নূরজাহানকে বিদায় জানালো কুড়িকাহুনিয়া

  ঘূর্ণিঝড় আম্পান


রফিকুল ইসলাম মন্টু, স্পেশালিস্ট রাইটার, বার্তা২৪.কম ঢাকা
আম্পানে সব হারানো নূরজাহান/ ছবি: র, ই, মন্টু

আম্পানে সব হারানো নূরজাহান/ ছবি: র, ই, মন্টু

  • Font increase
  • Font Decrease

নূরজাহানের মলিন মুখ। ভর দুপুরে লঞ্চের মাস্তুলের গা ঘেঁসে বসেছিলেন। খুলনাগামী লঞ্চ। নোঙর করে আছে কপোতাক্ষের তীরে কুড়িকাহুনিয়া টার্মিনালে। লঞ্চ ছাড়তে অনেক দেরি। তবুও আগেভাগেই নিচতলায় একটুখানি জায়গা নিয়েছেন নূরজাহান। সঙ্গে রয়েছেন তার দৃষ্টি প্রতিবন্ধি স্বামী নওশের আলী সরদার। মেয়ে কারিমা খাতুন আসবে আরও কিছুটা পরে। পরিবারটির শেষ যাত্রা। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রলয় তাদের শেষটুকু নিয়ে গেল। অবশেষে নূরজাহানসহ তার পরিবারের সব সদস্যকে বিদায় জানালো কুড়িকাহুনিয়া।

পশ্চিম উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার একটি স্টেশন কুড়িকাহুনিয়া। প্রতাপনগর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের এই স্টেশনের কাছেই ছিল নূরজাহানের ছোট্ট ভিটে। কিছু জমি নিজের ছিল; আর কিছুটা ছিল ধার করা। সেখানেই নড়বড়ে এক ঘরে থাকতেন এই পরিবারটি। প্রতিবন্ধি হলেও নওশের আলী সরদার চেয়েচিন্তে কিছু অর্থ পেতেন। আর নূরজাহান কাজ করতেন মজুরের। এ দিয়ে চলতো সংসার। টানাটানির এই সংসারেও একমাত্র মেয়ে কারিমা খাতুনকে লেখাপড়া করাতে ভুলেনি পরিবারটি। বাবার ইচ্ছেয় কষ্ট হলেও লেখাপড়া চালিয়ে গেছে সে। এবার এসএসসি পরিক্ষায় তার এ-প্লাস রেজাল্টে হতবাক এলাকাবাসী। নওশের আলী তার মেয়েকে আরও পড়াতে চান। মেয়ের বিয়ের চিন্তাও আছে তার মাথায়। কিন্তু কিনারা খুঁজে পান না। এরইমধ্যে ২০ মে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় আম্পান এদের শেষটুকু নিয়ে গেল। ফলে এই এলাকায় তাদের পক্ষে আর থাকা সম্ভব হচ্ছে না। পাড়ি জমাচ্ছেন অন্যত্র। সে কারণেই সবকিছু নিয়ে লঞ্চে যাত্রা।

লঞ্চের ডেকে নূরজাহান ও নওশের আলী সরদার/ ছবি: র, ই, মন্টু

নূরজাহানের পথে আরও কয়েকজনকে দেখা গেল কুড়িকাহুনিয়া লঞ্চঘাটে। তারা লঞ্চে উঠেননি বটে; কিন্তু ঘর সংসার নিয়ে ইতিমধ্যে লঞ্চ টার্মিনালে উঠে গেছেন। দেখা হলো সুফিয়া খাতুনের সঙ্গে। স্বামী আবুল কালাম ঢালী। বসত ঘর পানির তলায় ডুবে থাকায় আম্পানের রেখে যাওয়া অবশিষ্ট মালামাল নিয়ে উঠেছেন টার্মিনালের পুরুষ কক্ষে। যেখানে লঞ্চের যাত্রীদের বিশ্রামের স্থান; সেখানেই এখন সুফিয়ার ঘরগেরস্থালি। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের সিগন্যাল শুনে রাতে আশ্রয় নিয়েছিলেন বদরুল ঢালীর বাড়িতে। সকালে বাড়িতে গিয়ে দেখেন কিছুই নেই। ঠিক কুলসুম বিবির অবস্থাও একই রকম। উঠেছেন লঞ্চ টার্মিনালের মহিলা কেবিনে। স্বামী বাবর আলী যাত্রীবেঞ্চিতে শুয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। আর কুলসুম রান্না করছিলেন ইট দিয়ে বানানো চুলোয়। কবে এরা বাড়িতে ফিরতে পারবেন; জানেননা।

জলবায়ু উদ্বাস্তু কিংবা পরিবেশ উদ্বাস্তু অনেক মানুষের গল্প আমরা জানি। নূরজাহানের গল্পটা শুনতে শুনতে সে কথাগুলোই কানে বাজছিল। কীভাবে মানুষজন এক স্থান থেকে আরেক স্থানে চলে যায়। ঠিক এভাবেই; নূরজাহানের মত। শেষ অবলম্বনটুকু হারিয়ে যাওয়ার পর আর কোন বিকল্প না থাকায় জীবিকা ও আবাসনের খোঁজে তারা ছুটে চলেন। খুলনা, নাকি অন্য কোথাও? নূরজাহান ঠিক বলতে পারলেন না কোথায় তাদের গন্তব্য। আলাপ হলো নওশের আলীর সঙ্গে। তিনি জানালেন, এখানে কিছুই নেই। তাই দাকোপের জয়নগর যাচ্ছেন বাপদাদার ভিটের সন্ধানে। সেখানে বাড়িঘর ছিল বলে জানেন; গিয়ে খুঁজে বের করতে পারলে সেখানেই মাথা গুঁজবেন। কিন্তু আবাসনের চিন্তার সঙ্গে যোগ হয়েছে মেয়ে কারিমা খাতুনের লেখাপড়া এবং বিয়ে। তার আর্তি, কষ্ট করে তো মেয়েকে এই পর্যন্ত পড়ালাম। এরপর কীভাবে এগিয়ে নিব সামনের পথ।

গত কয়েক বছরে নূরজাহানের মতো আরও বহু মানুষকে বিদায় জানিয়েছে গোটা প্রতাপনগর। ২০০৯ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় আইলার পর থেকে গোটা প্রতাপনগর এলাকা থেকে অন্তত ৩০০ পরিবার অন্যত্র চলে গেছে। ইউনিয়ন বেষ্টিত কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর বেশ কয়েকটি পয়েন্ট নাজুক থাকার কারণে স্বাভাবিক জোয়ারেও ইউনিয়নের অনেক স্থান প্লাবিত হয়। ফলে মানুষের আবাসন ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে চরম সংকট দেখা দেয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ইউনিয়নের ৫টি এলাকা ভাঙন ঝুঁকির মুখে রয়েছে। এরমধ্যে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হরিশখালী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন পয়েন্ট হয়ে উঠেছে। এখানে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পুরানো বেড়িবাঁধ অনেক আগেই ভেঙে গেছে। ঝুঁকি মোকাবেলায় এর ভেতর দিয়ে আরেকটি বাঁধ দিয়েছিল স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু সে বাঁধ আম্পানের পানির চাপে ভেঙে যায়। এখান থেকে যে পানি প্রবেশ করে তা গোটা প্রতাপনগর ছাড়াও আনুলিয়া, খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নের অনেক এলাকায় বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে। এছাড়াও প্রতাপনগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কুড়িকাহুনিয়া, শ্রীপুর, ১ নম্বর ওয়ার্ডের চাকলা চুইবাড়ি, ২ নম্বর ওয়ার্ডের সুভদ্রকাঠি এবং ৬নম্বর ওয়ার্ডের হিজলকোলা ঝুঁকিতে থাকে সারা বছর। গোটা ইউনিয়নে প্রায় ৮ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ।

আম্পানের ধাক্কায় পানির নিচে কুড়িকাহুনিয়া/ ছবি: র, ই, মন্টু

সরেজমিনে দেখা যায়, এলাকায় মাইকের ঘোষণা অনুযায়ী বহু মানুষ ছুটেছেন বাঁধ মেরামতে। কেউ হরিশখালী, কেউবা কুড়িকাহুনিয়া। বাঁধ নির্মাণ কাজে এলাকার মানুষের বন্ধন বেশ দৃঢ়। জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ছাত্র, মজুর বলে কোন কথা নেই। ডাক পেলে সকলেই বেরিয়ে আসেন ঘর থেকে। নদীতে ভাটার টান শুরু হতে না হতে সে দৃশ্যই চোখে পড়ল হরিশখালীতে। দলে দলে মানুষজন নেমে পড়েছেন কাজে। কেউ বাঁশ পুঁতছেন, কেউ মাটির ওপরে খর বিছাচ্ছে। মানুষগুলো লাইনে দাঁড়িয়ে হাতে হাতে মাটির চাকা এনে ফেলছেন বাঁধে। কেউ বাদ নেই। বড়দের সঙ্গে এসেছে শিশুরাও। হরিশখালী যে মানুষগুলো বাঁধ মেরামতে যাচ্ছিলেন; এদের মধ্যে দেখা মিলল কয়েকজন শিশুর। আউয়াল (১২), আল মামুন (১৪), সজীব হোসেন (১৪), রণি সরদার (৮) এবং ওসমান গনি (৮)। ওরা সকলেই বেশ কয়েকদিন ধরে বাঁধ মেরামতের কাজে যাচ্ছে।

বাঁধ মেরামতের বিষয়টি কীভাবে সমন্বয় হয়? জানতে চেয়েছিলাম বাঁধ মেরামতের কাজে নেতৃত্বদানকারী যুবক মাহমুদুল হাসান মিলনের কাছে। তিনি বলেন, বাঁধ মেরামতে সরকার থেকে খুব বেশি সহায়তা মিলে না। স্থানীয় প্রয়োজনে স্থানীয় মানুষদেরকেই এ কাজ করতে হয়। ঘের মালিকসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের চাঁদার টাকায় অধিকাংশ বাঁধ মেরামত হয়। সহায়তা নিয়ে সকলেই এগিয়ে আসে। মানুষজন স্বত:স্ফুর্তভাবে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বছর জুড়ে এই কাজগুলো অব্যাহত না রাখলে প্রতাপনগর ইউনিয়নে আরও বেশি সমস্যা হতো। মাহমুদুল হাসানের এই কথারই প্রমাণ মিলে হরিশখালী গিয়ে। আশাশুনির এপিএস ডিগ্রি কলেজের শাহজাহান হোসেন নিজেই বাঁধ মেরামত কাজে উপস্থিত। তিনিও রয়েছেন নেতৃত্ব পর্যায়ে। তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে অর্থ সংগ্রহ করে আমরা এ কাজ করছি। আমাদের কাজ আমাদেরই করতে হবে।

আম্পান বিপন্ন কুড়িকাহুনিয়া/ ছবি: র, ই, মন্টু

বেড়িবাঁধের এই বিপন্নতায় এলাকায় বহুমূখী সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা বলেন, সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়েছে মানুষের জীবন জীবিকা ও আবাসনে। যারা চিংড়ির ঘের করে জীবিকা নির্বাহ করছে, তাদের অবস্থা শোচনীয়। বার বার পানি প্রবেশ করে লাখ লাখ টাকা লোকসান দিচ্ছে। জলাবদ্ধতার কারণে বহু মানুষের আবাসন তছতছ হয়ে যাচ্ছে। ফলে তারা অন্যত্র যেতে বাধ্য হচ্ছে। স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। বেড়ে চলেছে সুপেয় পানির সংকট। অভ্যন্তরীণ রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে এলাকার চলাচল বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। শেষ বেলায় কয়েকজন বয়সী মানুষের সঙ্গে আলাপ হচ্ছিল তালতলা বাজারের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ডা. আবদুল আজিজের চেম্বারে। এদের একজন ফজর আলী গাজী (৭৩), তার কথায় যোগ করছিলেন অন্যান্যরা। তারা বলছিলেন, ষাটের দশকে এই এলাকায় বাঁধ নির্মাণের পর আমরা বেশ ভালোই ছিলাম। কিন্তু যুগের পর যুগ এই বাঁধে কোন মাটি পড়েনি। টিকবে কীভাবে? এলাকার মানুষের দাবি একটা শক্ত টেকসই বেড়িবাঁধ। 

প্রতাপনগরের যেদিকে তাকাই শুধু পানি আর পানি। ডুবে আছে বহু বাড়িঘর। এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ি যেতে হয় নৌকায়; না হয় সাঁতরে। আম্পানের পরের দিনগুলো চলছে এভাবেই। তালতলা বাজার থেকে হরিশপুর বাঁধ পর্যন্ত যেতে আমাদের ভরসা ছিল নৌকা। ক্ষেতের আইলের ওপর দিয়ে, কারো বাড়ির সামনের উঠোন পেরিয়ে, কারো সবজি ক্ষেতের ওপর দিয়ে অবশেষে আমরা পৌঁছাই হরিশপুরের বাঁধে। মানুষজনের দুর্ভোগের শেষ নেই। এরপরও এদের খোঁজ নিতে কেউ এলো না।   

   

ইতিহাসের পাতায় ১৯ মার্চ: পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির নেতাদের বৈঠক



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
দেশ ভাগের পর পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির নেতাদের প্রথম বৈঠক

দেশ ভাগের পর পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির নেতাদের প্রথম বৈঠক

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্যালেন্ডারের প্রতিটি তারিখ কিছু বিশেষত্ব বয়ে বেড়ায়। প্রতিটি তারিখ জুড়ে বিরাজ করে ঐতিহাসিক নানা ঘটনা। তারিখের সাথে এসব স্মৃতিও প্রতিবছর পৃথিবী প্রদক্ষিণের মাধ্যমে ঘুরে আসে বার বার। 

আজ ১৯ মার্চ, ২০২৪। ইতিহাসের পাতা ঘাটলে দেখা যায়, আজকের তারিখে ঘটে যাওয়া নানা ঐতিতহাসিক ঘটনা। চলুন, সেসব জেনে নেওয়া যাক!  

১৯৪৯ সালে জার্মানি পূর্ব এবং পশ্চিম দুটি ভাগে ভাগ হয়ে যায়। এরপর ১৯৭০ সালের ১৯ মার্চ প্রথমবার দুই দেশের নেতাগণ একে অন্যের সম্মুখে আসেন। পশ্চিম জার্মানির চ্যান্সেলর উইলি ব্র্যান্ড পূর্ব এবং পশ্চিম ভাগের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছিলেন। পূর্ব জার্মানির প্রধানমন্ত্রী উইলি স্টোফের সাথে এই উদ্দেশ্যে তিনি পরামর্শ করার উদ্দেশ্যে দেখা করতে যান।

১৯২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সেনেট ২য় বারের মতো ভার্সাই চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেন। এর পাশাপাশি তারা ‘লীগ অব নেশনস’ এর চুক্তির অনুমোদন করতেও অস্বীকার করে।

আর্জেন্টিনার প্রায় ৫০ জন নাগরিকের একটি দল জর্জিয়ায় অবতরণ করে ১৯৮২ সালে। নিজদেশের উপকূল থেকে ১৪০০ মাইল পূর্বে দক্ষিণ আটলান্টিক ফকল্যান্ডে দেশের পতাকা উত্তোলন করে সে দল।

লন্ডনের সম্ভ্রান্ত পরিবারের প্রিন্সেস মার্গারেট এবং লর্ড স্নোডনের বিচ্ছেদ ঘটে ১৯৭৬ সালে। ১৬ বছরের সংসার জীবনে তাদের ২টি সন্তান ছিল।

  ঘূর্ণিঝড় আম্পান

;

১৭ মার্চ : ইতিহাসে আজকের এই দিনে



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইতিহাস মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। আজ রোববার, ১৭ মার্চ ২০২৪। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনাবলি:

০৬৩৬ - রোমানদের পরাজয়ের পর মুসলমানরা বায়তুল মোকাদ্দাস জয় করে।

১০৯৭ - খৃষ্টানরা বায়তুল মোকাদ্দাস দখলের জন্য ক্রুসেডের যুদ্ধ শুরু করে।

১৭৬৯ - বাংলার তাঁত ও মসলিন শিল্প ধ্বংসের উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ রাজের নির্দেশে বাংলার তাঁতিদের হাতের বুড়ো আঙ্গুল কাটা শুরু হয় ।

১৯৪৪ - মার্কিন বিমান বাহিনী ভিয়েনায় বোমাবর্ষণ করে।

১৯৪৮ - ব্রিটেন, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, হল্যান্ড ও লুক্সেমবার্গের প্রতিনিধিরা বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করে।

১৯৯০ - ইংল্যান্ডের ইয়র্কে ৫ শতাধিক ইহুদীকে গণহত্যা করা হয়।

১৯৯২ - দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদ অবসানের জন্য শ্বেতাঙ্গ ভোটাররা সংস্কারের পক্ষে গণভোট দেয়।

১৯৯৪ - এল সালভাদরে গৃহযুদ্ধের খবর সংগ্রহ কালে ৪ জন ডাচ সংবাদিক নিহত হয়।

১৯৯৪ - মিশরে ৯ জন ইসলমাপন্থীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।

২০০০ - উগান্ডায় গীর্জায় অগ্নিকান্ডে ৫৩০ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত হয় এবং পরবতীতে আরো ৩৯৪টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়।

২০০১ - চীনে বোমা বিস্ফোরণে ৪টি হোটেল বিধ্বস্ত হয়; এতে ১০৮ জন নিহত হয়।

২০০৪ - কসোভোতে সার্ব ও আলবেনীয়দের জাতীগত দাঙ্গায় ২২ জন নিহত এবং ৫০০ জন আহত হয়।

জন্ম

৭৬৩ - হারুনুর রশিদ, আব্বাসীয় খলিফা।

১০৭৮ - আব্দুল কাদের জিলানী, ইসলাম ধর্মে অন্যতম প্রধান আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ত্ব ও ধর্মপ্রচারক।

১৪৭৩ - চতুর্থ জেমস, স্কটল্যান্ডের রাজা।

১৮৩৪ - গোটলিব ডেইমলার, জার্মান মোটর গাড়ির পুরোধা।

১৮৫৬ - মিখাইল ভ্রুবেল, রাশিয়ান চিত্রশিল্পী।

১৮৭৩ - মার্গারেট বন্ডফিল্ড, ইংল্যান্ডের প্রথম নারী কেবিনেট মন্ত্রী।

১৮৮১ - ওয়াল্টার রুডলফ হেস, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সুইস শারীরবিজ্ঞানী।

১৯১২ - মনোহর আইচ, ভারতীয় বাঙালি বডি বিল্ডার।

১৯২০ - শেখ মুজিবুর রহমান, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও প্রথম রাষ্ট্রপতি।

১৯৩৮ - রুডলফ নুরেয়েভ, রাশিয়ান বংশোদ্ভূত ফরাসি নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার।

১৯৪২ - সঙ্গীতশিল্পী পূরবী দত্ত, ভারতীয় বাঙালি নজরুলগীতি বিশেষজ্ঞা।

১৯৪৫ - এলিস রেজিনা, ব্রাজিলিয়ান গায়িকা।

১৯৫৫ - গ্যারি অ্যালান সিনিস, মার্কিন অভিনেতা, পরিচালক ও খাদ প্লেয়ার।

১৯৬২ - কল্পনা চাওলা, ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন প্রকৌশলী ও মহাকাশচারী।

১৯৭৫ - পুনীত রাজকুমার, ভারতীয় অভিনেতা, গায়ক ও প্রযোজক।

১৯৭৬ - আলভারো রেকোবা, সাবেক উরুগুয়ের ফুটবলার।

মৃত্যু

০১৮০ - মার্কাস অরেলিয়াসের, রোমান সম্রাট।

১০৪০ - হ্যারল্ড হারেফোট, ইংরেজি রাজা।

১৭৮২ - দানিয়েল বার্নুয়ি, ডাচ সুইস গণিতবিদ ও পদার্থবিজ্ঞানী।

১৮৪৬ - ফ্রিডরিশ ভিলহেল্ম বেসেল, জার্মান জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং গণিতবিদ।

১৯৩৭ - অস্টিন চেম্বারলেইন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ রাজনীতিবিদ।

১৯৫৬ - আইরিন জোলিও-কুরি, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিদ।

১৯৫৭ - রামোন ম্যাগসেসে, ফিলিপিনো জেনারেল, রাজনীতিবিদ ও ৭ম প্রেসিডেন্ট।

১৯৮৩ - হ্যাল্ডান কেফার হার্টলাইন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন শারীরবিজ্ঞানী।

১৯৯৩ - হেলেন হায়েজ, মার্কিন অভিনেত্রী।

দিবস

জাতীয় শিশু ‍দিবস। 

  ঘূর্ণিঝড় আম্পান

;

'বহে না সুবাতাস'



ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
'বহে না সুবাতাস'

'বহে না সুবাতাস'

  • Font increase
  • Font Decrease

চৈত্র মাস শুরু হয়েছে। শুষ্ক বাতাস। প্রকৃতিতে দাবদাহ। দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রা লাফ দিয়ে উঠছে চৈত্রের শুরুতেই। বাকী দিনগুলো তাপদহনে রুক্ষ হবে, আন্দাজ করা যায়।

ঢাকার বাতাস ধারাবাহিকভাবে 'অস্বাস্থ্যকর' তকমা পাচ্ছে। আসন্ন গরমকালে রাজধানীর বায়ুমানের আরো অবনতি অনিবার্য।

গরমের সূচনাতে প্রতিদিনই একাধিক অগ্নিকাণ্ড হচ্ছে। সড়কে মৃত্যুর মতো আগুনে হতাহতের ঘটনা নিয়মিত বিষয়ে পরিণত হচ্ছে।

এরই মাঝে চলছে কৃচ্ছ্রসাধনার মাস রমজান। তাপ, দুষিত বায়ু, যানজটের সঙ্গে বাজারের অগ্নিমূল্যে নাকাল হচ্ছে রোজাদার সাধারণ মানুষ। কোনোক্রমেই বাজারের অগ্নিমূর্তি শীতল হচ্ছে না। নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল করা যাচ্ছেনা নানাবিধ পদক্ষেপ নিয়েও।

এসবের সঙ্গে আরেক দুঃসংবাদ হলো, জলদস্যু কবলিত বাংলাদেশের জাহাজের অনিশ্চিত ভাগ্য। আফ্রিকার উপকূলে জিম্মি হয়ে নাবিকরা জীবন ও মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।

এদিকে, গাজায় চলছেই ইসরাইলি গণহত্যা। ত্রাণ পাচ্ছে না বিপন্ন ফিলিস্তিনিরা। যুদ্ধবিরতির শত আবেদনেও কর্ণপাত করছে না জায়নবাদী ইসরায়েল।

চলমান রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই রাশিয়ায় নির্বাচনে যুদ্ধবাজ পুতিন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে। পোপ যুদ্ধবিরতির পক্ষে কথা বলে যুদ্ধংদেহী নেতাদের দ্বারা সমালোচিত হয়েছে।

চারিদিকে শুধু উগ্র, তপ্ত, সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি। কোথাও 'বহে না সুবাতাস'। না প্রকৃতি, না সমাজ, কোথাও সুবাতাস ও সুখবরের স্বল্পতা প্রকট। বিপন্নতা, আহাজারি, চাপাকান্না, মানবিকতার আর্তনাদ কাউকে আর্দ্র করে না। কোনো বিপর্যয়ের মনুষ্যত্বে তীব্র হুঙ্কার সঞ্চারিত হতে কমই দেখা যায়।

সামগ্রিক পরিস্থিতির দমবন্ধ ও গুমোট পটভূমিতে উপমা হিসাবে লাগসই মনে হয়, 'বহে না সুবাতাস' শব্দবন্ধ। সত্তর দশকের শেষপ্রান্তে কৈশোরকালে কিশোরগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরিতে পড়ে ছিলাম 'বহে না সুবাতাস' নামে একটি গল্পগ্রন্থ। ১৯৬৭ সালে প্রকাশিত বইয়ের লেখক কথাশিল্পী জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত।

জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত কলেজের বার্ষিকীতে জীবনের প্রথম গল্প চর্চা শুরু করেন। এরপর জীবনযাপনের বিচিত্র নিয়মে অবিরাম লিখে যাওয়াই তাঁর নিয়তি। একের পর এক গল্পে তিনি বাংলাদেশের কথাসাহিত্যের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছেন। যেজন্য তাঁকে ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করা হয়।

একেবারে শুরু থেকে তাঁর গল্পে উচ্চারিত হয়েছে। ভিন্ন স্বর। ষাটের দশকে যে কজন গল্পকার তাদের গল্পের মধ্যে জনজীবনের বঞ্চনা, শােষণ, শ্রেণি সংগ্রাম, নিরন্ন মানুষদের জীবনচিত্র তুলে ধরেছেন তিনি তাদের মধ্যে অন্যতম।

'বহে না সুবাতাস'-এর আটটি গল্পে জীবনের অপার দুঃখকষ্ট আর আনন্দ বেদনার দীর্ঘশ্বাস খুঁজে পাওয়া যায়। পাঠক এই বইয়ের গল্প পাঠে সন্ধান পাবেন অন্য এক জীবনের, অন্য এক ভুবনের, যা কিনা পুনরাবৃত্তির চক্রে অর্ধ শতক পরে পুনরায় ফিরে এসেছে আজকের বাস্তবতায়।

  ঘূর্ণিঝড় আম্পান

;

আজকের ইতিহাস: মহাকাশ বিজ্ঞানে যুক্তরাজ্যের রেকর্ড



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মহাকাশ বিজ্ঞানে যুক্তরাজ্যের রেকর্ড

মহাকাশ বিজ্ঞানে যুক্তরাজ্যের রেকর্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

বছর পেরিয়ে আসে নতুন বছর। তবে তারিখগুলো থাকে আগের মতোই। সময়ের আবর্তনে পার হয় যুগ, পরিবর্তন হয় প্রজন্ম। ফিরে আসা তারিখ গুলো মনে করিয়ে দেয়, পূর্ব প্রজন্মের স্মৃতিগুলো। 

আজ ১৪ মার্চ, ২০২৪। অঅজকের এই তারিখে অতীতে ঘটে গেছে নানান ঐতিহাসিক ঘটনা। জেনে নেওয়া যাক সেসব!   

১৯৬০ সালে রেডিও টেলিস্কোপ মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে বিশেষ অর্জন করে। যুক্তরাজ্যের চেশায়ারের জোড্রেল ব্যাঙ্কের রেডিও টেলিস্কোপ ৪ লাখ ৭ হাজার মাইল দূর থেকে আমেরিকান  পাইওনিয়ার ভি স্যাটেলাইটের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে সামর্থ্য হয়। এর আগে ২ লাখ ৯০ হাজার মাইল দূরত্বের রেকর্ড ছিল সোভিয়াত ইউনিয়নের লুনিক-৩ স্যাটেলাইটের।  

টেক্সাসের প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির হত্যাকারীকে খুন করেছিলেন জ্যাক রুবি। লি হার্ভে অসওয়াল্ড প্রেসিডেন্ট কেনেডির হত্যার দায়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন। তবে আদালতে বিচারকের সামনে তাকে নেওয়ার আগেই জ্যাক রুবি তাকে হত্যা করেন। সেই অপরাধেই তার শাস্তি হয়। ১৯৬৪ সালে জ্যাককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। 

২০১৮ সালে বিখ্যাত মহাকাশ বিজ্ঞানী এবং বিগব্যাঙ তত্ত্বের জনক স্টিফেন হকিং ৭৬ বছর বয়সে দেহত্যাগ করেন।

রাশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২ বারের মতো ক্ষমতায় আসেন ২০০৪ সালে। সেই থেকে এখনো অবধি ক্ষমতায় আছেন তিনি।  এর আগে ১ম বারের মতো ১৯৯৯ সালে ক্ষমতায় এসেছিলেন তিনি।   

১৯৮৪ সালে ‍সিন ফেইনের প্রধান গেরি অ্যাডামসের উপর হামলা করা হয়।  ততার গাড়িতে ২০ টি গুলি ছোড়া হয় এবং তার ঘাড়ে ও হাতে গুলি লাগে। সেন্ট্রাল বেলফাস্টের রাস্তায় কিছু সন্ত্রাসীর সেই হামলায় তার গাড়িতে থাকা আরও ৩ জন আহত হয়েছিল। একজন অক্ষত ছিলেন তবে কেউ নিহত হননি।

 

  ঘূর্ণিঝড় আম্পান

;