নাট্যজগতের অন্যতম ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদের সহধর্মিণী গওহর আরা মামুন মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্তেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে ধানমন্ডির বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
তার মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমে জানিয়েছে অভিনয়শিল্পী সংঘ বাংলাদেশ। সংগঠনটি জানায়, বুধবার জোহরের নামাজের পর ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে গওহর আরা মামুনের জানাজা হবে। এরপর তাকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী গোরস্থানে দাফন করা হবে।
সংগঠনটি গওহরের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।
একটা সময় ঢাকাই সিনেমার নায়িকারা দারুণ গোপনীয়তা রক্ষা করতেন। তারা সচারচর রাস্তায় বেরোতেন না। এমনকি টিভি পর্দায় মুখ দেখাতেও তাদের ছিলো সংকোচ। তারা মনে করতেন টিভি পর্দা বা রাস্তাঘাটে বিনে পয়সায় যদি তাদের দেখা মেলে তবে কেন দর্শক টিকিট কেটে সিনেমা হলে যাবেন?
এই প্রথাটি কিন্তু এখনো অনেকে কার্যকর মনে করেন। অর্থাৎ তারকার এক্সক্লুসিভিটি মেনে চলা জরুরী মনে করেন।
তবে এখনকার অনেক নায়িকা আবার তাদের ক্যরিয়ারকে ভিন্নভাবে দেখেন। তারা মনে করেন, প্রচারেই প্রসার। ‘যতো বেশি দর্শকের সামনে যাবেন ততো বেশি রেলিভেন্ট থাকবেন’ এটাই তাদের মূলমন্ত্র।
তেমনি একজন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। তার সময়ের অন্য নায়িকাদের চেয়ে বেশ আগেই তিনি ওটিটি প্ল্যাটফর্মকে আপন করে নিয়েছেন। সিনেমার পাশাপাশি ভালো গল্প ও চরিত্র পেলে তিনি ওটিটিতে কাজ করেন। রায়হান রাফীর ‘টান’ ও ‘সাত নম্বর ফ্লোর’ ওয়েব ফিল্মে তার অভিনয় প্রশংসাও কুড়িয়েছে।
এই নায়িকা আবারও ওটিটিতে আসতে চলেছেন। তবে এবার আর ওয়েব ফিল্ম নিয়ে নয়। বরং তার অভিনীত বড়পর্দায় সিনেমাই এবার মুক্তি পাচ্ছে ওটিটিতে। যে পন্থা সারা বিশে^ই প্রচলিত। হলিউড-বলিউডের অনেক সিনেমাই প্রথমে প্রেক্ষাগৃহে তারপর ওটিটিতে মুক্তি পায়।
বুবলী অভিনীত ‘ক্যাসিনো’ ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল গত বছরের জুনে। সৈকত নাসিরের পরিচালনায় এই ছবিতে বুবলীর বিপরীতে অভিনয় করেছেন নিরব।
জানা গেছে, দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে দেখা যাচ্ছে সিনেমাটি। মাত্র ৫০ টাকা দিয়ে সাবস্ক্রাইব করলেই অ্যাপটিতে সিনেমাটি দেখা যাচ্ছে। অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর অভিযানের গল্প নিয়ে তৈরি হওয়া ক্রাইম থ্রিলার ঘরানার ‘ক্যাসিনো’ সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে বঙ্গতে।
সুপারস্টার শাকিব খানের সঙ্গে জুটি ভেঙে এই ‘ক্যাসিনো’র মাধ্যমে প্রথমবার অন্য কোনো নায়কের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন বুবলী। সিনেমায় নিরব-বুবলী ছাড়াও আছেন তাসকিন রহমান, ডন, দিলরুবা দোয়েল, নিপা আহমেদ রিয়েলি প্রমুখ। এর গল্প লিখেছেন আবদুল্লাহ জহির। চিত্রনাট্য রচনা করেছেন আসাদ জামান।
প্রসঙ্গত, গতকাল থেকে শাকিব খানও এসেছেন ওটিটিতে। তার অভিনীত সুপারহিট সিনেমা ‘তুফান’ চরকি ও হইচইতে মুক্তি পেয়েছে গতকাল।
কনসার্ট করতে গিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনার মুখে পড়লেন বিশ্ববিখ্যাত পপতারকা শাকিরা। মঞ্চে পারফর্ম করার সময়, এক অনুরাগীর কাণ্ডে একেবারে হতবাক গায়িকা। তবে স্পষ্ট প্রতিবাদ করলেন মঞ্চ থেকেই। অনুরাগীকে স্পষ্টই জানালেন, নো মিনস নো!
এদিন শাকিরার পরনে ছিল মিনি স্কার্ট এবং এক মাথা খোলা চুল। মঞ্চে নতুন গান ‘সলটেরা’র সঙ্গে নাচছেন শাকিরা। হঠাৎ শাকিরা খেয়াল করলেন এক অনুরাগী মঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে তার পোশাকের নিচে ক্যামেরা ধরে ছবি তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন। অনুরাগীর এমন কাণ্ড দেখে একেবারে হতবাক শাকিরা। সঙ্গে সঙ্গে গান থামিয়ে রীতিমতো মেজাজ হারিয়ে স্টেজ থেকে নেমে এলেন।
তবে নামার আগে অনুরাগীকে স্পষ্ট জানালেন, এই ধরনের আচরণ একেবারেই ঠিক নয়। শাকিরার এই ভিডিওই এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
শাকিরার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটায় সোশ্যালে নিন্দার ঝড় বইছে। নেটিজেনদের একাংশ মনে করছেন, এই ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত। গ্রেপ্তার হওয়া উচিত অভিযুক্ত। অনেকের আবার মত, নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর হওয়া উচিত ছিল।
ঢালিউডের মেধাবী অভিনেতা শরিফুল রাজ আর আলোচিত অভিনেত্রী পরীমণির সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। তাদের সম্পর্কের আদ্যোপান্ত জানেন ভক্তরা।
যারা সিনেমার খবর সেভাবে রাখেন না তারাও জানেন এই জুটির সম্পর্কের তিক্ততার কথা। কারণ বিচ্ছেদের সময় এক কথায় ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয়েছিলেন রাজ-পরী।
দুজনের পথ অনেক আগেই চলে গেছে দু’দিকে। তারা হেঁটেছেন বিচ্ছেদের পথে। সেই বিচ্ছেদেরও এক বছর পূর্ণ হলো সদ্য। তারপরও কি রাজকে ভুলতে পারছেন না পরী? যদি ভুলেই যেতেন তাহলে এখনো কারণে অকারণে কেন তুলে আনেন রাজের নাম? অভিনেতার প্রতি টান মনে রয়ে গেছেন বলেই কি এখনো অভিসম্পাত ঝরে নায়িকার বক্তব্যে? কেন রাজকে একদম ঝেড়ে ফেলেতে পারেন না পরী? এমন প্রশ্ন কিন্তু অনেকের মনেই রয়েছে।
ঠিক তেমনি আচরণ দেখা গেলো অভিনেত্রীর গতকালকের এক ফেসবুক পোস্টেও। নায়িকা তার বিচ্ছেদের এক বছরপূর্তী উদযাপন করলেন? কথাটা শুনে কেউ ভড়কে যাবেন না। সুন্দর ছবি দিয়ে বিচ্ছেদবার্ষিকী পূর্ণ করার পোস্টকে উদযাপন ছাড়া কি-ই বা বলা যায়? হতে পারে সেটা নায়িকার দুঃখবিলাশ!
যাইহোক, কালকের পোস্টের রাজকে তার জীবনের ভুল মানুষ আখ্যা দিয়ে পরী লিখেছেন, ‘আজ থেকে এক বছর আগে আমার জীবনের সেই ভুল মানুষকে (রাজকে) ছেড়ে দিয়েছিলাম। এক বুক হাহাকার, হতাশা আর বুকের মধ্যে জাপটে ধরে ছিলো আমার ছোট্ট বাচ্চা ছেলেটা! কিন্তু দেখো, আজ আমরা একটু একটু করে নিজেদের মতন ভালো থাকতে শিখে গেছি। আজ আর সেই ভুল মানুষের কোন অস্তিত্ব নেই আমাদের কারোর জীবনে। না সেটা আমার বা আমার ছেলের! শুকরিয়া। আমারা ভালো আছি। হ্যাপি ডিভোর্স অ্যানিভার্সারি পরী!’
স্ট্যাটাসের গোড়ার দিকে পরী অবশ্য লিখেছেন আরেকটি প্রসঙ্গে। তার ভাষ্য, ‘আজ এখন যখন আমি আমার দিকে দেখি, আমি দেখতে পাই একজন পরিপূর্ণ সুখী মানুষকে। এই জীবনে কষ্ট থাকুক। সেটা কেবল বড় হওয়ার কষ্ট। আমি সেই কষ্টটা আনন্দ নিয়েই করতে চাই। কিন্তু অন্যের ছেড়ে যাওয়ার কষ্ট পেতে দেবো না আর নিজেকে আমি। এই তো কেমন হাসতে খেলতে ওদের নিয়ে জীবন উদযাপন করছি। আমার মানিকজোড়, একদিন আমরা সত্যি ঐ আকাশ ছোঁব দেখিস।’
আজ ছোটপর্দার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভানের জন্মদিন। তাকে অজস্র মানুষ জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাফা কবিরের শুভেচ্ছাবার্তাটি বেশ অণ্যরকম।
কারণ সাফা জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে জোভানের স্বভাবের নতুন একটি দিক তুলে ধরলেন সবার সামনে।
অনেকেই জানেন, জোভান আর সাফা শুধুমাত্র নাটকের সহকর্মী নয়। তাদের অভিনয় ক্যারিয়ার প্রায় একইসঙ্গে শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয়, ব্যক্তিজীবনে তারা অনেক আগে থেকেই খুব ভালো বন্ধু। তাদের বন্ধুদের একটা গ্রুপই রয়েছে যারা সবাই শোবিজ তারকা। সেই গ্রপে আরও রয়েছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদ, অভিনেত্রী মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া, অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব, সৈয়দ জামান শাওন ও তামিম মৃধা। সেই বন্ধুত্ব পারিবারিক পর্যায়ে গড়িয়েছে এতোদিনে। তাইতো এই তারকারা একে অন্যের ব্যক্তিগত বিশেষ মুহূর্তে পাশে থাকেন সব সময়।
তাই সাফা তার বন্ধু জোভানকে যেভাবে চেনেন, ভক্ত কিংবা শুধুমাত্র সহকর্মীরা সেভাবে তাকে চিনবেন না এটাই স্বাভাবিক।
এজন্যই জোভানের স্বভাবের গোমর ফাঁস করে সাফা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমার চেনাজানা মানুষের মধ্যে সবচেয়ে মজার মানুষ জোভানকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। একসঙ্গে অভিনয় করতে করতে একটা পর্যায়ে আমরা বন্ধু হয়ে উঠি। তুমি আমার জীবনে যে আনন্দ, হাস্যরস আর ইতিবাচক শক্তি সঞ্চার করেছো তার জন্য আমি চির কৃতজ্ঞ। আরও অনেক বছর এমন হাসিমাখা মুখ আর দারুণ অভিনয় দিয়ে আমাদের পৃথিবীকে সুন্দর করে রাখ। আরও দারুণ দারুণ কাজ কর।’
জোভানকে বেশিরভাগ নাটকে রোমান্টিক নায়কের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়। নিজেকে ভেঙে করুণ রসের কিছু সিরিয়াস চরিত্রেও দারুণ অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু নাটকের কমেডি অভিনেতার তালিকা করলে জোভানের নাম আসবে না।
তাছাড়া তিনি ইন্টারভিউ দিতে গেলেও বেশ ভেবে চিন্তে সিরিয়াসলি প্রশ্নের উত্তর দেন। ফলে জোভানকে দর্শক বেশ সিরিয়াস মানুষ হিসেবেই জানেন। কিন্তু সেই মানুষটিই যে বাস্তবে তার কাছের বন্ধুদের সঙ্গে একেবারেই অন্যরকম হয়ে যান সেটা সাফার পোস্ট না দেখলে অনেকে জানতেই পারতেন না। জোভানের অনেক ভক্ত তো বিষয়টি জানতে পেরে বেশ অবাকই হয়েছেন!