের সঙ্গে আর কাজ করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেন।
কিন্তু এখন সব সমীকরণ বদলে গেছে। পরী আর রাজের জীবনে নেই। এজন্যই কিছুদিন ধরে শোবিজে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে আবারও রাজ-মিম জুটি একসঙ্গে কাজ করতে চলেছেন।
শোনা যাচ্ছে, তৃতীয়বারের মতো রাজ-মিম জুটিকে দেখা যাবে ‘দানব’ নামের একটি সিনেমায়। আর তা পরিচালনা করবেন শাকিব খানের সাম্প্রতিক ছবি ‘দরদ’ নির্মান করে আলোচনায় থাকা পরিচালক অনন্য মামুন। ছবিটি প্রযোজনা করছে তার অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট। সিনেমাটির শুটিং হবে বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ডে। পর্দায় দেখা যাবে ঈদুল ফিতরে।
তবে এ বিষয়ে এখনই মুখ খোলেননি অনন্য মামুন, রাজ কিংবা মিমের কেউই। তবে বছরের শেষ দিন অনন্য মামুন মিমের জিম করার একটি ছবি পোস্ট করে একটি স্ট্যাটাস দেন। তিনি লেখেন, `বছর শেষে আমার একটাই প্রশ্ন? মিম কেন, কি কারণে এত পরিশ্রম করছে? ৩টা মাস এতো কঠর পরিশ্রম দেখে আমি মুগ্ধ.. ভয় লাগে মেয়েটা না আবার দানব হয়ে যায়..’।
এই স্ট্যাটাস দেখেই অনেকে ধারণা করছেন মিম আর অনন্য মামুনের একসঙ্গে কাজ হতে চলেছে। আর তার জন্যই মিম তিন মাস ধরে নিজেকে প্রস্তুত করছেন। এবং স্ট্যাটাসেই ছবির নাম ‘দানব’ কথাটাও উল্লেখ রয়েছে।