প্রাচ্যনাটের ৪৫তম ব্যাচের নাটক ‘রক্তকরবী’
বাংলাদেশের থিয়েটারের বিস্তার এবং দক্ষ থিয়েটার কর্মী তৈরীতে দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে কাজ করে চলেছে প্রাচ্যনাট স্কুল অব অ্যাকটিং অ্যান্ড ডিজাইন। এই স্কুলের ৬ মাসের পাঠ্যসূচিতে একজন প্রশিক্ষনার্থী থিয়াটারের সকল আনুসাঙ্গিক বিষয়ে একটি স্পষ্ট ধারণা পায়। এরই মধ্যে এই স্কুলের ৪৪টি ব্যাচ সফলভাবে তাদের কোর্স সম্পন্ন করেছেন। পরিসমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে ৪৫তম ব্যাচেরও।
আমাগীকাল ২৯ জানুয়ারি সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রাচ্যনাট স্কুল অব অ্যাকটিং অ্যান্ড ডিজাইন-এর ৪৫তম ব্যাচের সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান। ৪৫তম ব্যাচ তাদের সমাপনী প্রযোজনা হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর ‘রক্তকরবী’ উপস্থাপন করবে। নির্দেশনা দিয়েছেন মো: শওকত হোসেন সজিব। এ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অভিনয়শিল্পী ডলি জহুর ও খায়রুল আলম সবুজ। নাট্য প্রদর্শনী ছাড়াও ঐ দিন মিলনায়তনর বাইরে থাকবে উন্মুক্ত পোস্টার প্রদর্শনী।
নির্দেশক বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের রক্তকরবী একটি সাংকেতিক নাটক। তাই নাটকটি নির্দেশনার সময় বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা প্রযোজনাটি ডিজাইন করার চেষ্টা করেছি। রক্তকরবী নাটকটি করতে গিয়ে কখনও মনে হয়নি যে নাটকটি ১০০বছর আগে লেখা। বরং মনে হয়েছে আমাদের বর্তমান সময়কার চিন্তাভাবনা থেকেও আরো আরো আধুনিক। তাইতো আমাদের এই বর্তমান থেকে আরো পঞ্চাশ বছর পরের সময়কেও মনে হয় যক্ষপুরী। যক্ষপুরীর মানুষরা যেমন সুড়ঙ্গ খুঁদে সোনার তাল তুলেই আনছে কোনো লক্ষ্য ছাড়া, বর্তমান বিশ্বে আমরাও যন্ত্র হয়ে গেছি আটকে গেছি বিভিন্ন ডিভাইসে থাকা সোশ্যাল মিডিয়াতে বা বিবিধ সফটওয়্যারে। অপর দিকে এসব সফটওয়্যারের মাধ্যমে আমাদের তথ্য নিয়ে নজরদারিতে রাখছে যক্ষপুরীর সর্দার, গোঁসাই ও মোড়লরা। তারা অন্যায়, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ফায়দা লুটে নিচ্ছে, ধ্বংস যজ্ঞ চালাচ্ছে। আমাদের চোখের সামনে নিয়মিত এসব চলছে কিন্তু যন্ত্র হওয়ার কারনে আমরা কোনো প্রতিবাদ তো করছিই না এমনকি নিজেদের মধ্যে কথা বলতেও ভয় পাই। আর যারা কথা বলে তাদেরকে নেপথ্যে থাকা রাজা বুদবুদের মত লুপ্ত করে দেয়।’
অভিনয় করেছেন আয়েশা আক্তার লাবণ্য, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, নুরুল আনোয়ার বাপ্পি, জেসিকা জাসিন্তা চিরান, নুসরাত জাহান ভূঞা রাফা, সুপ্রিয় কুমার ঘোষ, আরিফ রেজা খান, হাবিবা সুলতানা হাসি, মো. নাজমুল হক, জুবায়ের নূর, সুপ্রিয় কুমার ঘোষ, নূরে জান্নাত ওরিশা, মাহমুদ হাসান হিমেল, বিপ্লব হাসান, বিপ্লব হাসান, মো নয়ন হোসাইন, সৌরভ পাল, পাপিয়া সুলতানা মিম, প্রজ্ঞা চন্দ, মোঃ আমিনুল ইসলাম (অপু), কাজী নাহিদ আক্তার, নুসরাত জাহান ভূঞা রাফা, দোয়েল বিশ্বাস, মাহমুদ হাসান হিমেল, মোঃ রাফি, বিশাখা আহেমদ ইরা, মোঃ আমিনুল ইসলাম (অপু), শেখ শাহরুখ ফারহান, ফাইয়াজ রহমান, ওয়াসীমুল বারি রাতুল, অপু, বিপ্লব, ওরিশা, জুবায়ের, বাপ্পি, নাজমুল, জেসিকা, মিম, নাহিদ, রাফা, সৌরভ, আদিল, শাহরুখ, রাহুল, হাসি ও ইব্রাহিম।
সঙ্গীত করেছেন এবি সিদ্দিকি, মঞ্চসজ্জায় তানজি কুন, আলোক পরিকল্পনা মোখলেছুর রহমান, পোশাক পরিকল্পনা পারভীন পারু ও কোরিওগ্রাফিতে প্রদ্যুৎ কুমার ঘোষ।