পূব আকাশে তখন সূর্যের আলো ফুঁটতে শুরু করেছে। আড়মোড়া ভেঙে সজাগ হচ্ছে সবুজ প্রকৃতি। চারিদিক থেকে আসছে পাখির কিচিরমিচির শব্দ। ভোরের মিঠা আলোয় বিলের পানি চিকচিক করছে। সেই আলো সাদা শাপলা ফুলের গায়ে পড়ে অপরূপ সৌন্দর্য সৃষ্টি হয়েছে। যেন শাপলাগুলো ভোরের আলোয় স্নান সেরে উঠেছে। দূরন্ত কিশোর বিলের গোঁড়ালি সমান পানিতে নেমে শাপলা তুলতে ব্যস্ত; মুখে এক গাল হাসি!
দৃশ্যটি সাতক্ষীরার সদর থেকে অদূরেই পোড়ার বিলের। বিলের শ্যাওলা ভরা পানিতে ফুটে আছে সাদা শাপলা ফুল। যেন পুরো বিল জুড়ে নয়নাভিরাম শাপলা ফুলের সমারোহ। কোনো প্রকার চাষ ছাড়াই জন্মেছে শাপলাগুলো।
বিজ্ঞাপন
সকালবেলা এখানে বেড়াতে এসে পানিতে সাজানো শাপলা ফুলের বাগান দেখে যে কেউ মনে মনে গুণগুণ করে গেয়ে উঠবেন, ‘তুমি সুতোয় বেঁধেছ শাপলার ফুল, নাকি তোমার মন’।
পোড়ার বিলে খুব সকালেই শাপলা ফুল তুলতে আসেন শিশু-কিশোরসহ বড়রা। এখান থেকে শাপলা তুলে অনেকে ঘরে নিয়ে রান্না করেন। অল্প আয়ের মানুষেরা আবার বাজারে বিক্রি করে থাকেন।
ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে যুগ যুগ পার করার সাধ কার না হয়! বিয়ের সময় প্রেমের প্রকাশ হিসেবে জীবনসঙ্গীকে মানুষ কতরকমই প্রতিজ্ঞা করে। ১০০ বছর একসঙ্গে কাটিয়ে দেব- আরও না জানি কত কি! কিন্তু সেই জীবনসঙ্গীর দেখাই যদি পান ১০০ বছর বয়সে, তখন?
এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ফিলাডেলফিয়ায়। ১০০ বছর বয়সের বার্নি লিটম্যান বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন ১০২ বছরের মার্জোরি ফিটারম্যানের সঙ্গে। এর মাধ্যমেই পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক নবদম্পতির রেকর্ড গড়লেন তারা। চলতি বছরের শুরুতে নতুনভাবে একসঙ্গে পথচলা শুরু করে। ৩ ডিসেম্বর এই দম্পতির নাম উঠেছে গিনেস বিশ্ব রেকর্ডে নথিতে। তাদের দু’জনের বয়সের সমষ্টি ২০২ বছর ২৭১ দিন।
শতবর্ষী এই যুগলের প্রেম শুরু হয়েছিল ফিলাডেলফিয়ার একটি বৃদ্ধাশ্রমে। তারা দুজন কাছাকাছিই বসবাস করতেন। নয় বছর আগে তাদের একটি অনুষ্ঠানে দেখা হয় এবং শিগগিরই তারা প্রেমে পরে যান। যে অ্যাপার্টমেন্টে তাদের একসাথে যাত্রা শেুরু হয়েছিল সেখানেই তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ১৯ মে।
বার্নি এবং মার্জোরি দু’জনেই আর্থিকভাবে স্বচ্ছল জীবন-যাপন করেছেন। তাদের আগের জীবনসঙ্গী মারা যাওয়ায় আগে দু’জনেই ৬ দশক সংসারজীবনে আবদ্ধ ছিলেন। যদিও পেনিসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময় তাদের একে অপরের সঙ্গে পরিচয় ছিল। তখন তারা জানতেন না ভাগ্য তাদের দেরীতে হলেও একই পথে নিয়ে এসে একে অপরের সঙ্গী করে তুলবে।
পেশাগতভাবে বার্নি ছিলেন একজন প্রকৌশলী। অপরদিকে মার্জোরি শিক্ষকতার পেশায় জীবন অতিবাহিত করেছেন। বিয়ের দিন বার্নির নাতনি সারাহ সিকারম্যান ইহুদি ক্রোনিক্যালকে জানান,‘পৃথিবী অসংখ্য দুঃখ আর ভয়ে পরিপূর্ণ। এরমধ্যেও, এমনকিছু করতে পারা আসলেই ভালো, যা অন্যদের জীবনে আনন্দ এনে দেয়।
রাব্বি অ্যাডাম ওহলবার্গ ছিলেন বার্নি এবং মার্জোরির বিয়ের দায়িত্বে। ফক্স নিউজের সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন , ‘আজকাল যাদের বিয়ে হয়, তাদের বেশিরভাগই কোনো ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে পরিচিয় হয়৷ আমার ব্যক্তিগতভাবে আগের পদ্ধতিগুলোই পছন্দ। একই এলাকা বা বিল্ডিংয়ে থেকে পরিচয়। তারপর একে অন্যের জীবনে আগমন এবং অবশেষে প্রেমে পড়া।’
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একসঙ্গে যাওয়া এবং একে অপরের জন্য খাবার-দাবার ভাগাভাগি করার মাধ্যমে তাদের সম্পর্ক গভীর হতে থাকে। দুই পরিবারের উপস্থিতিতে ব্যক্তিগত আয়োজনে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বার্নির ইহুদি পরিবারের ৪ প্রজন্মের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হয়। দু’জনেই হুইলচেয়ারে করে বিয়ের অনুষ্ঠানে গেলেও , নতুন জীবন শুরু করার আনন্দের কোনো কমতি ছিল না বার্নি এবং মার্জোরির।
ফুটবল জগতে মেসি-রোনালদো জনপ্রিয় দুই তারকা। এই দুইজনের মতো তারকা ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন প্রায় প্রত্যেক তরুণ ফুটবলারের। অন্যান্য তরুণদের মতো প্রিয় তারকা রোনালদো মতো বিশ্বখ্যাত ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বেড়ে উঠছিলেন ১৪ বছর বয়সী এক কিশোর। বিশ্ববিখ্যাত হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে নিয়মিত চর্চা আর কঠোর পরিশ্রমও করতেন তিনি।
কিন্তু পাহাড়সম স্বপ্ন তার অধরা-ই রয়ে গেলো। শত্রুপক্ষের গুলিতে ফুটবল মাঠেই অপূর্ণ স্বপ্ন চোখে নিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন নাজি আল-বাবা নামের ১৪ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি কিশোর।
‘নাজি‘ নামের অর্থ উত্তরজীবী বা যে বেঁচে থাকে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে বেঁচে থাকার পরিবর্তে আজ কিশোর অন্ধকার কবরে।
ফিলিস্তিনের উত্তর হেব্রনে বাবা-মা এবং ৫ ভাইবোনের পরিবারে বসবাস করতো নাজি। প্রতিদিন স্কুলের ক্লাস শেষে বন্ধুদের সাথে ফুটবল প্র্যাকটিসে যেতেন হালহুলের খেলার ক্লাবে।
প্রতিদিনের মতো গত ৩ নভেম্বর স্কুল শেষে দুপুর ১২টা নাগাদ বাবার সাথে বাড়ি ফিরে নাজি। সেদিন বাড়িতে নাজির পছন্দের খাবারও রান্না করেছিল ওর বোনেরা। স্কুল থেকে ফিরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রায় আধঘণ্টা সময় দেয়। এরপর বিকাল ৩টার দিকে খেলার জন্য বাসা থেকে বেরিয়ে যায় নাজি। এই প্রস্থানই ছোট্ট এই কিশোরের বাসা থেকে শেষ প্রস্থান।
নাজির বাবা নাদিম জানান, সাড়ে ৩ টার দিকে নাজির চাচাতো ভাই দৌড়ে এসে চিৎকার করে আমাকে ডাকতে থাকে। সে বলে, জঙ্গলের কাছে খেলতে থাকা কিছু শিশুদের উপর ইসরায়েলি সৈন্যরা গুলি চালাতে শুরু করেছে। সেখানে নাজিও আঘাত পেয়েছে। আমরা সামান্য আঘাতই ভেবেছিলাম। গিয়ে দেখি আমার ছেলে আর নেই।
তিনি আরও বলেন, আমি এবং আমার ভাই সামির ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আমার ছেলেকে চাইলাম। প্রায় ১০ জন সৈন্য আমাদের উপর হিংস্রভাবে হামলা করে এবং আমার হাতও ভেঙে দেয়।‘
নাজিকে মেরে ফেলার কারণ জানতে চাইলে ইসরায়েলি সৈন্যরা জানান, নাজি ফিলিস্তিনের নিষিদ্ধ এলাকায় প্রবেশ করেছিল।
এছাড়া, প্রথমদিন নাজির লাশের কাছেও তার পরিবারের সদস্যদের যেতে দেয়নি ইসরায়েলি সৈন্যরা। পরের দিন হাসপাতাল থেকে লাশ নিতে পেরেছে নাজির বাবা।
নাজির পরিবার এখনো বাড়ন্ত বয়সের ছেলেটিকে হারানোর শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি। হাস্যোজ্জ্বল সেই ছেলেটি আর নেই! নিজের শরীরের একটি অংশ যেন চিরতরে হারিয়ে ফেলেছেন নাজির মা সামাহার আল-জামারা।
শীত মানেই বিয়ের মৌসুম। বছরের শেষ সময়ে ছুটি থাকায় সুযোগটা অনেকেই কাজে লাগিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। অনেকে বিয়েতে নানারকম মজার কাণ্ড ঘটে, অনেক ঘটনা আবার ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে। তেমনই এক মজার কাণ্ড ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাটি ভারতের কোলকাতার একটি বিয়ের দৃশ্য।
বিয়ের পিঁড়িতে বসেও বিয়েতে নয় বরং খেলায় মন বরের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক ইউজারের অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি শেয়ার করা হয়। দেখা যায়, বিয়ে করতে বসেছে নতুন বর। পেছনে তার বন্ধুরা বসে বিয়ে উপভোগ করছে। সেসময় পুরোহিতের বলা মন্ত্রপাঠে নয়, বরের মন রয়েছে অন্যদিকে।
সামনে বিয়ের যজ্ঞ রেখে পিঁড়িতে বসেই পেছনে ঘুরে লুডু খেলায় ব্যস্ত হয়ে রয়েছে বর। সামনে পুরোহিত, বিয়ের ফটোগ্রাফারসহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজন যার যার কাজে ব্যস্ত, অন্যদিকে বরের জীবনে গুরুত্ব পাচ্ছে অন্যকিছু। একেই বুঝি বলে,‘ যার বিয়ে তার হুঁশ নেই, পাড়াপড়শির ঘুম নেই!’ সর্বশেষ তথ্যমতে ছবিটি ৪ লাখ ৬৫ হাজার ভিউ পেয়েছে।
ছবিটি প্রকাশ পাওয়ার পর এক্স ইউজারদের মধ্যে হাসির বন্যা বয়ে যায়। পোস্টের কমেন্টে অনেকেই তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। একজন লিখেছেন, ‘ভাইয়ের নিজস্ব অগ্রাধিকার রয়েছে।’
‘এটি একটি বাঙালি বিয়ে। তাকে সত্যিই দোষারোপ করা যায় না। কারণ বাঙালি বিয়ের নিয়মকানুন বেশ অনেক সময় ধরে চলতে থাকে।’ এই কমেন্টের উত্তরে আরেকজন বলেছেন, ‘ভাবুন, একদিন আপনার সন্তানদের এই ছবির ঘটনা বর্ণনা করে বোঝাতে হচ্ছে!’
এছাড়াও নিজের পছন্দের ব্যাপারকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য কেউ কেউ তার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে বিয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে মনোযোগ না দেওয়ায় কেউ কেউ তার উপর বিরক্তিও প্রকাশ করেছে।
একজন বলেছেন,‘আমি যদি নববধূ হতাম, তবে এখান থেকে আমি পালিয়ে যেতাম।’ আরেক ব্যবহারকারী সেখানে সহমত প্রকাশ করে উত্তর দিয়েছেন, ‘সত্যি! নিজের ঐতিহ্যকে সম্মান করুন। সব কাজের একটা মানানসই জায়গা আর সময় থাকে।’
কালো জলরাশির ওপর একের পর এক সাজানো নৌকায় রঙিন সবজিতে ভোরের সূর্যের কিরণ সোনালি রং দেওয়ার চেষ্টা করলেও, আশেপাশের ময়লা আবর্জনায় তা মলিন। তবে যুগের পর যুগ এই নোংরা পানি আর আবর্জনায় মাঝেই সোনালি বাণিজ্য অন্য জুটিয়েছে দিন মজুররা। বুড়িগঙ্গার এই কালো জলের স্রোত কাউকে বানিয়েছে কোটিপতি, আবারও কারও মাথার ঝুড়ির বোঝা দ্বিগুণ করেছে। তবে বাণিজ্যের কদর খুব একটা হেরফের হয়নি এখানে।
বুড়িগঙ্গার নৌ-পথকে পুঁজি করে ১৭৪০ সালে ঢাকার নায়েবে নাজিম নওয়াজিশ মোহাম্মদ খানের সময় ফরাসি বণিকদের প্রতিষ্ঠিত ছোট্ট ‘গঞ্জ’ বা ‘বাজার’ প্রায় ৩০০ বছর ধরে বাণিজ্য ধরে রেখেছে। কালের বিবর্তনে বাণিজ্যের ধরণ বদলেছে। বদলেছে ব্যবসার রঙ। গঞ্জের নামও হয়েছে বৃহৎ 'শ্যামবাজার'।
রাত হলেই ব্যস্ততা শুরু হয় এই শ্যাম বাজারে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পণ্যবাহী ট্রাক আসে। ব্যস্ততা শুরু হয় শ্রমিকদের। নাম মাত্র শ্রমের মূল্যের রাতভর বস্তা টানে দীন-দারের কঠোর দেহ। তবে প্রাচীন নৌপথ ধরে এখনো পণ্য আসে শ্যামবাজারে। যা অনেকটা কৃষকের খেতের টাটকা সবজি নাম পরিচিত। ভোরের আলো ফুটতেই দৃশ্যমান হয় সেই ভাসমান বাণিজ্যের।
বর্তমানে খেয়ানৌকা, লঞ্চ ও স্টিমারের শ্যামবাজার ঘাটের জায়গা দখল করে নিয়েছে সড়কপথে ট্রাক, বাস। তবুও এখনো নৌপথে বিক্রমপুর, মাদারীপুর, বরিশাল, শরীয়তপুর, চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ থেকে কৃষিপণ্য আসে শ্যামবাজার ঘাটে।
পণ্য খালাসের সাথেই ব্যবসায়ীরা জড়িয়ে পড়ে দর-দামের তর্কে। সবজির দামে জিতে নৌপথেই বাণিজ্যের পরের গন্তব্য খোঁজে অনেকে৷ তবে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী স্থানীয় মিন্তির সাহায্য নিয়ে পণ্য তোলে সড়কে। সেখান থেকেই এসব পণ্যের যাত্রা শুরু হয় ভোক্তার নীড় পর্যন্ত।
শ্যামবাজার এই ঘাট ঘিরে ভাসমান মানুষের আনাগোনা যেমন তেমনি ক্ষুদ্র ব্যবসায় সংসারের হাল ধরেছে অনেকে। তাদের মধ্যে হামিলা (ছদ্মনাম) একজন। হালিমার বাহারী চিতই পিঠার স্বাদ নিয়ে সকালের শুরু হয় এই ঘাটের মাঝি ও ব্যবসায়ীদের।
ছিন্নমূল মানুষও বাণিজ্য খোঁজে এই শ্যামবাজার ঘাটে। বুড়িগঙ্গার পানিতে ভাসা সবজিই তাদের পুঁজি। কুড়ানো সবজিতেই লাভ খোঁজে আকলিমা-মনিরা মত নারীরা। সবজি কুড়িয়ে প্রক্রিয়াজাত করে বাদ দিয়ে যা থাকে তা বিক্রি করে ঘরে ফিরে তারা। আবারও ফজরের আজানের সাথে ঘাট দখলে বের হয় আকলিমা-রা ।
প্রকৃতির বৈচিত্র্যতায় নানা মনের মানুষ ঘুরে বেড়ায় পথে প্রান্তরে। তবে আবুল কালাম ভিন্ন। কয়েক যুগ কাটিয়ে দিয়েছেন এই শ্যামবাজারে। ছেড়া গেঞ্জির দিকে নজর না থাকলেও চশমা আর টুপি তার সাজের প্রধান উপকরণ। মর্তের রাজনীতিতে তার খেয়াল নেই। কোনো রকম দিন গেলেই নতুন আনন্দের খোঁজ করেন তিনি। দুঃখ কষ্ট অনুভূতি খুব একটা নেই তার। প্রকৃতির মাঝে অন্তত উপলব্ধির জন্য হলেও প্রয়োজন আছে এমন মানুষেরও!
আগে রাজধানী ঢাকার ব্যবসা বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু ছিল এই শ্যাম বাজার। তবে কারওয়ান বাজার, যাত্রাবাড়ী, মোহাম্মদপুর, টঙ্গি, বাইপাইল, মিরপুর, মহাখালীতে পাইকারি বাজার গড়ে ওঠার কারণে জৌলুস কমেছে শ্যামবাজারের।
যদিও এখনো রাজধানীর সব থেকে বড় ও প্রাচীন পাইকারি বাজারের আড়ত এই শ্যামবাজারই। গড়ে উঠেছে পেঁয়াজ রসুনের বড় বড় আড়ত। মূলত ভিনদেশ থেকে নৌপথেই এসব পেঁয়াজ রসুন আসে এখানে৷ শ্যামবাজারের পর্যটক গাড়িও যেন পরিণত হয়েছে গণপরিবহণে। সব মিলে জৌলুশ ধরে টিকে থাকার লড়াই করছে এক সময়ের গঞ্জের ঐতিহ্য।