ছেলেদের মনোযোগ আকর্ষণের টিপস দিয়ে ভাইরাল, কে এই নারী!

  • ফিচার প্রতিবেদক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ভিডিও নিয়ে হচ্ছে বিতর্ক

ভিডিও নিয়ে হচ্ছে বিতর্ক

‘সেজেগুজে পরিপাটি হয়ে ক্লাবে যাবেন। অপরিচিত কোনো ছেলেকে টার্গেট করবেন। প্রেমের জালে ফাসিয়ে তার টাকায় ক্লাবে সময় কাটিয়ে বাড়ি চলে আসবেন। তবে যে ছেলেটি আপনার বিল দিল, তার সাথে আর কখনোই যোগাযোগ করবেন না!’- শুনে কী মনে হচ্ছে? ঠিক যেন দিনে-দুপুরে ডাকাতি করার মতো পরিকল্পনা! 

এই উপদেশগুলোই দর্শককে দিয়েছেন এক ইন্সটাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার। ক্লাবের এই ভিডিও নিয়ে হচ্ছে ব্যাপকবিতর্ক। প্রিয়াঙ্কা ত্যাগী নামের একজন ভারতীয় ইনফ্লুয়েন্সার মেয়েদের এই ট্রিক শিখাচ্ছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, যেভাবে মেয়েরা ছেলেদের মনোযোগ পেতে পারবে। ক্লাবে গিয়ে এড়িয়ে চলে, ছেলেদের আকৃষ্ট করা এবং তাদের টাকায় নিজের বিল দেওয়ানোর পদ্ধতি বর্ণনা করেন প্রিয়াঙ্কা। 

বিজ্ঞাপন

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জুড়ে এই নিয়ে হচ্ছে নানা সমালোচনা। অনেকেই এই ব্যাপারে মন্তব্য করছে। কেউ কেউ বলছে, এই ভিডিও শুধু মজা করার উদ্দেশ্যেই বানানো হয়েছে। এতে অনেকে জবাব দিয়েছে কিছু ব্যাপার মজা করার মতো হয়না। অনেকেই প্রশ্ন তুলছে, কোনো পুরুষ ইনফ্লুয়েন্সার যদি এমন ভিডিও বানাতো তাহলে তাকে কোন নজরে দেখা হতো?

ইনফ্লুয়েন্সার প্রিয়াঙ্কা

রুচি কোকচা নামের একজন এক্স(টুইটার) ব্যবহারকারী, এই ভিডিওটি শেয়ার করে এর নেতিবাচক দিকগুলো উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, প্রিয়াঙ্কার ইনস্টাগ্রামে ১ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। এই ভিডিও-র ভিউ ইতোমধ্যে ৪ দশমিক ৩ মিলিয়ন হয়ে গেছে। নারীদের পক্ষে এখন নানারকম আইন রয়েছে। যা ব্যবহার করে তারা তাদের বিরুদ্ধে হওয়া অসমতার প্রতিবাদ করতে পারবে। কিন্তু  ‘নারীবাদী’ চিন্তাধারা এমনভাবে ছড়াচ্ছে যে, পুরুষরাই সমতার অধিকার হারাতে বসেছে। মিথ্যা সম্পর্কের আশা দেখিয়ে পুরুষের টাকা এভাবে হাতিয়ে নেওয়া নারীদের কোনো সুযোগ পাওয়া উচিত নয়। রুচির এই ভিডিও-তে ৫ লাখ ১৮ হাজার ভিউ হয়েছে। অনেকেই তাকে সমর্থন করে মন্তব্য করছেন।

বিজ্ঞাপন

প্রিয়াঙ্কা তার ভিডিওর শেষে বলেছিলেন, কেবল বিল দেওয়ার জন্য ছেলেদেরে এভাবে ফাসাতে। এদের প্রতি কখনো দুর্বল না হতে। প্রিয়াঙ্কার পরিকল্পনা করে পুরুষদের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে, যোগাযোগ বিছিন্ন করার চিন্তাভাবনা- সকলে অপছন্দ করছে। কম বয়সের মেয়েরা এগুলো দেখে শিখবে। তাদের কাছে মনে হবে তারা সঠিক কাজই করছে। যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একদমই মঙ্গলজনক হবে না।   

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি