ইতিহাসের পাতায়: বার্মুডায় যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তাদের হত্যা
ফিচার
সময়ের আবর্তনে পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। তারই সাথে একেকটি বছর গণনা করি আমরা। বছর পার হয়ে আবার সেই দিনগুলো ফিরে আসে পুরনো সকল স্মৃতি নিয়ে।
আজ ১০ মার্চ, ২০২৪। ইতিহাসে চোখ মেললে দেখা যায়, ঘটে গেছে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা। জেনে নেওয়া যাক সেগুলো!
বিজ্ঞাপন
১৯৬৯ সালে আজকের দিনে বিখ্যাত কৃষ্ণাঙ্গ নেতা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের হত্যাকারীর শাস্তি ঘোষণা করে আমেরিকার আদালত । জেমস আর্লরে নিজ থেকে হত্যার কথা স্বীকার করায় তাকে ৯৯ বছরের কারাবন্দীর আদেশ দেওয়া হয়। বর্ণভেদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী এই নেতার মৃত্যুতে শোকাহত হয় সমগ্র আমেরিকা-বাসী।
ইসরায়েলের গুপ্তচর হওয়ার অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হন ‘দ্য অবজার্ভার’-এর সাংবাদিক ফারজাদ বাজোফাট। ইরাকের রাজধানী থেকে ৪৮ কিলোমিটার দূরে এক বিস্ফোরনের ঘটনার তদন্তে, ইসরায়েলের সাথে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। এই অপরাধে ফারজাদের ফাঁসি কার্যক্রম সম্পন্ন হয় ১৯৯০ সালের ১০ মার্চ।
বিজ্ঞাপন
১৯৭৩ সালে বার্মুডায় যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তাদের হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। উত্তর আটলান্টিকে ‘বাৎসরিক পুলিশ বল’ অনুষ্ঠানের দিন মাঠে হেঁটে বেড়াচ্ছিলেন স্যার রিচার্ড শার্পলস এবং তার সহযোগী-ডি-ক্যাম্প ক্যাপ্টেন হিউ সেয়ার্স। সে সময় গুলি ছুঁড়ে হত্যা করা হয় তাদের।
২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৫ সালে জাপানের টোকিওতে আকাশপথে ১০ মার্চ রাতে হামলা করা হয়। বি-২৯ এর সেই হামলায় প্রায় ১ লাখ মানুষ মারা যায়। তদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল সাধারণ জনগণ।
আজকের তারিখে আয়ারল্যান্ডে ‘হোম রুল’ আইন প্রদান করে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে। দেশকে বিভক্ত করার এই নির্দেশ দেওয়া হয় ১৯২০ সালে ।
কালো জলরাশির ওপর একের পর এক সাজানো নৌকায় রঙিন সবজিতে ভোরের সূর্যের কিরণ সোনালি রং দেওয়ার চেষ্টা করলেও, আশেপাশের ময়লা আবর্জনায় তা মলিন। তবে যুগের পর যুগ এই নোংরা পানি আর আবর্জনায় মাঝেই সোনালি বাণিজ্য অন্য জুটিয়েছে দিন মজুররা। বুড়িগঙ্গার এই কালো জলের স্রোত কাউকে বানিয়েছে কোটিপতি, আবারও কারও মাথার ঝুড়ির বোঝা দ্বিগুণ করেছে। তবে বাণিজ্যের কদর খুব একটা হেরফের হয়নি এখানে।
বুড়িগঙ্গার নৌ-পথকে পুঁজি করে ১৭৪০ সালে ঢাকার নায়েবে নাজিম নওয়াজিশ মোহাম্মদ খানের সময় ফরাসি বণিকদের প্রতিষ্ঠিত ছোট্ট ‘গঞ্জ’ বা ‘বাজার’ প্রায় ৩০০ বছর ধরে বাণিজ্য ধরে রেখেছে। কালের বিবর্তনে বাণিজ্যের ধরণ বদলেছে। বদলেছে ব্যবসার রঙ। গঞ্জের নামও হয়েছে বৃহৎ 'শ্যামবাজার'।
রাত হলেই ব্যস্ততা শুরু হয় এই শ্যাম বাজারে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পণ্যবাহী ট্রাক আসে। ব্যস্ততা শুরু হয় শ্রমিকদের। নাম মাত্র শ্রমের মূল্যের রাতভর বস্তা টানে দীন-দারের কঠোর দেহ। তবে প্রাচীন নৌপথ ধরে এখনো পণ্য আসে শ্যামবাজারে। যা অনেকটা কৃষকের খেতের টাটকা সবজি নাম পরিচিত। ভোরের আলো ফুটতেই দৃশ্যমান হয় সেই ভাসমান বাণিজ্যের।
বর্তমানে খেয়ানৌকা, লঞ্চ ও স্টিমারের শ্যামবাজার ঘাটের জায়গা দখল করে নিয়েছে সড়কপথে ট্রাক, বাস। তবুও এখনো নৌপথে বিক্রমপুর, মাদারীপুর, বরিশাল, শরীয়তপুর, চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ থেকে কৃষিপণ্য আসে শ্যামবাজার ঘাটে।
পণ্য খালাসের সাথেই ব্যবসায়ীরা জড়িয়ে পড়ে দর-দামের তর্কে। সবজির দামে জিতে নৌপথেই বাণিজ্যের পরের গন্তব্য খোঁজে অনেকে৷ তবে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী স্থানীয় মিন্তির সাহায্য নিয়ে পণ্য তোলে সড়কে। সেখান থেকেই এসব পণ্যের যাত্রা শুরু হয় ভোক্তার নীড় পর্যন্ত।
শ্যামবাজার এই ঘাট ঘিরে ভাসমান মানুষের আনাগোনা যেমন তেমনি ক্ষুদ্র ব্যবসায় সংসারের হাল ধরেছে অনেকে। তাদের মধ্যে হামিলা (ছদ্মনাম) একজন। হালিমার বাহারী চিতই পিঠার স্বাদ নিয়ে সকালের শুরু হয় এই ঘাটের মাঝি ও ব্যবসায়ীদের।
ছিন্নমূল মানুষও বাণিজ্য খোঁজে এই শ্যামবাজার ঘাটে। বুড়িগঙ্গার পানিতে ভাসা সবজিই তাদের পুঁজি। কুড়ানো সবজিতেই লাভ খোঁজে আকলিমা-মনিরা মত নারীরা। সবজি কুড়িয়ে প্রক্রিয়াজাত করে বাদ দিয়ে যা থাকে তা বিক্রি করে ঘরে ফিরে তারা। আবারও ফজরের আজানের সাথে ঘাট দখলে বের হয় আকলিমা-রা ।
প্রকৃতির বৈচিত্র্যতায় নানা মনের মানুষ ঘুরে বেড়ায় পথে প্রান্তরে। তবে আবুল কালাম ভিন্ন। কয়েক যুগ কাটিয়ে দিয়েছেন এই শ্যামবাজারে। ছেড়া গেঞ্জির দিকে নজর না থাকলেও চশমা আর টুপি তার সাজের প্রধান উপকরণ। মর্তের রাজনীতিতে তার খেয়াল নেই। কোনো রকম দিন গেলেই নতুন আনন্দের খোঁজ করেন তিনি। দুঃখ কষ্ট অনুভূতি খুব একটা নেই তার। প্রকৃতির মাঝে অন্তত উপলব্ধির জন্য হলেও প্রয়োজন আছে এমন মানুষেরও!
আগে রাজধানী ঢাকার ব্যবসা বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু ছিল এই শ্যাম বাজার। তবে কারওয়ান বাজার, যাত্রাবাড়ী, মোহাম্মদপুর, টঙ্গি, বাইপাইল, মিরপুর, মহাখালীতে পাইকারি বাজার গড়ে ওঠার কারণে জৌলুস কমেছে শ্যামবাজারের।
যদিও এখনো রাজধানীর সব থেকে বড় ও প্রাচীন পাইকারি বাজারের আড়ত এই শ্যামবাজারই। গড়ে উঠেছে পেঁয়াজ রসুনের বড় বড় আড়ত। মূলত ভিনদেশ থেকে নৌপথেই এসব পেঁয়াজ রসুন আসে এখানে৷ শ্যামবাজারের পর্যটক গাড়িও যেন পরিণত হয়েছে গণপরিবহণে। সব মিলে জৌলুশ ধরে টিকে থাকার লড়াই করছে এক সময়ের গঞ্জের ঐতিহ্য।
ওরেগন ডাক ও উইসকনসিন ব্যাজারের মধ্যকার ফুটবল ম্যাচ মিস করতে না চাওয়ায় নববধূর বিয়ের গাউনে প্রজেক্টরের মাধ্যমে ম্যাচটি দেখিয়েছেন কেনেডি স্যাভেজ।
নববধূর এই ভিন্ন রকম গাউন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকে বেশ বিস্তার লাভ করেছে বলে জানিয়েছে গালফ নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কেনেডি স্যাভেজ নামের এক মার্কিন নববধূ তার বিয়ের রিসেপশনে গাউনে একটি ফুটবল ম্যাচ দেখিয়েছেন।
গত ১৬ নভেম্বর (শনিবার) ওরেগন ডাক ও উইসকনসিন ব্যাজারের মধ্যকার ম্যাচ ছিল। তবে একই দিনে কেনেডি স্যাভেজের বিয়ের রিসিপশন ছিল।
কিন্তু কেনেডি স্যাভেজ কোনোভাবেই ম্যাচটি উপভোগ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে ইচ্ছুক ছিলেন না। তাই তিনি খেলাটি প্রজেক্টরের মাধ্যমে তার গাউনে দেখিয়েছেন। পরবর্তীতে দেয়ালের মধ্যে খেলাটি প্রদর্শিত হয়েছে।
এছাড়া, এইদিন কেনেডি স্যাভেজের প্রিয় দল ওরেগন ডাক জয় লাভ করেছে।
বিয়েতে ভিন্নধর্মী এই প্রদর্শনীর একটি ভিডিও টিকটকে ৫৪৪০০০ এরও বেশি মানুষ দেখেছে। এছাড়া ভিডিওটিতে ৬৬৯০০ জন লাইক করেছেন।
এই সিদ্ধান্ত বেশ স্বাচ্ছন্দের সঙ্গেই গ্রহণ করেছে নেটিজেনরা। একজন লিখেছে, ‘এ ধরনের নববধূদের আমি ভালোবাসি’।
ভোরের শিশির ভেজা ঘাস ও হিম ভাবে শীত মৌসুমকে ঘিরে প্রকৃতি ফিরে পায় তার নতুন যৌবন। নীল আকাশ,নদীর বুক চিরে ভেসে বেড়ানো অতিথি পাখি, সবুজ শ্যামলা প্রকৃতির সৌন্দর্য বেড়ে যায় আরও দ্বিগুণ। প্রকৃতির বুকে প্রেমের টানে বার্তা নিয়ে ছুটে আসে জানা অজানা অতিথি পাখি। প্রকৃতির এই নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের প্রেমে পড়ে যায় বিনোদন পিপাসুরা।
রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার তিস্তা নদী বেষ্টিত চর এলাকায় অতিথি পাখির আগমনে মুখরিত এমন দৃশ্যের দেখা মিলে। এই মনোরম দৃশ্যের প্রেমে পড়ে যায় যে কেউ। শীত মৌসুমে প্রকৃতির টানে হাজার হাজার মাইল পথ পেরিয়ে ছুটে আসে অতিথি পাখি। প্রাণ খুলে তাদের উন্মুক্ত বিচরণে যেন প্রকৃতি সৌন্দর্যে পায় পূর্ণতা। তবে সময়ের সাথে সাথে পরিবেশের পরিবর্তনকে ঘিরে দিন দিন অতিথি পাখির বিচরণ কমে যাচ্ছে।
একদিকে ফসলী জমিচাষে ব্যবহৃত হচ্ছে ক্ষতিকর রাসায়নিক সার এতে হুমকি সরুপ পরিবেশে কমে যাচ্ছে পাখির আনাগোনা। অপরদিকে, পাখি শিকার করে অর্থ আয়ের প্রতিযোগিতায় নেমেছে পাখি শিকারীরা৷ তারা জাল বিছিয়ে অথবা বিষটোপ দিয়ে পাখি নিধনে করে বাজারে দামে বিক্রি করা হয়। সখের বসে পাখি কিনে নিয়ে যায় পাখিপ্রেমীরা।
প্রতিবছর এই অতিথি পাখিরা শুধু জলাশয় এর সৌন্দর্য বৃদ্ধিই করে না বরং প্রকৃতি ও পরিবেশেরও বন্ধু। অতিথি পাখিরা ফসলের ক্ষতিকর কীট পতঙ্গ খেয়ে মানুষের মনের খোরাক বৃদ্ধি ও জীব বৈচিত্র রক্ষায় অতিথি পাখি কৃষকদের সহায়তা করে। এছাড়াও আমাদের দেশে অতিথি পাখিদের অনেক অবদান রয়েছে।
বর্তমানে জানা যায়, মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগের ফলে পাখিরা বিষে অক্লান্ত হয়ে কীটপতঙ্গ খেয়ে মারা যাচ্ছে। এতে করে একদিকে প্রকৃতি পরিবেশ উজার হয়ে যাচ্ছে অপরদিকে জলাশয়ের দূষণ বাড়ছে। নগরায়নের ফলে পুকুর নদী-নালা ভরাট হচ্ছে। অতিরিক্ত দর্শনার্থীর উপস্তিতিতে পাখির স্বাভাবিক আচরণও বিনষ্ট হচ্ছে।
অতিথি পাখির আনোগোনার এমন দৃশ্য ধরে রাখতে হলে প্রকৃতি-পরিবেশ রক্ষা, মানুষের মানবিকতা ও সচেতনতাই পারে তাদের নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে। অতিথি পাখি রক্ষার্থে মানুষদের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শত শত শিশু লাইন ধরে বসে আছে। সবার দৃষ্টি টাকার বস্তার দিকে ৷ বস্তার পর বস্তা টাকা এনে ঢালা হচ্ছে তাদের সামনে। টাকার স্তুপ জমেছে সবার সামনে। টাকায় হাত স্পর্শ করতেই সবার মুখে যেনো আনন্দের হাসি। এমন দৃশ্য দেখা গেছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৭টায় তিন মাস ১৪ দিন পর কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ১০টি দানবাক্স (সিন্দুক) ও ১টি ট্রাঙ্ক খোলা হয়েছে। এতে ২৯ বস্তা টাকা মিলেছে। টাকা গণনার কাজে রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা ছাড়াও বিপুল সংখ্যক মাদরাসার শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, মসজিদের সাথেই মাদরাসা। টাকা গণনার কাজে ওই মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে। বড়দের সাথে শতাধিক শিশুরাও গণনার কাজে অংশ নিয়েছে। আনন্দ নিয়ে হাসিমুখে সবাই টাকা গণনার কাজ করে যাচ্ছে। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে বিরতি দিয়ে রাত পর্যন্ত চলবে এই কাজ।
মাদরাসার শিক্ষার্থী লাবিব (৬), হাবিব (৮) ও কাউসার (১০) জানায়, একসাথে এতগুলো টাকা দেখে ভালো লাগছে। একবার গণনার কাজ শেষ হলে তারা অপেক্ষায় থাকে, কখন আবার দান সিন্দুক খোলা হবে। কারণ এটি তাদের আনন্দ দেয়।
পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শওকত উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, মসজিদের টাকা গণনার জন্য জামিয়া ইমদাদিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা নিয়ে থাকি। ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সাথে তারাও সহযোগিতা করে। কাজগুলো সবাই আনন্দের সাথেই করে।
জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান বলেন, ৩ মাস ১৪ দিন পর শনিবার সকালে পাগলা মসজিদের ১১টি লোহার দানবাক্স খোলা হয়েছে।
এর আগে, সর্বশেষ ১৭ আগস্ট পাগলা মসজিদের ১০টি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ৩ মাস ২৬ দিনে ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়াও দানবাক্সে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গিয়েছিল।