শরীরের অবস্থা ভাল না, সার্জারিটা জরুরি: বেসবাবা সুমন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমন (বেসবাবা সুমন), ছবি: সংগৃহীত

সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমন (বেসবাবা সুমন), ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের জনপ্রিয় রক ব্যান্ড ‘অর্থহীন’র প্রতিষ্ঠাতা এবং দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমন (বেসবাবা সুমন) মরণ ব্যাধি ক্যান্সারকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে সেই আঙ্গুল দিয়ে বারবার গিটার ধরেছেন। তবে ক্যান্সার জয় করা সুমন নতুন করে স্পাইনাল কর্ডের সমস্যায় ভুগছেন।

সেকারণে গেলো ১৮ মার্চ জার্মানির একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের কথা ছিল সুমনের; এই অস্ত্রোপচারে পঙ্গু হয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে তার এমন খবর ফেব্রুয়ারি মাসে ফেসবুকে জানিয়েছিলেন এই গায়ক।

তবে বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় জরুরি সেই অস্ত্রোপচার করাতে জার্মানি যাননি বেসবাবা সুমন। সম্প্রতি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে সুমন জানিয়েছেন, আমার এই মাসের ১৮ তারিখ জার্মানি যাবার কথা ছিল সার্জারির জন্য। জার্মানির অবস্থা ভাল না। ইন ফ্যাক্ট গোটা পৃথিবীর অবস্থাই খারাপ। আমার শরীরের অবস্থাও ভাল না, সার্জারিটা জরুরি। তারপরেও যাওয়ার চেষ্টা করিনি।


আরও পড়ুন: পঙ্গু হয়ে যেতে পারেন বেসবাবা সুমন, চেয়েছেন দোয়া

                 মঞ্চে উঠে বেসবাবা সুমন জানালেন, শেষ স্টেজে ওঠা এটাই হোক...


এছাড়া সেই স্ট্যাটাসে সুমন ভক্তদের কাছে অনুরোধ করে আরও লিখেছেন, আপনারাও একটু চেষ্টা করেন, অতিরিক্ত দরকার ছাড়া বাসা থেকে না বের হবার। ছুটি, আড্ডা, অনুষ্ঠান, কক্স বাজার, নীলগিড়ি এই অবস্থা শেষ হবার পরেও থাকবে। বরঞ্চ আমরা নিজেরাই অসাবধান হলে ভবিষ্যতে নাও থাকতে পারি। চলুন, আরেকটু দায়িত্ববান হই।

সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমন (বেসবাবা সুমন), ছবি: সংগৃহীত

১৯৮৬ সালে ‘ফ্রিকোয়েন্সি’ ব্যান্ড গঠনের মাধ্যমে সুমন তার রক সংগীতের জীবন শুরু করেন। মাত্র ১৯ বছর বয়সের মধ্যে অনেকগুলো ব্যান্ডে বেস বাজানোর সৌভাগ্য হয় তার। ১৯৯৭ সালে তিনি সেই সময়ের জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘ওয়ারফেজ’ গিটারবাদক হিসেবে যোগ দেন। দুই বছর ওয়ারফেজে বাজানোর পর, ১৯৯৯ সালে নিজের প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুমন ও অর্থহীন’ প্রকাশ করেন তিনি। অ্যালবামটি অনেক জনপ্রিয়তা পেলে, সে বছর অর্থহীন ব্যান্ডের যাত্রা শুরু করেন সুমন। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এই বেইজ গিটারিস্ট নিজের প্রকৃত নামের চেয়ে সংগীত জগতে বেসবাবা সুমন নামে বহুল পরিচিত। ২০১৩ সাল থেকে একাধিকার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েও গান ছাড়েননি এই সুরের জাদুকর।

   

কলকাতার ‘পট্ট নাট্য মেলায়’ পদাতিকের ‘গুনজান বিবির পালা’



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘গুনজান বিবির পালা’ নাটকের দৃশ্য

‘গুনজান বিবির পালা’ নাটকের দৃশ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

কলকাতার ‘পট্ট নাট্য মেলা’য় আমন্ত্রন পেয়েছে বাংলাদেশের মঞ্চ নাটকের দল পদাতিক নাট্য সংসদ টিএসসি। আগামীকাল ২৯ মার্চ কলকাতার অনুচিন্তন আর্ট সেন্টারে প্রদর্শিত হবে পদাতিকের ৪১ তম প্রযোজনা ‘গুনজান বিবির পালা’। এই শো উপলক্ষ্যে পদাতিক নাট্য সংসদেও ২২ সদস্য এখন কলকাতায়। নাটকটির রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন সায়িক সিদ্দিকী।

নাটকে অনেকটা অংশ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পালা গানের আঙ্গিকে করা। যে পালা বসে গ্রামের আসরে, বয়াতিদের এক শৈল্পিক নাট্য বয়ানে। শুধু পালাগান নয়, নাটকটিতে কাওয়ালি, পুঁথিসহ আরও অনেক লোকজ দিক তুলে ধরা হয়েছে।

যার প্রেক্ষাপট একটি থিয়েটার দল। বিভিন্ন সমস্যার মধ্য যাদের পথচলা দীর্ঘদিনের। সেই দলের প্রধান নাটকের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করতে রাজী। দলটির একটি নাটক ‘পালা’ আকারে মঞ্চায়ন করা হবে, যা সাত ভাই চ¤পা অবলম্বনে ‘গুনজান বিবির পালা’ নামে দর্শকদের কাছে মঞ্চায়িত হবে। অর্থাৎ নাটকের মধ্যে আরেক নাটক দেখা যায় এই প্রযোজনায়।

‘গুনজান বিবির পালা’ নাটকের দৃশ্য

এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মমিনুল হক দীপু, মশিউর রহমান, শামছি আরা সায়েকা, আমানুজ্জামান, রাবেয়া, নুরুন্নাহার পাপিয়া, শাখাওয়াত হোসেন শিমুল, জয়, সালমান শুভ, আবু নাসেম লিমন, মোঃ ইমরান খাঁন, শরীফুল ইসলাম, জিতু, পলাশ, জিয়া, জেনি, সৃজা, নাজমা ও শ্রেষ্ঠা।

মঞ্চ-সঞ্জীব কুমার দে, আলো- অতিকুল ইসলাম জয়, পোশাক, দ্রব্য ও কোরিওগ্রাফিÑ সাঈদা শামছি আরা, সঙ্গীত- হুমায়ন আজম রেওয়াজ, প্রযোজনা অধীকর্তাÑ সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইন টিটো।

;

বিরতি ভেঙে ঈদের নাটকে ফের মেহজাবীন



বিনোদন ডেস্ক ,বার্তা২৪.কম
মেহজাবিন চৌধুরী / ছবি: বার্তা২৪

মেহজাবিন চৌধুরী / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলা নাটক দুনিয়ায় অভিনেত্রীর তালিকায় শীর্ষ স্থানে রয়েছেন ২০০৯ সালের লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টারজয়ী মেহজাবীন চৌধুরী। ১ যুগেরও বেশি সময় ধরে বাঙালি দর্শকের মন জয় করেছেন তার অভিনয় প্রতিভা দিয়ে। মডেলিংয়ের পাশাপাশি ছোটপর্দায় নাটক, বিজ্ঞাপন করে আসছেন তিনি। গত কয়েক বছরে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের দিকে দর্শকের ঝোঁক বেড়েছে। মেহজাবিনকেও দেখা গেছে ডিজিটাল প্লাটফর্মের কাজ করতে। বিগত দুই বছর তার প্রায় সব কাজই ওয়েব সিরিজ। তুলনামূলকভাবে টিভি নাটকে গত দুই বছর তার তেমন কোনো কাজ দেখা যায়নি। এমনকি ঈদ-উল-ফিতরেও মেহজাবিনের কোনো নাটক আসেনি।

মেহজাবিন চৌধুরী / ছবি: সংগৃহীত
মেহজাবিন চৌধুরী / ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে এই বছর ঈদে নাটক নিয়ে আসছেন মেহজাবিন। নাটকের নাম, গল্পের ধরন বা মেহজাবিনের সহশিল্পী হিসেবে কে থাকবেন তা এখনো অজানা। তবে গণমাধ্যমকে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, যদি সবকিছু ঠিক থাকে, তাহলে এবার ঈদের নাটকে অভিনয় করবেন তিনি। নাটকের স্ক্রিপ্টের কাজ এখনো চলছে। প্রযোজনাও চলছে জোড়সোড়ে। কাজ শেষ হলেই শ্যুটিংয়ের কাজ শুরু হবে।   

অনন্যা নাটকে মেহজাবিন চৌধুরী / ছবি: সংগৃহীত
অনন্যা নাটকে মেহজাবিন চৌধুরী / ছবি: সংগৃহীত

গত কয়েক বছরের ওটিটিতে চমৎকার কাজ করেছেন মেহজাবীন। কাজলের দিনরাত্রি, রেডরাম, আরারাত, নীল জলের কাব্য, সাবরিনার মতো বাঘা বাঘা সিরিজে কাজ করেছেন তিনি। সেখানে ভিন্ন ধারার বিভিন্ন চরিত্র নিঁখুতভাবে ফুটিয়ে তুলে বুঝিয়ে দিয়েছেন, কেন ভক্তরা তাকে সেরা অভিনেত্রী দাবি করে।  ২০২৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর মেহজাবিনের ‘অনন্যা’ নাটক প্রকাশ পায়। গল্প , অভিনয়, পরিচালনা- সবকিছুই ভক্তদের হৃদয় স্পর্শ করে। ঈদেও মেহজাবিনের নাটক দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন দর্শক। তাদের মনের আশা এবার পূরণ হতে চলেছে।


;

নাচ নিয়ে ইউরোপের দুই দেশে আলিফ



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
মোফাসসাল আলিফ /  ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

মোফাসসাল আলিফ / ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

  • Font increase
  • Font Decrease

তরুণ প্রজন্মের নৃত্যশিল্পী এবং কোরিওগ্রাফার মোফাসসাল আলিফ তার আধুনিক নৃত্যধারায় কাজ করে যাচ্ছেন শোবিজের বিভিন্ন মাধ্যমে। তিনি বলিউডের বিখ্যাত কোরিওগ্রাফার ট্যারেন্স লুইসের কাছে শিখে এসেছেন। এরপর ‘আলিফিয়া স্কোয়াড’ নামে নাচের দল খুলেছেন তিনি। যা অল্প সময়েই নাচের জগতে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে।

এশিয়া এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশেও পারফর্ম করেছেন আলিফ। তবে এবারই প্রথম পারফর্মেন্স করলেন ইউরোপে। গত ২৬ মার্চ নোদারল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাসের আমন্ত্রণে আমস্টারডামে নৃত্য পরিবেশন করেন তিনি। তার সঙ্গে পারফর্ম করেছেন মাটি সিদ্দিকী।

নোদারল্যান্ডে আলিফ ও মাটির পরিবেশনা /  ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

শুধু তাই নয়, আগামী ৬ এবং ৭ এপ্রিল ফ্রান্সে মিরাবাঈ ড্যান্স স্কুলের আমন্ত্রণে বলিউড এবং হাই হিলস ড্যান্সের ওপর দুটি নৃত্য কর্মশালা করাবেন আলিফ।

তিনি বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃত্যকলা বিভাগে নাচের উপর মাস্টার্স করছেন। পাশাপাশি আলিফ কোরিওগ্রাফি করছেন ‘অপারেশন জ্যাকপট’ সিনেমার একটি গানে।

;

‘কফির পেয়ালা’য় ইমন-আঁখির রোমান্টিক আবেশ



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘কফির পেয়ালা’ গানে আঁখি আলমগীর ও শওকত আলী ইমন

‘কফির পেয়ালা’ গানে আঁখি আলমগীর ও শওকত আলী ইমন

  • Font increase
  • Font Decrease

ভালোবাসার সংজ্ঞা এক এক জনের কাছে একেক রকম। একই ছাতার নিচে পায়ে পা মিলিয়ে চলার নামই ভালোবাসা। স্নিগ্ধ সকালে কফির পেয়ালায় প্রিয় মানুষটিকে সঙ্গী হিসেবে চাওয়া কিংবা আনমনে বিকেলে ধুলো হয়ে তাকে ছুঁয়ে যাওয়ার অনুভুতি তারাই অনুধাবন করতে পারবে যারা প্রেমের গহনে ডুবে আছে। প্রতি মুহুর্তে আবেগের স্বপ্নময় ছোঁয়ায় শিহরণ জাগে প্রেমিক মনে। সারাক্ষন একসাথে পথ চলতে ইচ্ছে করে।

প্রেমের চিরন্তন এই আবেদন নিয়ে দুনিয়াতে কতো গান, গল্প, সিনেমা, নাটক। তবুও আমরা রোমান্টিক আবেশের এই কাজগুলো পছন্দ করি। তাই তো প্রেম বার বার উঠে আসে শিল্পীদের বয়ানে।

‘কফির পেয়ালা’ গানে শওকত আলী ইমন ও আঁখি আলমগীর

প্রেমের আবেদনকে আরও একবার গানে গানে তুলে ধরেছেন বাংলা সঙ্গীতাকাশের জ্বলজ্বলে তুই তারকা শওকত আলী ইমন ও আঁখি আলমগীর।

‘কফির পেয়ালা’ শিরোনামের এই গানটির মিউজিক ভিডিও প্রকাশিত হবে আগামী ৩১ মার্চ রবিবার ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের ইউটিউব চ্যানেলে।

আঁখি আলমগীর বলেন, ‘ঈদ আসতে আরও কিছুদিন বাকী। কিন্তু ঈদের আমেজ কিন্তু আমরা রোযার শুরু থেকেই টের পাই। ঈদের কেটাকাটা থেকে শুরু করে একটু একটু করে ঈদের আয়োজনের পরিকল্পনা করি। তাইতো আমরা এই গানটিও ঈদের বেশ আগেভাগেই প্রকাশ করলাম।’

‘কফির পেয়ালা’ গানে আঁখি আলমগীর ও শওকত আলী ইমন

তিনি আরও বলেন, ‘একটি গান কিন্তু মানুষের কাছে পৌঁছতে সময় লাগে। আশা করছি গানটি এখন প্রকাশ হলেও ঈদের সময় আমরা এর প্রকৃত সাড়াটা পাব। ধীরে ধীরে অনেক শ্রোতা দর্শকের কাছে পৌঁছে যাবে গানটি। ঈদের খুশির আমেজে প্রেমের এই গানটি খুব মানানসই। আশা করি সবাই উপভোগ করবেন।’

;