বয়সে ছোট ছেলেদেরই বোধ হয় বেশি পছন্দ পপ কুইন ম্যাডোনার। তাইতো একের পর এক কম বয়সী ছেলের প্রেমে পড়ছেন এই বিশ্ববিখ্যাত সঙ্গীত তারকা।
নিজের বয়স সত্তর ছু্ইঁ ছুঁই, কিন্তু প্রেম ছাড়া থাকতে পারেন না এই শিল্পী। তাইতো ব্রেকাপের কয়েক মাসের মাথায় নতুন প্রেমে জড়িয়ে ফেলেন নিজেকে।
বিজ্ঞাপন
তারই ধারাবাহিকতায় নতুন প্রেমে মজেছেন ম্যাডোনা। দুজন মিলে লন্ডনে বেড়াতে গিয়ে পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় ধরা পড়েছেন তারা।
নতুন প্রেমিকের চেয়ে ৩৮ বছরের ছোট বড় ম্যাডোনা। প্রেমিকের সঙ্গে তার বয়সের ব্যবধান নিয়েই বিস্তর আলোচনা চলছে সামাজিক মাধ্যমে। ৬৬ বছর বয়সী ম্যাডোনা প্রেমে পড়েছেন ২৮ বছরের আকিম মরিসের।
বিজ্ঞাপন
এখন প্রেমিকের সঙ্গেই লন্ডনে ছুটি কাটাচ্ছেন ম্যাডোনা। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে লন্ডন সফরের একাধিক ছবি পোস্ট করলেন তিনি।
কোথাও তাদের গান করতে দেখা যাচ্ছে, কোথাও আবার প্রেমিককে ধরে থাকতে দেখা যাচ্ছে পপ তারকাকে।
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজ স্টেডিয়ামে বসে একটি ছবিতে চেলসি ফুটবল দলের খেলা উপভোগ করতে দেখা গেছে তাদের। ছবিটিতে প্রেমিককে জড়িয়ে বসে থাকতে দেখা যায় পপ সংগীতের রানিকে।
গত জুলাই মাসে এই সম্পর্কের কথা প্রথমবার প্রকাশ্যে আনেন ম্যাডোনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গত ৪ জুলাই প্রথমবার মরিসের সঙ্গে ছবি পোস্ট করেন গায়িকা।
সফল তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে ‘বাংলাদেশ অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ সম্মাননা পেলেন মোবাইল ফিক্সার লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক আহমেদ বিন সজিব।
গত ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশানের একটি অভিজাত হোটেলে জমাকলো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ‘বাংলাদেশ অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড’ এর তৃতীয় আসর। সেখানে শোবিজের বিভিন্ন অঙ্গনের তারকাদের পাশাপাশি অন্যান্য পেশার সফল ব্যক্তিদের কাজের স্বীকৃতি প্রদাণ করা হয়।
সম্মাননা প্রাপ্তি প্রসঙ্গে আহমেদ বিন সজিব বলেন, ‘প্রাপ্তি ও অর্জন বরাবরই অনুপ্রাণিত করে। এই সম্মাননা সাধারণ মানুষের কাছে আমার ও আমার প্রতিষ্ঠানের দ্বায়বদ্ধতা অনেক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। মোবাইল ফিক্সার আগামীদিনে ক্রেতা সেবায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে অঙ্গিকারবদ্ধ থাকবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গ্রামীন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুল হান্নান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন নতুনধরা গ্রপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং বাইফা অ্যাওয়ার্ডের চিফ অ্যাডভাইজার ড. মোহাম্মদ সাদী উজ জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. হামিদা খানম, গ্লোবাল ব্র্যান্ডের প্রেসিডেন্ট রাজু আলিমসহ আরও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং বাংলাদেশ অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড-এর ফাউন্ডার শাহরিয়ার স্বপন।
অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী আনিকা কবির শখ, মৌসুমী হামিদ ও লারা লোটাস। সঙ্গীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী বাঁধন সরকার পূজা। পুরো অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন সুপরিচিত ব্র্যান্ড প্রোমোটার বারিশা হক। সবগুলো পরিবেশনা কোরিওগ্রাফি করেছেন ইভান শাহরিয়ার সোহাগ।
মারণব্যাধি ক্যান্সারকে পরাজিত করতে বর্ষীয়ান অভিনেতা আবুল হায়াতকে যোদ্ধা হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন সহধর্মিনী শিরিন হায়াত; স্ত্রীকে নিয়ে এমনটাই ভাষ্য আবুল হায়াতের। তিনি বলেছেন, ‘স্ত্রী তার সবচেয়ে বড় সহযোদ্ধা’।
আবুল হায়াত আরও বলেন, ‘আজকে আমি এই যে তিনটা বছর ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করছি, শুধু তার কারণে। তিনি আমাকে শিখিয়েছেন, আই অ্যাম আ ফাইটার।’
শিল্পকলা একাডেমিতে গতকাল শনিবার আত্মজীবনী গ্রন্থ ‘রবি পথ’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে, জীবনের এই ক্রান্তিকালের কথা যখন হায়াত বলছিলেন, তৈরি হয় আবেগঘন পরিবেশের।
৮০ বছর বয়সী হায়াতে ক্যান্সার আক্রান্ত হন তিন বছর আগে। ওই সময়ের কথা বর্ণনা করে তিনি বলেন, “হাসপাতাল থেকে বাসা পর্যন্ত আর কথা বলতে পারিনি। আমার তো মন মানে না। রাতে খাবার খেয়েছি কি খাইনি, জানি না। বিছানায় শুয়ে পড়েছি। অন্ধকারে একা কাঁদছি। হঠাৎ টের পেলাম, উনি পাশে এসে শুয়েছেন। আমি তখনো নিঃশব্দে কাঁদছি। হঠাৎ ওনার একটা হাত আমার গায়ে এসে পড়ল। আমি ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলাম।"
‘রবি পথ-কর্মময় ৮০’ শিরোনামের মোড়ক উন্মোচনের অনুষ্ঠানে হায়াত কথা বলার ফাঁকে মঞ্চে ডেকে নেন স্ত্রী শিরিন হায়াতকে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, “চিকিৎসক বললেন, আমার ক্যানসার হয়েছে। তখন এই মহিলা (শিরিন হায়াত) সারাক্ষণ আমাকে বলতে লাগল, আরে কী হয়েছে! এটা কি কোনো ব্যাপার নাকি! আমরা আছি। চিকিৎসা করব। যেখানে যা যা লাগে, আমরা করব। তুমি ভালো হয়ে যাবে। আমার মেয়েরা খবর পেয়েছে। তারাও বিভিন্নভাবে আমাকে বুঝিয়েছে।“
ক্যান্সারের সঙ্গে এই যুদ্ধে স্ত্রী শিরিন তাকে 'ফাইটার' হতে শিখিয়েছেন জানিয়ে অভিনেতা বলেন," সারাটা জীবন আমার সঙ্গে, আমার দুঃখ, কষ্ট, বেদনা, আনন্দ, সবকিছুতে সে ছিল।“
নিজের জীবনের নানা কথা আর ঘটনা নিয়ে 'রবি পথ' বইটি সাজিয়েছেন এই অভিনেতা। প্রায় এক দশক ধরে বইটি লিখেছেন তিনি।
তিনি বলেন," ‘আমার মনে হয়, এটার একটা ভালো দিক আছে। ৮০ বছরের একটা ভ্রমণ আমার, অনেক কিছু দেখেছি, যা অনেকে হয়ত জানে না। সুতরাং আমার মতো যারা আছেন, তারাও যদি নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আত্মজীবনী লেখেন, তাহলে অবশ্যই সেটা নতুন প্রজন্মের জন্য ভালো।"
অভিনেতা আবুল হায়াতের জন্ম ১৯৪৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর। ১৯৬৯ সাল থেকে টিভি নাটকে অভিনয় করছেন তিনি। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে নাটকের পাশাপাশি ‘অজ্ঞাতনামা’, ‘আগুনের পরশমণি’, ‘জয়যাত্রা’, ‘গহীনে শব্দ’সহ আরো কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ‘দারুচিনি দ্বীপ’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ২০০৭ সালে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
আবুল হায়াতের প্রথম বই 'আপ্লুত মরু' প্রকাশিত হয় ১৯৯১ সালে। তারপর থেকে ধারাবাহিকভাবে তিনি বই লিখে যাচ্ছেন। প্রতি বছর বইমেলায় তার বই থাকে। ২০২৩ সালে প্রকাশিত হয়েছে তার লেখা 'রঞ্জিত গোধূলি'; এছাড়া 'স্বপ্নের বৃষ্টি', 'দুটি মঞ্চনাটক', 'এসো নীপবনে', 'জীবন খাতার ফুট নোট', 'ঢাকামি', 'পলাতক', 'নির্বাচিত গল্প', 'চোখ গেল পাখি', 'শোধ', 'নির্ঝর সন্নিকট', 'জল ডোবা', 'আষাঢ়ে', 'টাইম ব্যাংক' ও 'অপমান' সহ অনেক বই লিখেছেন তিনি।
বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের জন্মদিন মানেই যেন আলাদা এক উত্তেজনা। প্রতিবছর তার জন্মদিনে মুম্বাইয়ে তার বাড়ির সামনে ভক্তদের ঢল চির চেনা রূপ, এবারও যার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে হতাশ হয়েছেন তার ভক্তরা। কেননা এবারের জন্মদিনের মধ্যরাতে নিজ বাড়ি ‘মান্নাত’র ছাদ থেকে ভক্তদের দেখা দেননি এই সুপারস্টার।
মূলত বাবা সিদ্দিকীর খুনের ঘটনা ও সালমান খানকে একের পর এক হুমকির আবহে বলিউড বাদশা এবার যেন একটু বেশিই সতর্ক। তাহলে কীভাবে কাটালেন এবারের জন্মদিন শাহরুখ?
জানা গেছে, ঘটা করে সেলিব্রেশন না হলেও, এবার মান্নাতের ভেতরেই স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে জন্মদিনের মধ্যরাতে একান্তেই জন্মদিনের কেক কাটলেন শাহরুখ। অনুরাগীদের সঙ্গে সেই মুহূর্তটি ভাগও করে নিয়েছেন গৌরী খান।
বলিউডের ফার্স্ট লেডির সেই পোস্টে একটা টেবিলে রাখা ছোট্ট একটা কেক কাটতে দেখা যাচ্ছে বলিউড বাদশাকে। পরনে তার কালো টি-শার্ট ও প্যান্ট। পাশে দাঁড়িয়ে গৌরীকে উৎসাহের সঙ্গে সেই কেক কাটার দিকে নজর দিতে দেখা যাচ্ছে। তার পরনে ধূসর রঙের একটা সালোয়ার কামিজ।
অপরদিকে শাহরুখের ডানদিকে দাঁড়িয়ে মেয়ে সুহানাকে তখন হাততালি দিতে দেখা যাচ্ছে। বাবার জন্মদিনে সুহানা খানকে সোনালি রঙের একটা পোশাকে দেখা যায়। এছাড়া শাহরুখের ৫৯ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে একটি ইভেন্টের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে তার কিছু ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন। সেই অনুষ্ঠানের বেশ কিছু ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
শাহরুখের একটি ফ্যান পেজ এক্স-এ একটি ভিডিও শেয়ার করেছে, যেখানে শাহরুখকে প্রশ্ন করা হয়েছিল পরিবার থেকে পাওয়া শিক্ষা নিয়ে। যেখানে তিনি জানান, ‘আমি আমার পরিবার থেকে শিখেছি যে, যত বেশি বাচ্চা হবে, মানুষকে তত ধৈর্যশালী হতে হবে। আমি আমার বাড়ি থেকে কাজের জায়গায় এই শিক্ষাটাই নিয়ে যাই। যা হল অনেক ধৈর্য, অনেক ভালোবাসা, অনেক যত্ন। যার যা চলছে না, তা আমি ঠিক করতে থাকি শ্যুটিংয়েও। আমি মনে করি ধৈর্য একমাত্র জিনিস যা আমি আমার পরিবার থেকে শিখেছি।’
শাহরুখ তার ইনস্টাগ্রামে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সমস্ত ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছিলেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মঞ্চে তার সিগনেচার আর্ম-ছড়ানো প্রশস্ত পোজ দিয়েছেন তিনি। সঙ্গে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘এখানে আসার জন্য এবং আমার সন্ধ্যাকে বিশেষ করে তোলার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, যারা আমার জন্মদিনে এটি তৈরি করেছেন তাদের সবার প্রতি আমার ভালোবাসা। আর যারা পারেননি, তাদের জন্য আমার সমস্ত ভালবাসা পাঠাচ্ছি।’
এদিন শাহরুখ তার ভক্তদের জন্য একটি বিশেষ ডান্স পারফরমেন্সও করেন। অভিনেতাকে মঞ্চে ‘ঝুমে জো পাঠান’র সঙ্গে নাচতে দেখা যায়। সেই সময় দর্শকাসনে উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। এমনকী, নিজেদের জায়গায় দাঁড়িয়ে হাত-পা মেলাচ্ছিলেন তারা।- ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
দেশের স্বনামধন্য রিয়েল স্টেট কোম্পানি নতুনধরা প্রেজেন্টস ‘বাংলাদেশ অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো গতকাল (২ নভেম্বর)। রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলের বল রুমে বসেছিলো ‘বাংলাদেশ অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড’-এর তৃতীয় আসর।
জনপ্রিয় তারকাদের গ্ল্যামারাস উপস্থিতি এবং জমজমাট পারফরমেন্সে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয় অনুষ্ঠানস্থল। দেশের সার্বিক পরিস্থিতির জন্য দীর্ঘদিন বড় কোন আয়োজনে এতো তারকা একত্রিত হননি। তাই এতোদিন পর সবার সঙ্গে সবার দেখা হওয়ায় আনন্দ যেন বেড়ে যায় দ্বিগুণ।
২০২৩ এর মাঝামাঝি থেকে ২০২৪ এর মাঝামাঝি পর্যন্ত মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্র, নাটক, ওটিটি কনটেন্ট, গান, বিজ্ঞাপন, ফ্যাশন অ্যাকটিভিটি ও বিভিন্ন অঙ্গনের সেরা অ্যাচিভারদের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই পুরস্কার। আরও ছিলো জনপ্রিয় তারকাদের নাচ ও গানের পারফরমেন্স।
‘তুফান’ সিনেমার জন্য সেরা চলচ্চিত্র নির্মাতার পুরস্কার পেয়েছেন রায়হান রাফী। একই ছবির জনপ্রিয় গান ‘দুষ্টু কোকিল’ গেয়ে সেরা প্লেব্যাক সিঙ্গার ক্যাটাগরিতে পুরস্কার নিজের ঘরে নিয়েছেন দিলশাদ নাহার কনা। এছাড়া চলচ্চিত্র শাখায় সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন নিরব হোসেন, ক্যাসিনো সিনেমার জন্য।
‘লিপস্টিক’ সিনেমায় অনবদ্য অভিনয়ের জন্য সেরা চলচ্চিত্র অভিনেত্রীর পুরস্কার গেছে ঢালিউডের গ্ল্যামার গার্ল পূজা চেরীর হাতে। ‘কাজলরেখা’ সিনেমায় দুর্দান্ত অভিনয় করে সেরা চলচ্চিত্র অভিনেত্রীর পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়েছেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলাও।
অডিও গানে সেরা শিল্পীর পুরস্কার নিজের করে নিয়েছেন বাঁধন সরকার পূজা। তিনি পুরস্কারটি পেয়েছেন ইমরান মাহমুদুলের সঙ্গে যৌথভাবে গাওয়া ‘চোখে চোখে’ গানের জন্য।
সেরা নৃত্যপরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন দেশের স্বনামধন্য কোরিওগ্রাফার ইভান শাহরিয়ার সোহাগ।
ওয়েব ফিল্মের সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন রুনা খান। বঙ্গ’র ওয়েব ফিল্ম ‘অসময়’-এ শক্তিশালী অভিনয়ের জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। একই ওয়েব ফিল্মের জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন ইরেশ যাকের।
‘মহানগর ২’ ওয়েব সিরিজের জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন তানজিকা আমিন। আর ‘গুটি’ ওয়েব সিরিজে ব্রেকথ্রু পারফরমেন্সের জন্য স্পেশ্যাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন মৌসুমী হামিদ। খণ্ড নাটকে সেরা অভিনয়শিল্পীর পুরস্কার পেয়েছেন দু’জন। তানিয়া বৃষ্টি পুরস্কার জিতেছেন নাটক ‘চোখটা আমাকে দাও’-এর জন্য, আর তানহা তাসনিয়া পেয়েছেন ‘বাড়ি গাড়ি নারী’ নাটকে মোশাররফ করিমের বিপরীতে অভিনয় করে।
ধারাবাহিক নাটকে সেরা অভিনয়শিল্পীর পুরস্কার পেয়েছেন মুনিয়া ইসলাম (ছোটকাকু: সৈয়দপুরের সৈয়দ সাহেব ধারাবাহিকে অভিনয় করে)। নাটকের উঠতি তারকার পুরস্কার পেয়েছেন লামিয়া লাম। সেরা বিজ্ঞাপন মডেল হয়েছেন জেবা জান্নাত।
উপস্থাপনার অঙ্গনে ২৫ বছর পূর্ণ করায় স্পেশ্যাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন দেবাশীষ বিশ্বাস। আনিকা কবির শখ পেয়েছেন যুগের সেরা তারকার পুরস্কার। এছাড়া স্পেশ্যাল জুরি পুরস্কার পেয়েছেন কুসুম শিকদার ও লারা লোটাস।
অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী আনিকা কবির শখ, মৌসুমী হামিদ ও লারা লোটাস। সঙ্গীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী বাঁধন সরকার পূজা। পুরো অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন সুপরিচিত ব্র্যান্ড প্রোমোটার বারিশা হক। সবগুলো পরিবেশনা কোরিওগ্রাফি করেছেন ইভান শাহরিয়ার সোহাগ।
নতুনধরা প্রেজেন্টস ‘বাংলাদেশ অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড’-এর এবারের আসরে জুরি বোর্ডের দায়িত্বে ছিলেন দেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী খুরশিদ আলম, ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমা দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমাদৃত প্রোডিউসার এহসানুল হক বাবু ও বিনোদন সাংবাদিক এবং বাংলাদেশ অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৪-এর মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর মাসিদ রণ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গ্রামীন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুল হান্নান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন নতুনধরা গ্রপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং বাইফা অ্যাওয়ার্ডের চিফ অ্যাডভাইজার ড. মোহাম্মদ সাদী উজ জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. হামিদা খানম, গ্লোবাল ব্র্যান্ডের প্রেসিডেন্ট রাজু আলিমসহ আরও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং বাংলাদেশ অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড-এর ফাউন্ডার শাহরিয়ার স্বপন।
ড্রিমস শোবিজ ও ফিউচার শাইন বিউটি একাডেমি আয়োজিত এই আসরে সেলিব্রেটি গেস্ট অব অনার হিসেবে ছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী রুনা খান।