জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ‘এলিয়েন পুতুল’-এর সত্য সামনে এলো

  • ফিচার প্রতিবেদক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পার্থিব বস্তুতে তৈরি এলিয়েন পুতুল

পার্থিব বস্তুতে তৈরি এলিয়েন পুতুল

মহাকাশ নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। দিন দিন বিজ্ঞানীদের কল্যাণে মহাকাশের বিভিন্ন রহস্য ভেদ হচ্ছে। মানুষের সামনে আসছে আসল তথ্য। তবে, একই তালে বাড়ছে মহাকাশ নিয়ে বানানো গল্পও। উড়ন্ত কিছু দেখলেই ইউএফও এবং ব্যতিক্রম কিছু পেলেই এলিয়েন আখ্যা দিয়ে বসে মানুষ! 

মেক্সিকোতে গতবছর ২ টি ছোট মমি পুতুল পাওয়া গিয়েছিল। অক্টোবর মাসে পেরুর রাজধানীর বিমানবন্দরে হঠাৎ উদয় হয় এই পুতুল দু’টো। তাদের নিয়ে তৈরি হয় নানা জল্পনা কল্পনা। অদ্ভুত দেখতে হওয়ায়, অনেকের মতে এগুলো ছিল ভিনগ্রহের নিদর্শন। গত সপ্তাহে এদের নিয়ে আসল তথ্য পাওয়া গিয়েছে। মূলত অন্যগ্রহের সাথে তাদের কোনো সম্পর্কই নেই। এরা পুরোপুরিভাবেই পার্থিক উৎপত্তি।

বিজ্ঞাপন
এলিয়েন পুতুল

লিমার প্রেস কনফারেন্সে এদের নিয়ে বিশদ বর্ণনা দেওয়া হয়। মানব অবয়বের পুতুলগুলো দেখতে কিছুটা অদ্ভুত। অভিজ্ঞদের মতে মানুষ এবং প্রাণীদের দেহের অবশেষ দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল পুতুলগুলো। পেরুর ‘ইনস্টিটিউট ফর লিগ্যাল মেডিসিন অ্যান্ড ফরেনসিক সায়েন্সেস’-এর প্রত্নতত্ত্ববিদ ফ্লাভিও এস্ট্রাদা। তিনি বলেছেন, ‘এরা বাইরের জগতের নয়। পৃথিবীরই প্রাণীর হাড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছে পুতুলগুলো। এদের বানাতে আধুনিক কৃত্রিম আঠা ব্যবহার করা হয়েছিল।’

মূর্তি দু’টো একটি কার্ডবোর্ডের বাক্সে করে লিমার বিমানবন্দরে পৌঁছায়। ডিএইচএল-এর কুরিয়ার থেকে অফিসে আসে। ঐতিহ্যবাহী ‘অ্যান্ডিয়ান’ পোশাক পেচানো ছিল পুতুল দু’টি। এভাবে মমির আকারে দেহ তৈরি করা হয়েছিল। কিছু মিডিয়া একে এলিয়েন অনুমান করে খবর ছড়াতে থাকে। যা, একবোরেই বানোয়াট।

বিজ্ঞাপন
এলিয়েন পুতুল পর্যবেক্ষণ

মেক্সিকান জাইম মাউসান সাংবাদিক ইউএফও ব্যাপারে বেশ আগ্রহী। তিনি দাবি করেছিলেন, যে এইগুলো এলিয়েনের মৃতদেহ। এগুলো প্রায় হাজার বছর পুরানো। ২০১৭ সালে পেরু থেকে এদের উদ্ধার করা হয়েছিল।

বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞরা এই তথ্যগুলোকে প্রতারণা বলে খারিজ করে দেন। তারো অনুমান করেছিলেন, পুতুলগুলো সম্ভবত বিকৃত প্রাচীন মানব মমি। যাদের প্রাণীর অংশের সাথে মিলিয়ে বানানো হয়েছে। অর্থাৎ, অবশ্যই পৃথিবীর উপাদানে তৈরি ।