বাউল সম্রাটের প্রয়াণ দিবস স্মরণে

বন্দে মায়া লাগাইছে, পিরিতি শিখাইছে...

  • বিনোদন ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

শাহ আবদুল করিম, ছবি:সংগৃহীত

শাহ আবদুল করিম, ছবি:সংগৃহীত

‘বন্দে মায়া লাগাইছে, পিরিতি শিখাইছে’, ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’, ‘গাড়ি চলে না’, ‘কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু’, ‘বসন্ত বাতাসে সইগো’, ‘সখী কুঞ্জ সাজাও গো’ এমন অসংখ্য জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম। আজ এই কিংবদন্তি শিল্পীর দশম প্রয়াণ দিবস। ২০০৯ সালের আজকের দিনে বাউল সম্রাট পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।

১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জের দিরাই থানার ধলআশ্রম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন শাহ আবদুল করিম। দারিদ্র ও জীবন সংগ্রামের মাঝে কৃষিকাজ করে বড় হওয়া শাহ আবদুল করিমের সঙ্গীত সাধনার শুরু ছেলেবেলা থেকেই। বাউলগানের দীক্ষা লাভ করেছেন সাধক রশীদ উদ্দীন, শাহ ইব্রাহীম মাস্তান বকশ এর কাছ থেকে। তিনি শরীয়তী, মারফতি, দেহতত্ত্ব, গণসংগীতসহ বাউল গান এবং গানের অন্যান্য শাখার চর্চাও করেছেন।

বিজ্ঞাপন

শাহ আব্দুল করিম এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ শতাধিক গান লিখেছেন এবং সুরারোপ করেছেন। যার মধ্যে বাংলা একাডেমীর উদ্যোগে তার ১০টি গান ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে।

কিশোর বয়স থেকে গান লিখলেও কয়েক বছর আগেও এসব গান শুধুমাত্র ভাটি অঞ্চলের মানুষের কাছেই জনপ্রিয় ছিল। শহরের মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা পায় তার মৃত্যুর কয়েক বছর আগে। মৃত্যুর আগে বেশ কয়েকজন তার গানগুলো নতুন করে পাওয়ার পরই জনপ্রিয়তা পান এই শিল্পী।

বিজ্ঞাপন

গান লেখা ও সুর করা ছাড়াও স্বশিক্ষিত শাহ আবদুল করিমের এ পর্যন্ত ৭টি গানের বই প্রকাশিত হয়েছে। এসব কাজের জন্য ২০০১ সালে একুশে পদকও লাভ করেন বাউল শাহ আব্দুল করিম।