কুয়াশামোড়া মেট্রো এলো প্রশান্তি নিয়ে!

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কুয়াশামোড়া মেট্রো এলো প্রশান্তি নিয়ে/ছবি: নূর এ আলম

কুয়াশামোড়া মেট্রো এলো প্রশান্তি নিয়ে/ছবি: নূর এ আলম

সকাল আটটা, কুয়াশায় মোড়া চারদিক। রাজধানীর কর্মব্যস্ত মানুষ তখন উপস্থিত মেট্রোরেল স্টেশনে, গন্তব্যে ছোটার অপেক্ষায়! শহরে ইট-কাঠ-পাথরের দেয়াল আর গাড়ির অবিরাম ছুটোছুটিতে শীতের প্রভাবটা সাধারণত কম থাকে। তবে এবার পৌষের শেষ থেকে রাজধানী কাঁপছে হাড়কাঁপানো শীতে।

মাঘে এসে শীত যেন উৎসবে মেতেছে! আর ওদিকে, মেঘলা আকাশ, স্যাঁতস্যাঁতে প্রকৃতিতে শীতের প্রকোপ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে মানুষ।

বিজ্ঞাপন

মাঘের শীতের জবুথুবু সকালে উত্তরা স্টেশনে নগরবাসীকে নিয়ে গন্তব্যে ছুটতে কুয়াশা ভেদ করে ছুটে এলো মেট্রোরেল। শহুরে জীবনগাড়িকে সচল রাখতেই রাজধানীতে সম্প্রতি যোগ হয়েছে এই মেট্রোরেল। কুয়াশার জাল চিরে মেট্রোরেল যখন স্টেশনে পৌঁছায় তখন অপেক্ষারত হাজারো মানুষ যেন শীতের সকালে একমুঠো মিষ্টি রোদ হাতে পায়। কারণ এই রাজধানীবাসী জানেন অফিস টাইমে হাড়কাঁপানো শীতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে গণপরিবহনের জন্য দাঁড়ানো কত যন্ত্রণার, কত ভোগান্তির!

মেট্রোরেলে উপচে পড়া ভিড়, বসার জায়গা না পেয়ে দাঁড়িয়ে অনেক যাত্রী

রাজধানী ঢাকায় শীত, বর্ষা কিংবা গরম—এখানে আবহাওয়া মানে স্বস্তির সঙ্গী নয়, বরং নিত্য যাতায়াত ও জীবনযাপনের পথে বিপত্তির অন্যতম নাম। ব্যস্ততার মোড়কে বন্দি ঢাকার এই জনজীবনে মেট্রোরেল যেন পরম প্রশান্তির বার্তা!

বিজ্ঞাপন

রাজধানীতে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে উত্তরা স্টেশন ছাড়ে প্রথম ট্রেন। নগরবাসীর যান্ত্রিক ছুটে চলার অবর্ণনীয় কষ্ট মুছে দিয়েছে এই মেট্রোরেল।

আর এসবের প্রমাণ পাওয়া গেল উত্তরার বাসিন্দা তানজিলা সুমীর কথায়। ‘উত্তরা থেকে প্রেসক্লাব অফিস আওয়ারে যেতে প্রায় তিন ঘণ্টা, ফিরতে আরও তিন ঘণ্টা! মেট্রোরেল যে কী যন্ত্রণা থেকে বাঁচিয়েছে আল্লাহ জানে, আর তা উত্তরার মানুষই জানে। তার সঙ্গে ড্রাইভার, কন্ডাক্টরের ক্যাচাল আর যানজট; শরীর ঠিক থাকত না, মেজাজ বিগড়ে থাকত’।

রাজধানীতে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে উত্তরা স্টেশন ছাড়ছে প্রথম ট্রেন।

‘অফিস আওয়ারে মেট্রো স্টেশনে প্রচুর মানুষ হয়; অনেক ঠেলাঠেলি করে উঠতে হয়, কিন্তু যখন ২০ মিনিটে গন্তব্যে পৌঁছাই তখন আর ওই কষ্ট কিছুই মনে হয় না। উত্তরার মানুষ মেট্রোরেলের যাত্রাকে মনে করছেন আনন্দযাত্রা’, বলছিলেন তানজিলা সুমী।

উল্লেখ্য, সকাল ৭টা ১০ থেকে সাড়ে ১১টা এবং বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেট্রোরেলে পিক আওয়ার ধরা হচ্ছে। মাঝে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অফ পিক আওয়ার। পিক আওয়ারে ১০ মিনিট পর পর ট্রেন স্টেশনে আসবে। অফ পিক আওয়ারে ট্রেন স্টেশনে আসবে ১২ মিনিট পর পর। বর্তমানে দিনে ১ লাখ ৩০ হাজার থেকে ১ লাখ ৫৬ হাজার যাত্রী মেট্রোতে ভ্রমণ করছেন।