আত্মসমর্পণ পরবর্তী কয়েক দিনে যা ঘটেছিল

  • আশরাফুল ইসলাম, পরিকল্পনা সম্পাদক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আত্মসমর্পণ পরবর্তী কয়েক দিনে যা ঘটেছিল

আত্মসমর্পণ পরবর্তী কয়েক দিনে যা ঘটেছিল

ভারতীয় বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর মিলিত প্রাণপণ সমরপ্রচেষ্টায় কোঁণঠাসা হয়ে বর্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণে বাধ্য হলেও পরবর্তী কয়েকটি দিন বেশ ঘটনাবহুল ভাবেই কাটে। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ পরবর্তী কয়েকটি দিনে ঘটে যাওয়া অনেক খবরই প্রকাশ্যে আসেনি। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে সংবাদপত্রগুলিতে ধ্বংসলীলা ও সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবীদের নির্বিচার হত্যার ফলে আত্মসমর্পণ পরবর্তী দিনগুলির ঘটনাপ্রবাহ দেশিয় গণমাধ্যমে সেভাবে তুলে ধরা সম্ভব হয়নি। কিন্তু ভারতীয় গণমাধ্যম মুক্তিযুদ্ধের প্রধান মিত্র দেশ হওয়ায় সেখানকার গণমাধ্যমে, বিশেষ করে প্রতিবেশি রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের সংবাদপত্র অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে বহু আঙ্গিকে সেই সময়কার ঘটনাপ্রবাহকে ধারণ করতে সচেষ্ট ছিল।

অন্বেষণ করার চেষ্টা করেছি, আত্মসমর্পণ পরবর্তী দিনগুলিতে কলকাতার সংবাদপত্র কি ধরণের খবর দিয়েছিল। অত্যন্ত আশার কথা হচ্ছে, নির্মোহ ইতিহাসের চর্চার জন্য সেই সময়কার ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো এতোটাই নিবেদিত ছিল যে পত্রিকাগুলির প্রায় পুরো সংবাদ আয়োজনই ছিল সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে নিয়ে। আমরা তাতে দেখতে পাচ্ছি, যুদ্ধে সব ধরণের আন্তর্জাতিক রীতিনীতি লঙ্ঘন করে কিভাবে মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত করেছিল হানাদার বাহিনী। নির্বিচার সেই গণহত্যার যে বিবরণ বিভিন্ন সময় উঠে এসেছে, ভারতীয় গণমাধ্যমে বিধৃত বিবরণের তুলনায় তা নেহায়েতই সামান্য। 

বিজ্ঞাপন

মুক্তিযোদ্ধাদের গ্রামে গ্রামে চলে যাওয়ার নির্দেশ

২১ ডিসেম্বর ১৯৭১-এ কলকাতার প্রভাবশালী দৈনিক যুগান্তর (অধূনালুপ্ত) ‘যুদ্ধ শেষ, এখন পুনর্বাসন/মুক্তিযোদ্ধাদের গ্রামে গ্রামে চলে যাওয়ার নির্দেশ’ শীর্ষক এক খবরে জানায়, ‘পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর অত্যাচারে বাংলাদেশের যে লক্ষ লক্ষ লোক নিরাশ্রয় হয়ে ভারতের মাটিতে চলে গিয়েছেন, তাদের পুনর্বাসনের কাজ ত্বরান্বিত করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সকল ছাত্র মুক্তিযোদ্ধাদের গ্রামে গ্রামে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।’

বিজ্ঞাপন

‘এক আবেগময় পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই সভায় উপস্থিত ছাত্রছাত্রী মুক্তিযোদ্ধারা দীর্ঘদিন পরে একে অপরকে দেখে অশ্রুবর্ষণ করতে থাকেন। দীর্ঘ এই ন’মাসে অনেকের আপনজন, ভাই বোন বন্ধু প্রাণ হারিয়েছেন।’

‘মুজিবরকে জেল থেকে শীঘ্রই ছেড়ে দেওয়া হবে’

একই দিনে দৈনিকটি রাওয়ালপিন্ডির রয়টার্স এর বরাত দিয়ে অপর এক খবরে জানায়, পাকিস্তানে কারা অন্তরীন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নতুন ক্ষমতা নেওয়া জুলফিকার আলি ভুট্টো।

‘মুজিবকে মুক্তি দেওয়া হবে/মিঃ ভুট্টোর ঘোষণা’ শিরোনামে ওই খবরে জানানো হয়, ‘আজ রাত্রে মিঃ ভুট্টো জানিয়েছেন, শেখ মুজিবরকে জেল থেকে শীঘ্রই ছেড়ে দেওয়া হবে এবং তাকে গৃহবন্দী ধরণে অন্তরীণ রাখা রাখা হবে। এখানে বিদেশি সংবাদদাতাদের জন্য আয়োজিত এক সংবর্ধনা-সভায় মিঃ ভুট্টো এ ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, মুজিব এখনও জেলে আছেন।’


ইতিহাসের নৃশংস্যতম বর্বরতা চালানোর পরও যুদ্ধবন্দী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মানবিক আচরণের ধৃষ্ঠতা সেই সময়ের বিশ্বসম্প্রদায়কে বাঙালির মানবিক সত্ত্বার পরিচয় মেলে ধরে। পাক বন্দিরা কি কি সুবিধা পাবে-এ বিবরণও প্রকাশ করেছিল যুগান্তর।

বাঙালি কর্মচারীদের সঙ্গে বৈষম্য কতটা প্রকট ছিল তাও তুলে ধরেছিল দৈনিকটি। তাতে লেখা হয়, ‘ঢাকা পুলিশ লাইনস এর বাঙালি ডি এস পি শামসুর রহমান, ইনসপেক্টর আবদুর রশিদ চৌধুরী আমাকে বলেন যে, এই অবাঙালি পুলিশ কনস্টেবলরা কেউ বাঙালি অফিসারদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ছিলেন না। বাঙালি এসপি, এডিশনাল এসপি কেউ এদের কোথাও মোতায়েন করতে পারতেন না। বাঙালি পুলিশদের কম পয়সার রেশন দেওয়া হত। কিন্তু অবাঙালি পুলিশদের দেওয়া হত বিনামূল্যের রেশন। এছাড়া অবাঙালি পুলিশরা বাজারে ঢুকে প্রায়ই দাম না দিয়ে জিনিসপত্র নিয়ে চলে যেত। সেখানে কিছু করার ক্ষমতা বাঙালি পুলিশদের ছিল না।

পাকিস্তান পুলিশের আনুগত্য ছেড়ে কিভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পুলিশের আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল তা জানিয়ে খবর বেরিয়েছিল। খবরে বলা হয়, ‘‘ঢাকা ডিআইজি আবুল কাদের শরকুদ্দিন, ডিআইজি সিআিইডি মেসবাউদ্দিন, এডিশনাল এসপি সেকান্দার আলি-এঁরা সকলেই তাদের পোশাকের কাঁধ থেকে ‘ইস্ট পাকিস্তান পুলিশ’ (ই পি পি) প্রতীক তুলে দিয়েছেন। প্রশ্নের উত্তরে তারা বলেন যে, তাঁরা এখন বাংলাদেশ পুলিশ। সেকান্দার আলির কাঁধে দেখলাম ‘বি পি’ লাগানো হয়েছে। অর্থাৎ ‘বেঙ্গল পুলিশ’ লাগানো হয়েছে। অবিভক্ত বাংলাদেশে পুলিশের চাকুরির সময় এটি লাগাতেন। এখন থেকে তিনি ‘বাংলাদেশ পুলিশ’ এর প্রতীক চিহ্ন হিসেবে এই ‘বি পি’ ব্যবহার করছেন।

এক পাকিস্তানি পুলিশ সদস্যকে ঘিরে হৃদয়স্পর্শী ঘটনা

খবরে বলা হয়, ‘অস্ত্র জমা নেওয়ার পর অবাঙালি পুলিশদের ‘যুদ্ধবন্দী’ হিসেবে ভারতীয় ও মুক্তিবাহিনীর সামরিক প্রহরায় ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় রাখা হবে। কিন্তু সীমান্ত প্রদেশের কোহাট জেলার বাস্তান খানকে নিয়ে অসুবিধা দেখা দিয়েছে। তাকে নিরস্ত্র করা হয়নি। সে খুব ভালো বাংলা বলতে পারে এবং বাঙালিদের সঙ্গে তাঁর অনেক দিনের বন্ধুত্ব। সে কোথায় যেতে চায়, সে জন্য তাকে মনস্থির করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।


ইউ এন আই এর বিবরণ

ঢাকা থেকে ইউ এন আই প্রতিনিধি জানাচ্ছেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীল প্রায় এক লক্ষ অফিসার ও সৈন্য আজ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ভারতীয় কমান্ডারদের হাতে অস্ত্র সমর্পণ করেছে। উল্লেখযোগ্য, বাংলাদেশে নিযুক্ত পাক বাহিনীরে সেনাধ্যক্ষ এ এ কে নিয়াজি তিন দিন আগে নিজে আত্মসমর্পণ করেন এবং সমগ্র পাক বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করার কথা বলেন।

বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘৃণ্য কারিগর ফরমান আলি

২০ ডিসেম্বর ১৯৭১-এ যুগান্তরে প্রকাশিত সুখরঞ্জন সেনগুপ্তের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘আত্মসমর্পণের দিন পাকিস্তানি সৈন্যরা ঢাকার দুই শতাধিক বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করার ঘটনায় ঢাকা নগরী কাল থেকে বিক্ষোভে ফেটে পড়ছে এবং শহরের রাস্তায় ইতস্তত অনেকগুলো মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। রাত্রে মাঝে মাঝে মেশিনগানের গুলির শব্দও কানে ভেসে আসে।’

সেই সময়ই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অনেকের নাম প্রকাশ করে দৈনিকটি। তাতে উল্লেখ করা হয়, ‘ঢাকার যে দুই শতাধিক বুদ্ধিজীবীকে নৃশংস্যভাবে হত্যা করা হয়েছে, তাদের মধ্যে আছেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যক্ষ মুনীর চৌধুরী, ইত্তেফঅক পত্রিকার কার্যনির্বাহক সম্পাদক সিরাজউদ্দীন হোসেন, সংবাদ পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, পি পি আই’র নিজামউদ্দিন আহমদ, বিবিসি ও ভয়েস অব আমেরিকার সংবাদদাতা সৈয়দ নাজমুল হক, সাপ্তাহিক ললনার মহম্মদ আখতার, অবজারভার পত্রিকার এস এ মান্নান, পূর্বদেশের গোলাম মোস্তফা, অধ্যাপক মোকাবুল হায়দার চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ডঃ আবুল খায়ের, অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন আহমদ, গণিতের অধ্যাপক সাদউদ্দিন, ড. মণিরুজ্জামান, ঢাকা মেডিকেল কলেজের ডা. ফজলে রাব্বি, ডা. আলিম চৌধুরী প্রভৃতি।’

সামরিক অফিসার এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত,  তাদের কয়েকজনের নাম তাঁরা পেয়েছেন। সেগুলি তাঁরা দু’একদিনের মধ্যে প্রকাশ করবেন। ঐ লোকদের নিশ্চিহ্ন করা প্রয়োজন বলে মিত্রবাহিনীর এক মুখপাত্র মনে করেন।’

একজন বিভাগীয় সেক্রেটারি প্রতিবেদককে বলেন, ‘পাকিস্তানি বাহিনীর মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলি এই হত্যাকাণ্ডের নায়ক। ফরমান আলি, সেক্রেটারি পর্যায়ের কর্মকর্তাদের খুন করার পরিকল্পনা করে তাঁদের সবাইকে ১৪ ডিসেম্বর ক্যান্টনমেন্টে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা কেউ উপস্থিত হননি। সকলেই অন্যত্র চলে গিয়েছিলেন। বুদ্ধিজীবীদের অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ঢাকার অবাঙালি এলাকা রায়ের বাজারের কাছে জলঅ জমিতে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের মধ্যে একজন মেয়ে আছেন, তাঁর চোখ উপড়ে নেওয়া হয়েছে। বেয়নেট দিয়ে তাঁর মুখ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। অধিকাংশ মৃতদেহের বুকে, পেটে, মাথায় গুলি ও বেয়নেটের চিহ্ন।’

পাকিস্তানের ক্ষমতার পটপরিবর্তনের খবরও স্থান পেয়েছিল দৈনিকটির খবরে। ‘ইয়াহিয়া গেলেন, এবার প্রেসিডেন্ট ভুট্টো (সেই সঙ্গে চিফ মার্শাল ল’এডমিনিস্ট্রেটর)’ শীর্ষক খবরে জানা যায়, ‘পাকিস্তান পিপলস পার্টির সভাপতি জেড এ ভুট্টো আজ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান সামরিক প্রশাসকরূপে কার্যভার গ্রহণ করেছেন বলে পাক বেতারে ঘোষণা করা হয়। ১৩ বছর পরে একজন অসামরিক ব্যক্তি পাকিস্তানের প্রশাসক হলেন। ভারতের কাছে পাকিস্তানের অপমানজনক পরাজয়ের দরুণ জেনারেল ইয়াহিয়া খানের বিরুদ্ধে দেশব্যাপি বিক্ষোভে ফেটে পড়ায় প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া গকাল প্রতিনিধিত্বমূলক একটি সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের এবং পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার জরুরি আহ্বানে মিঃ ভুট্টো বিদেশ থেকে ইসলামাবাদে পৌছানোর অল্পক্ষণ পরই জেনারেল ইয়াহিয়া তাঁর হাতে ক্ষমতা অর্পণ করেন।’

‘আজ রাতে প্রেসিডেন্ট জেড এ ভুট্টো ঘোষণা করেছেন যে, জেনারেল ইয়াহিয়া খান এবং তাঁর সামরিক চক্রের অপর কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি অবসর গ্রহণ করেছেন। তিনি আরও বলেছেন যে, লেঃ জেনারেল গুলহাসান খাঁ সেনাবাহিনীর অধ্যক্ষ হয়েছেন। পাকিস্তানের প্রধান সামরিক প্রশাসকরূপে শপথগ্রহণের পরই জেড এ ভুট্টো উচ্চ পদস্থ অসামরিক ও সামরিক অফিসারদের সঙ্গে বৈঠবে বসেন বলে পাকিস্তান রেডিওর সংবাদে প্রকাশ।’

প্রথম ভাষণেই ভারতের বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার হুক্কার ভুট্টোর

দিল্লি থেকে বার্তা সংস্থা পি টি আই ও ইউ এন আই এর বরাতে এক প্রতিবেদনে যুগান্তর জানায়, ‘নয়া পাক প্রেসিডেন্ট মিঃ জেড এ ভুট্টো আজ রাত্রে তাঁর বেতার ভাষণে বলেছেন, বাংলাদেশ পাকিস্তানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। দেশবাসীর কাছে তাঁর আবেদন, ‘আমাকে কিছু সময় দিতে হবে।’

ফরমান আলি ও নিয়াজি ফোর্ট উইলিয়ামে?

আরেক খবরে প্রকাশ, পাক হানাদার বাহিনীর দুই সেনা কর্তা নিয়াজি আর ফরমান আলিকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের সদর দপ্তর ফোর্ট উইলিয়াম-এ নেওয়ার খবরও জানায় দৈনিকটি।

তাতে উল্লেখ করা হয়, ‘সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্রকে এই প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। এ দিকে এ দিন বিশেষ বিমানে করে দমদম বিমানঘাটিতে আনা হয়েছিল বলে আমাদের রিপোর্টার মনে করেছেন। তবে ঐ রিপোর্টারকে কাছে যেতে দেওয়া হয়নি। ভারতীয় সেনারা কিছুক্ষণের মধ্যেই এই দুই যুদ্ধবন্দীকে হেলিকপ্টারে করে এক অজ্ঞাত স্থানে পাঠিয়ে দিয়েছেন।’

‘রিপোর্টার দূর থেকে অনুমান করেছেনঃ এদের মধ্যে একজন পাক জেনারেল নিয়াজি ও অন্যজন মেজর জেনারেল ফরমান আলি। যুগান্তরের কাছে অবশ্য খবর আছে যে, নিয়াজি ও ফরমান আলিকে ফোর্ট উইলিয়ামে রাখা হয়েছে।’