হানিমুনে গোয়ায় না নিয়ে অযোধ্যায়, ফিরেই বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন স্ত্রীর

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বিয়ের পর নতুন বউকে হানিমুনে গোয়ায় নিয়ে যাবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন স্বামী। কিন্তু বিয়ের পর স্ত্রীকে গোয়ায় না নিয়ে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা ও বারাণসীতে নিয়ে যান।

সফরের ১০ দিন মুখ বুজে কাটালেও ফিরেই বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করলেন স্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

বিয়ের মাত্র পাঁচ মাস পরেই বিচ্ছেদের আবেদন! কারণ হিসাবে বিচ্ছেদের আবেদনে তরুণী জানিয়েছেন, স্বামী এবং তিনি দুজনেই ভালো চাকরি করেন, মোটা বেতন পান। প্রাথমিকভাবে বিদেশে কোথাও হানিমুনে যেতেই চেয়েছিলেন তারা।

আর্থিক প্রতিবন্ধকতা না থাকা সত্ত্বেও স্বামী বিদেশে মধুচন্দ্রিমায় যেতে রাজি হননি, দাবি অভিযোগকারিণীর। বরং দেশের কোথাও ঘুরতে যাওয়ার কথা বলেছিলেন স্বামী। স্বামীর যুক্তি, মা-বাবাকে দেখতে হয়। তাই বিদেশে যাওয়া সমীচীন হবে না। 

বিজ্ঞাপন

তরুণী অভিযোগ করেন, দু'জনে মিলে ঠিক করেছিলেন, গোয়া বা দক্ষিণ ভারতে বেড়াতে যাবেন। কিন্তু সেখানেও তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তাকে না জানিয়ে অযোধ্যা এবং বারাণসীর টিকিট কাটেন স্বামী।

তরুণী আরও অভিযোগ করেন, গন্তব্য পরিবর্তনের কারণ আসলে শাশুড়ি। তিনি অযোধ্যায় যেতে চাওয়াতেই গোটা পরিকল্পনা বাতিল করে দেন স্বামী। ফলে রামমন্দির উদ্বোধনের আগে অযোধ্যা বেড়াতে যেতে বাধ্য হন। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারী এমন সঙ্গীর সঙ্গে সংসার করতে চান না তিনি।

সফরের আগে এই নিয়ে কথা বাড়াননি স্ত্রী। কিন্তু ফিরে আসার পরই ভোপালের ফ্যামিলি কোর্টে বিচ্ছেদের আবেদন দাখিল করেন ভারতের মধ্য প্রদেশের ওই তরুণী। তিনি অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, তাকে সময় দেওয়ার বদলে বাড়ির লোকেদের দেখভালেই বেশি ব্যস্ত ছিলেন স্বামী। তার দিকে সে ভাবে দেখারও সময় পাননি। যদিও স্বামীর বক্তব্য, একটা ছোট বিষয় নিয়ে অযথা হইচই করছেন অভিযোগকারিণী। আপাতত ভোপালের ফ্যামিলি কোর্টে কাউন্সেলিং চলছে দম্পতির।