দীর্ঘ ২৫ বছর পর আবার হলিউডের পর্দায় ফিরে আসছে ‘দ্য লায়ন কিং’। গেল ১৯ জুলাই আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পেলেও বাংলাদেশের দর্শকরা ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সে সিনেমাটি দেখতে পাবেন ২৬ জুলাই থেকে। স্টার সিনেপ্লেক্সের বিপণন কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রটির রিমেক করেছে ওয়াল্ট ডিজনি পিকচার্স। চলচ্চিত্রটির প্রথম মুক্তির ইতিহাসটি বর্ণাঢ্য। ৩৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সিনেমাটি বক্স অফিসে প্রায় নয় হাজার কোটি টাকা ব্যবসা করেছে। আর হলিউডের ইতিহাসের অন্যতম ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় স্থান করে নেয় সিনেমাটি। মাত্র ৮৮ মিনিট দৈর্ঘের এই ছবি ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় চলচ্চিত্র নিবন্ধনের ‘লাইব্রেরি অব কংগ্রেস’ এ স্থান করে নেয়।
এরই মধ্যে ভারতে দারুণ সাড়া ফেলেছে ‘দ্য লায়ন কিং’। ভারতে চারটি ভাষায় মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাটি প্রথম দিনেই আয় করেছে ১১.০৬ কোটি রুপি। ভারতজুড়ে মোট ২১৪০টি প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে হিন্দি, ইংরেজি, তামিল ও তেলেগু ভাষায়। মুক্তির প্রথম দিনেই সিনেমাটি ‘স্পাইডার-ম্যান: ফার ফ্রম হোম’র রেকর্ড (১০.৬ কোটি রুপি) ছাড়িয়ে গেছে।
বিশ্বব্যাপি মুক্তির প্রথম দিনের উপার্জনের হিসাবে ডিজনির ক্লাসিক সিনেমা ‘দ্য জাঙ্গল বুক’ (১১.৬ মিলিয়ন ডলার) এবং ‘বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট’কে (১২.৪ মিলিয়ন ডলার) ছাড়িয়ে গেছে ‘দ্য লায়ন কিং’ (১৪.৫ মিলিয়ন ডলার)।
সিনেমাটির হিন্দি ভার্সনে থাকছেন বলিউডের কিং খান শাহরুখ। ‘লায়ন মুফাসা’ হবেন শাহরুখ খান আর লায়ন মুফাসার ছেলে, মূল চরিত্র ‘লায়ন সিম্বা’ হবেন শাহরুখের ছেলে আরিয়ান খান। তবে তাদেরকে দেখা যাবে না। কারণ, মুফাসা আর সিম্বার চরিত্রে কণ্ঠ দেবেন শাহরুখ আর জুনিয়র শাহরুখ।
কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনার ম্যাচে বাংলাদেশের তিন তারকা
মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
বিনোদন
কোপা আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে আর্জেন্টিনার ম্যাচটা উপভোগ করলেন বাংলাদেশের তিন তারকা। তারা হলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী, অভিনেতা মীর সাব্বির ও অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ।
আজ বুধবার বাংলাদেশ সময় সকালে শেষ হওয়া এই ম্যাচে চিলিকে ১ গোলে হারিয়েছেন মেসি, মার্তিনেজরা। গ্যালারিতে মেহজাবীনের সঙ্গে তোলা একটি সেলফি ফেসবুকে পোস্ট করে ফারিণ লিখেছেন, ‘আর্জেন্টিনা ১-চিলি ০।’ দুজনেই আর্জেন্টিনার সমর্থক। ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে স্টেডিয়ামে তোলা একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে মেহজাবীন লিখেছিলেন, ‘কে জিতবে?’
দুই সন্তানকে নিয়ে খেলার মাঠে পৌঁছান অভিনয়শিল্পী ও পরিচালক মীর সাব্বির। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এত মানুষ জীবনে কোনো দিন সামানসামনি দেখিনি। ৮০ হাজারের বেশি দর্শক খেলা দেখছেন। একসঙ্গে আনন্দ নিয়ে খেলা দেখছেন। গ্যালারিতে দেখলাম, প্রচুর বাংলাদেশিরাও আসছেন। অনেকের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। তাঁরাও দারুণ মজা করছেন। খেলার মাঠে আমার ছেলেরা বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছে।’
সাব্বির আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক কোনো ফুটবল খেলা আমি প্রথমবার মাঠে বসে দেখলাম। বাংলাদেশে আমি আবাহনীর সমর্থক। আর এমনিতে দল হিসেবে ব্রাজিলের সমর্থক। কিন্তু আমার দুই ছেলে আর্জেন্টিনার সাপোর্টার। আসলে ওদের জন্যই এখানে খেলা দেখতে আসা।’
মেসির ভক্ত হলেও মাঠে বসে মেসির খেলার দেখার সুযোগ আসবে তা ভাবেননি মীর সাব্বির। প্রথমবার মেসিকে সামানসামনি দেখা প্রসঙ্গে মীর সাব্বির। তিনি বললেন, ‘মেসিকে এই প্রথম সামনাসামনি খেলতে দেখলাম। দারুণ, এক কথায় অসাধারণ অভিজ্ঞতা। একজন ম্যাজিশিয়ানকে দেখলাম। আমি ব্রাজিলের সাপোর্টার হলেও কিন্তু মেসির ভক্ত। কারণ, মেসির খেলা মানে হচ্ছে আমার কাছে একটা শৈল্পিক ব্যাপার। ফুটবলের তিনি শিল্পী, মহানায়ক। দুই ছেলে অন্ধভাবে আর্জেন্টিনার সমর্থক।’
সাব্বির বলেন, ‘মেসির খেলা সামনাসামনি দেখার সুযোগটা আমার বড় ছেলে ফারশাদের কারণে সম্ভব হয়েছে। তার ও লেভেল পরীক্ষা শেষ করার পর আমার কাছে একটা গিফট চেয়েছিল, তা হচ্ছে মাঠে বসে মেসির খেলা দেখা। তখন সে নিজেই খুঁজে বের করেছে খেলার শিডিউল। এই খেলার টিকিট তো অনেক এক্সপেনসিভও। বাংলাদেশ থেকে দু-তিন মাস আগে আমরা এই টিকিট কিনেছি, যাতে মিস না হয়। শুনছি, পরের বিশ্বকাপে মেসিকে নাও পেতে পারি, তাই ভাবছি যে ছেলেদের সঙ্গে আমিও খেলাটা দেখতে যাই। আমার স্ত্রী চুমকী যায়নি। বাংলাাদেশে থাকার সময় সে বলছিল, তোমরা যাও। সমস্যা নেই। এখানে আসার পর সে বলছে, মিস করলাম। আফসোস করছে।’
ক্ষোভ নয়, মানুষের তীর্ষক প্রশ্নের উত্তর আমাকেই দিতে হয়: ফাহমিদা
মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
বিনোদন
দেশের অন্যতম সংগীতশিল্পী ফাহমিদা নবী বরাবরই গভীর কথা ও মেলোডিয়াস সুরের গান গেয়ে আসছেন। শ্রোতাদের রুচির দোহাই দিয়ে কেউ তাকে হালকা কথা ও দুর্বল সুরের গান করতে বলে তিনি কখনোই তাতে রাজী হননি। এবার এই প্রসঙ্গে ধরেই ফাহমিদা নবীর এক ফেসবুক পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ আলোচিত হচ্ছে। গত ২১ জুন বিশ্ব সঙ্গীত দিবস উপলক্ষে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্টটি করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই শিল্পী।
বিষয়টি নিয়ে ফাহমিদা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘কেউ ভাববেন না যে লেখাটি আমার ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার কিংবা কোন ক্ষোভ থেকে লেখা! নির্দিষ্ট কোন শিল্পী বা কোন গান নিয়েও লিখিনি। আমি লিখেছি আমাদের সামগ্রিক মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে। বিশ্ব সঙ্গীত দিবসে আমার মনে হলো- কি দিতে পারি শ্রোতাদের। আমার তো কোন ব্যক্তিগত অর্জন নেই, তারপরও আমি শিল্পী মাহমুদুন্নবীর সন্তান। গানকে আঁকড়ে ধরে আছি অনেক বছর। তাই কোথাও গেলে আমাকে নানা তীর্ষক প্রশ্নের মুখে পড়তেই হয়। সবাই যখন জিজ্ঞেস করেন, আপনাদের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা এমন কেন? ভালো গান কেন হয় না? তখন কিন্তু উত্তরটা আমাকেই দিতে হয়। সেই কষ্ট ও সামগ্রিক উপলব্ধি থেকেই লেখাটি লিখেছি।’
ফাহমিদা নবী তার সেই পোস্টে লিখেছেন, ‘তবে কি সঙ্গীত দিবস ব্যর্থ! আমাদের অস্থির মানসিকতার করাঘাতে? ভাবলাম বর্তমানে অনেক সিনেমা তৈরী হচ্ছে, কিছু সো কল্ড ভিউ গানের পাশাপাশি শোনার মতো গানও তৈরী হবে বোধ হয়। তা আসলে হবার নয়। রুচিহীনতা একটি বিশাল কারন ভালো গান না তৈরী হবার ক্ষেত্রে। ভালো গানের জন্য অস্থিরতার দৌঁড় নয়, ভালোবাসা দরকার, সেটাই তো নাই! তবে বলে রাখি, রুচিহীন গান বেশিদিন ধোপে টেকে না। দেখছি সেই ছোটবেলা থেকে। শ্রোতারা এতো গাঁধা না। যারা গান শোনে তারা ভালো মেলোডিয়াস গানই খোঁজে, মনেও রাখে। শ্রোতাকে দোষী করে কোন লাভ হবে না। যারা মেধার অপচয় করছে, তারাই বড় বিপদে পড়বে। রুচির হাহাকারে, প্রতিযোগীতাটা মারপিট সিনেমা সিনের মতো হয়ে গ্যাছে। কিন্তু সত্যিকার প্রতিযোগীতায় মেধার অ্যাকশন দরকার। সেটাই নাই! কেও সহজ করে হাসে না, প্রয়োজনে হাসে বলেই এই দুর্ভিক্ষ!’
ফাহমিদা আরও লিখেছেন, ‘বর্তমানে সমাজে তো কোন সংস্কৃতি চর্চা, ভালোবাসা, সম্মান কিচ্ছু নাই। আছে উন্মদনা, অস্থিরতা আর কে কাকে পিছনে ফেলে দৌঁড় দিবে সেই স্বার্থপর চিন্তা! কোন সরল হাসি নাই। কর্পোরেট সিন্ডিকেট চর্চা যেখানে প্রবল, সেখানে আর যাই হোক সঙ্গীত হবে না। সঙ্গীতের ধারা শান্ত এবং রাজকীয়, তা সাজানোর জন্য ধীরতা দরকার। উটকো কথা আর সুরের চটপটিতে গান এখন পালিয়ে বাচঁতে চায়! সঙ্গীত সবার জন্য না। ইদানিং বিষয়টা আরো বুঝতে পারছি। কারণ যাহা মনে লয় উন্মাদনা ইন্ডাস্টিকে দিন দিন অশিক্ষিত করে তুলেছে। একটা দেশের রুচিশীলতা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে? রুচির দুর্ভিক্ষে সত্যিই আমরা তলিয়ে গেছি, আফসোস! কিছু মানুষ হয়তো এখনো পরিশোধিত ফিল্টারে নিজেকে নিরব সাধনায় রাখছে। তারাই আশা, আশা ছাড়া অভিমান কি বাঁচে? অভিমান জরুরী, তা না হলে জ্ঞান আর অশিক্ষার মাঝে পার্থক্য বোঝা যাবে কি করে?’
তাই এই স্ট্যাটাসে অনেকেই একমত পোষন করেছেন। ফাহমিদা নবী বার্তা২৪.কমকে আরও বলেন, ‘আমার বিশ্বাস গানের জগতের এই অস্থিরতা একদিন থেমে যাবে। এরমধ্যে যে গানগুলো ভালো হবে সেগুলোই বেঁচে থাকবে।’
বর্তমানের সিনেমার গান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সিনেমার মানুষরা যেমন একে অপরকে টেনে নিচে নামানোর প্রতিযোগীতায় মেতেছে, তেমনি তাদের গানগুলোও যেন অস্থির। কিন্তু সিনেমার গান কিন্তু এমন হওয়া উচিত নয়। সিনেমার প্রয়োজনে নানা ধরনের গান থাকবে, মেলোডিয়াস গান সিনেমার প্রাণ। একটি চটুল কথার গান থাকতেই পারে, কিন্তু সব গান এমন হলে মুশকিল। হয়তো অল্প দিনের জন্য দর্শক শ্রোতারা গানটি নিয়ে মাতামাতি করবে কিন্তু কিছুদিন পর তা আর মনেই আসবে না। সেটি কিন্তু সিনেমার জন্য ভালো কিছু নয়। একটি ভালো গান একটি সিনেমাকেও বহু বছর বাঁচিয়ে রাখে। সে প্রমাণ তো আমরা পুরনো দিনের সিনেমার গানের মাধ্যমে এখনো পাচ্ছি। তাই সবাইকে স্থির হয়ে সময় নিয়ে যত্ন সহকারে গান করার অনুরোধ করছি।’
এদিকে, ফাহমিদা নবী তার পরবর্তী আমেরিকা ট্যুরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আগামী মাসের শুরুর দিকেই তিনি সেখানকার ডেনভার কলরাডোতে চিকিৎসকদের আয়োজনে একটি কনসার্টে গাইবেন।
২০১৮ সাল থেকে প্রেম করছেন মালাইকা আরোরা আর অর্জুন কাপুর। বয়সের পার্থক্যের জন্য সমালোচনার শিকার হয়েছেন বহুবার। কিন্তু সেসবে কখনোই কান দেননি তারা।
পাঁচ বছর সম্পর্কের ইতি টেনেছেন মালাইকা ও অর্জুন কাপুর- সম্প্রতি এমন গুঞ্জন ওঠে বলিউডপাড়ায়। এ নিয়ে তারা এখনও মুখ খোলেননি। তবে মালাইকার ম্যানেজার সম্পর্ক ভাঙার খবর অস্বীকার করেছেন। এবার অর্জুন কাপুরের জন্মদিনের পার্টিতে মালাইকার অনুপস্থিতি সম্পর্ক ভাঙার গুঞ্জনের পালে নতুন হাওয়া দিলো।
গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে জুহুর বাড়িতেই বসে অর্জুনের জন্মদিন উদ্যাপনের আসর। পরিবারের সদস্য ছাড়াও বি-টাউনের বেশ ক’জন তারকা উপস্থিত ছিলেন সেখানে। যে মালাইকা প্রতিবার হাজির হতেন সবার আগে, তাকে এবার দেখাই গেল না। অর্জুনের জন্মদিনের পার্টিতে মালাইকার অনুপস্থিতিই যেন বিচ্ছেদের খবর নিশ্চিত করলো!
মালাইকা অর্জুনের জন্মদিনের পার্টিতে না গেলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন আজ। তাতে তিনি ইংরেজিতে লিখেছেন, ‘চোখ বন্ধ করে এবং পেছনে ফিরেও যে মানুষদের আমি বিশ্বাস করতে পারি আমি তাদেরকেই পছন্দ করি।’
মালাইকা এই পোস্টে যে অর্জুনের প্রতি অবিশ্বাসের কথা ইঙ্গিত করেছেন তা বুঝতে আর বাকী নেই নেটিজেনদের।
যদিও গত মাসে বিচ্ছেদের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরে জানা যায়, সম্পর্ক ভাঙলেও নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্ব বজায় রাখবেন। কিন্তু এদিন মালাইকার অনুপস্থিতি দেখে নেটাগরিকরা প্রশ্ন তুলছেন, সত্যিই কি দু’জনের মধ্যে আর বন্ধুত্বটুকুও বজায় রয়েছে?
মালাইকা ও অর্জুনের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র বলেছিলেন, ‘ওদের মধ্যে ভালোবাসার ও শ্রদ্ধার সম্পর্ক ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেটা স্থায়ী হল না। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, ওদের মধ্যে কোনও তিক্ততা তৈরি হয়েছে। ওরা সব সময়ে পরস্পরকে শ্রদ্ধা করেছেন এবং সব সময়ে পাশে থেকেছেন। ওরা সম্পর্কে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার বিষয়টিকেই সব সময়ে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।’
জন্মদিনের পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন জাহ্নবী কাপুর, শানায়া কাপুর, মোহিত মারওয়া, সঞ্জয় কাপুর, বরুণ ধওয়ান, নাতাশা দলাল, আদিত্য রায় কাপুরসহ আরও অনেকে।
দেশের দর্শক মেতেছে ‘তুফান’-এ। ঈদুল আযহায় মুক্তি পাওয়া রায়হান রাফী পরিচালিত এই সিনেমাটি ভালো ব্যবসা করছে। টিকিট সঙ্কটে পড়েছে দর্শক! শুধু বানিজ্য সফল বললে ভুল হবে, এই সিনেমার মাধ্যমে শাকিব খানের অভিনয়ের আলাদা প্রশংসা শোনা যাচ্ছে। চঞ্চল চৌধুরী থেকে আরিফিন শুভ, প্রত্যেকে শাকিব খানকে ‘তুফান’ ছবিতে দেখে বলেছেন তিনি একজন দক্ষ অভিনেতা।
এর আগে তার অভিনয় নিয়ে এতো প্রশংসা শোনা যায়নি। এই কৃতিত্বের দাবিদার যেমন শাকিব খান নিজে, তেমনি নির্মাতা রাফীও। তিনি শাকিব খানের বহুদিনের গড়ে তোলা ইমেজের বাইরে কিছু করানোর চেষ্টা করেছেন।
‘তুফান’-এর বাকী শিল্পীদের অভিনয়ও সবার মন ছুঁয়েছে। চঞ্চল চৌধুরী, মাসুমা রহমান নাবিলা, মিমি চক্রবর্তী, গাজী রাকায়েত- প্রত্যেকে অভিনয়ের জন্য আলাদা করে প্রশংসা পাচ্ছেন।
মুক্তির বেশকিছু দিন পর গত সোমবার শোবিজ তারকা, চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট মানুষ ও সাংবাদিকদের জন্য ‘তুফান’-এর স্পেশ্যাল স্ক্রিনিংয়ের আয়োজন করা হয়।
সেখানেই শাকিব খান তার ছোট্ট বক্তব্যে এই ছবি নিয়ে একাধিক তথ্য দেন। তিনি ‘তুফান’-এর সাফল্যের জন্য সর্বপ্রথম দেশের দর্শকদের ধন্যবাদ জানান। এরপর বলেন, দেশের দর্শক মাতিয়ে তুফান এবার প্যান ইন্ডিয়ান সিনেমা হিসেবে মুক্তি পেতে যাচ্ছে।
ছবিটির ভারতীয় প্রযোজক এসভিএফ-এর কণর্ধার মহেন্দ্র সোনিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাকে উদ্দেশ্য করে শাকিব খান বলেন, ‘আমাদের প্যান ইন্ডিয়ান রিলিজের কতোদূর? হিন্দি ডাবিং শেষ তো?’
তখন মহেন্দ্র সোনি বলেন, ‘হ্যাঁ শেষ। হিন্দি গানটা এখন দেখিয়ে দেই?’ তখন শাকিব খান বলেন, ‘না থাক, ওটা ভারতের দর্শকের জন্যই তোলা থাক।’
এ সময় শাকিব খান তার সিনেমার সাফল্যে আপ্লুত হয়ে বলেন, প্রথমবারের মতো আমি ঘোষণা করছি যে আমার পারিশ্রমিক হবে ২৫ কোটি। সিনেমা ১০০ কোটি আয় করলে ২৫ কোটি আর ২০০ কোটি আয় করলে ৫০ কোটি!