আমাদের বন কপোত



ড. আ ন ম আমিনুর রহমান, পাখি ও বন্যপ্রাণী প্রজনন ও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে একজোড়া জালালি কবুতর। ছবি: লেখক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে একজোড়া জালালি কবুতর। ছবি: লেখক

  • Font increase
  • Font Decrease

পায়রা শান্তির প্রতীক। কবুতর বা কপোত নামেও পরিচিত। জানামতে, রোমানরাই সর্বপ্রথম পায়রাকে ‘শান্তির প্রতীক’ হিসেবে গণ্য করা শুরু করে। মানুষ ও পায়রার সম্পর্ক অতি প্রাচীনকালের। জীববিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, পায়রার সঙ্গে মানুষের প্রথম পরিচয় ঘটে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার বছর আগে। প্রায় দুই হাজার বছর আগে বুনো পায়রাকে পোষ মানিয়ে গৃহে পালন শুরু হয়। তবে, এ নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তাছাড়া প্রথম কোথায় পায়রাকে পোষ মানানো হয়েছিল তা নিয়েও রয়েছে মতপার্থক্য। কেউ বলেন লিবিয়ায়, কেউ বলেন ব্যাবিলনে, আবার কেউ বলেন মিশরে। মুসলিম সুফি সাধক ও ইসলাম ধর্ম প্রচারক হযরত শাহজালাল (রঃ) এদেশে আসার সময় সঙ্গে করে পায়রা নিয়ে এসেছিলেন, সেগুলোর বংশধররাই আজ ‘জালালি কবুতর’ নামে পরিচিত। কাজেই আমাদের দেশে বুনো পায়রা প্রজাতির কোনো মূল বংশধারা আছে কি-না সন্দেহ? এদের প্রায় সবগুলোই প্রকৃতিতে ফিরে যাওয়া জালালি কবুতরের বংশধর, যারা অনেকটা না বুনো, না পোষা স্বভাবের। তাই এগুলোকে উপপ্রাকৃতিক পায়রা (Feral Pigeon) বলা যেতে পারে।

পায়রা বা কপোত কোলাম্বিফরমেস (Columbiformes) বা পারাবত বর্গের পাখি। এদের আকার ছোট থেকে মাঝারি, দেহ তুলনামূলকভাবে ভারি, মাথা ছোট, ঠোঁট ও পা খাটো। ওড়ার পেশি বেশ শক্তিশালী। তাই বেশ দ্রুত ও দীর্ঘক্ষণ উড়তে সক্ষম। লেজ হাতপাখার মতো বিস্তৃত। এদেশে পারাবত বর্গে কোলাম্বিডি (Columbidae) বা কপোত নামে একটিমাত্র গোত্র রয়েছে। পায়রা ও ঘুঘু এই গোত্রের সদস্য। এদের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে নিজেদের গলার থলিতে উৎপন্ন ক্ষীরের মতো অর্ধতরল দুধ খাইয়ে ছানাদের বড় করে তোলে যা ‘পায়রা বা ঘুঘুর দুধ (Crop/Pigeon/Dove Milk)’ নামে পরিচিত। বিশ্বব্যাপী এই বর্গ ও গোত্রে মোট ৩৬৫টি প্রজাতি রযেছে, যার মাত্র ১৮টি এদেশে বাস করে। এই ১৮টি প্রজাতির মধ্যে ১০টি কপোত ও ৮টি ঘুঘু প্রজাতি। এদেশের সবগুলো প্রজাতির কপোতই আবাসিক অর্থাৎ এদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করে। এদের মধ্যে ৭টি প্রজাতিই সবুজ কপোত। এখানে আমাদের বন কপোতগুলোর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেয়া হলো।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে একজোড়া জালালি কবুতর। ছবি: লেখক

এক. বুনো পায়রা (Blue Rock/Rock/Common Pigeon)

এরা জালালি কবুতর, জংলা কবুতর, বুনো কবুতর, কপোত বা গোলা পায়রা (পশ্চিমবঙ্গ) নামেও পরিচিত। পুরো দেশব্যাপী বিস্তৃত ও বহুল দৃশ্যমান আবাসিক কবুতরটির বৈজ্ঞানিক নাম Columba livia (কোলাম্বা লিভিয়া)। প্রাকৃতিকভাবে বুনো পায়রা পশ্চিম ও দক্ষিণ ইউরোপ, উত্তর আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার বাসিন্দা। দেহের দৈর্ঘ্য ২৯ থেকে ৩৭ সেন্টিমিটার, প্রসারিত অবস্থায় ডানা ৬২ থেকে ৭২ সেন্টিমিটার ও ওজন ২৩৮ থেকে ৩৮০ গ্রাম।

সুন্দরবনের আন্ধারমানিক-এ কমলাবুক হরিয়াল দম্পতি। ছবি: লেখক 

দুই. গোলাপি কবুতর (Pale-capped/Purple Wood Pigeon)

গোলাপি কবুতর এদেশের সবচেয়ে বিরল ও মহাবিপন্ন প্রজাতির কপোত। বৈজ্ঞানিক নাম Columba punicea (কোলাম্বা পুনিসিয়া)। সূত্রমতে, ১৯৮৮ ও ১৯৮৯ সালে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে এদেরকে দেখা গেছে। বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বৈশ্বিক বিস্তৃতি রয়েছে। আমি বহুবার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে গেলেও কখনোই গোলাপি কবুতরের সন্ধান পাইনি।

হবিগঞ্জের কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে একটি ছোট হরিয়াল। ছবি: লেখক 

তিন. কমলাবুক হরিয়াল (Orange-breasted Green Pigeon)

এটি হরিকল নামেও পরিচিত। পশ্চিমবঙ্গে বলে গোলা পায়রা। এদেশের সচরাচর দৃশ্যমান আবাসিক বন কপোতটির বৈজ্ঞানিক নাম Treron bicinctus (ট্রেরন বিসিঙ্কটাস)। বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ, যেমন- পাকিস্তান, ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, লাওস, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় এরা বাস করে। প্রাপ্তবয়স্ক কমলাবুক হরিয়ালের দৈর্ঘ্য ২৯ থেকে ৩৩ সেন্টিমিটার ও ওজন ১৫৫ থেকে ১৯৪ গ্রাম। 

হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে একটি হরিকল। ছবি: লেখক 

চার. ছোট হরিয়াল (Ashy-headed/Pompadour Green Pigeon)

এরা এদেশের সচরাচর দৃশ্যমান আবাসিক পাখি। হরেল, লোনা হরেল বা ধূসরমাথা হরিয়াল (পশ্চিমবঙ্গ) নামেও পরিচিত। বৈজ্ঞানিক নাম Treron phayrei (ট্রেরন ফাইরেই)। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ, যেমন- ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ চীন, লাওস, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনে দেখা যায়। ছোট হরিয়ালের দৈর্ঘ্য ২৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার ও গড় ওজন ১৩০ গ্রাম। 

সাভারস্থ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি বটকল। ছবি: লেখক 

পাঁচ. হরিকল (Thick-billed Green Pigeon)

অন্যান্য বন কপোতের তুলনায় এর ঠোঁট কিছুটা মোটা বলে পশ্চিমবঙ্গে এটি ঠোঁটমোটা হরিয়াল নামে পরিচিত। দেশের সচরাচর দৃশ্যমান আবাসিক পাখিটির বৈজ্ঞানিক নাম Treron curvirostra (ট্রেরন কার্ভিরস্ট্রা)। ভারতের পূর্বা ল থেকে নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ হয়ে চীন থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন পর্যন্ত পাখিটির আবাস এলাকা বিস্তৃত। হরিকলের দৈর্ঘ্য ২৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার ও ওজন ১৭০ থেকে ১৯০ গ্রাম। 

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের হরিয়াল দম্পতি। ছবি: লেখক 

ছয়. বটকল (Yellow-footed/Yellow-legged Green Pigeon)

বটকল এদেশের বহুল দৃশ্যমান আবাসিক বন কপোত। এছাড়াও এটি হরিতাল, বড় হরিয়াল, হলদে পা হরিয়াল বা হলদে পা সবুজ কপোত নামে পরিচিত। পশ্চিমবঙ্গে বলে হরিয়াল। বৈজ্ঞানিক নাম Treron phoenicoptera (ট্রেরন ফিনিকপটেরা)। বাংলাদেশ ছাড়াও পাকিস্তানের পূর্বা ল থেকে পুরো ভারত হয়ে নেপাল, ভুটান, দক্ষিণ চীন, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম পর্যন্ত বিস্তৃত। প্রাপ্তবয়স্ক বটকলের দেহের দৈর্ঘ্য ৩৩ থেকে ৩৫ সেন্টিমিটার ও ওজন ২২৫ থেকে ২৬০ গ্রাম।

রাঙ্গামাটির কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে একটি ধূমকল। ছবি: লেখক 

সাত. লেজচোখা হরিয়াল (Pin-tailed Green Pigeon)

লেজচোখা হরিয়াল এদেশের বিরল ও স্বল্প ঝুঁকিসম্পন্ন প্রজাতি। হরিকল বা কোখলা (পশ্চিমবঙ্গ) নামেও পরিচিত। বৈজ্ঞানিক নাম Treron apicauda (ট্রেরন অ্যাপিকডা)। সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের মিশ্র চিরসবুজ বনে বাস করে। তবে কাপ্তাই, সাতছড়ি বা লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অনেক খুঁজেও বন কপোতটির দেখা পাইনি। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, ভুটান, নেপাল, দক্ষিণ চীন, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম প্রভৃতি দেশে বিস্তৃত। প্রাপ্তবয়স্ক কপোতের দৈর্ঘ্য ৩২ থেকে ৩৬ সেন্টিমিটার ও ওজন ১৮৫ থেকে ২৫৫ গ্রাম। 

আাট. হরিয়াল (Wedge-tailed/Kokla Green Pigeon)

এটি এদেশের এক বিরল আবাসিক বন কপোত। পশ্চিমবঙ্গে কীলক হরিয়াল নামে পরিচিত। বৈজ্ঞানিক নাম Treron sphenurus (ট্রেরন স্ফেনুরাস)। বাংলাদেশ ছাড়াও হিমালয়ের পাদদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পার্বত্যা ল থেকে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত। দেহের দৈর্ঘ্য ৩০ থেকে ৩৩ সেন্টিমিটার ও ওজন ২০৫ থেকে ২১৪ গ্রাম।

নয়. ধূমকল (Green/Northern Green Imperial Pigeon)

ধূমকলের অন্য নাম রাজ হরিয়াল। আমাদের এই আবাসিক পায়রাটি পশ্চিমবঙ্গে ডুকল বা সোনা কবুতর নামে পরিচিত। বৈজ্ঞানিক নাম Ducula aenea (ডুকুলা ইনিয়া)। ভারতের পূর্বা ল থেকে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত। ধূমকল বড় আকারের বন কপোত। প্রাপ্তবয়স্ক পাখির দৈর্ঘ্য ৪০ থেকে ৪৭ সেন্টিমিটার ও ওজন ৩৬৫ থেকে ৬৪৫ গ্রাম।

দশ. ডুকল (Mountain Imperial Pigeon)

এটি এদেশের এক বিরল ও স্বল্প ঝুঁকিসম্পন্ন আবাসিক বন কপোত। আমার অদেখা বন কপোতটি পাহাড়ি ধূমকল নামেও পরিচিত। বৈজ্ঞানিক নাম Ducula badia (ডুকুলা বাডিয়া)। এদেশে এটিকে কেবলমাত্র চট্টগ্রাম বিভাগের মিশ্র চিরসবুজ বনে দেখা যায়। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান, চীনের দক্ষিণা ল, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও সুমাত্রায় বৈশ্বিক বিস্তৃতি রয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক কপোতের দৈর্ঘ্য ৪০ থেকে ৪৭ সেন্টিমিটার।

জালালি কবুতর বাদে বাকি সব বন কপোত চিরসবুজ, পত্রঝরা ও বাদা বন এবং গ্রামীণ বন ও ফলের বাগানে বিচরণ করে। সচরাচর ছোট থেকে মাঝারি বা বড় দলে ফলদ গাছের উপর হেঁটে হেঁটে বট, পাকুর, ডুমুর ও অন্যান্য ছোট রসালো ফল খায়। এছাড়াও শস্য দানা ও বীজও খেতে পারে। পানি পান ও লবণাক্ত মাটি খাওয়া ছাড়া সচরাচর মাটিতে নামে না। অবশ্য জালালি কবুতর মাটিতে হেঁটে হেঁটে শস্যবীজ ও শস্যদানা খুঁটে খায়।

জালালি কবুতর সারাবছরই প্রজনন করে; পুরনো ধ্বংসাবশেষ, দরদালানের ফাঁকফোকর ও লোকালয়ে দল বেঁধে কাঠিকুটি দিয়ে বাসা বানায়। তবে বন কপোত প্রজাতিভেদে মার্চ থেকে আগস্ট মাসে প্রজনন করে। গাছের ডালে কাঠিকুটি দিয়ে ঘুঘুর থেকে কম ঢিলেঢালা ও বেশি গভীর বাসা বানায়। সচরাচর সাদা রঙের দুটি ডিম পাড়ে। অবশ্য কোনো কোনো প্রজাতি একটি ডিমও পেড়ে থাকে। পায়রা-পায়রি দুজনেই পালাক্রমে ডিমে তা দেয়। প্রজাতিভেদে ১২ থেকে ১৫ কিংবা ২১ দিনে ডিম ফোটে। বাবা-মা দুজনেই ছানাদের পায়রার দুধ খাইয়ে বড় করে তোলে। ছানারা প্রজাতিভেদে ১০ থেকে ১৩ দিন কিংবা ২১ থেকে ২৮ দিনে উড়তে শিখে। আয়ুষ্কাল প্রজাতিভেদে ৪ থেকে ৭ বছর। 

সুন্দরবনে পাখির খোঁজে লেখক 

লেখক: অধ্যাপক, বন্যপ্রাণী প্রজনন ও সংরক্ষণ এবং প্রজননতান্ত্রিক জৈব-প্রযুক্তি গবেষণাগার গাইনিকোলজি, অবস্টেট্রিক্স অ্যান্ড রিপ্রোডাক্টিভ হেলথ বিভাগ ও বিশেষজ্ঞ প্রাণিচিকিৎসক, ভেটেরিনারি টিচিং হসপিটাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর। 

E-mail: [email protected], [email protected]

   

সম্মানসূচক ডি. লিট উপাধি পেল 'বিড়াল'!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে 'ম্যাক্স' নামের একটি বিড়ালকে সম্মানসূচক ‘ডক্টরেট অব লিটারেচার’ বা ডি. লিট উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। দেশটির ভারমন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের স্নাতক অনুষ্ঠানে বিড়ালটিকে এই সম্মানসূচক ডিগ্রি দেওয়া হয়। তবে সেই অনুষ্ঠানে বিড়ালকে আমন্ত্রণ জানানোর নিয়ম না থাকায় উপস্থিত ছিল না ম্যাক্স। 

বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষ বলছে, অনুষ্ঠানে বিড়ালটি উপস্থিত ছিল না। তাই বিড়ালের মালিক অ্যাশলে ডোর কাছে খুব শিঘ্রই এই ডিগ্রি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।   

বন্ধুসুলভ এই বিড়ালটিকে তার ইঁদুর শিকারের দক্ষতা বা অতিরিক্ত ঘুমানোর জন্য নয় বরং তার সহচার্যের জন্যই স্বীকৃতি দিয়েছে।   বিড়ালটিকে এই ডিগ্রিতে ভূষিত করা হয়। ভারমন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির ক্যাসেলটন ক্যাম্পাস।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সম্মানসূচক ডি. লিট উপাধি পেল 'বিড়াল'!

বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি ফেসবুক পোস্টের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ম্যাক্স দ্য ক্যাট, অনেক বছর ধরেই ক্যাসেলটন পরিবারের একজন আদুরে সদস্য। ভারমন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের প্রবেশদ্বারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া রাস্তায় পাশেই বসবাস করে এক পরিবার। বিড়ালটি সেই পরিবারেরই পোষা।

বিড়ালের মালিক অ্যাশলে ডো বলেন, ‘বিড়ালটি ঠিক করেছে সে ক্যাম্পাসে যাবে। এরপর থেকেই সে কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আড্ডা দিতে শুরু করে। আর শিক্ষার্থীরাও তাকে আদর করতে শুরু করে।’

বিড়ালটি প্রায় চার বছর ধরে ক্যাম্পাসে আসা যাওয়া করছে। বিড়ালটিকে পথের ধারে শুয়ে থাকতে দেখলেই সবাই তার সঙ্গে সেলফি নেয়।

এমনকি সাবেক ছাত্ররাও যখনই ক্যাম্পাসে আসেন তারা তখনই বিড়ালটির খোঁজ নিতে তার মালিক ডো-এর কাছে যান। ডো তাদের কাছে বিড়ালটির মা হিসেবেই বেশি পরিচিত।

;

৯৩ বছর বয়সে বৃদ্ধের অবিশ্বাস্য কর্মকাণ্ড



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বৃদ্ধ জন স্টারব্রুক

বৃদ্ধ জন স্টারব্রুক

  • Font increase
  • Font Decrease

শৈশবে খেলা, কৈশরে পড়ালেখা, যৌবনে চাকরি, মধ্যবয়সে সংসার, বৃদ্ধবয়সে একটা মাথা গোজার ঠাঁই খুঁজে অবসরে সময় কাটিয়ে দেওয়া। কপাল খারাপ থাকলে বিছানাতেই শোয়া বা আধশোয়া থেকে মৃত্যুর দিন গোণা। সাধারণত এভাবেই মানুষের জীবন কেটে যায়। অনেকে আবার মধ্যবয়সের পরেই নানারকম রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। অথবা শরীরকে বিভিন্ন রোগের আবাসস্থল বানিয়ে দুর্বল হয়েই বেঁচে থাকেন। তবে খড়ের গাদায় সূচের মতো দু-একজন থাকে যারা একেবারেই ব্যতিক্রম। তেমনভাবেই আলোচনায় এসেছেন ৯৩ বছরের এক বৃদ্ধ।  তার ব্যতিক্রমী জীবনযাপনের ধারাই আলোড়ন সৃষ্টি করেছে যুসমাজে।     

যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা জন স্টারব্রুক। তিনি একজন ওয়াটার পোলো খেলোয়াড়। এটি মূলত পানির মধ্যে বাস্কেটবলের মতো একধরনের খেলা। এইখেলার সাথে কুস্তি খেলারও কিছুটা সাদৃশ্য রয়েছে। জনের বর্তমান বয়স ৯৩ বছর। এই বয়সেও যথেষ্ট সুস্থ এবং সবল তিনি। সমবয়েসীদের যেখানে সোজা হয়ে দাঁড়াতেও ২ জনের সহায়তা লাগে, সেখানে এখনো ম্যারাথনে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি বেশ দক্ষ সাঁতারুও বটে! ৮০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সাঁতার কাটা অব্যাহত রেখেছেন তিনি।

প্রায় শতাব্দি ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধের এমন কারিশমা দেখে চোখ ছানাবড়া হবার উপক্রম। জন মূলত একজন সাঁতারু। পেশাগতভাবে না হলেও অনেক ছোটবেলা থেকেই তিনি সাঁতার কাটেন তিনি। দেশের সম্মানজনক অনেপ্রতিযোগীতায় একাধিক বার চ্যাম্পিয়নের খেতাবও জেতেন। চাকরি করেছেন ‘ব্রিটিশ আর্মি মেডিক্যাল কর্পস’-। সেখানেও সাঁতারের দক্ষতার কারণে তার বেশ সুনাম ছিল।   

ম্যারাথনে দৌড়াচ্ছেন ৯৩ বছরের জন

তবে সাঁতারের পাশাপাশি এখন ম্যারাথেনেও অংশগ্রহণ করেছেন জন। ৫২ টির বেশি ম্যারাথনের দৌড় শেষ করেছেন তিনি। জানালেন এই বয়সেও তার এমন চ্যালেঞ্জিং সব কাজের অভিজ্ঞতা। সুস্থতা ধরে রাখার রহস্যও ফাঁস করলেন সকলের কাছে। ব্রিটিশ নাগরিক জন বন্ধুদের কাছে ‘দ্য লিজেন্ডনামেই পরিচিত। একই নামে তাকে আখ্যায়িত করছে ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলো

জন স্টারব্রুক জানান, তিনি এখনো সপ্তাহের ৬ দিনই জিমে যাতায়াত করেন। বিশেষ কোনো খাদ্যাভাস নেই তার। খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি রাখতে পছন্দ করেন- এই যা। তাছাড়া প্রতিদিন সকালে পোরিজ খান তিনি। তবে তিনি কখনো ধূমপান করেননি। অ্যালকোহলও খুব সীমিত পরিমাণে সেবন করতেন। মূলত এই বয়সেও এটা সবল থাকার পেছনে বংশ পরম্পরায় পাওয়া নিজের জীন আসল কারণ- বিশ্বাস করেন জন।

কারণ যাই হোক, প্রানবন্ত এই বৃদ্ধ বিশ্ববাসীকে অবাক করেছে। তার মতোই দৃঢ় মানসিকতা ধরে রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন যুবক-যুবতীরা।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

;

প্রশ্ন আর উত্তর যেন পরস্পরের সাংঘর্ষিক!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রশ্ন থাকে এক আর তার উত্তর হয় ভিন্ন। এমন উত্তরপত্রের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়ই দেখা যায়। এবার এমনই এক উত্তরপত্রের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল হয়েছে। যা দেখে রীতিমতো সবাই অবাক! তবে এই ঘটনার জন্ম দেওয়া দেশটি বাংলাদেশ নয়, প্রতিবেশী দেশ ভারতের একটি হিন্দি পরীক্ষায় ঘটেছে এমন কাহিনী।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রকাশিত ভিডিওতে পরীক্ষার্থীর এমন উত্তর দেখে শিক্ষককেও হাসতে দেখা যায়। 

ভিডিওটি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা হয়েছে @n2154j অ্যাকাউন্টের একটি আইডি থেকে।

ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি প্রশ্ন ছিল এমন, সংযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ (যৌগিক ব্যঞ্জনবর্ণ) কী? এই প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষার্থীটি একটি খাদ্য রূপক দিয়ে উত্তর দিল: "মাটার পনির এবং সব মিশ্র সবজি একত্রিত একটি খাবার।"

আরেকটি প্রশ্ন ছিল "অতীত কাল কাকে বলে?" এর উত্তরে ওই পরীক্ষার্থি লিখেছে, "যখন অতীত আমাদের অতীতের আকারে আসে, তখন তাকে অতীত কাল বলা হয়।"

ভিডিও অনুযায়ী আরও একটি প্রশ্ন ছিল "বহুবচন কাকে বলে?" এর উত্তরে সে লিখেছে "যে পুত্রবধূ তার শ্বশুরবাড়ির কথা শোনে তাকে বহুবচন বলে।"

শিক্ষার্থীটির এমন উত্তর শুনে হাসিতে ফেটে পড়েন শিক্ষক। এমন উত্তরগুলোকে শিক্ষক ভুল হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। যদিও এমন উত্তরের জন্য তাকে পুরোপুরি হতাশ করা হয়নি। তাকে ১০ মার্কের মধ্যে ৫ নম্বর দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষক পরে তার উত্তরপত্রে লিখে দিয়েছিলেন, এই ৫ মার্ক তোমার মস্তিষ্কের জন্য, ছেলে।

ভিডিওটি দেখে সবাইকে হাসির ইমোজি দিতে দেখা যায়। সম্পূর্ণ নম্বর না পাওয়ায় অনেকেই যুক্তি দিয়ে লিখেছেন, ছাত্রটি তার কৌতুক প্রতিভার জন্য পূর্ণ নম্বর পাওয়ার যোগ্য।

তবে এমন ঘটনা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছেন, ছাত্র এবং শিক্ষকের হাতের লেখা সন্দেহজনকভাবে একই রকম।

অন্য এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, "প্রশ্ন এবং উত্তর একই হাতের লেখা"। 

;

ফেনী শহরে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া



মোস্তাফিজ মুরাদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

'কৃষ্ণচূড়ার রাঙা মঞ্জুরি কর্ণে-আমি ভুবন ভুলাতে আসি গন্ধে ও বর্ণে' জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই মনোমুগ্ধকর গানে ফুটে উঠেছে কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য। কৃষ্ণচূড়া যেন প্রকৃতিকে দান করেছে লাল আভার অপরূপ সৌন্দর্যের মহিমা। সাথে গ্রীষ্মের উত্তাপে শহরে সৌরভ ছড়াচ্ছে নানা জাতের ফুল। তীব্র তাপদাহের পর কালবৈশাখী, এরপর মাঝারি বৃষ্টির মধ্যে ফুলের আগমন। এতে রঙের উল্লাসে মেতে উঠেছে ফেনী শহরবাসী।

ফেনী শহরের কোর্ট বিল্ডিং, এলজিইডি, পুলিশ লাইন, নবীন চন্দ্র সেন কালচারাল সেন্টার, ফেনী সরকারি কলেজ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ফুটে আছে কৃষ্ণচূড়া। এটি একদিকে প্রকৃতিকে যেমন সাজিয়েছে অপরূপ সৌন্দর্যে, অন্যদিকে এর সৌন্দর্য মুগ্ধ করছে তরুণ-তরুণী, নানা শ্রেণি-পেশার মানুষসহ ফুলপ্রিয় পথচারীদের। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে, সরকারি দফতরসহ স্কুল-কলেজে কৃষ্ণচূড়া গাছের লাল ও উজ্জ্বল সবুজ পাতার সংমিশ্রণ দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে চারপাশ।


কৃষ্ণচূড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ফুলের ঘ্রাণে মুখরিত হয়ে আছে পুরো শহর। শহরের মূল সড়কের ডিভাইডারে পৌরসভার উদ্যোগে লাগানো হাসনাহেনা, রজনিগন্ধা, গন্ধরাজসহ নানা জাতের ফুল গাছে ফুল ফুটেছে। এটি একদিকে বাড়িয়েছে সৌন্দর্য অন্যদিকে হেঁটে কিংবা রিকশায় চলাচল করলে পাওয়া যায় এসব ফুলের সুঘ্রাণ।

ফেনী শহরের কৃষ্ণচূড়ার অপরূপ সৌন্দর্য দেখে ফুলপ্রিয় পথিকরা বলছেন, কৃষ্ণচূড়া ফুল প্রকৃতিকে অনন্য সাজে সাজিয়েছে। এই ফুলের সৌন্দর্যের কারণে পথচারীরা একবার হলেও এই ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য এর গাছের উপর নজর দিবে। পাশাপাশি তীব্র গরমে অন্যান্য ফুলের সুঘ্রাণে চারপাশ মুখরিত হওয়াতে ক্লান্তিতা কিছুটা হলেও কমছে।


তারা বলছেন, কৃষ্ণচূড়া ফুলের এই নান্দনিক দৃশ্য দেখতে এর গাছ রোপণ করা জরুরি। রাস্তা প্রশস্তকরণ, ঘর-বাড়ি নির্মাণসহ নানা প্রয়োজনে গাছ কেটে ফেলা হয়। অন্যান্য গাছ রোপণ করার পাশাপাশি কৃষ্ণচূড়া রোপণ করলে একদিকে যেমন সৌন্দর্য বাড়াবে অন্যদিকে পরিবেশ বান্ধব হবে।

সাজিদ হাসান নামের এক পথচারী বলেন, কৃষ্ণচূড়া একদিকে যেমন প্রকৃতিতে অপরুপ সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে, আরেকদিকে গ্লোবাল ওয়ার্মিং কমাবে। সারাদেশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে, আমার মতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে এই গাছটিও যুক্ত করা উচিত। তীব্র গরমের পর বৃষ্টি হলো, এরপর শহরে নানা রঙের ফুলের দেখা মিলছে, ফুলের ঘ্রাণে চলাচল করতেই ভালো লাগছে।

ফারজানা ইয়াসমিন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ফুলের সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে। অন্যান্য ফুলের পাশাপাশি কৃষ্ণচূড়া ফুল আমার অনেক ভালো লাগে। আমাদের কলেজে বকুল তলা আছে, ক্যান্টিনের পাশে কৃষ্ণচূড়া গাছ আছে। সুযোগ পেলেই ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করি।

অনিক মোহন নামে একজন বলেন, রিকশায় করে যখন বাসায় ফিরি, শহরের রাস্তার মাঝে ভিডাইভারে লাগানো নানা জাতের ফুলের ঘ্রাণ মনকে আনন্দিত করে। রাতের বেলা শহর যখন নিস্তব্ধ হয়ে যায়, তখন এ ফুলের সৌন্দর্য কয়েকশ’ গুণ বেড়ে যায়।

সড়কের পাশে কৃষ্ণচূড়া লাগানো হলে সৌন্দর্য বাড়বে বলে মনে করেন পথচারী মিনহাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, রাস্তা প্রশস্তকরণের জন্য যে গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে, ওই গাছগুলোর জায়গা কৃষ্ণচূড়ার গাছ লাগালে রাস্তার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে।

একই কথা বলেন শহরের ব্যবসায়ী নাদিম আহমেদ। তিনি বলেন, সৌন্দর্য ও পরিবেশের কথা বিবেচনা করে এই গাছ রোপণ করা উচিত আমাদের। তাপমাত্রা যেভাবে বাড়ছে অন্যন্যা গাছ রোপণ করার পাশাপাশি কৃষ্ণচূড়া গাছ রোপণ করার উদ্যোগ নিতে হবে। যেগুলো শহরে আছে তাতেই সৌন্দর্য বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুণ, আরও যদি লাগানো যায় ফুলে ফুলে ভরে উঠবে আমাদের শহর।

কৃষ্ণচূড়া মাদাগাস্কারের শুষ্ক পত্রঝরা বৃক্ষের জঙ্গলে পাওয়া যায়। যদিও জঙ্গলে এটি বিলুপ্ত প্রায়, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এটি জন্মানো সম্ভব হয়েছে। সৌন্দর্যবর্ধন গুণ ছাড়াও, এই গাছ উষ্ণ আবহাওয়ায় ছায়া দিতে বিশেষভাবে উপযুক্ত। কৃষ্ণচূড়া উদ্ভিদ উচ্চতায় কম (সর্বোচ্চ ১২ মিটার) হলেও শাখা-পল্লবে এটি বেশি অঞ্চল ব্যাপী ছড়ায়।

শুষ্ক অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে কৃষ্ণচূড়ার পাতা ঝরে গেলেও, নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে এটি চিরসবুজ থাকে। কৃষ্ণচূড়া ফুলের রং উজ্জ্বল লাল। পত্র ঝরা বৃক্ষ, শীতে গাছের সব পাতা ঝরে যায়। বাংলাদেশে বসন্ত কালে এ ফুল ফোটে। ফুলগুলো বড় চারটি পাপড়ি যুক্ত। পাপড়িগুলো প্রায় ৮ সেন্টিমিটারের মত লম্বা হতে পারে। কৃষ্ণচূড়া জটিল পত্র বিশিষ্ট এবং উজ্জ্বল সবুজ। প্রতিটি পাতা ৩০-৫০ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ২০-৪০ টি উপপত্র বিশিষ্ট। কৃষ্ণচূড়ার জন্মানোর জন্য উষ্ণ বা প্রায়-উষ্ণ আবহাওয়ার দরকার। এই বৃক্ষ শুষ্ক ও লবণাক্ত অবস্থা সহ্য করতে পারে।

জানা যায়, অপরূপ সৌন্দর্য ছড়ানোর পাশাপাশি কৃষ্ণচূড়া ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর পাতা, মূলের বাকল ও ফুল ভেষজ গুণাগুণ সম্পূর্ণ, যা জ্বর ও খুশকি নিরাময়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। ভেষজটি হেমিপ্লেজিয়া, আর্থরাইটিস এবং কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। কৃষ্ণচূড়া গাছের শিকড়, বাকল এবং ফুল সবই পরজীবী সংক্রমণ নিরাময়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।

;