‘মিয়ামি’তে এত পুলিশ কেন-কিশোরদের ঝগড়া নাকি এলিয়েনের খোঁজ?

  • ফিচার প্রতিবেদক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ামিতে এলিয়েন দেখার গুঞ্জন

মিয়ামিতে এলিয়েন দেখার গুঞ্জন

কম বয়সী ছেলে-মেয়ের মধ্যে বিশৃঙ্খলার ঘটনা খুব বিশেষ কিছু নয়। হরহামেশাই ঘটে থাকে। কিছুক্ষেত্রে গণ্ডগোল গুরুতর হলে নিরাপত্তাকর্মীরা এসে নিয়ন্ত্রণও নেয়। আবার, মহাজাগতিক ব্যাপার নিয়ে মানুষের আগ্রহ বরাবরই অনেক বেশি। সুযোগ পেলেই অজ্ঞাত উড়ন্ত ঘটনা ঘটলে, তার সাথে ভিন্ন গ্রহের প্রাণীর সম্পৃক্ততা খোঁজা হয়। তবে কোথায় আকাশ, কোথায় পাতাল! এই দুই ঘটনার সংমিশ্রণ ঘটিয়ে, ছড়াচ্ছে এক গুঞ্জন।  

গত সপ্তাহে দক্ষিণ ফ্লোরিডার মিয়ামি শহরে ঘটনার সূত্রপাত হয়। সেখানে কিছু কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে বড় ঝগড়া হয়। রাতে মিয়ামির কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ‘বেসাইড মার্কেটপ্লেস’-এ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। কিশোর-কিশোরীদের লড়াই নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে অনেকগুলো পুলিশের গাড়ি আসে।

বিজ্ঞাপন

এখানেই শুরু হয় বিপত্তি। এতগুলো পুলিশের গাড়ি একত্রে এর আগে মিয়ামিতে কখনো দেখা যায়নি। সেই সূত্রেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে গুঞ্জন রটেছে। তাদের দাবি, এরপর যা ঘটেছিল তা ছিল বহির্জাগতিক। এই কথা দ্রুত এক্স (টুইটার) এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়ে। তাদের মতে, পুলিশ সেখানে ৮ থেকে ১০ ফুট লম্বা ছায়ার এক এলিয়েনের উপস্থিতির খবর পেয়ে এসেছিল।

ঘটনাস্থলে দলে দলে পুলিশ

অনলাইনে পোস্ট করা একটি ভিডিও-তে এমন কিছু মুহূর্ত ধারণ করা হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, একটি বড় ‘প্রাণী’, শপিংমলের প্রবেশদ্বারের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বর্তমানে ‘মিয়ামি মল’ এবং ‘মিয়ামিতে এলিয়েনস’ এইসব টুইটারের ট্রেন্ডিং ট্যাবে শীর্ষ ১০ অনুসন্ধানের মধ্যে রয়েছে। সেখানে ঠিক কি ঘটেছিল, এই ব্যাপারে বিশদ জানতে আগ্রহী হয়ে রয়েছে জনগণ।

বিজ্ঞাপন

ষড়যন্ত্র এবং গুজব সম্পর্কে পুলিশ অফিসার মাইকেল ভেগা জানান, ৫০ জন কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। সেজন্য তারা সেখানে উপস্থিত হয়। কোনো এলিয়েন, ইউএফও বা ইটি ছিল না বলেও জানান তিনি। এই ঘটনা চলাকালে কোনো বিমানবন্দরও বন্ধ করা হয়নি বা কোন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমস্যাও ঘটেনি।

এলিয়েন এবং ইউএফও নিয়ে কয়েক দশক ধরে এমন বিক্ষিপ্ত রহস্যময়ী ঘটনা ঘটেছে।  বিশেষ করে গত বছর জুলাই মাসে একজন প্রাক্তন সামরিক অফিসারের মন্তব্য সবাইকে অবাক করে দেয়। এক অনুষ্ঠানে শুনানির সময় আইনপ্রণেতাদের তিনি বলেন, কংগ্রেসকে ইউএফও সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। অনেক কিছুই গোপন করে রাখা হচ্ছে। সেই একই শুনানিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক নৌবাহিনীর পাইলট এবং হার্ভার্ডের একজন অধ্যাপক একই ধরনের দাবি করেছেন।

তথ্যসূত্র: সিবিএস নিউজ