‘স্বপ্নের দিনে’ চলে গেলেন পরিচালক বাসু চ্যাটার্জি



ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
পরিচালক বাসু চ্যাটার্জি (১৯০৩৯-২০২০)

পরিচালক বাসু চ্যাটার্জি (১৯০৩৯-২০২০)

  • Font increase
  • Font Decrease

রূপালি পর্দায় তিনি স্বপ্নের ছবি আঁকতেন। প্রেম ও রোমান্টিক আবহে সাধারণ, মধ্যবিত্ত মানুষের আটপৌরে জীবনসংগ্রামের কঠিনতম প্রান্তরে আনতেন স্বপ্নের ছোঁয়া। স্বপ্ন নিয়েই তিনি বেঁচে ছিলেন। তার একটি বিখ্যাত চলচ্চিত্র 'হঠাৎ বৃষ্টি'তে নচিকেতার কণ্ঠে গাওয়া 'একদিন স্বপ্নের দিন, বেদনার বর্ণবিহীন' গানের রেশ ধরে ‘স্বপ্নের দিনে’ চিরতরে চলে গেলেন পরিচালক বাসু চ্যাটার্জি (জন্ম: ১০ জানুয়ারি ১৯৩০, মৃত্যু: ৪ জুন ২০২০)।

করোনার সামাজিক দূরত্বের পরিস্থিতিতেও তার মৃত্যু বোম্বে চলচ্চিত্র জগত ও সিনেমাবোদ্ধাদের গভীরভাবে স্পর্শ করেছে। তাকে চিহ্নিত করা হচ্ছে সামাজিক সিনেমার লিজেন্ডারি পরিচালক হিসেবে। 'মিডল ক্লাস আরবান' তথা নাগরিক মধ্যবিত্তের রোমান্টিক জীবনের চাওয়া-পাওয়া, সফলতা-ব্যর্থতাকে এতো স্পষ্টভাবে নান্দনিক পরিসরে খুব কম পরিচালকই ধরতে পেরেছেন।

তার মৃত্যু সংবাদ শুনতেই তার নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো ভিড় করে সামনে এসে দাঁড়ায়। বোম্বের হিন্দি চলচ্চিত্রের আজগুবি জগতে আলাদা ঘরানার এই পরিচালক বাসু চ্যাটার্জির ছবি যারা দেখেছেন, তারা সহজেই তাকে ও তার কাজকে ভুলতে পারবেনা।

বিশেষত সামাজিক ও রোমান্টিক চলচ্চিত্র নির্মাণে তার দক্ষতা প্রবাদপ্রতিম। বাংলাদেশের নায়ক ফেরদৌসকে নিয়ে তার নির্মিত 'হঠাৎ বৃষ্টি' ছবিটি যারা দেখেছেন, তাদের মনে আছে রোমান্টিক কাহিনির চিত্রায়ণে তিনি কতটুকু পারঙ্গম।

সারা জীবন মধ্যবিত্তের আশা-আকাঙ্ক্ষা, প্রেম-বিরহ নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন তিনি। বোম্বের বাঘা-বাঘা পরিচালকের ক্রাইম, অ্যাকশন, ভায়োলেন্সভিত্তিক ম্যাগাফিল্মের সঙ্গে নিটোল নির্মাণশৈলী ও কাহিনির জোরে লড়াই করেছেন তিনি। একজন শিল্পিত নির্মাতা হিসেবে তার কদর ছিল সর্বজনবিদিত।

বাসু চ্যাটার্জি গুরুত্ব দিতেন কাহিনি ও নির্মার্ণকলায়। গভীর অনুভূতিসূচক কাহিনিকে তিনি সিনেমাটোগ্রাফি, সংলাপ, চিত্রনাট্য ও নেপথ্য সঙ্গীতের আবহে জমিয়ে দিতেন। তার অধিকাংশ ছবির সঙ্গীত পরিচালনায় সঙ্গত কারণেই ছিলেন বিখ্যাত সলিল চৌধুরী।

পরিচালক বাসু চ্যাটার্জি (১৯০৩৯-২০২০)

খুবই স্নিগ্ধ আর হৈচৈ-হট্টগোল ছাড়া ছবি করতেন বাসু চৌধুরী। অল্প কয়জন অভিনেতাকে নিয়েই তার ছবি উতরে গেছে। প্রতিটি চরিত্রকে গভীরভাবে ফোকাস করার মাধ্যমে তিনি একই সঙ্গে কাহিনি ও অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জীবন্ত করে তুলতেন।

চলচ্চিত্রের গ্রামার তিনি এতোটাই ভালো বুঝতেন যে, বিশাল স্টেজ, বড় ক্যানভাস, সুপার হিরো-হিরোইন, অনেক কাস্টিং ও রং-বেরঙের কস্টিউমস ছাড়াও তার ছবি নান্দনিক সুষমায় উজ্জ্বল ও জনপ্রিয়। শিক্ষিত, পরিশীলিত, রুচিশীল দর্শকদের পছন্দের তালিকায় তিনি সব সময়ই ছিলেন।

বাসু চ্যাটার্জি প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায়, বোম্বে তথা ভারতীয় চলচ্চিত্রে বাঙালির অবদান নেহাৎ কম নয়। চলচ্চিত্র শিল্পের উত্থানপর্বের ঐতিহাসিক ধারায় অনেক বাঙালি শিল্পী, পরিচালক, কলাকুশলীর নাম লিপিবদ্ধ রয়েছে। সাম্প্রতিক অতীতে তেমনি নামজাদা পরিচালক ছিলেন হৃষীকেশ মুখার্জি ও বসু ভট্টাচার্য।
গত শতকের ৬০ ও ৭০ দশকে বোম্বের চলচ্চিত্র জগতে উল্লেখযোগ্য আলোড়ন তৈরি করেছিলেন এ দুজন বাঙালি পরিচালক।

চলচ্চিত্রে বাসু চ্যাটার্জির বিকাশ হৃষীকেশ মুখার্জি হাত ধরে। পরিচালক বসু ভট্টাচার্যর পৃষ্ঠপোষকতাও তিনি পেয়েছিলেন। তিনি হৃষীকেশ মুখার্জি এবং বসু ভট্টাচার্যের সহকারী হিসাবে চিত্রনির্মাণ করেন। এর মধ্যে বিশেষভাবে জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ছিল তিসরি কসম। রাজ কাপুর ও ওয়াহিদা রহমান অভিনীত তিসরি কসম চলচ্চিত্রটি জাতীয় পুরস্কার লাভ করেছিল।

মধ্যবিত্ত পরিবারের প্রেম, ভালোবাসা নিয়ে সিনেমা বানানোর দিকেই ছিল বাসু চ্যাটার্জির বিশেষ প্রবণতা ও ঝোঁক। সামাজিক আখ্যানভিত্তিক ছবিই প্রধানত তিনি নির্মাণ করেছে। বাসু চ্যাটার্জির প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র সারা আকাশ (১৯৬৯)। এই ছবিটির জন্য ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন তিনি।

চিত্রনাট্য, সংলাপ রচয়িতা , কাহিনিকার, পরিচালক ও প্রযোজক হিসেবে তিনি শতাধিক চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি কিছু বাংলা সিনেমা ও টিভি সিরিয়াল পরিচালনা করেন। তার বিখ্যাত কিছু ছবির মধ্যে রয়েছে সারা আকাশ, রজনীগন্ধা, ছোটি সে বাত, স্বামী, গোধূলি, ত্রিশঙ্কু ইত্যাদি।

বাঙালি বাবু হলেও বাসু চ্যাটার্জি হিন্দি চলচ্চিত্রে সাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। কারণ তিনি জন্ম নেন হিন্দিভাষী অঞ্চলে, ১৯৩০ সালের ১০ জানুয়ারি ভারতের রাজস্থান প্রদেশের ঐতিহাসিক আজমির শহরে। তার বহু ছবিতেই উত্তর ভারত তথা জন্মস্থান রাজস্থানের প্রকৃতি, পরিবেশ ও নিসর্গের ব্যবহার রয়েছে।

বিশেষত 'হঠাৎ বৃষ্টি' ছবিতে প্রত্নঐতিহ্য ও মরুময় জয়সলমীর চমৎকারভাবে প্রস্ফুটিত হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম রাজস্থানের থর মরুভূমির মাঝখানে পাকিস্তানের সীমান্ত ঘেঁষা জয়সলমীরের বিরাণ ও ঊষর প্রান্তরে বাঙালি যুবকের (ফেরদৌস) প্রেম ও বিরহ ছবিটিকে দর্শকপ্রিয় করেছে। অচেনা ও নবাগত ফেরদৌসকেও এই ছবি বিখ্যাত করেছে। এমন অনেকেই লাইম লাইটের আলোয় এনেছেন মেধাবী পরিচালক বাসু চ্যাটার্জি।

বাসু চ্যাটার্জিকে লড়তে হয়েছে পর্বত-সদৃশ্য রাজ কাপুর এবং দিলীপ কুমারের ইমেজের বিরুদ্ধে সাধারণ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়ে। তাকে লড়তে হয়েছে বিখ্যাত নায়কের মিছিলের বিরাট বাজেটের চলচ্চিত্রের বিরুদ্ধেও, যেখানে ছিলেন সুনীল দত্ত, অমিতাভ, ধর্মেন্দ্র, বিনোদ খান্না, শত্রুঘ্ন সিনহার মতো সুপারস্টার। তবু তিনি নতুন ও অচেনাদের দিয়ে বিকল্প জগৎ নির্মাণ করতে সফল হয়েছেন। যেখানে দর্শকরা নিজের স্বপ্নের অদেখা জগতকে রূপালি পর্দায় পেয়েছে।

বোম্বের অন্য পরিচালকের মতো বাসু চ্যাটার্জি স্বপ্ন ও ফ্যান্টাসির তোপ দেগে দেননি দর্শকদের মগজে। বরং দর্শকের সুপ্ত মনস্তাত্ত্বিক স্তরের অবচেতনে যে অসফল বা চাপা পড়া স্বপ্ন আছে, তাকে গুরুত্ব দিয়েছেন। সাধারণ মানুষ ও তাদের দৈনন্দিন স্বপ্ন-সংগ্রামই ছিল তার উপজীব্য।

নায়ক অনিল কাপুর তার অভিনয় জীবনে বাসু চ্যাটার্জির ভূমিকা স্বীকার করে বলেছেন, তিনি ছিলেন সময়ের চেয়ে এগিয়ে। চলতি পথের বাইরে। বিকল্পের উদ্ভাবক। মেধা ও স্বকীয়তায় অগ্রগামী।

বিশিষ্ট পরিচালক মাধুর ভাণ্ডারকার মনে করেন, বাসু চ্যাটার্জির নাম চিরস্মরণীয় থাকবে এইজন্য যে তিনি সিরিয়াস সামাজিক ইস্যুকে হালকা চালে ও হাস্যকৌতুকের সঙ্গে তুলে ধরতে পেরেছেন। মানুষের জীবনের সীমাহীন অপ্রাপ্তির পরেও তার ভেতরে লুক্কায়িত রোমান্টিক স্বপ্নটিকে তিনি বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। শত বেদনা ও হতাশায় আকীর্ণ সামাজিক মানুষের ব্যক্তিগত জীবনের সুপ্ত সৌন্দর্যকে তার মতো সফলতায় খুব কম পরিচালকই তুলে ধরতে পেরেছেন।

বোম্বের বহু চলচ্চিত্রজন শোকবার্তায় এমনটিই জানিয়েছেন যে, চলচ্চিত্র মাধ্যমকে মানুষের হৃদয়স্পর্শী করার কৃতিত্ব তার। সাধারণ টেকনিক ও সরল উপস্থাপনায় তিনি সেটা করেছেন। কঠিন কঠিন সামাজিক, মনস্তাত্ত্বিক ইস্যুকে সহজে ধারণ করেছেন। তিনি ছিলেন একজন প্রকৃত চলচ্চিত্র নির্মাতা, যিনি সেলুলয়েডে স্বপ্ন বিনির্মাণ করতে পারতেন।

৯০ বছরের সুদীর্ঘ জীবন চলচ্চিত্রের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে থাকলেও বাসু চ্যাটার্জী মুম্বাই থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ট্যাবলয়েড Blitz-এ অঙ্কনশিল্পী এবং কার্টুনিস্ট হিসাবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তবে জীবনের নানা বাঁক পেরিয়ে সিনেমার স্বপ্নময় রূপালি জগতকেই তিনি আপন করে নেন। মৃত্যুর উড়ালপথে তিনি সিনেমার স্বপ্নময় জগত থেকে চলে গেলেন চিরকালের স্বপ্নের দিনে।

   

ড. হাফিজের লেখা ' আমরা মুক্তি সেনা'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ড. হাফিজের লেখা ' আমরা মুক্তি সেনা'

ড. হাফিজের লেখা ' আমরা মুক্তি সেনা'

  • Font increase
  • Font Decrease

 

মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কেন্দ্র করে ড. হাফিজ রহমানের লেখা দেশাত্মবোধক গান 'আমরা মুক্তি সেনা' রিলিজ হয়েছে। বিখ্যাত সুরকার মিল্টন খন্দকারের সুরে গানটি গেয়েছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনির খান ও সহশিল্পীবৃন্দ।

এমকে মিউজিক ২৪ এর ব্যানারে গানটি গত ২৬ মার্চ তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়েছে। গানটির মিউজিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন রফিকুল আজাদ খোকন।

'আমরা মুক্তি সেনা' গানটি রিলিজের দুই দিনের মধ্যেই হাজার হাজার ভিউজ হয়েছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ড. হাফিজ রহমান বলেন,' মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কেন্দ্র করে একটি গান লেখার ইচ্ছে ছিলো। ২৫ মার্চ। পৃথিবীর ইতিহাসের এক কাল রাত্রি। ১৯৭১ সালের এই রাতে নিরীহ নিরপরাধ ঘুমন্ত বাঙালি জনগোষ্ঠীর ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্মম নৃশংসতা চালায় । তাই আমার লেখা গানটি সেই রাতেই রিলিজ করার পরিকল্পনা করেছিলাম। অবশেষে বাস্তবে রূপায়িত হলো সেই অভিপ্রায়।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিখ্যাত সুরকার মিল্টন খন্দকার বলেন, "গানটির কথা খুবই সুন্দর ছিলো। সুর করেছি। কণ্ঠশিল্পীবৃন্দ সুন্দর কণ্ঠ দিয়েছেন। গানটি বাংলাদেশের ইতিহাসে অক্ষয় হয়ে থাকবে।"

;

জন্মদিনে চমকে দিলেন শাকিব খান



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘তুফান’-এ শাকিব খানের নতুন লুক

‘তুফান’-এ শাকিব খানের নতুন লুক

  • Font increase
  • Font Decrease

রীতিমতো ‘তুফানি’ কায়দায় প্রকাশিত হলো ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের আরও একটি নতুন সিনেমার পোস্টার। অভিনেতার জন্মদিন উপলক্ষে আজ বিকেলে প্রকাশিত হয় সিনেমার পোস্টার।

দ্রুত শাকিবের নতুন লুক ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। লুফে নিয়েছেন ভক্তরা। লম্বা কোঁকড়ানো চুলে সাদা রোদচশমা, গলায় লকেট পরে সোফায় বসে আছেন হিরো! পাশেই মেশিনগান! আর পোস্টার দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ভয়ানক রূপে পর্দায় হাজির হতে যাচ্ছেন শাকিব খান। নতুন সিনেমা আর জন্মদিনের অগ্রিম শুভেচ্ছায় ভেসে যাচ্ছেন জনপ্রিয় নায়ক।

শাকিব খানের জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রকাশিত হয়েছে ‘তুফান’-এর নতুন পোস্টার

অবশ্য মঙ্গলবার থেকেই বিশেষ ঘোষণার মধ্য দিয়ে একটি ঝোড়ো তুফানের পূর্বাভাস দেন পরিচালক রায়হান রাফী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে সবাইকে নিরাপদে থাকার পরামর্শও দেন পরিচালক। এরপর বুধবার বিকেলেই প্রকাশ করেন ‘তুফান’-এর ফার্স্ট অফিশিয়াল লুক। এই পোস্টার আসবে বলেই দুদিন ধরে নানা নাটকীয় আভাস দিচ্ছিলেন পরিচালক।

যদিও তুফানি বেগে উড়তে হলে অপেক্ষা করতে হবে আসছে কোরবানির ঈদ পর্যন্ত। তখনই সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে। তবে এত দ্রুত সিনেমাটির পোস্টার প্রকাশের পেছনেও আছে বিশেষ কারণ, তা হলো শাকিব খানের জন্মদিন। তারকার বিশেষ দিন উপলক্ষে আর দেরি করেনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এবং পরিচালক।

‘তুফান’-এ শাকিব খানের সঙ্গে অভিনয় করবেন কলকাতার মিমি চক্রবর্তী ও বাংলাদেশের নাবিলা

তুফানের যৌথ প্রযোজনা করছে বাংলাদেশের চরকি, আলফা আই আর ভারত থেকে যুক্ত হচ্ছে এসভিএফ। জানা গেছে, ছবিতে শাকিব খান ছাড়াও থাকছেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী আর বাংলাদেশের ‘আয়নাবাজি’ অভিনেত্রী নাবিলা। ‘তুফান’-এর ভিলেন হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তর নামও শোনা যাচ্ছে।

;

নতুন সিনেমায় ভিন্ন আঙ্গিকে আসাদুজ্জামান নূর



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আসাদুজ্জামান নূর

আসাদুজ্জামান নূর

  • Font increase
  • Font Decrease

মাঝে সব ধরনের অভিনয় থেকেই দূরে ছিলেন প্রখ্যাত অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর। এরপর একটু একটু করে শুরু করেন মঞ্চ ও টিভি নাটকে। তবে চলচ্চিত্রে কাজ করছিলেন না।

এরপর এক এক করে বেশ কয়েকটি নতুন সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এই তারকা। এবার পাওয়া গেল নূরের নতুন আরেকটি ছবির খবর। তবে এবার আর অভিনয় নয়। একটু ভিন্নভাবে যুক্ত হওয়া ছবিটির সঙ্গে।

ভাষা আন্দোলনের আগেভাগের গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্র ‘যাপিত জীবন’। সেই ছবিতে যুক্ত হলেন আসাদুজ্জামান নূর। ছবির একটি অংশের জন্য কবিতা আবৃত্তি করলেন তিনি। শনিবার দুপুরে রাজধানীর একটি স্টুডিওতে তার কণ্ঠে কবিতাটি রেকর্ডিং হয়। ছবির পরিচালক হাবিবুল ইসলাম হাবিব জানান, ছবি শেষ হবে আসাদুজ্জামান নূরের কণ্ঠে আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর ‘কোনো এক মাকে’ কবিতাটির পাঠের মধ্য দিয়ে।

পরিচালক বলেন, ‘এ অংশ ছবির জন্য খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানে কবিতাটি খুবই প্রাসঙ্গিক। ছবি শেষ হচ্ছে, নেপথ্যে কবিতাটি শোনা যাচ্ছে। গল্পের সঙ্গে চমৎকারভাবে কবিতাটির কথা, মর্ম মিলে যায়। আমার বিশ্বাস, ওই সময় প্রেক্ষাগৃহে দারুণ একটি পরিবেশ তৈরি হবে দর্শকের মাঝে।’

কবিতাটি আবৃত্তির জন্য আসাদুজ্জামান নূরকে নেওয়া প্রসঙ্গে হাবিব আরও বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই নূর ভাইয়ের আবৃত্তি শুনে আসছি। তার আবৃত্তির ভঙ্গি দারুণ। আর ছবির এই জায়গায় তার কণ্ঠ ভালো মানিয়ে যায়। এ ছাড়া এই ছবিতে অনেক গুণীজন যুক্ত আছেন। আরেক গুণী মানুষ হিসেবে নূর ভাইকে চেয়েছি।’

আসাদুজ্জামান নূর

জানালেন, বেশ কিছুদিন আগে কাজটির জন্য আসাদুজ্জামান নূরকে অনুরোধ করেছিলেন তিনি। বলেন, ‘বিষয়টি বুঝিয়ে নূর ভাইকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। শুনেই রাজি হন তিনি। নানা ব্যস্ততায় কাজটি করে দিতে সময় পাচ্ছিলেন না। আজ সময় বের করে কাজটি করে দিলেন তিনি। আমি মনে করি, নূর ভাইয়ের কারণে আমার ছবির মান আরও বেড়ে গেল।’

২০২১-২২ বছরের সরকারের অনুদানের ছবি এটি। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে এর শুটিং শুরু হয়।

পরিচালক আরও জানিয়েছেন, পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ প্রায় শেষের পথে। আগামী সপ্তাহের শুরু দিকে প্রিভিউয়ের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে। চলতি বছরই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা আছে ছবিটির। সেলিনা হোসেনের গল্প থেকে যৌথভাবে এটি চিত্রনাট্য করেছেন অনিমেষ আইচ ও ইশতিয়াক আহমেদ।

এতে অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন, গাজী রাকায়েত, রোকেয়া প্রাচী, আজাদ আবুল কালাম, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ডলি জহুর, ইমতিয়াজ বর্ষণ, আশনা হাবিব ভাবনা, সমাপ্তি, মৌসুমি হামিদ প্রমুখ।

;

কলকাতার ‘পট্ট নাট্য মেলায়’ পদাতিকের ‘গুনজান বিবির পালা’



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘গুনজান বিবির পালা’ নাটকের দৃশ্য

‘গুনজান বিবির পালা’ নাটকের দৃশ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

কলকাতার ‘পট্ট নাট্য মেলা’য় আমন্ত্রন পেয়েছে বাংলাদেশের মঞ্চ নাটকের দল পদাতিক নাট্য সংসদ টিএসসি। আগামীকাল ২৯ মার্চ কলকাতার অনুচিন্তন আর্ট সেন্টারে প্রদর্শিত হবে পদাতিকের ৪১ তম প্রযোজনা ‘গুনজান বিবির পালা’। এই শো উপলক্ষ্যে পদাতিক নাট্য সংসদেও ২২ সদস্য এখন কলকাতায়। নাটকটির রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন সায়িক সিদ্দিকী।

নাটকে অনেকটা অংশ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পালা গানের আঙ্গিকে করা। যে পালা বসে গ্রামের আসরে, বয়াতিদের এক শৈল্পিক নাট্য বয়ানে। শুধু পালাগান নয়, নাটকটিতে কাওয়ালি, পুঁথিসহ আরও অনেক লোকজ দিক তুলে ধরা হয়েছে।

যার প্রেক্ষাপট একটি থিয়েটার দল। বিভিন্ন সমস্যার মধ্য যাদের পথচলা দীর্ঘদিনের। সেই দলের প্রধান নাটকের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করতে রাজী। দলটির একটি নাটক ‘পালা’ আকারে মঞ্চায়ন করা হবে, যা সাত ভাই চ¤পা অবলম্বনে ‘গুনজান বিবির পালা’ নামে দর্শকদের কাছে মঞ্চায়িত হবে। অর্থাৎ নাটকের মধ্যে আরেক নাটক দেখা যায় এই প্রযোজনায়।

‘গুনজান বিবির পালা’ নাটকের দৃশ্য

এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মমিনুল হক দীপু, মশিউর রহমান, শামছি আরা সায়েকা, আমানুজ্জামান, রাবেয়া, নুরুন্নাহার পাপিয়া, শাখাওয়াত হোসেন শিমুল, জয়, সালমান শুভ, আবু নাসেম লিমন, মোঃ ইমরান খাঁন, শরীফুল ইসলাম, জিতু, পলাশ, জিয়া, জেনি, সৃজা, নাজমা ও শ্রেষ্ঠা।

মঞ্চ-সঞ্জীব কুমার দে, আলো- অতিকুল ইসলাম জয়, পোশাক, দ্রব্য ও কোরিওগ্রাফিÑ সাঈদা শামছি আরা, সঙ্গীত- হুমায়ন আজম রেওয়াজ, প্রযোজনা অধীকর্তাÑ সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইন টিটো।

;