সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার কাজির মীরা চোপড়া নিজের মত প্রকাশ করে লিখেছিলেন, দক্ষিণের অভিনেতা জুনিয়র এনটিআরের অভিনয় তার ভাল লাগে না। তার চেয়ে দক্ষিণের আরেক তারকা মহেশবাবু অনেক পরিণত অভিনেতা।
জুনিয়র এনটিআরকে নিয়ে এমন মন্তব্য করার পরই মীরাকে অশালীন ভাষায় গালাগালি শুরু করে এনটিআরের ভক্তরা। একইসঙ্গে তাকে ধর্ষণ, এসিড নিক্ষেপ ও হত্যার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
এরপরই জুনিয়র এনটিআরকে উদ্দেশ্য করে মীরা চোপড়া টুইটারে লিখেছেন- ‘আমি বলেছিলাম মহেশ বাবুকে আপনার থেকে বেশি ভাল লাগে। তার জন্য আপনার অনুরাগীরা আমাকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেছে। এই ধরনের ফ্যান ফলোয়িং থাকার পরও আপনার নিজেকে সফল মনে হয়? আশা করি আপনি আমার টুইট এড়িয়ে যাবেন না।’
যারা জুনিয়র এনটিআরের ভক্ত নন, সেসব মেয়েদের টুইটের মাধ্যমেই সাবধান করেছেন মীরা। তিনি লিখেছেন- ‘তুমি কিন্তু ধর্ষিতা হতে পারো, খুন হতে পারো, এমনকী গণধর্ষণের শিকারও হতে পারো। তোমাদের বাবা-মায়েরা তার (জুনিয়র এনটিআর) ভক্তদের হাতে খুন হয়ে যেতে পারেন। তারা (ভক্তরা) ওদের আদর্শের নাম খারাপ করছে।’
জুনিয়র এনটিআরের ভক্তদের এমন মন্তব্যের পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন মীরা চোপড়া।
ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাংসদ ও অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। মাঝে মাঝেই বিতর্কমূলক কথা-বার্তায় সংবাদের শিরোনাম হন তিনি। সম্প্রতি ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে করা তার এক মন্তব্যে নতুন করে রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। দেশটির বিরোধী দল কংগ্রেস তার মন্তব্যকে ‘অশ্লীল’ বলে অভিহিত করেছে।
মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন কঙ্গনা রানাওয়াত। সেখানে তিনি লেখেন, ‘দেশের কোনো পিতা হয় না, সন্তান হয়, ধন্য এই ভারতমাতার সন্তানরা।’
যে কোন দেশের স্বাধীনতার পেছনে সবচেয়ে যে নেতার অবদান বেশি, তাকেই সেই রাষ্ট্রের পিতা বলা হয়। সেটা শুধু বাংলাদেশ বা ভারত নয়, বিশ্বের অনেক দেশেই এই সম্মান প্রয়োগের প্রথা রয়েছে। কঙ্গনার এমন মন্তব্য নিঃসন্দেহে মহাত্মা গান্ধীর সারা জীবনের অবদানকে ছোট করে। তিনি মহাত্মা গান্ধীর গড়ে তোলা সংগ্রেস পার্টির বিপক্ষের একটি রাজনৈতিক দল (বিজেপি)’র নেত্রী বলেই এমন অসম্মানজনক মন্তব্য করেছেন বলে মনে করছেন দেশটির অনেক মানুষ।
সেই পোস্টে অবশ্য ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর ১২০তম জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাও নিবেদন করেছেন কঙ্গনা।
তবে ঘটনার এখানেই শেষ নয়। আরও একটি পোস্টে অভিনেত্রী কঙ্গনা লেখেন, ‘যেখানে তিনি মহাত্মা গান্ধীর স্বচ্ছতার উত্তরাধিকার বহন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কৃতিত্ব দিয়েছেন।’ আর এতেই রাজনৈতিক দিকে টেনে নিয়ে গেছেন অনেকে। একইসঙ্গে কঙ্গনার এই মন্তব্যকে অশ্লীল এবং নিন্দনীয় বলেও অভিহিত করেছেন।
কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাতে তার এই মন্তব্যের সমালোচনা করে লেখেন, ‘বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকীতে তাকে অশ্লীল কটাক্ষ করেছেন। জাতির পিতা আছেন, পুত্র আছেন, শহিদ আছেন। সবারই সম্মান প্রাপ্য।’
উল্লেখ্য, কঙ্গনা রানাওয়াতকে এরপর দেখা যাবে ‘ইমার্জেন্সি’ সিনেমাতে। যেখানে ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। সেন্সর জটে আটকে আছে ছবির মুক্তি।
বয়সে ছোট ছেলেদেরই বোধ হয় বেশি পছন্দ পপ কুইন ম্যাডোনার। তাইতো একের পর এক কম বয়সী ছেলের প্রেমে পড়ছেন এই বিশ্ববিখ্যাত সঙ্গীত তারকা।
নিজের বয়স সত্তর ছু্ইঁ ছুঁই, কিন্তু প্রেম ছাড়া থাকতে পারেন না এই শিল্পী। তাইতো ব্রেকাপের কয়েক মাসের মাথায় নতুন প্রেমে জড়িয়ে ফেলেন নিজেকে।
তারই ধারাবাহিকতায় নতুন প্রেমে মজেছেন ম্যাডোনা। দুজন মিলে লন্ডনে বেড়াতে গিয়ে পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় ধরা পড়েছেন তারা।
নতুন প্রেমিকের চেয়ে ৩৮ বছরের ছোট বড় ম্যাডোনা। প্রেমিকের সঙ্গে তার বয়সের ব্যবধান নিয়েই বিস্তর আলোচনা চলছে সামাজিক মাধ্যমে। ৬৬ বছর বয়সী ম্যাডোনা প্রেমে পড়েছেন ২৮ বছরের আকিম মরিসের।
এখন প্রেমিকের সঙ্গেই লন্ডনে ছুটি কাটাচ্ছেন ম্যাডোনা। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে লন্ডন সফরের একাধিক ছবি পোস্ট করলেন তিনি।
কোথাও তাদের গান করতে দেখা যাচ্ছে, কোথাও আবার প্রেমিককে ধরে থাকতে দেখা যাচ্ছে পপ তারকাকে।
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজ স্টেডিয়ামে বসে একটি ছবিতে চেলসি ফুটবল দলের খেলা উপভোগ করতে দেখা গেছে তাদের। ছবিটিতে প্রেমিককে জড়িয়ে বসে থাকতে দেখা যায় পপ সংগীতের রানিকে।
গত জুলাই মাসে এই সম্পর্কের কথা প্রথমবার প্রকাশ্যে আনেন ম্যাডোনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গত ৪ জুলাই প্রথমবার মরিসের সঙ্গে ছবি পোস্ট করেন গায়িকা।
চলচ্চিত্র বিষয়ে সরকারকে বিভিন্ন পরামর্শ এবং চলচ্চিত্রকে উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করার জন্য পুনর্গঠন করা হয়েছে চলচ্চিত্রবিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি। গত ২ অক্টোবর তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব সাইফুল ইসলামের স্বাক্ষরে এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।অনলাইন ফিল্ম স্ট্রিমিং পরিষেবা প্রজ্ঞাপনে ২৩ জন সদস্যের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এরমধ্যে সভাপতি হিসেবে আছেন তথ্য উপদেষ্টা এবং সদস্য সচিব হিসেবে আছেন অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র) তথ্য মন্ত্রণালয়। নতুন ‘জাতীয় পরামর্শক কমিটি’তে তরুণদের জয়জয়কার।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয় সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সচিব, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব, আইন ও বিচার বিভাগ সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ সচিব, এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী, ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক, সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান। এছাড়া এফবিসিআই, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি, প্রদর্শক সমিতির একজন করে সদস্য থাকবে।
সদস্য হিসেবে আরও যারা থাকছেন তারা হলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ আল মামুন, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজক আরিফুর রহমান, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজক তানিম নূর, বঙ্গের চিফ কনটেন্ট অফিসার মুশফিকুর রহমান, সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র সমালোচক সাদিয়া খালিদ ঋতি, চলচ্চিত্র সংসদ কর্মী, সমালোচক ও নির্মাতা আহমেদ সালেকীন।
কমিটির কাজ সম্পর্কে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিদ্যমান নীতি, আইন ও বিধিমালা পর্যালোচনা করে এসব আইন, নীতি ও বিধির পরিবর্তন, সংশোধন ও পরিমার্জনের প্রয়োজন হলে বা নতুন আইন, নীতি, বিধির প্রয়োজন হলে সে বিষয়ে সুপারিশ প্রদান।
প্রজ্ঞাপনের তথ্যানুযায়ী এই কমিটি শিগগিরই কাজ শুরু করবে। আর তাদের কাজ হবে: চলচ্চিত্র নীতিমালার আলোকে চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে করণীয় বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ ও সুপারিশ প্রদান। চলচ্চিত্র নীতিমালায় বর্ণিত বিভিন্ন বিষয় বাস্তবায়নে করণীয় সম্পর্কে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ প্রদান।
দেশে ও বিদেশে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কার্যাবলি অনুসরণ ও পর্যবেক্ষণ করে সেসব কার্যক্রমে অভিজ্ঞতার আলোকে জাতীয় চলচ্চিত্রের উন্নয়নে গৃহীতব্য ব্যবস্থা সম্পর্কে সুপারিশ প্রদান। চলচ্চিত্র নীতিমালার কোনো বিষয়ে সংযোজন, সংশোধন ও পরিমার্জনের প্রয়োজন হলে সে বিষয়ে সুপারিশ প্রদান। কমিটি বছরে ন্যূনপক্ষে দুটি সভায় মিলিত হবে।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর রসবোধ সম্পর্কে কারও অজানা নয়। সিরিয়াস বিষয়কেও রসাত্মক ভঙ্গিতে ব্যক্ত করার দারুণ সক্ষমতা রয়েছে এই তারকার।
আজ তেমনি একটি বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন ফারুকী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি তুলে ধরেছেন বর্তমান সময়ে তাকে দেশের এক শ্রেণির জনগণ কিভাবে দেখছে সে বিষয়ে।
‘আমাকে উপদেষ্টা করা এখন সময়ের দাবী’ এমন শিরোনামে ফারুকী লিখেছেন, ‘‘আওয়ামী প্রোপাগান্ডু লীগ যেভাবে আমার ব্যাপারে তাদের ক্ষোভ জানাচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে ফ্যাসিবাদের পতনে আমার বিশাল ভূমিকা আছে। সুতরাং ‘ফ্যাসিবাদের পুচ্ছে আগুন’ কোটায় আমাকে উপদেষ্টা করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহবান জানাচ্ছি!’
এরপর নিজের অবস্থানকে পরিষ্কার করতে তিনি তিনটি পয়েন্ট উল্লেখ করেছেন। ফারুকীর সমালোচক শ্রেনিকে উদ্দেশ্য করে তিনি লিখেছেন, ‘ওদের বুদ্ধি যদিও খুলবে না, তবুও একটু বলি-
১. ওহে, আমি কোনো রাজনৈতিককর্মী না। আমি আওয়ামী লীগ-বিএনপি সবারই ভালো কিছুর প্রশংসা এবং খারাপ কাজের নিন্দা করতে পারি।
২. ফ্যাসিবাদের কালে যেহেতু এই দেশেই থাকতে হয়েছে, ফলে আমাদের বেঁচে থাকা ছিলো বড় কৌতুকময়। সৌভাগ্য হোক দূর্ভাগ্য হোক, রাডারের নীচে থাকার কারণে নানা কায়দা কানুন করে বেঁচে থাকতে হতো। সরকারের সমালোচনা করে একটা পোস্ট দিলে তিনটা দিতে হতো প্রশংসা করে। আবার সমালোচনারও কিছু প্যাটার্ন আছে। প্রধানমন্ত্রীকে বাইরে রেখে অন্যদের সমালোচনা করতে হতো। তারপর ধরেন, আপনার সিনেমা আটকে যাবে যেটা আটকানোই অন্যায়। সেই সিনেমা ছাড়ানোর জন্য তদবীর করবেন। ছাড়ানোর পর ধন্যবাদ দিবেন। নানাবিধ কৌতুকময় ছিলো এই জীবন। সামনে আমার কাজে এইসবের ছাপ দেখবেন অল্প বিস্তর।
৩. ওরাও জানে ওদের লুটপাট, টেন্ডার বানিজ্য, চুরি চামারি, ব্যবসা কোনো কিছুর সাথেই আমাদের কোন সম্পর্ক নাই। কিন্তু আমাদের উপর রাগ আছে। কেনো আমরা ফ্যাসিস্ট পতনের আন্দোলনে নামলাম- এই ক্ষোভ বড় গভীর। এই ক্ষোভ ঢালার জন্য এখন ওদের কষ্ট করে আমার টাইমলাইনের উপর পিএইচডি করতে হচ্ছে।’
গবশেষে ফারুকী তাদের পরামর্শ দিয়ে লিখেছেন, ‘ওদের নিজেদের জন্য ভালো হবে এইসবে সময় ব্যয় না করে, আত্মশুদ্ধির পথে হাঁটা। আর বাংলাদেশের করণীয় হচ্ছে মানবতা বিরোধী অপরাধ আর সীমাহীন লুটপাটের বিচার করা।’