গৌরবের দীপশিখা হয়ে ফিরছেন খাসিয়া বীর



আশরাফুল ইসলাম, ইতিহাস গবেষক ও পরিকল্পনা সম্পাদক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বনাঞ্চল ও পাহাড়-পর্বতবেষ্টিত উপমহাদেশের বহু জনপদে মানবসভ্যতার গোড়াপত্তন করেন যেই আদিবাসীরা, সভ্যতার ক্রমবিকাশের ধারায় তারাই ছিটকে পড়েন সবার আগে। ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রামের পথ ধরে বহু প্রাণের বিনিময়ে আসে কাঙ্খিত যে স্বাধীনতা সেখানে গৌরবের বরমাল্যে তাদের আমরা ভূষিত করিনি। যুগের পর যুগ, প্রজন্মের পর প্রজন্ম জানতেই পারেনি আমাদের উপভোগ করা স্বাধীনতার চড়া মূল্য আসলে কারা পরিশোধ করে গেছেন! প্রকৃত বীরদের পশ্চাতে রেখে কপটতা আর চাতুর্যের দৌলতে অনেকেই মেকি বীরের ভেক ধরেছেন যুগে যুগে। কিন্তু অবিভক্ত ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ পটভূমিকায় যে অগণিত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আমরা ভুলে গেছি, ১৯৪৭ সালে দেশভাগ তাতে আরও ছায়া ফেলেছে।

ইউ তিরৎ সিং তেমনি একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী, যাকে আমরা আমরা ভুলে গেছি। বর্তমান ভারতের মেঘালয়ের খাসিয়া পাহাড় অঞ্চলের রাজা তিরৎ সিং নিজ রাজ্যকে রক্ষায় ব্রিটিশ বাহিনীর সঙ্গে চার বছরব্যাপী এক রক্তাক্ত সংগ্রামে পরাজিত ও আহত অবস্থায় আটক হয়ে ঢাকাতে কারাবন্দি হন। এবং উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে-১৮৩৫ সালের ১৭ জুলাই ঢাকায় কারাবন্দি অবস্থাতেই তার মৃত্যু হয়। খণ্ডিত স্বদেশে ম্রিয়মান স্বাধীনতার চেতনায় ‘খাসিয়া বীর’ ইউ তিরৎ সিং নামটি প্রায় হারিয়েই গিয়েছিল! সাম্প্রতিক দশকে মেঘালয়-আসামের প্রজন্মের কাছে তিরৎ সিংয়ের বীরোচিত উপাখ্যান প্রেরণা ও জাগরণের বিষয় হয়ে ফের ধরা দিয়েছে। প্রাদেশিক সরকারের আনুকূল্যে তা হয়ে উঠে সার্বজনীন আগ্রহ ও আবেগের বিষয়। গড়ে ইউ তিরৎ সিংহের নামে সৌধসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান ও অবকাঠামো। আঞ্চলিক সাহিত্য ও সঙ্গীতেও উৎকীর্ণ হয়েছে তার বীরত্বগাঁথা।

সেই সঙ্গে দাবি উঠে, অকুতোভয় এই স্বাধীনতা সংগ্রামীর জীবনের শেষ দিনগুলির স্মৃতিবিজড়িত ঢাকায় তার স্মৃতি রক্ষায় কিছু প্রচেষ্টা নেওয়ার। জনাকাঙ্ক্ষার সেই প্রতিফলনও অবশেষে বাস্তব হতে চলেছে। আমরা জানতে পেরেছি, মেঘালয় সরকারের আগ্রহে এবং ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন ও আনুকূল্যে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনের ব্যবস্থাপনায় ধানমন্ডিতে ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারে স্থাপিত হয়েছে খাসিয়া বীর ইউ তিরৎ সিংয়ের পূর্ণাবয়ব ভাস্কর্য। আরও আনন্দের খবর যে, মেঘালয়ের উপমুখ্যমন্ত্রী স্নিয়াভলং ধরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল তিরৎ সিংয়ের ভাস্কর্য উন্মোচনে ঢাকায় আসছেন। তাদের এই সফর যেমন খাসিয়া জনগোষ্ঠীর আবেগকে স্পর্শ করবে তেমনি বন্ধুপ্রতীম বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্তবর্তী মেঘালয়ের সাংস্কৃতিক যোগাযোগের ক্ষেত্র আরও প্রসারিত হবে। কেননা মেঘালয়ের সীমান্তবর্তী জনপদে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে স্থানীয় অধিবাসী ও ভারতের সরকারের পক্ষ থেকে যে অকৃত্রিম সাহায্য ও সহযোগীতা করা হয়েছে তা আজও মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশের শরণার্থীদের স্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে। এই সফর নাগরিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতিকে আরও নিবিড় করে তুলতে বিরাট ভূমিকা রাখবে বলেই আশা করা যায়।

সফরকালে মেঘালয়ের প্রতিনিধি দলের পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কে অবস্থিত পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার (যা বর্তমানে জাদুঘর হিসেবে রূপান্তর করার কাজ চলমান) পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে। খাসিয়া সম্প্রদায়ের গৌরবের নাম তিরৎ সিংয়ের বন্দিদশার বেদনাবিদূর স্মৃতিকে ছুঁয়ে দেখার ব্যাকুলতা নিয়ে আসা মেঘালয়ের প্রতিনিধিরা হয়ত দেখার মতো কোন স্মৃতিই আজ আর অবশিষ্ট পাবেন না। কেননা শাসনতান্ত্রিক পালাবদলে প্রায় দুশো বছরের পুরনো সেই ঘটনার কিছুই সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি পরবর্তীতে। কিন্তু আমরা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ ইউ তিরৎ সিংহের স্মৃতিকে ধরে রাখতে কারা জাদুঘর হিসেবে উন্মোচিত হতে চলা জাদুঘরে তার একটি ভাস্কর্য লিখিত ইতিহাসসহ স্থাপনের দাবি জানাতেই পারি।

কেবল তিরৎ সিং নন, এই কারাগারে অন্তরীণ থাকা ও ফাঁসি কার্যকর হওয়া ব্রিটিশবিরোধী অন্য সকল স্বাধীনতা সংগ্রামীর সচিত্র বিবরণ উৎকীর্ণ করারও দাবি জানাব। আমরা জানি, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাকিস্তান শাসনামলে বহু বরেণ্য রাজনীতিক অন্তরীণ ছিলেন; আমরা এও জানি এই কারাগারেই জাতীয় চারনেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সকল বীরদের আত্মত্যাগের মহিমা ভাস্বর হয়ে উঠুক সংস্কারাধীন এই কারা জাদুঘরে, এটি আমাদের আন্তরিক প্রত্যাশা। 

সাম্প্রতিক বছরে দেখে এসেছি, কলকাতার আলিপুর সেন্ট্রাল জেলকে মিউজিয়ামে রূপান্তর করে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের গৌরবদীপ্ত ও বেদনাসিক্ত আখ্যান নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে কিভাবে মূর্ত করে তোলা হয়েছে।  গেল বছর আরও দেখে এসেছি পশ্চিমবঙ্গের খড়কপুরে হিজলী বন্দিশালা, যা বর্তমানে আইআইটি, খড়কপুরের অভ্যন্তরে অবস্থিত। সেখানে বন্দিশালায় স্বাধীনতা সংগ্রামের জীবন্ত মেরে ফেলার সেই নিষ্ঠুর কারাকুঠুরি! নূন্যতম আলো-বাতাস প্রবেশের সুযোগ না রেখে কিভাবে তথাকথিত ‘সভ্য জাতি’ ব্রিটিশরা স্বাধীনতার আকাঙ্খা পোষণের ‘অপরাধে’ এমন নিষ্ঠুর কারাপ্রকোষ্ঠ বানাতে পারেন দূরকল্পনাকেও হার মানাবে। 

গেল ২৩ জানুয়ারি (২০২৪) ভারতের ঝাড়খণ্ড প্রদেশের জামশেদপুরের আদিত্যপুরে গিয়েছিলাম নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মোৎসবের এক মহা আয়োজনে যোগ দিতে। সেই আয়োজনের পুরোধা দেশভক্ত ও বিপ্লবীদের অনুরাগী পি কে নন্দী অরণ্যবেষ্টিত ঝাড়খ-ে অরণ্যচারী আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বর্বর ব্রিটিশ বাহিনীর অন্যায় করারোপের প্রতিবাদে রুষে উঠার আখ্যান মেলে ধরেছিলেন তাদের স্থানীয় ‘ছৌনাচ’ এর মাধ্যমে। যেখানে আমরা জানতে পারি, পশ্চাদপদ জনপদের আদিবাসীরাও কিভাবে প্রাণপণে লড়েছিলেন স্বাধীনতার জন্য, তাদের স্বাধীকারের জন্য। সেখানকার মুণ্ডা জনগোষ্ঠীর বীরযোদ্ধা বিরসা মুণ্ডা তাদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বিরসা মুণ্ডার সেই বীরোচিত আখ্যান আজ নানা লোকজ সাংস্কৃতিক মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। স্থানীয় অধিবাসীদের কাছে বিরসা মুণ্ডা আজ এক শক্তি ও প্রেরণার নাম।

পলাশীর প্রান্তরে ইংরেজদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রমূলক যুদ্ধে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার পতনের পর ক্রমান্তরে ভারতবর্ষের বিভিন্ন অংশ ব্রিটিশশাসনের করতলে আসতে থাকে। আসামসহ ও উত্তর-পূর্ব ভারত অধিকারে আনতে তৎপর ব্রিটিশ বাহিনী সিলেট থেকে গুয়াহাটি পর্যন্ত দুর্গম পাহাড়ের মধ্য দিয়ে সড়ক নির্মাণে খাসিয়া রাজা ইউ তিরৎ সিংয়ের শরণাপন্ন হন। ১৮২৭ সালে সড়ক নির্মাণের জন্য ব্রিটিশদের অনুমতি দিলেও অচিরেই তাদের অভিসন্ধি স্পষ্ট হয়ে উঠে। এই অনুমতি যে খাসিয়াদের শোষণের হাতিয়ার হতে চলেছে, তিরৎ সিং তা বুঝতে পারেন এবং সড়ক নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দেন।

যদিও ইংরেজরা তা মানতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলশ্রুতিতে নিজস্ব স্থানীয় সমরশক্তি ও খাসিয়া অধিবাসীদের অপরিসীম মনোবল সঙ্গী করে তিরৎ সিং ১৮২৯ সালের ৪ এপ্রিল ইংরেজদের হটাতে প্রবল আক্রমণ শুরু করেন। এতে বহু ইংরেজ সেনাদের সঙ্গে প্রাণ হারান দুই ইংরেজ সেনাকর্তা লেফট্যানেন্ট বার্লটন ও লেফট্যানেন্ট বেডিংফিল্ড। রক্তাক্ত এই যুদ্ধ চলে চার বছর ধরে। কিন্তু ইংরেজদের আধুনিক সমরাস্ত্র ও সমরকৌশলে এক পর্যায়ে খাসিয়াদের পরাস্ত হতে হয়, যদিও খাসিয়া যোদ্ধাদের গেরিলা সমরকৌশলে নাস্তানাবুদ হওয়া ব্রিটিশ বাহিনীকে অনেক মূল্য দিতে হয় এই খন্ড যুদ্ধে। আহত খাসিয়া রাজা তিরৎ সিং পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নিলেও বিশ্বাসঘাতকতায় তিনি ৯ জানুয়ারি ১৮৩৩ সালে ধৃত হন।

মেঘালয়ের সরকারি নথিপত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যাচ্ছে যে, রাজা ইউ তিরৎ সিংকে গুয়াহাটি নিয়ে বিচারের প্রহসন সাজিয়ে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। বন্দিদশায় অন্য স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মতো এই খাসিয়া বীরকেও কি ধরণের বর্বরতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল তা ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হয়নি। ঢাকায় বন্দিদশায় আরও ২ বছর বেঁচে ছিলেন তিরৎ সিং। ১৮৩৫ সালের ১৭ জুলাই মাত্র ৩৩ বছর বয়েসে মৃত্যু হয় এই অকুতোভয় স্বাধীনতা সংগ্রামীর। গবেষক হারুন হাবিবের লেখায় আমরা জানতে পারছি, প্রথমে ঢাকা কারাগারে অন্তরীন করা হলেও পরবর্তীতে ঢাকার  কোতোয়ালিতে বরকন্দাজের প্রহরায় একটি বাড়িতে বন্দি রাখা হয় তিরৎ সিংকে, বাড়িটির অবস্থায় পুরান ঢাকার গীরদকিল্লায় বলে উল্লেখ পাওয়া যায়। যা বর্তমানে এশিয়াটিক সোসাইটি লাইব্রেরির পাশে।

পরবর্তী সময়গুলোতে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকে মাটিচাপা দেওয়ার যে প্রবণতা আমরা লক্ষ্য করি তাতে ইউ তিরৎ সিংয়ের ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। তবে আশার কথা হচ্ছে, মেঘালয়ের সরকার ও জনগণ যেভাবে তাদের হৃতগৌরকে উচ্চে তুলে ধরতে তৎপর হয়েছে তা খণ্ডিত স্বদেশের অপরাপর অংশকেও জাগিয়ে তুলুক। কেননা স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগের যে গৌরব এই অঞ্চলের রয়েছে তা বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত। গৌরবের পরম্পরাকে এগিয়ে নিতে ব্রাত্য করে রাখা ইতিহাসের চর্চা খুবই জরুরি।

   

সম্মানসূচক ডি. লিট উপাধি পেল 'বিড়াল'!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে 'ম্যাক্স' নামের একটি বিড়ালকে সম্মানসূচক ‘ডক্টরেট অব লিটারেচার’ বা ডি. লিট উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। দেশটির ভারমন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের স্নাতক অনুষ্ঠানে বিড়ালটিকে এই সম্মানসূচক ডিগ্রি দেওয়া হয়। তবে সেই অনুষ্ঠানে বিড়ালকে আমন্ত্রণ জানানোর নিয়ম না থাকায় উপস্থিত ছিল না ম্যাক্স। 

বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষ বলছে, অনুষ্ঠানে বিড়ালটি উপস্থিত ছিল না। তাই বিড়ালের মালিক অ্যাশলে ডোর কাছে খুব শিঘ্রই এই ডিগ্রি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।   

বন্ধুসুলভ এই বিড়ালটিকে তার ইঁদুর শিকারের দক্ষতা বা অতিরিক্ত ঘুমানোর জন্য নয় বরং তার সহচার্যের জন্যই স্বীকৃতি দিয়েছে।   বিড়ালটিকে এই ডিগ্রিতে ভূষিত করা হয়। ভারমন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির ক্যাসেলটন ক্যাম্পাস।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সম্মানসূচক ডি. লিট উপাধি পেল 'বিড়াল'!

বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি ফেসবুক পোস্টের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ম্যাক্স দ্য ক্যাট, অনেক বছর ধরেই ক্যাসেলটন পরিবারের একজন আদুরে সদস্য। ভারমন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের প্রবেশদ্বারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া রাস্তায় পাশেই বসবাস করে এক পরিবার। বিড়ালটি সেই পরিবারেরই পোষা।

বিড়ালের মালিক অ্যাশলে ডো বলেন, ‘বিড়ালটি ঠিক করেছে সে ক্যাম্পাসে যাবে। এরপর থেকেই সে কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আড্ডা দিতে শুরু করে। আর শিক্ষার্থীরাও তাকে আদর করতে শুরু করে।’

বিড়ালটি প্রায় চার বছর ধরে ক্যাম্পাসে আসা যাওয়া করছে। বিড়ালটিকে পথের ধারে শুয়ে থাকতে দেখলেই সবাই তার সঙ্গে সেলফি নেয়।

এমনকি সাবেক ছাত্ররাও যখনই ক্যাম্পাসে আসেন তারা তখনই বিড়ালটির খোঁজ নিতে তার মালিক ডো-এর কাছে যান। ডো তাদের কাছে বিড়ালটির মা হিসেবেই বেশি পরিচিত।

;

৯৩ বছর বয়সে বৃদ্ধের অবিশ্বাস্য কর্মকাণ্ড



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বৃদ্ধ জন স্টারব্রুক

বৃদ্ধ জন স্টারব্রুক

  • Font increase
  • Font Decrease

শৈশবে খেলা, কৈশরে পড়ালেখা, যৌবনে চাকরি, মধ্যবয়সে সংসার, বৃদ্ধবয়সে একটা মাথা গোজার ঠাঁই খুঁজে অবসরে সময় কাটিয়ে দেওয়া। কপাল খারাপ থাকলে বিছানাতেই শোয়া বা আধশোয়া থেকে মৃত্যুর দিন গোণা। সাধারণত এভাবেই মানুষের জীবন কেটে যায়। অনেকে আবার মধ্যবয়সের পরেই নানারকম রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। অথবা শরীরকে বিভিন্ন রোগের আবাসস্থল বানিয়ে দুর্বল হয়েই বেঁচে থাকেন। তবে খড়ের গাদায় সূচের মতো দু-একজন থাকে যারা একেবারেই ব্যতিক্রম। তেমনভাবেই আলোচনায় এসেছেন ৯৩ বছরের এক বৃদ্ধ।  তার ব্যতিক্রমী জীবনযাপনের ধারাই আলোড়ন সৃষ্টি করেছে যুসমাজে।     

যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা জন স্টারব্রুক। তিনি একজন ওয়াটার পোলো খেলোয়াড়। এটি মূলত পানির মধ্যে বাস্কেটবলের মতো একধরনের খেলা। এইখেলার সাথে কুস্তি খেলারও কিছুটা সাদৃশ্য রয়েছে। জনের বর্তমান বয়স ৯৩ বছর। এই বয়সেও যথেষ্ট সুস্থ এবং সবল তিনি। সমবয়েসীদের যেখানে সোজা হয়ে দাঁড়াতেও ২ জনের সহায়তা লাগে, সেখানে এখনো ম্যারাথনে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি বেশ দক্ষ সাঁতারুও বটে! ৮০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সাঁতার কাটা অব্যাহত রেখেছেন তিনি।

প্রায় শতাব্দি ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধের এমন কারিশমা দেখে চোখ ছানাবড়া হবার উপক্রম। জন মূলত একজন সাঁতারু। পেশাগতভাবে না হলেও অনেক ছোটবেলা থেকেই তিনি সাঁতার কাটেন তিনি। দেশের সম্মানজনক অনেপ্রতিযোগীতায় একাধিক বার চ্যাম্পিয়নের খেতাবও জেতেন। চাকরি করেছেন ‘ব্রিটিশ আর্মি মেডিক্যাল কর্পস’-। সেখানেও সাঁতারের দক্ষতার কারণে তার বেশ সুনাম ছিল।   

ম্যারাথনে দৌড়াচ্ছেন ৯৩ বছরের জন

তবে সাঁতারের পাশাপাশি এখন ম্যারাথেনেও অংশগ্রহণ করেছেন জন। ৫২ টির বেশি ম্যারাথনের দৌড় শেষ করেছেন তিনি। জানালেন এই বয়সেও তার এমন চ্যালেঞ্জিং সব কাজের অভিজ্ঞতা। সুস্থতা ধরে রাখার রহস্যও ফাঁস করলেন সকলের কাছে। ব্রিটিশ নাগরিক জন বন্ধুদের কাছে ‘দ্য লিজেন্ডনামেই পরিচিত। একই নামে তাকে আখ্যায়িত করছে ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলো

জন স্টারব্রুক জানান, তিনি এখনো সপ্তাহের ৬ দিনই জিমে যাতায়াত করেন। বিশেষ কোনো খাদ্যাভাস নেই তার। খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি রাখতে পছন্দ করেন- এই যা। তাছাড়া প্রতিদিন সকালে পোরিজ খান তিনি। তবে তিনি কখনো ধূমপান করেননি। অ্যালকোহলও খুব সীমিত পরিমাণে সেবন করতেন। মূলত এই বয়সেও এটা সবল থাকার পেছনে বংশ পরম্পরায় পাওয়া নিজের জীন আসল কারণ- বিশ্বাস করেন জন।

কারণ যাই হোক, প্রানবন্ত এই বৃদ্ধ বিশ্ববাসীকে অবাক করেছে। তার মতোই দৃঢ় মানসিকতা ধরে রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন যুবক-যুবতীরা।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

;

প্রশ্ন আর উত্তর যেন পরস্পরের সাংঘর্ষিক!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রশ্ন থাকে এক আর তার উত্তর হয় ভিন্ন। এমন উত্তরপত্রের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়ই দেখা যায়। এবার এমনই এক উত্তরপত্রের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল হয়েছে। যা দেখে রীতিমতো সবাই অবাক! তবে এই ঘটনার জন্ম দেওয়া দেশটি বাংলাদেশ নয়, প্রতিবেশী দেশ ভারতের একটি হিন্দি পরীক্ষায় ঘটেছে এমন কাহিনী।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রকাশিত ভিডিওতে পরীক্ষার্থীর এমন উত্তর দেখে শিক্ষককেও হাসতে দেখা যায়। 

ভিডিওটি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা হয়েছে @n2154j অ্যাকাউন্টের একটি আইডি থেকে।

ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি প্রশ্ন ছিল এমন, সংযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ (যৌগিক ব্যঞ্জনবর্ণ) কী? এই প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষার্থীটি একটি খাদ্য রূপক দিয়ে উত্তর দিল: "মাটার পনির এবং সব মিশ্র সবজি একত্রিত একটি খাবার।"

আরেকটি প্রশ্ন ছিল "অতীত কাল কাকে বলে?" এর উত্তরে ওই পরীক্ষার্থি লিখেছে, "যখন অতীত আমাদের অতীতের আকারে আসে, তখন তাকে অতীত কাল বলা হয়।"

ভিডিও অনুযায়ী আরও একটি প্রশ্ন ছিল "বহুবচন কাকে বলে?" এর উত্তরে সে লিখেছে "যে পুত্রবধূ তার শ্বশুরবাড়ির কথা শোনে তাকে বহুবচন বলে।"

শিক্ষার্থীটির এমন উত্তর শুনে হাসিতে ফেটে পড়েন শিক্ষক। এমন উত্তরগুলোকে শিক্ষক ভুল হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। যদিও এমন উত্তরের জন্য তাকে পুরোপুরি হতাশ করা হয়নি। তাকে ১০ মার্কের মধ্যে ৫ নম্বর দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষক পরে তার উত্তরপত্রে লিখে দিয়েছিলেন, এই ৫ মার্ক তোমার মস্তিষ্কের জন্য, ছেলে।

ভিডিওটি দেখে সবাইকে হাসির ইমোজি দিতে দেখা যায়। সম্পূর্ণ নম্বর না পাওয়ায় অনেকেই যুক্তি দিয়ে লিখেছেন, ছাত্রটি তার কৌতুক প্রতিভার জন্য পূর্ণ নম্বর পাওয়ার যোগ্য।

তবে এমন ঘটনা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছেন, ছাত্র এবং শিক্ষকের হাতের লেখা সন্দেহজনকভাবে একই রকম।

অন্য এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, "প্রশ্ন এবং উত্তর একই হাতের লেখা"। 

;

ফেনী শহরে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া



মোস্তাফিজ মুরাদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

'কৃষ্ণচূড়ার রাঙা মঞ্জুরি কর্ণে-আমি ভুবন ভুলাতে আসি গন্ধে ও বর্ণে' জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই মনোমুগ্ধকর গানে ফুটে উঠেছে কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য। কৃষ্ণচূড়া যেন প্রকৃতিকে দান করেছে লাল আভার অপরূপ সৌন্দর্যের মহিমা। সাথে গ্রীষ্মের উত্তাপে শহরে সৌরভ ছড়াচ্ছে নানা জাতের ফুল। তীব্র তাপদাহের পর কালবৈশাখী, এরপর মাঝারি বৃষ্টির মধ্যে ফুলের আগমন। এতে রঙের উল্লাসে মেতে উঠেছে ফেনী শহরবাসী।

ফেনী শহরের কোর্ট বিল্ডিং, এলজিইডি, পুলিশ লাইন, নবীন চন্দ্র সেন কালচারাল সেন্টার, ফেনী সরকারি কলেজ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ফুটে আছে কৃষ্ণচূড়া। এটি একদিকে প্রকৃতিকে যেমন সাজিয়েছে অপরূপ সৌন্দর্যে, অন্যদিকে এর সৌন্দর্য মুগ্ধ করছে তরুণ-তরুণী, নানা শ্রেণি-পেশার মানুষসহ ফুলপ্রিয় পথচারীদের। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে, সরকারি দফতরসহ স্কুল-কলেজে কৃষ্ণচূড়া গাছের লাল ও উজ্জ্বল সবুজ পাতার সংমিশ্রণ দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে চারপাশ।


কৃষ্ণচূড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ফুলের ঘ্রাণে মুখরিত হয়ে আছে পুরো শহর। শহরের মূল সড়কের ডিভাইডারে পৌরসভার উদ্যোগে লাগানো হাসনাহেনা, রজনিগন্ধা, গন্ধরাজসহ নানা জাতের ফুল গাছে ফুল ফুটেছে। এটি একদিকে বাড়িয়েছে সৌন্দর্য অন্যদিকে হেঁটে কিংবা রিকশায় চলাচল করলে পাওয়া যায় এসব ফুলের সুঘ্রাণ।

ফেনী শহরের কৃষ্ণচূড়ার অপরূপ সৌন্দর্য দেখে ফুলপ্রিয় পথিকরা বলছেন, কৃষ্ণচূড়া ফুল প্রকৃতিকে অনন্য সাজে সাজিয়েছে। এই ফুলের সৌন্দর্যের কারণে পথচারীরা একবার হলেও এই ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য এর গাছের উপর নজর দিবে। পাশাপাশি তীব্র গরমে অন্যান্য ফুলের সুঘ্রাণে চারপাশ মুখরিত হওয়াতে ক্লান্তিতা কিছুটা হলেও কমছে।


তারা বলছেন, কৃষ্ণচূড়া ফুলের এই নান্দনিক দৃশ্য দেখতে এর গাছ রোপণ করা জরুরি। রাস্তা প্রশস্তকরণ, ঘর-বাড়ি নির্মাণসহ নানা প্রয়োজনে গাছ কেটে ফেলা হয়। অন্যান্য গাছ রোপণ করার পাশাপাশি কৃষ্ণচূড়া রোপণ করলে একদিকে যেমন সৌন্দর্য বাড়াবে অন্যদিকে পরিবেশ বান্ধব হবে।

সাজিদ হাসান নামের এক পথচারী বলেন, কৃষ্ণচূড়া একদিকে যেমন প্রকৃতিতে অপরুপ সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে, আরেকদিকে গ্লোবাল ওয়ার্মিং কমাবে। সারাদেশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে, আমার মতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে এই গাছটিও যুক্ত করা উচিত। তীব্র গরমের পর বৃষ্টি হলো, এরপর শহরে নানা রঙের ফুলের দেখা মিলছে, ফুলের ঘ্রাণে চলাচল করতেই ভালো লাগছে।

ফারজানা ইয়াসমিন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ফুলের সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে। অন্যান্য ফুলের পাশাপাশি কৃষ্ণচূড়া ফুল আমার অনেক ভালো লাগে। আমাদের কলেজে বকুল তলা আছে, ক্যান্টিনের পাশে কৃষ্ণচূড়া গাছ আছে। সুযোগ পেলেই ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করি।

অনিক মোহন নামে একজন বলেন, রিকশায় করে যখন বাসায় ফিরি, শহরের রাস্তার মাঝে ভিডাইভারে লাগানো নানা জাতের ফুলের ঘ্রাণ মনকে আনন্দিত করে। রাতের বেলা শহর যখন নিস্তব্ধ হয়ে যায়, তখন এ ফুলের সৌন্দর্য কয়েকশ’ গুণ বেড়ে যায়।

সড়কের পাশে কৃষ্ণচূড়া লাগানো হলে সৌন্দর্য বাড়বে বলে মনে করেন পথচারী মিনহাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, রাস্তা প্রশস্তকরণের জন্য যে গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে, ওই গাছগুলোর জায়গা কৃষ্ণচূড়ার গাছ লাগালে রাস্তার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে।

একই কথা বলেন শহরের ব্যবসায়ী নাদিম আহমেদ। তিনি বলেন, সৌন্দর্য ও পরিবেশের কথা বিবেচনা করে এই গাছ রোপণ করা উচিত আমাদের। তাপমাত্রা যেভাবে বাড়ছে অন্যন্যা গাছ রোপণ করার পাশাপাশি কৃষ্ণচূড়া গাছ রোপণ করার উদ্যোগ নিতে হবে। যেগুলো শহরে আছে তাতেই সৌন্দর্য বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুণ, আরও যদি লাগানো যায় ফুলে ফুলে ভরে উঠবে আমাদের শহর।

কৃষ্ণচূড়া মাদাগাস্কারের শুষ্ক পত্রঝরা বৃক্ষের জঙ্গলে পাওয়া যায়। যদিও জঙ্গলে এটি বিলুপ্ত প্রায়, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এটি জন্মানো সম্ভব হয়েছে। সৌন্দর্যবর্ধন গুণ ছাড়াও, এই গাছ উষ্ণ আবহাওয়ায় ছায়া দিতে বিশেষভাবে উপযুক্ত। কৃষ্ণচূড়া উদ্ভিদ উচ্চতায় কম (সর্বোচ্চ ১২ মিটার) হলেও শাখা-পল্লবে এটি বেশি অঞ্চল ব্যাপী ছড়ায়।

শুষ্ক অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে কৃষ্ণচূড়ার পাতা ঝরে গেলেও, নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে এটি চিরসবুজ থাকে। কৃষ্ণচূড়া ফুলের রং উজ্জ্বল লাল। পত্র ঝরা বৃক্ষ, শীতে গাছের সব পাতা ঝরে যায়। বাংলাদেশে বসন্ত কালে এ ফুল ফোটে। ফুলগুলো বড় চারটি পাপড়ি যুক্ত। পাপড়িগুলো প্রায় ৮ সেন্টিমিটারের মত লম্বা হতে পারে। কৃষ্ণচূড়া জটিল পত্র বিশিষ্ট এবং উজ্জ্বল সবুজ। প্রতিটি পাতা ৩০-৫০ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ২০-৪০ টি উপপত্র বিশিষ্ট। কৃষ্ণচূড়ার জন্মানোর জন্য উষ্ণ বা প্রায়-উষ্ণ আবহাওয়ার দরকার। এই বৃক্ষ শুষ্ক ও লবণাক্ত অবস্থা সহ্য করতে পারে।

জানা যায়, অপরূপ সৌন্দর্য ছড়ানোর পাশাপাশি কৃষ্ণচূড়া ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর পাতা, মূলের বাকল ও ফুল ভেষজ গুণাগুণ সম্পূর্ণ, যা জ্বর ও খুশকি নিরাময়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। ভেষজটি হেমিপ্লেজিয়া, আর্থরাইটিস এবং কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। কৃষ্ণচূড়া গাছের শিকড়, বাকল এবং ফুল সবই পরজীবী সংক্রমণ নিরাময়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।

;