কেন হলিউডে মান ধরে রাখতে পারেননি জানালেন প্রিয়াঙ্কা
বিনোদন
বলিউডের অন্যতম সফল অভিনেত্রীর ক্যারিয়ার ছেড়ে হুট করেই যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। টিভি সিরিজ ‘কোয়ান্টিকো’ দিয়ে শুরুটা দারুণ হয়েছিলো হলিউডে। একাধিকবার পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলেন। এরপর সাড়াজাগানো ‘বেওয়াচ’ সিনেমার রিমেকে ডোয়াইন জনসনের সঙ্গে পর্দা ভাগাভাগি করেন অভিনেত্রী।
গত বছর রুশো ভ্রাতৃদ্বয়ের আলোচিত সিরিজ ‘সিটাডেল’-এ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন। তবে মোটাদাগে প্রথম সারির হলিউড সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যায়নি ভারতীয় অভিনেত্রীকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ভক্ত-অনুসারীদের এমন অভিযোগের উত্তর দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা।
বিজ্ঞাপন
গত কয়েক বছরে ‘এ কিড লাইক জেক’, ‘ইজন্ট ইট রোমান্টিক’, ‘উই ক্যান বি হিরোজ’-এর মতো সিনেমা করেছেন প্রিয়াঙ্কা। যেগুলো ব্যবসায়িক সাফল্য পায়নি, জোটেনি সমালোচকদের প্রশংসাও। এর মধ্যে কয়েকটি সিনেমা তো নিজেই ভুলে যেতে চাইবেন তিনি। তবে কেন একের পর এক এ ধরনের সিনেমা করেছেন?
‘বলিউডে আমাকে ক্রমশ কোণঠাসা করা হচ্ছিল। একটা সময়ের পরে আমাকে কোনো ছবিতে নেওয়া হচ্ছিল না। লোকজনদের সঙ্গে মতান্তর হচ্ছিল।’ বলেন প্রিয়াঙ্কা। এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, ‘এই খেলায় আমি পারদর্শী নই। ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে এত রাজনীতি সামাল দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম আমি। বলে দিয়েছিলাম, আমি বিরতি চাই।’
বিজ্ঞাপন
বলিউডের এত সাফল্য পেছনে ফেলে কেন তিনি হলিউডে পাড়ি দিলেন? তা-ও আবার ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয়ের জন্য? প্রায়ই এই প্রশ্নের মুখোমুখি হন অভিনেত্রী।
এই প্রসঙ্গে তার জবাব, ‘যেকোনো ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলাম আমি কারণ, ইংরেজি ভাষায় ছবি করার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে হতো আমাকে। যারা আমাকে বলিউডে অভিনয় করার সময় থেকে চেনেন, তারা প্রায়শই প্রশ্ন করেন—কেন আমি হলিউডে ছোট চরিত্রে ও বি-গ্রেড ছবিতে কাজ করেছি? তাঁদের কাছে এটাই আমার উত্তর।’
সামনে প্রিয়াঙ্কাকে দেখা যাবে বেশ কয়েকটি সিনেমায়। এ ছাড়াও তার নিজের প্রযোজনা সংস্থা থেকেও মুক্তি পাবে আরও কয়েক ছবি।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রামচন্দ্রপুর খালের ওপর প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার প্রতিষ্ঠান ‘সুরের ধারা’র জমির লিজ বাতিল করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ভূমি মন্ত্রণালয়ের খাস জমি-১ অধিশাখার উপসচিব মো. আমিনুর রহমানের সই করা এক চিঠিতে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ‘সুরের ধারার চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষ রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে দীর্ঘমেয়াদি বন্দবস্ত দেওয়া ঢাকার মোহাম্মদপুর থানাধীন রামচন্দ্রপুর মৌজার ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত সিএস ও এসএ-৬৯২, আরএস-১৮৯৫ এবং সিটি-১১৬৬৭ নম্বর দাগের ০.১৭০০ একর ও ১১৪১২ নম্বর দাগের ০.৩৪২০ একর মোট ০.৫১২০ (শূন্য দশমিক পাঁচ এক দুই শূন্য) একর জমি সিএস হতে আরএস রেকর্ডে ‘খাল’ শ্রেণি থাকায় উক্ত বন্দোবস্ত বাতিল করা হলো।’
মন্ত্রণালয় জানায়, এ বিষয়ে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করে ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য ঢাকার জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালে ‘সুরের ধারা’ গড়ে তোলেন প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। বিগত সরকারের আমলে ‘সুরের ধারা’র স্কুল পরিচালনার জন্য মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন একটি জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
তরুণ প্রজন্মের ব্যস্ত সঙ্গীতশিল্পী জাকিয়া সুলতানা কর্ণিয়া। প্রতিনিয়ত স্টেজ শো, টিভি অনুষ্ঠান আর রেকর্ডিং করছেন। নিয়মিত তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে আসছে মিউজিক ভিডিও। ‘ঢাকাতে জ্যাম’-এ দারুণ সাড়া ফেলার পর আরেকটি নতুন মিউজিক ভিডিও নিয়ে হাজির হয়েছেন তিনি। সমসাময়িক বিষয়ে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসিদ রণ
মাসিদ রণ: সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনি আজকাল খুব প্রতিবাদী...
জাকিয়া সুলতানা কর্ণিয়া: একে তো ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা ভালো না, এরমধ্যে একে অন্যের পেছনে কথা বলে। এসব সহ্য করা যায়, বলেন? যার কাজ নেই সে কাজ খুঁজবে। তাই বলে আরেক জনের কাজ ছিনিয়ে নিতে যাবে কেন? এত দিন চুপ থেকেছি, এখন থেকে আর চুপ থাকব না। দরকার পড়লে এমন মানুষের মুখোশ খুলে দেব।
মাসিদ রণ: অডিও কম্পানিগুলো গানে লগ্নি কমিয়ে দিয়েছে। এর কী কারণ থাকতে পারে বলে মনে করেন?
জাকিয়া সুলতানা কর্ণিয়া: আগে যেভাবে গানে রেভিনিউ আসত এখন সেভাবে আসে না। দর্শক বেশিরভাগ নাটকের দিকে ঝুঁকেছে বলে মনে হচ্ছে। গান তো মাত্র তিন-চার মিনিটের কনটেন্ট। ফলে বিজ্ঞাপন পেতেও সমস্যা হয়। অন্যদিকে একটা নাটক ৩৫ থেকে ৭৫ মিনিট পর্যন্তও হয়। সেখানে বিজ্ঞাপন দু-তিনবার মাস্ট আসে। একটা ভালো মানের মিউজিক ভিডিও বানাতে কিন্তু একটা নাটকের মতোই খরচ হয়। তাই লগ্নিকারকরা এখন গান থেকে নাটকের দিকেই যাচ্ছেন। এতে অবশ্য সংগীতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অবস্থা দিন দিন খারাপই হবে।
মাসিদ রণ: সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ায় শো করলেন। বিদেশে শোয়ের নতুন কোন খবর আছে কি?
জাকিয়া সুলতানা কর্ণিয়া: ডিসেম্বরে দুটি দেশের শো চূড়ান্ত। তবে এখন দেশের নাম জানাতে চাই না। ওই যে প্রথমে বললাম, আড়ালে কেউ কলকাঠি নাড়ার চেষ্টা করে। দেশের শো তো আছেই, বিদেশের শো হলে এই ধরনের মানুষ পাগল হয়ে যায়। একজনকে হটিয়ে আরেকজন যাওয়ার চেষ্টা করে।
মাসিদ রণ: নতুন মিউজিক ভিডিও ‘স্বপ্নপুর’ নিয়ে জানতে চাই...
জাকিয়া সুলতানা কর্ণিয়া: গতকাল মিউজিক ভিডিওটি আমার ইউটিউব চ্যানেল ‘কর্ণিয়া’তে প্রকাশিত হয়েছে। এটি একটি সফট মেলোডিয়াস গান। এ ধরনের গান সাধারনত আমার কণ্ঠে কেউ শোনেন না। কারণ দর্শক শ্রোতারা আমার কণ্ঠে এনার্জিটিক গানই বেশি শুনতে পছন্দ করেন। তাছাড়া আমি যেহেতু স্টেজ শো বেইজড শিল্পী, তাই নিজেও চেষ্টা করি একটু রিদমিক গান করতে। যাতে কনসার্টের দর্শক আনন্দ করতে পারে আমার সাথে। তবে শ্রোতা হিসেবে আমার সফট গান খুব পছন্দ। সেই জায়গা থেকে এই গানটির সুর-সঙ্গীত আমার খুব ভালো লেগেছে। গানটির কথা লিখেছেন জনপ্রিয় গীতিকার শাহান কবন্ধ। সুর ও সঙ্গীতায়োজন করেছেন আমার খুব প্রিয় পার্থ মজুমদার দাদা। আর মিউজিক ভিডিও পরিচালনা করেছেন নাসিমুল মুরসালিন স্বাক্ষর। তার সঙ্গে এর আগেও আমি বেশকিছু মিউজিক ভিডিওর কাজ করেছি। তার নির্মাণ এবং এডিটিং আমার পছন্দসই বলেই বার বার কাজ হচ্ছে। পোস্টার ডিজাইন করেছেন শাহেদ আহসান।
মাসিদ রণ: গানটি তৈরির পেছনের কোন গল্প আছে?
জাকিয়া সুলতানা কর্ণিয়া: সত্যি বলতে পেশাদার শিল্পী হিসেবে আমরা কতো গানই তো গাই। কিন্তু মনের মতো গান খুব কম পাই। অনেকদিন পর পর কিছু পাই যা আলাদাভাবে ভালো লাগে। এই গানটি তেমনই। গানটি করার ব্যাপারে বেশ আগেই প্রস্তাব পেয়েছিলাম। প্রথমবার এর কথা ও সুর শুনেই আমি ভেবেছিলাম এটি আমার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলেই প্রকাশ করব। কিন্তু সে সময় আমার চ্যানেলটি ছিলো একেবারেই নতুন। তখন এমন একটি সফট মেলোডিয়াস গান প্রকাশ করা ঠিক হতো না। কারণ এ ধরনের গান মানুষের কাছে পৌঁছতে বেশ সময় লাগে। তাই শুরুর দিকে এমন কিছু গান আমার চ্যানেলে দিয়েছি যা সহজেই দর্শকের কাছে পৌঁছে যাবে। এখন আমার চ্যানেলে বেশ ভালোই সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। তাই এই পর্যায়ে এসে গানটি প্রকাশ করা সিদ্ধান্ত নিই।
মাসিদ রণ: এ গানটির কোন বিশেষত্ব আছে?
জাকিয়া সুলতানা কর্ণিয়া: এখন যে ধরনের গান বেশি হচ্ছে তার থেকে এই গানের সুর ও সঙ্গীতায়োজন আলাদা এটুকু বলতে পারি। কারণ, এখন বেশিরভাগ গানই হয় কমার্শিয়াল চিন্তা থেকে। কিন্তু এই গানটি আমি করেছি একেবারেই ভালোবাসার জায়গা থেকে। গানটির কথাগুলোর সঙ্গে দর্শক শ্রোতাদের অনেকের জীবনের মিল খুঁজে পাবেন বলে আমার বিশ্বাস। কথার সঙ্গে সুর আর সঙ্গীত যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। মিউজিক ভিডিওর শুটিং করেছি ৩০০ ফিটের ওইদিকে। যেহেতু ঠাণ্ডা মেজাজের তাই একদিন সন্ধ্যার পর একেবারে নিরিবিলি পরিবেশে শুট করার পরিকল্পনা করি। রাতের ওই নিরবতা দরকার ছিলো আমাদের।
জাকিয়া সুলতানা কর্ণিয়া: গানটি কতো ভিউ হলো সেটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ না। কারণ এরমধ্যে কমার্শিয়াল কোন এলিমেন্ট নেই। মানুষকে সাময়িক বিনোদন দেওয়ার মতো কোন উপকরণও নেই গানটিতে। তবে আমার মানসিক প্রশান্তি এসেছে যে, এমন সুন্দর একটি গান আমার ঝুলিতে থাকলো। গানটি যে কেউ শুনলে বলবে আসলেই গানটি ভালো। যে সব শ্রোতারা জীবনকে গভীরভাবে ধারণ করেন, একটা স্পর্ষকাতর মন রয়েছে যাদের তারা গানটির সঙ্গে কানেক্ট করতে পারবেন। সেই সব মানুষের সংখ্যা যতোজনই হোক তাতেই আমি তৃপ্ত। দেখা যাক কি হয়।
বাবা সিদ্দিকীর হত্যার পর তার কাছের মানুষদেরকে বিভিন্ন সময়ে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বাদ যাননি সালমান খানও। কয়েক দফায় তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাং থেকে। যার দরুণ বলিউড ভাইজানের নিরাপত্তা কঠোর করা হয়েছে।
এবার প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলিউড কিং শাহরুখ খানকে। বৃহস্পতিবার ছত্তিশগড় থেকে একটি উড়োফোন আসে মুম্বাই পুলিশের কাছে। সেই ফোনেই শাহরুখকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়। ইতোমধ্যেই ফোনকল ট্রেস করে ছত্তিশগড়ে পৌঁছেছে মুম্বাই পুলিশ।
জানা গেছে, ফয়জন নামের এক ব্যক্তিই এই ভুয়া ফোনের নেপথ্যে রয়েছে। অভিযুক্তকে নিয়ে আসা হচ্ছে মুম্বাইতে। এই ব্যক্তি কোনও গ্যাংস্টার দল বিশেষ করে লরেন্স বিষ্ণোইর দলের লোক কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
গত ২৮ অক্টোবর ছিলো জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সেদিন তার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উঠে আসে নতুন করে জীবন সাজানোর কথা। বাঁধনের কন্যা সায়রা নাকি চায়, মায়ের জীবনে নতুন সঙ্গী আসুক।
এরপর থেকেই এ নিয়ে বেশ আলোচনা শুরু হয়। আবারও একই প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে খোলামেলা কথা বলেছেন বাঁধন। তাতে বোঝাই যাচ্ছে, তিনি বিষয়টি নিয়ে বেশ সিরিয়াস। সব ঠিক থাকলে হয়তো অচিরেই আবারও বিয়ের পীঁড়িতে বসবেন এই অভিনেত্রী।
বাঁধন বলেন, ‘আমার মেয়ে তো এখন একটু বড় হয়েছে। ও আস্তে আস্তে বুঝছে, মায়ের সবকিছুই একা একাই করতে হয়। মাকে একা কষ্ট করতে হয়, যুদ্ধ করতে হয়। সবকিছু দেখে মেয়ের মনে হয়েছে, মায়ের একজন সঙ্গী দরকার।’
তবে এই চিন্তা যে সায়রার মনে সম্প্রতি এসেছে তা নয়। বেশ আগে থেকেই মাকে এ বিষয়ে কনভিন্স করছেন সায়রা। এ নিয়ে বাঁধন বলেন, ‘গত এক-দেড় বছরে মেয়ে আমার এটা বুঝছে। আগে বুঝতাম, আমাকে আমার কাজিনরা ফোন করলেও মেয়ে পছন্দ করত না। বিষয়টা এমন, কাজিন কেন ফোন করছে (হাসি)। মাকে নিয়ে এত অবসেশড, এটা হয়। সাধারণত, সিঙ্গেল পিতা-মাতা হলে এটা আরও বেশি হয়ই। সিঙ্গেল মা-বাবার ছেলে-মেয়েরা এত বেশি অ্যাটাসড থাকে যে ওরা আর অন্য কাউকে তাদের মা-বাবার সঙ্গে সহ্য করতে পারে না। এখন যেহেতু মেয়ে একটু বড় হয়েছে, স্পেস দেয়। আশপাশের মানুষও বলতে থাকে, একজন জীবনসঙ্গীর কথা। মেয়ে আমাকে বোঝে, তারও মনে হয়, মায়ের এটা হয়তো দরকার আছে। আমি আসলে ওভাবে হয়তো চিন্তা করি নাই, একদম অনেস্টলি। এত বছর আমি চিন্তা করিনি। সম্ভবত এখন আমি চিন্তা করছি। কেননা, একজন জীবনসঙ্গী যদি থাকে অসুবিধা তো নাই।’
কেমন জীবনসঙ্গী চান? তা নিয়েও কথা বলেছেন বাঁধন, ‘জীবনসঙ্গীর ক্ষেত্রে আমাকে আমার মতো যে গ্রহণ করবে, সেই জিনিসটা খুব জরুরি। আর এটা আমাদের সমাজে তো খুবই দুর্লভ। এ রকম না যে আশপাশে অজস্র খুঁজে পেয়েছি, সে রকমও না।’
তিনি আরও বলেন, ‘৪০ বছর বয়স পার হয়ে গেছে তো। আমি আগেও বলছি, ৪০ বছরে আমি অন্য রকম একটা জীবন লাভ করছি। তাই এই নতুন জীবনে মনে হয়েছে, একজন সঙ্গী থাকতেই পারে। সঙ্গী ছাড়া তো মানুষ থাকতে পারে না। আমার পুরো জীবনটা সঙ্গী ছাড়াই কেটেছে, অলমোস্ট। আমার জীবনে কখনো সত্যিকারের একজন সঙ্গী পাইনি। সব সময় হয় একজন দানব পেয়েছি, না হলে যে আমাকে অত্যাচার করছে, এ রকম মানুষ পেয়েছি। আমার জীবনে যারা আসছে, সবাই বাধা হিসেবেই আসছে। আমার চলার পথটাকে মসৃণ করতে আসেনি কেউ। এসব মানুষ তো আমার জীবনে থাকতে পারে না, তাই না? এটা সম্ভবও না। তাই ওই অর্থে আমি কোনো জীবনসঙ্গী পাইনি, এটা সত্যি। সব মিলিয়ে এখন মনে হয়েছে, পথচলার একজন সঙ্গী হতেই পারে। তবে একরকম আতঙ্ক থেকেই যায়। এই কারণে ভয়ে জীবনসঙ্গী খোঁজার চেষ্টাও করতে পারি না। ধরেন কাউকে চিন্তা করব, করার আগে এক হাত এগোলে দশ হাত পিছিয়ে যাই। ভাবতে থাকি, না, আসলে দরকার নাই।’
প্রসঙ্গত, খুব শিগগিরই ‘এশা মার্ডার’ ছবির বাকি অংশের শুটিং শুরু করবেন বাঁধন। আগামী বছর নতুন একাধিক কাজ শুরু করবেন।