সিলেটের ভোলাগঞ্জে পর্যটকদের ভিড়

  • ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসেসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর এলাকায় যানবাহনে সয়লাব, ছবি: বার্তা২৪.কম

ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর এলাকায় যানবাহনে সয়লাব, ছবি: বার্তা২৪.কম

ভোলাগঞ্জ (সিলেট) থেকে: নৈসর্গিক সৌন্দর্যের টানে সিলেটের ভোলাগঞ্জে পর্যটকদের ভিড়। চোখের সামনে ঝকমকে কার্তিকের নীলাকাশ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উজ্জ্বল পরিবেশ স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর। ছুটির আবেশে সিলেটের বিখ্যাত পর্যটন স্পটগুলোতে উপচানো ভিড়। সীমান্ত সংলগ্ন ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর এলাকায় মানুষ ও যানবাহনে সয়লাব। সবার গন্তব্য নদী পেরিয়ে সাদা পাথরের দিগন্তে।


ঘাটে অভিন্ন চিত্র। দামাদামি। দালালের দৌরাত্ম্য। হট্টগোল। তবু দমে নেই দেশের নানা জায়গা থেকে আগত ভ্রমণ পিয়াসুর দল। একা কিংবা সদলবলে নৌকায় সওয়ার হচ্ছে লোকজন। ইঞ্জিনের উদ্ভট শব্দের স্পন্দন আর ঢেউয়ের মিতালি ছুঁয়ে চলেছে সবাই। চোখ তাদের অনিন্দ্য প্রকৃতিতে। ক্লান্তি ও বিরক্তি মুছে গেছে অপার সৌন্দর্যে।

বিজ্ঞাপন

পথে দেখা যায় পাথরের রাজত্ব। এসব চালান হয় সারা দেশের নির্মাণ কাজে। অদূরে ট্রাকের সারি। লোড, আনলোড হচ্ছে পাথর। চারদিকে ধুলাবালি। পর্যটন আর পাথরের ব্যবসার মধ্যে সমন্বয় নেই। দুর্ভোগ সয়ে ঘুরতে হচ্ছে মানুষদের। কাঠামো ও ব্যবস্থাপনার অভাব পুরো পরিস্থিতি ভ্রমণের জন্য কষ্টকর অভিজ্ঞতা দেয়।


স্থানে স্থানে সাইনবোর্ড বলে দিচ্ছে, এখানেই শেষ বাংলাদেশের সীমান্ত এখানেই শেষ। তারপর ভারতের মেঘালয়। দূর পাহাড়ের শরীরে দেখা যায় কিছু বাড়িঘর। লোকজন ও মানুষের চলাচলও আঁচ করা যায়। সীমান্তে রয়েছে স্থলবন্দর। বিজিবি ক্যাম্প। লোক চলাচল না হলেও মালামাল আনা-নেওয়া চলে এখানে।

বিজ্ঞাপন

সিলেট শহরের খুব কাছে বলে ভোলাগঞ্জে পর্যটক-বান্ধব অবকাঠামো গড়ে উঠে নি। কিছু অস্থায়ী দোকানে চলছে খাওয়া ও বিশ্রাম। দাম ও মানের দিক থেকে এসব দোকানের কোনও আদর্শ নেই। সুযোগ পেলেই পর্যকদের পকেট কাটছে। শৌচাগারের ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। এতো জনপ্রিয় ও সমাদৃত একটি পর্যটন কেন্দ্র প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে টেনে আনলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার প্রতি মনোযোগী আছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায় না।