ইরফান সাজ্জাদ-আইশা খানের ছবিটি পেলো ‘প্রাপ্তবয়স্ক’ সার্টিফিকেট

  • বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

‘ভয়াল’ ছবিটিতে অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ ও আইশা খান

‘ভয়াল’ ছবিটিতে অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ ও আইশা খান

সেন্সর বোর্ড এখন অতীত। তার বদলে জায়গা করে নিয়েছে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড। সার্টিফিকেশন বোর্ড বা গ্রেডিং সিস্টেম ছিলো অনেকদিন ধরে চলচ্চিত্র নির্মাতের দাবি। অবশেষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেছে দেশের প্রথম চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর বোর্ড সদস্যরা প্রথমবারের মতো দুটি সিনেমা দেখলেও সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি, ছবি দুটিকে আসলে বিচার-বিশ্লেষণ করবেন কোন আলোকে। কারণ তাদের সামনে এখনও রয়েছে সেন্সর বোর্ডের বিধিমালা। এদিন ‘ভয়াল’ ও ‘রাজকুমারী’ নামের দুটি ছবি দেখেছে বোর্ড।

বিজ্ঞাপন

তবে বেশি সময় নেননি তারা। একই দিন সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সার্টিফিকেশন বা গ্রেডিং পদ্ধতিতেই যাবেন তারা। সেই হিসাবে এদিন দেখা ছবি দুটির মধ্যে ‘ভয়াল’ ছবিটিকে বোর্ড সদস্যরা ‘এ’ গ্রেডে ছাড়পত্র দিয়েছেন। অর্থাৎ এটি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। সে হিসেবে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে দাফতরিকভাবে ‘ভয়াল’ ছবিটি হচ্ছে প্রথম প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ছবি।

চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড-এর সদস্যরা

তথ্যটি ১ অক্টোবর নিশ্চিত করেছেন বোর্ডের সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্য জাহিদ হোসেন। তিনি বললেন, ‘সিনেমাটিতে সংলাপ, শয্যাদৃশ্য, প্রেগন্যান্সিসহ বিভিন্ন বিষয় রয়েছে। এ কারণে এটি শিশুদের জন্য নয়। শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের দেখার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

‘ভয়াল’ ছবিটির একটি গতি হলেও ‘রাজকুমারী’ ঠিকই আটকা পড়েছে। কারণ, সিনেমাটির কয়েকটি জায়গায় আপত্তি আছে বোর্ড সদস্যদের। জাহিদ হোসেন জানান, আপত্তির অংশগুলো কর্তনের পর গ্রেডিং করা হবে।

বলা দরকার, ‘ভয়াল’ ও ‘রাজকুমারী’ সিনেমা দুটির নির্মাতা-অভিনেতা-গল্প-প্রযোজনা প্রসঙ্গে কোনও তথ্য বা প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি। এটুকু জানা গেছে, ‘ভয়াল’ ছবিটি নির্মাণ করেছেন বিপ্লব হায়দার। আর এতে অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ ও আইশা খান।

‘ভয়াল’ ছবিটিতে অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ ও আইশা খান

প্রসঙ্গত, দেশের বেশিরভাগ চলচ্চিত্রই মূলত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। যদিও সেটি নির্ণয়ের সুযোগ ছিলো না এতোকাল। ফলে প্রায়শই শিশু ও সপরিবারে ছবি দেখতে গিয়ে বিব্রত হতে হয়েছে সিনেপ্রেমীদের। এ নিয়ে উঠেছে অভিযোগও। কিন্তু প্রতিকারের কোনও পথ ছিলো না। যে পথটি তৈরি হলো সম্প্রতি সার্টিফিকেশন বোর্ড গঠনের মাধ্যমে।

পথ তৈরি হলেও যথেষ্ট সন্দেহ ছিলো, প্রশ্ন ছিলো সেই পথে এখনই হাঁটা যাবে কি না। কারণ, সার্টিফিকেশন বোর্ড গঠন হলেও তৈরি হয়নি কোনও বিধি বা নিয়ম। যার আলোকে সিনেমার গ্রেডিং করা হবে।