পাটের তৈরি জিনিসের চাহিদা বাড়ছে!

  • ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পাটের তৈরি দৃষ্টিনন্দন সব জিনিস

পাটের তৈরি দৃষ্টিনন্দন সব জিনিস

নিজের বাড়ি, একান্ত নিজের পরিচয়। সেই বাড়িটাকে নিজের মতো করে সাজাতে কে না চায়! কিন্তু সেই একরত্তি কাচ বা প্লাস্টিকের জিনিস! চকমকে আলো, যা চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। রঙচঙা সব শোপিস!  সবকিছুতেই কেমন একটা কৃত্রিম ভাব!

তবে রুচির পরিবর্তন দেখা যায় এখন অনেক বাড়িতেই। মডার্ন এবং ওয়েস্টার্ন সাজসজ্জার পরিবর্তে দেখা যায় অনেক পরিবার ঘর সাজায় ক্লাসিক স্টাইলে। তাই চাহিদা বাড়ছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী সব জিনিসেরও।   

বিজ্ঞাপন

হাতে তৈরি নকশি কাঁথা, রিক্সা পেইন্টিং, বাঁশ ও মাটির আসবাবপত্র ছাড়াও চাহিদা বাড়ছে পাটের জিনিসেরও। ঘর সাজানো থেকে শুরু করে দৈনিক ব্যবহার্য ব্যাগও সবই পাওয়া যায়। তাই দিন দিন পাটের তৈরি জিনিসের চাহিদা বেড়েই চলেছে।

বিজ্ঞাপন

বিভিন্ন উদ্যোক্তারা তাই এই ব্যবসার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। বিভিন্ন পাপশ, ওয়াল হ্যাঙিং, পাটের ঝুড়ি, টেবিল ম্যাট, আয়না, সতরঞ্চি সহ আরও অনেক কিছু তৈরি করা হচ্ছে। তার উপর নানারঙে রাঙিয়ে পণ্যগুলোকে করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন। এই উদ্যোগের কারণে অনেক বেকাররাও কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে।

বেশ কিছু বিশ্বাসযোগ্য অনলাইন পেইজের পাটের পণ্যের ব্যবসা রমরমা ব্যবসা করছে। জনপ্রিয় আইয়ান হ্যান্ডিক্রাফ্ট পেইজ থেকে জানানো হয়, তারা নিজস্ব ‘আইয়ান জুট মিলস’ থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করেন। তাদের পেইজে তারা যথেষ্ট আগ্রহী ক্রেতাদের সাড়া পান। পণ্য হাতে পাওয়ার পর ক্রেতারা সন্তুষ্ট হওয়ার কথাও জানান। তাদের এই ব্যবসায় বেশ ভালো লাভ হয় বলেই জানায় পেইজের ব্যবসা সংশ্লিষ্টরা।  

যত সময় যাচ্ছে, মানুষ তত আধুনিক হচ্ছে। অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির ছোঁয়ায় জীবন হয়ে চলেছে সহজ। তবে যুগ যতই আধুনিক হোক, বাঙালি মনে ধরে রেখেছে ঐতিহ্য। সোনালি আঁশের বাংলাদেশের মাঠে মাঠে চাষ করা হয় পাট। সেই পাট বড় হলে কেটে তার আঁটি বাঁধা হয়। পানিতে ভিজিয়ে সেই পাট পচিয়ে তার থেকে আঁশ আলাদা করা হয়।

পাট সংগ্রহ একটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। গ্রামাঞ্চলে বর্ষাকালে এইভাবে পাট চাষ ও প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এই পাটের আঁশকে রোদে শুকিয়ে সোনালী রঙের পাটের সুতা পাওয়া যায়। সেই সুতা দিয়ে পাটের শাড়ি, দড়ি সহ নানারকম উপকরণ তৈরি করা হয়। মজার ব্যাপার হলো, এসব জিনিসের চাহিদা কেবল বাঙালিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। বিদেশেও এসব জিনিসের রপ্তানির সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।