বয়স নিয়ে ধোঁয়াশা, ওয়ার্ল্ড রেকর্ড হাতছাড়া বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক কুকুরের
সদ্য সমাপ্ত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি ‘বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক কুকুরের’ তকমা পেয়েছিল ববি নামের একটি পর্তুগিজ কুকুর। এই খেতাব পাওয়ার সময় প্রাণীটির বয়স ছিল ৩০ বছর ২৬৮ দিন। জীবিত অবস্থায় প্রাণীটির এই অর্জন নিয়ে কোন বিরোধিতা ছিল না।
তবে গত বছরের ৩১ অক্টোবর ৩১ বছর ১৬৩ দিন বয়সে মারা যাওয়ার পরই প্রাণীটির আসল বয়স কত? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বয়স নিয়ে বিতর্ক থাকায় ‘সবচেয়ে বয়স্ক কুকুরের’ খেতাবটি কুকুরটির কাছ থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। খবর স্কাই নিউজ।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ১১ মে, ১৯৯২ সালে জন্মগ্রহণ করা ববি নামে একটি কুকুর গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি ‘সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত কুকুরের’ তকমা পেয়েছে। শুধু এটা না এখন পর্যন্ত ‘সবচেয়ে বয়স্ক কুকুর’- এ অর্জনটিও তার দখলে ছিল। এ সাফল্যের সময় প্রাণীটির বয়স ছিল ৩০ বছর ২৬৮ দিন।
তবে ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর কুকুরটি মারা যায়। যখন তার মালিক বলেছিল কুকুরটির বয়স হয়েছে ৩১ বছর ১৬৩ দিন। তখনই গিনেস ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ কুকুরটির বয়স নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘কুকুরটির আসল বয়স নিয়ে আমাদের পর্যালোচনা চলছে। যতদিন এর সঠিক বয়স জানা না যাবে ততদিন আমরা 'সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত কুকুর' এবং 'সবচেয়ে বয়স্ক কুকুর'-এর রেকর্ডটি সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশি বয়সী জীবিত কুকুর হিসেবে তকমা দেওয়ার সময়, ববির বয়স নিশ্চিত করেছিল পর্তুগাল সরকার। কিন্তু কয়েকজন পশু চিকিৎসক ববির বয়স নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, ববির পুরনো ছবিতে তার সাদা পাঞ্জা দেখানো হয়েছে। কিন্তু পরবর্তী বছরগুলিতে ছিল বাদামি পাঞ্জা
তবে কুকুরটির জন্ম সাল সঠিক বলে নিশ্চিত করেছে পর্তুগিজ সরকারের পোষ্য ডাটাবেস এবং ন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ ভেটেরিনারিয়ানস।
ওয়্যারড ম্যাগাজিনের একটি তদন্তে দেখা গেছে যে ববি মারা যাওয়ার এক বছর আগে, ২০২২ সালে পর্তুগিজ সরকারের পোষা ডাটাবেসে তার বয়স নিবন্ধিত হয়েছিল।
২০০৮ সালের আগে জন্ম নেওয়া কুকুরের নিবন্ধন পর্তুগালে অক্টোবর ২০২০ পর্যন্ত বাধ্যতামূলক হয়নি, তাই এটা সম্ভব যে ববি সত্যিই ১৯৯২ সালে জন্মগ্রহণ করেছিল, কিন্তু তার মালিকের কাছে এটি প্রমাণ করার জন্য কাগজপত্র ছিল না বলেও ওয়্যারড ম্যাগাজিনে উল্লেখ করা হয়।
ববির মালিকের নাম লিওনেল কস্তা। তাঁর বাড়ি পর্তুগালের কনকুয়েরিওস গ্রামে। ববি সেখানেই থাকত। লিওনেল কস্তা জানান, ববি রাফেইরো জাতের কুকুর। গবাদিপশু পাহারা দেওয়ার জন্য এই কুকুরগুলো পোষা হয়। ১২ থেকে ১৪ বছর বাঁচে একেকটি কুকুর। তবে ববি ছিল ব্যতিক্রম।