জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় চাই বাস্তবসম্মত ও বিজ্ঞানভিত্তিক কৌশল



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাস্তবভিত্তিক ও বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে তামাকের ক্ষতিহ্রাস কৌশল অবলম্বন করতে হবে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও নীতি নির্ধারকেরা।

সোমবার (২৭ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘পলিসি ফর প্রোগ্রেস: টুওয়ার্ডস হার্ম রিডাকশন’ গোলটেবিল আলোচনায় এসব তথ্য তুলে ধরেন বক্তারা।

নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আলোচনায় ধূমপান ছাড়তে উদ্ভাবনী কৌশল গ্রহণের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য খাতে কার্যকর ও টেকসই পরিবর্তন আনার ব্যাপারে জোর দেন তারা। আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন দেশি-বিদেশি শিল্প, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের নীতি প্রণেতা ও বিশেষজ্ঞরা।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, টোব্যাকো হার্ম রিডাকশন (টিএইচআর) একটি জনস্বাস্থ্য কৌশল; যার লক্ষ্য হলো প্রচলিত তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের কারণে সৃষ্ট স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি কমানো এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে তুলনামূলক কম ক্ষতিকর বিকল্পের ব্যবহার নিশ্চিত করা।

ক্ষতিহ্রাসের ধারণা অনুযায়ী, ধূমপান পুরোপুরি বর্জন করা প্রত্যাশিত লক্ষ্য হলেও তা হঠাৎ করে অর্জন করা সম্ভব নয়। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া এবং এখানে প্রয়োজন সরকারি- বেসরকারি খাতের সমন্বয়। সেক্ষেত্রে তুলনামূলক কম ক্ষতিকারক বিকল্প উপায় গ্রহণের মাধ্যমে ধীরে ধীরে ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করা কার্যকর পদ্ধতি। একাধিক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় টিএইচআর-এর ইতিবাচক দিক তুলে ধরা হয়েছে। যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ডসহ একাধিক দেশ টিএইচআর গ্রহণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমিয়ে এনেছে।

হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও গ্রিসের পাত্রাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের রিসার্চ ফেলো ডা. কনস্টান্টিনোস ফার্সালিনোস বলেন, ধূমপানের ক্ষতিহ্রাসে ভেপিংসহ অন্যান্য কুইটিং টুলস-এর সহযোগিতা নেওয়া উচিত। তুলনামূলক কম ক্ষতিকর বিকল্প ব্যবহারে কমে আসবে ক্ষতির হার। একই সঙ্গে ভেপিংয়ের মতো বৈপ্লবিক একটি প্রযুক্তিক বিষয় নিয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক ও বাস্তবসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিলে জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তায় ব্যাপকহারে সুবিধা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেন, দীর্ঘদিনের অভ্যাস ত্যাগ করা বেশ কষ্টকর। বিশেষ করে ধূমপানের অভ্যাস হঠাৎ করেই বন্ধ করা যায় না। তামাক ছাড়ার পণ্যগুলোর (কুইটিং টুলস) মাধ্যমে ধীরে ধীরে আসক্তি পুরোপুরি ত্যাগ করা যায়।তিনি আরও বলেন, টিএইচআর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নীতি নির্ধারকদের বিষয়টি বিবেচনা করা প্রয়োজন।

বক্তারা মনে করেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষার পাশাপাশি রাজস্ব বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখতে পারে ভেপিং। একে নিয়মতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে নিয়ে এলে রাজস্ব আয়ের নতুন উৎস হিসেবে এর আবির্ভাব হতে পারে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক সদস্য আবদুল মান্নান শিকদার বলেন, ‘ধূমপানের হার কমিয়ে আনলে কমে যাবে ধূমপানের কারণে চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যয়ও। পাশাপাশি, টিএইচআর কৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাজস্ব আয়ও বাড়ানো সম্ভব।’ তিনি বলেন, ‘টিএইচআরকে রেগুলেশনের মধ্যে নিয়ে আসা দরকার। এ নিয়ে স্টেকহোল্ডারদের সাথে কথাবার্তা বলতে হবে।

বক্তাদের মতে, দেশের চলমান অগ্রগতি বজায় রাখতে ও আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও সামাজিক নীতি প্রণয়নে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ জরুরি। ক্ষতিহ্রাস সহায়ক পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা না দিয়ে যথাযথ নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর মাধ্যমে তা গ্রহণ করা যেতে পারে। এতে একদিকে যেমন লাখ লাখ ধুমপায়ী সিগারেট ছাড়তে উৎসাহিত হবে, তেমনি রাজস্বের নতুন খাত তৈরি হবে।

এ ব্যাপারে পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের উপদেষ্টা আসিফ ইব্রাহিম বলেন, যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড ,সুইডেনসহ কয়েকটি দেশ ধূমপানের হার কমাতে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা নিয়েছে। বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে প্রাধান্য দিয়ে যৌক্তিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যার সুফলও পেয়েছে এসব দেশ। জনস্বাস্থ্যের উন্নতি করতে বাংলাদেশকে এসব উদাহরণ আমলে নিতে হবে। বিশেষ করে নীতি প্রণয়নে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের এসব দিক বিবেচনায় রাখা জরুরি।

   

ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা নিয়ে যে বার্তা দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, ছবি: বার্তা২৪.কম

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমানে চলমান আবহাওয়া ডেঙ্গুর প্রজনন বৃদ্ধির অনুকূলে। বৃষ্টির ফলে জমা পানিতে প্রজনন বৃদ্ধি করে প্রধান কীট এডিস লার্ভা। তাই মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বর নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু বার্তা দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

বুধবার (২৬ জুন) রাজধানীর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন হাজারীবাগ কোম্পানীঘাট ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন এলাকায় 'শহীদ শামসুনেনেছা আরজু মণি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ১০ শয্যা হতে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ' উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।

সামন্ত লাল সেন বলেন, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব রোধে স্বাস্থ্য অধিদফতর সর্বদা সজাগ রয়েছে। আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ মজুত আছে। তবে ডেঙ্গু যাতে না হয় সেজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। প্রত্যেকের বাসা বাড়ি পরিষ্কার করতে হবে। ডেঙ্গুর প্রজননটা বন্ধ করতে হবে, এটা হলো আসল কাজ।

;

স্বল্পতা রাতারাতি পূরণ সম্ভব নয়

জনগণের দোরগোড়ায় চিকিৎসাসেবা পৌঁছাতে চেষ্টা করছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, ছবি: বার্তা২৪.কম

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চিকিৎসা খাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বল্পতা রয়েছে, যা রাতারাতি পূরণ সম্ভব নয়। আমরা জনগণের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য স্বাস্থ্যখাতে চেষ্টা করছি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। 

বুধবার (২৬ জুন) রাজধানীর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন হাজারীবাগ কোম্পানীঘাট ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন এলাকায় 'শহীদ শামসুনেনেছা আরজু মণি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ১০ শয্যা হতে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ' উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সামন্ত লাল সেন বলেন, আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি মায়ের নামে উৎসর্গ করা এই হাসপাতালে যা যা করা প্রয়োজন আমি সবকিছু করব। মা ও শিশুদের কল্যাণের জন্য যে হাসপাতালটা এখানে মা এবং শিশু দুইজনকেই আমাদের কেয়ার করতে হবে। এই হাসপাতালটিতে এসে আমি যেগুলো দেখলাম প্রসবের আগে যে চেকআপটা সেটা ভালোভাবেই করা হয়। এখানে যারা মহিলা ডাক্তার আছেন আমি আপনাদেরকে একটা কথা বলি বাংলাদেশে একটা জিনিস খুব কমন, মায়েদের ব্রেস্ট ক্যান্সার। মায়েদের যখন আপনারা দেখবেন তখন তাদের এই জিনিসটাও খেয়াল করবেন। তাদের ব্রেস্টে কোনো লাম্প আছে কীনা। আপনারা যদি এমন কোন রোগী পান, তাহলে আমাদের হাসপাতাল শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা হয়। সব অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে ব্রেস্ট স্ক্যানিং হয়। আপনারা সেখানে পাঠিয়ে দেন আমরা বিনামূল্যে সব ধরনের তাদের চিকিৎসা করব।

আমি সারাদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছি, সারা জীবন আমি চিকিৎসা করেছি আমার কাছে খুব কষ্ট লাগে যখন দেখি সারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যখন মায়েরারা আসেন এই ব্রেস্ট ক্যান্সার রোগ নিয়ে তখন তাদের আর কিছুই করার থাকে না। সুতরাং দ্রুত রোগ নির্ণয় করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

চিকিৎসা খাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বল্পতার কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি যখন সংসদে যাই তখন বিভিন্ন সংসদ সদস্যরা আমাকে বলেন ডাক্তারের স্বল্পতা, এ স্বল্পতা, সে স্বল্পতা। আমি জানি দেশে চিকিৎসাখাতে অনেক স্বল্পতা আছে। রাতারাতি সবকিছু পরিবর্তন সম্ভব না। আমাদেরকে কিছুটা সময় দেন আমরা চেষ্টা করব মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে।

আজকে যদি বঙ্গবন্ধু আমাদের দেশটা স্বাধীন না করতেন আমি সামন্ত লাল সেন কোনদিনও মন্ত্রী হতে পারতাম না। সুতরাং আমি অকৃতজ্ঞ হতে চাই না আমি সেই পরিবারের জন্য যতোটুকু করার দরকার যা করার দরকার সবকিছু করব। আজকে এই হাসপাতালের সাথে এমন একজন নারীর নাম জড়িত এই হাসপাতালের জন্য আমি যদি কিছু না করি তাহলে তার প্রতি অসম্মান করা হবে। তার প্রতি অসম্মান করা মানে স্বাধীনতার প্রতি অসম্মান করা হবে। আমি যদি এই হাসপাতালকে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল করতে না পারি তাহলে আমি মনে করব স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে এটা আমার ব্যর্থতা। সবকিছু আমি রাতারাতি পারবো না। আস্তে আস্তে সব কিছু করা হবে। এটা আমাদের দায়িত্ব। আমরা স্বাস্থ্য খাতে চেষ্টা করব যে যতটুকু সম্ভব আমরা জনগণের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা ১০ আসনের সদস্য ফেরদৌস।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ প্রমুখ।

;

২০৩০ সালের মধ্যে যক্ষ্মা দূর করতে সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, যক্ষ্মা এমন একটা ব্যাধি, যা শুধু আমাদের দেশ নয়, বিশ্ব সম্প্রদায়কে প্রভাবিত করছে। এ যক্ষ্মা দীর্ঘকাল ধরে জনস্বাস্থ্যের জন্য লড়াইয়ে একটি শক্তিশালী প্রতিপক্ষ।

রোববার (২৩ জুন) ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা গ্লোবাল ফোরামের যক্ষ্মারোগের অবসান ঘটাতে ‘মাল্টিসেক্টরাল ও মাল্টিস্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ততা এবং জবাবদিহিতার অগ্রগতি’ শীর্ষক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিশ্বে প্রতিবছর ১০ দশমিক ৬ মিলিয়ন মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়। ২০২৩ সালে যক্ষ্মা বিষয়ে জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দ যক্ষ্মা প্রতিরোধের বিষয়ে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা এগিয়ে নিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যক্ষ্মারোগ দূরীকরণে মূল কারণগুলি মোকাবিলা করা এখন আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ২০৩০ সালের মধ্যে যক্ষ্মা দূর করার লক্ষ্যের প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন, যা এসডিজি, ডব্লিউএইচও (WHO)-এর যক্ষ্মা দূরীভূত করার কৌশল এবং যক্ষ্মার ওপর জাতিসংঘের উচ্চস্তরের বৈঠকের রাজনৈতিক ঘোষণায় অন্তর্ভুক্ত একটি লক্ষ্য। বর্তমান সরকারের জ্ঞান, কৌশল ও সম্মিলিত ইচ্ছাকে একসঙ্গে কাজে লাগিয়ে এ লক্ষ্যকে বাস্তবে পরিণত করা সম্ভব হবে।

এছাড়া, অনুষ্ঠানে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ড. সায়মা ওয়াজেদ ভিডিও বার্তায় যক্ষ্মারোগ সম্পর্কে তার মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, বিশ্বস্বাস্থ্ সংস্থার ডিরেক্টর টি কাসিভা ও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বর্ধন জং রানা, প্রমুখ।

;

রাসেল’স ভাইভার দংশন

চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা সম্ভব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেছেন, সর্পদংশনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, রোগীকে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া। অনতিবিলম্বে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে এক্ষেত্রে যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা সম্ভব।

তিনি আরো বলেন, সর্পদংশনের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করা খুবই জরুরি। রোগীকে হাসপাতালে আনতে যাতে দেরি না হয়, সে বিষয়ে আমাদের সবাইকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

শনিবার (২২ জুন) অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে সারাদেশের সিভিল সার্জন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, বিভাগীয় পরিচালক, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকসহ দেশের সব স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক সভায় মিলিত হন।

এ সময় তিনি সবাইকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ ও কর্মকর্তাদের বেশ কিছু জরুরি নির্দেশনা প্রদান করেন।

রাসেল’স ভাইপার স্থানীয়ভাবে ‘চন্দ্রবোড়া’ বা ‘উলুবোড়া’ সাপ নামেও পরিচিত। উপমহাদেশের প্রধান চারটি বিষধর সাপের একটি চন্দ্রবোড়া, ছবি- সংগৃহীত

স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশের বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জন ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, বিভাগীয় পরিচালকদের সঙ্গে সর্পদংশন ও রাসেল'স ভাইপার নিয়ে কথা বলেন এবং সামগ্রিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন। সেইসঙ্গে দেশের সব হাসপাতালে পর্যাপ্ত এন্টিভেনম মজুত রাখার এবং কোনো অবস্থাতেই এন্টিভেনমের স্টক খালি না থাকার নির্দেশ দেন তিনি।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, রাসেল'স ভাইপার নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে আমি জনগণকে বলবো, আপনারা আতঙ্কিত হবেন না। রাসেল'স ভাইপারের যে এন্টিভেনম, সেটা আমাদের হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত মজুত আছে। আমি পরিষ্কার নির্দেশ দিয়েছি, কোনো অবস্থাতেই এন্টিভেনমের ঘাটতি থাকা যাবে না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সর্পদংশনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, রোগীকে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া। অনতিবিলম্বে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে এক্ষেত্রে যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা সম্ভব।

এ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করার জন্য প্রচার প্রচারণার ওপর জোর দেন তিনি। এছাড়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী সভায় সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের নিজ নিজ এলাকার সংসদ সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করারও তাগিদ দেন।

সভায় স্বাস্থ্যসেবা স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো.জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ডা. রুবেদ আমিনসহ স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, রাসেল’স ভাইপার স্থানীয়ভাবে ‘চন্দ্রবোড়া’ বা ‘উলুবোড়া’ সাপ নামেও পরিচিত। চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়ার বৈজ্ঞানিক নাম- Daboia russelii। ভাইপারিডি পরিবারভুক্ত ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম বিষধর সাপ এবং উপমহাদেশের প্রধান চারটি বিষধর সাপের একটি চন্দ্রবোড়া।

১৭৯৭ সালে জর্জ শ এবং ফ্রেডেরিক পলিডোর নোডার প্যাট্রিক রাসেল ১৭৯৬ সালে ‘অ্যান অ্যাকাউন্ট অব ইন্ডিয়ান সারপেন্টস, কালেক্টেড অন দ্য কোস্ট অব করোমান্ডেল বইয়ে ‘চন্দ্রবোড়া’ সম্পর্কে লিখেছিলেন এবং তার নাম অনুসারে এটি রাসেল’স ভাইপার নামেও পরিচিত।

;