প্রতিদিন এক বোতল বেবি পাউডার খান যে নারী!

  • ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

পৃথিবীতে খাওয়ার জন্য কত হাজারও রকমের সুস্বাদু খাবারই না রয়েছে, কিন্তু এসব বাদে কাউকে বেবি পাওডার খেতে দেখেছেন? কিংবা শুনেছেন? আশ্চর্য মনে হলেও এই ঘটনাই ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।

ড্রেকা মার্টিন নামে এক মার্কিন নারী প্রতিদিন জনসনের বেবি পাউডার খেতে পছন্দ করেন বলে স্বীকার করেছেন। সংবাদমাধ্যম মিররের বরাতে ড্রেকার এই বেবি পাউডার খাওয়ার খবর প্রকাশ করেছে এনডিটিভি।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৭ বছর বয়সী ড্রেকা মার্টিন যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের নিউ অর্লিন্সের বাসিন্দা। দিনে ৬২৩ গ্রামের গোটা এক বোতল জনসন অ্যালোভেরা এন্ড ভিটামিন ই বেবি পাউডার খাওয়ার অভ্যাস তার। এ বছর এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ডলারের বেবি পাউডার খেয়েছেন তিনি।

ড্রেকা মার্টিন বলেছেন, ‘প্রথমে তিনি তার বাচ্চাদের গোসল করার পরে পাউডারের স্বাদ কেমন তা বোঝার জন্য কৌতুহলবশত একটু চেখে দেখেছেন। কিন্তু তারপরে তিনি এই পাউডার স্বাদের লোভে পরে যান।। পরবর্তীতে এটা তার অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়’।

বিজ্ঞাপন

এই অদ্ভুত রকমের খাবারের অভ্যাস ত্যাগ করার বিষয়ে জানতে চাইলে ড্রেকা বলেন, তিনি বরং "স্বাভাবিক খাবার" ছেড়ে দিবেন কিন্তু এই পাউডার খাওয়ার অভ্যাস ছাড়তে পারবেন না। জনসনের এই সাদা পাউডারের স্বাদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘এটি মুখে দিতেই গলে যায়’।

শিশুদের ত্বকের জন্য জনসনের বেবি পাউডার তৈরি করা হলেও এতদিন ধরে পাউডার খেয়ে হজমের কোন সমস্যা হয়নি বলে জানিয়েছেন ড্রেকা। বেবি পাউডার খাওয়া এক ধরনের আসক্তিতে পরিণত হয়েছে।

ড্রেকা নিজের পাউডার আসক্তি নিয়ে বলেন, ’আমি বেবি পাউডার খেতে খুবই ভালবাসি। এর যেমন গন্ধ, তেমন স্বাদ। খেতে খুব ভাল লাগে আমার। তবে আমি পাউডার খাওয়া ছাড়তে চাই, কিন্তু আমি পারছিই না’।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে পরিবারের কেউ এ বিষয়টা জানতো না। কিন্তু ২ মাস ব্যবহার করা পাউডারের বোতল যখন ১ সপ্তাহেই শেষ হয়ে যাওয়া শুরু করল তখন আমার মা বিষয়টি ধরে ফেলে। এরপর আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুরা আমাকে বোঝায়, পাউডার খেলে আমি অসুস্থ হয়ে যাবো। আমিও তাদের কথায় চেষ্টা করেছি পাউডার না খেতে। কিন্তু এটা এতো সহজ না, আমি এখনো গন্ধ শুঁকি, এরপর আর নিজেকে আটকাতে পারি না। এমনকি যদি আমি ভ্রমণ করি তখনও আমার সবসময় বেবি পাউডার দরকার হয়। আমি অন্তত তিনটি বোতল প্যাক করে নিয়ে যায় যাতে আমার ফুরিয়ে না যায়’।

পেশায় একজন মেকআপ আর্টিস্ট ড্রেকা অবশ্য নিজের অভ্যাস নিয়ে চিন্তিত না হলেও তার ছোট্ট শিশুকে নিয়ে শঙ্কিত। ছেলে যদি তাকে অনুকরণ করে এই নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে এই উদ্বেগ থাকলেও আপাতত ড্রেকা বেবি পাউডার খাওয়া ছাড়বেন, এমন কোনো পরিকল্পনা তার নেই বলে জানান।