খোয়াই নদী থেকে বালি উত্তোলন, হুমকিতে ৩টি ব্রিজ

  • কাজল সরকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, হবিগঞ্জ, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে কয়েকবার পদক্ষেপ নিলেও খোয়াই নদী থেকে বালি উত্তোলন বন্ধ হয়নি। দিন-দুপুরে প্রকাশ্যে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে চলছে বালি উত্তোলন। ফলে হুমকির মুখে ঢাকা-সিলেট রোডের একটি রেলব্রিজসহ তিনটি ব্রিজ।

জানা গেছে, বেশ কয়েক বছর ধরেই জেলার শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ এলাকায় খোয়াই নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে আসছে একটি চক্র। চক্রটি প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার কেউই এর প্রতিবাদ করতে সাহস পান না। অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই বালি উত্তোলন করে আসছে ওই চক্রটি। অনেক সময় প্রশাসন অভিযান চালিয়ে জেল জরিমানা করলেও পুনরায় শুরু করে তারা বালি উত্তোলন।

বিজ্ঞাপন

এদিকে ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালি উত্তোলনের ফলে ঢাকা-সিলেট লাইনের একটি রেলব্রিজ, একটি বেইলি ব্রিজ এবং পুরান বাজার এলাকার একটি বেইলি ব্রিজ হুমকির মুখে পড়েছে। ব্রিজের গোড়া থেকে মাটি-বালি সরে গিয়ে দূর্বল হয়ে পড়েছে ব্রিজ তিনটি। যে কোনো সময় ব্রিজ তিনটিতে ধস দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/07/1546857845214.JPG

বিজ্ঞাপন

বছর দেড়েক আগে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগের লোকজনের উপস্থিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ব্রিজের গোড়া থেকে বালি উত্তোলনের অভিযোগে ময়না মিয়া নামে এক বালি উত্তোলনকারীকে অর্থদণ্ড করা হয়। একই সঙ্গে তার ড্রেজার মেশিন জব্দ করেন। এরপর কিছুদিন বালু উত্তোলন বন্ধ ছিল। কয়েকদিন পর আবার ময়না মিয়া ও তার ছেলে স্থানীয় জিআরপির এক দারগাকে ম্যানেজ করে রেলের ব্রিজ সংলগ্ন স্থান থেকে বালি উত্তোলন শুরু করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, নিয়মিত ব্রিজ সংলগ্ন স্থান থেকে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। প্রশাসনের লোকজনের বাধাই তারা (বালি উত্তালনকারীরা) শুনেন না। আমরা কোনো প্রতিবাদ করলে আমাদের মারপিট করে।

তারা আরও বলেন, এ ছাড়া প্রশাসনের লোকজনকেও বালি ব্যাবসায়ীরা অনেক সময় লাঞ্চিত করে। কিন্তু ইজ্জতের ভয়ে তারা তা প্রকাশ করে না।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/07/1546857873486.JPG

এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম ফেরদৌস ইসলাম বলেন, ‘এটি একটি নবগঠিত উপজেলা। এখনো এর পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু হয়নি। প্রশাসনিক কাজ করতে গিয়ে বাইরে নজর রাখা এ মূহুর্তে সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও যখন শুনেছি আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।’