পৌষের ঠান্ডাকে টেক্কা দিতে ফুটপাতে নিম্ন আয়ের মানুষ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পৌষের ঠান্ডাকে টেক্কা দিতে ফুটপাতে নিম্ন আয়ের মানুষ

পৌষের ঠান্ডাকে টেক্কা দিতে ফুটপাতে নিম্ন আয়ের মানুষ

ফুটপাতে স্তূপ করে রাখা আছে শীতের পোশাক। কেউ হাঁকছে- ২০০ টাকা; তো কেউ বলছে ৩’শ। ক্রেতারাও হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। একটা, দুইটা, কেউ আবার পাঁচটা-দশটাও কিনে ব্যাগে ভরছেন; দেখে মনে হবে শীত জেঁকে বসেছে ফুটপাতে!

বিক্রেতারাও মহা খুশি। বলছেন, ‘ভালোই বিক্রি হইতাছে। আর একদম সস্তা তো। মানুষ আইতেছে আর কিনতেছে। পাঁচটা-দশটা কইরা লইয়া যাইতেছে।’

বিজ্ঞাপন

দৃশ্যটি মিরপুরের প্রিয়ঙ্গান শপিং মলের সামনের ফুটপাতের।


এখন পৌষ মাস; কাগুজে হিসাবে শীতকাল শুরু হয়েছে। রাজধানীতে পৌষের কনকনে শীত না পড়লেও ঠান্ডাকে টেক্কা দিতে তাই শুরু হয়ে গেছে মানুষের প্রস্তুতি। নগরবাসী শীতের কাপড় কিনতে ভিড় করছেন অভিজাত মল থেকে ফুটপাতে।

বিজ্ঞাপন

গ্রামাঞ্চলের তুলনায় ঢাকা শহরে শীতের প্রকোপ কম হলেও শীতের পোশাক কেনায় শহরের লোকেরাই বেশি বিলাসী। তাই রাজধানীবাসীর শীতের পোশাকের যোগান দিতে নানারকম গরম কাপড়ের পসরা সাজিয়েছে রাজধানীর ফুটপাতগুলো।

মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার দুপাশে স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকানে শীতের নানা ধরনের গরম পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। ক্রেতারাও ভিড় করছেন সেই সব দোকানে।


শীতের সাথে সাথে ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত মার্কেটগুলোতে গরম কাপড়ের চাহিদা বাড়ছে। তবে ফুটপাত থেকে স্বল্প মূল্যে পছন্দের পোশাক কেনার সুযোগ থাকায় মৌসুমের শুরু থেকেই এসব দোকান জমজমাট হতে শুরু করে। দোকানগুলো ক্রেতা-বিক্রেতাদের দর-দামে মুখরিত হয়ে ওঠে।

এসব দোকানে প্রধানত সোয়েটার, হুডি, জ্যাকেট, ফুলহাতা গেঞ্জি ও ব্লেজার বেশি বিক্রি হয়। সাথে রয়েছে চাদর, মাফলার, কানটুপিসহ নানা ধরনের শীতবস্ত্র। ফুটপাতের দোকান হলেও এসব কাপড়ের মান একেবারেই খারাপ হয় না। এখানেসাশ্রয়ী মূল্যে পছন্দের জামাকাপড় পাওয়া যায়।


এদিকে আবহাওয়া অফিস জানায়, বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। আর সর্বোচ্চ ২৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠেছিল কক্সবাজারের টেকনাফে। ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে আবহাওয়া পরিস্থিতিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। সে অনুযায়ী পঞ্চগড় অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমবে। তাপমাত্রা যত কমবে, শীতের পোশাকের চাহিদাও ততই বাড়বে।