কাদা মাটিতে বুনছে কৃষকের স্বপ্ন

  • তোফায়েল হোসেন জাকির, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, গাইবান্ধা, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কাদা মাটিতে বুনছে কৃষকের স্বপ্ন / ছবি: বার্তা২৪

কাদা মাটিতে বুনছে কৃষকের স্বপ্ন / ছবি: বার্তা২৪

গাইবান্ধার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ইতোমধ্যে কাদা মাটিতে বুনতে শুরু করেছে কৃষকের স্বপ্ন। মাঘের শীতকে উপেক্ষা করে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষক-কৃষাণীরা। সম্প্রতি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সার ও বীজ চারা নিয়ে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন তারা। বিরামহীন গতিতে চলছে বোরো রোপণের কাজ।

চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো ধান রোপণে বীজ-চারা সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। বিশেষ করে বর্গাচাষিদের মধ্যে বীজ-চারার সংকট থাকায় বিভিন্ন হাট-বাজারে গিয়ে গুণগত মান যাচাই-বাছাই করে চারা ক্রয় করতে দেখা গেছে তাদের।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে মীরপুর বাজারে বীজ-চারা ক্রয় করতে আসা বর্গাচাষি জাকিরুল আসলাম ও ইমাজ উদ্দিন বলেন, সময় মতো বোরো বীজ বপনের জন্য আমাদের নিজস্ব জায়গা-জমি না থাকায় প্রতিবারের ন্যায় এবারও হাটে চারা ক্রয় করতে এসেছি।

পলাশবাড়ী এলাকার আদর্শ কৃষক জহির উদ্দিন ও জলিল উদ্দিন জানান, নিজস্ব জমিতে প্রতি বছরে ধান রোপণের জন্য চাহিদার চেয়েও বেশি পরিমাণে বীজ বপন করে আসছেন তারা। যা রোপণ শেষে অতিরিক্ত বীজ-চারা বিক্রি করে লাভবান হওয়া যেত। এসব চারা ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্য দিয়ে উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ইরি-বোরো চাষাবাদের ধুম পড়েছে।

বিজ্ঞাপন

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৩৭৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে হাইব্রিড, উফশী ও স্থানীয় জাতের ধান রয়েছে।

সরেজমিনে গোবিন্দগঞ্জ এলাকার কৃষক আমান উল্লা ও সেকেন্দার আলী বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকূল ও সার-কীটনাশকের মূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকলে এবার আশানুরূপ ফলন নেওয়া সম্ভব হবে।’

কৃষি অফিসার খাজানুর রহমান জানান, কৃষকদেরকে সারি করে চারা লাগানো এবং কয়েকদিনের মধ্যেই ক্ষেতে কঞ্চি পুতে দেয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যাতে ওই সমস্ত কঞ্চিতে পাখি বসে জমির ক্ষতিকর পোকা নিধন করতে পারে। সেই সঙ্গে পরিচর্যা করে কম মাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগ করে অধিক ফলনের কলা-কৌশলও কৃষকদের শেখানো হচ্ছে।