ফাইজারের টিকা প্রয়োগের অনুমোদন অস্ট্রেলিয়ার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকা প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। রোববার (২৪ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

সবার জন্যই এই টিকা প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফেব্রুয়ারিতে টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পরিকল্পনা দেশটির। কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট।

হান্ট জানান, আগামী মাসে সপ্তাহে ৮০ হাজার ডোজ করে টিকা প্রয়োগের প্রত্যাশা তাদের। এ পর্যন্ত ১৪ কোটি ডোজ টিকা নিশ্চিত করেছে দেশটি। মাথাপিছু সর্বোচ্চ ডোজ নিশ্চিতকারী দেশগুলোর অন্যতম বলে দাবি অস্ট্রেলিয়ার এই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন জানান, টিজিএ কর্তৃপক্ষ ফাইজারের টিকা প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। উল্লেখ করতে চাই, অন্য অনেক দেশের মতো কেবল জরুরি ব্যবহারের জন্য নয়, বরং ১৬ বছরের ঊর্ধ্বে সবার জন্য প্রয়োগের সুপারিশ করেছেন তারা।

অস্ট্রেলিয়া এপ্রিলের মধ্যে ৪ মিলিয়ন ভ্যাকসিন ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা নির্ধারণ করেছে।

তবে হান্ট সতর্ক করে বলেছেন, টিকা প্রয়োগের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় সীমান্ত নিষেধাজ্ঞাগুলি আগের মতোই থাকবে।

অস্ট্রেলিয়ায় সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের প্রথম পর্যায়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

বিশ্বে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান ১০৭তম। অস্ট্রেলিয়ায় করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২৮ হাজার ৭৭৭জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৯০৯ জন।

   

কানাডা-ভারত দ্বন্দ্ব: কার পাশে যুক্তরাষ্ট্র?



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উদীয়মান অর্থনীতির দেশ ভারত এবং বন্ধুরাষ্ট্র কানাডার মধ্যে ভারতের কূটনীতিকে শক্তিশালী মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশ দুটির মধ্যকার কূটনৈতিক বিরোধ যেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে নষ্ট না করে যুক্তরাষ্ট্র সে চেষ্টা করছে।

পেন্টাগনের সাবেক কর্মকর্তা মাইকেল রুবিন বলেছেন, কানাডার চেয়ে কৌশলগতভাবে বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ভারত অনেক বেশি শক্তিশালী এবং অটোয়া ভারতের সঙ্গে লড়াই করা মানে হলো একটি পিঁপড়ার হাতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মতো।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে কিনা সেই সম্ভাবনার জবাবে রুবিন বলেন, বর্তমানে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ। কানাডার চেয়ে কৌশলগত কূটনীতির দিক থেকেও অনেক বেশি এগিয়ে ভারত। মহাসাগর অববাহিকায় এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীন ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের কৌশলগত সমাধানে আসা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে যদি অটোয়া এবং নয়াদিল্লির মধ্যে বেছে নিতে হয়। তবে এটি অবশ্যই পরবর্তীটি বেছে নেবে কারণ সম্পর্ক রক্ষা করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কানাডার এমন অভিযোগ তোলার বিষয়টির সমালোচনা করেছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ভারত কানাডার চেয়ে কৌশলগতভাবে অনেক বেশি কার্যকরী কূটনীতি বজায় রাখতে সক্ষম। অটোয়া-নয়াদিল্লির লড়াই করার সিদ্ধান্ত বোকামি। জাস্টিন ট্রুডোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো একটি বড় ভুল করেছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কেন একজন মানবতাবিরোধীকে কানাডা সমর্থন করছে এ বিষয়ে কানাডাকেও জবাবদিহিতা দিতে হতে পারে।

পেন্টাগনের সাবেক এই কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের যদি এই বিষয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে কাউকে বেছে নিতে হয় তাহলে ভারতকে বেছে নেওয়া উচিত। এর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, নিহত শিখ নেতা নিজ্জার একজন সন্ত্রাসী ছিল।

পেন্টাগনের সাবেক এই কর্মকর্তা ট্রুডোর সমালোচনা করে বলেন, শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার ছিল একজন খালিস্তানি সন্ত্রাসী। যাকে তার পূর্ববর্তী কমরেডদের দ্বারা হত্যা করা হয়েছে। তার মৃত্যু মানবাধিকারের লঙ্ঘন নয়, কারণ সে একাধিক সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত ছিল। নিজ্জার অপর এক প্রতিদ্বন্দ্বী শিখ নেতাকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেন। একই সময়ে একাধিক হামলার মাধ্যমে সে অনেক মানুষ হত্যা করেছে যা মানবাধিকার বিরোধী। ভারত থেকে বিতাড়িত নিজ্জার ভুয়া পাসপোর্ট নিয়ে কানাডায় প্রবেশ করেন এবং নাগরিকত্ব পায়। এতে তার হত্যাকে কানাডার নাগরিকদের নিরাপত্তার সংকট বলে মনে করছেন না তিনি। সূত্র: এনডিটিভি।

;

চীনা তরুণ-তরুণীরা প্রেমে আগ্রহী হলেও বিয়েতে অনীহা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত কয়েক বছর ধরেই চীনে মানুষের সংখ্যা দ্রুতগতিতে কমছে। চীন সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েও বিষয়টির মোকাবিলা করতে পারছে না। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, করোনা মহামারিসহ নানা কারণে চীনের তরুণ-তরুণীদের মাঝে বিয়ের আগ্রহ কমছে, বিপরীতে আগ্রহ বাড়ছে প্রেমে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি এক জরিপে দেখা যায়, চীনে বিয়ের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। এর বিকল্প হিসেবে তরুণ চীনারা প্রেমকে বেছে নিয়েছে। দেশটিতে ২০১৩ সালে বিয়ের সংখ্যা ছিল ১৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন যা ২০২২ সালে ৬ দশমিক ৮ মিলিয়নে নেমে আসে।

চীনে ভালোবাসা দিবসের মতো একটি উৎসব পালিত হয় যা কিক্সি উৎসব নামে পরিচিত। ঐতিহ্যগতভাবে চীনা দম্পতিদের বিয়ে করার জন্য একটি শুভ সময় বলে বিবেচিত হয়। চীনা চন্দ্র ক্যালেন্ডারে সপ্তম মাসের সপ্তম দিনে এই উৎসব উদযাপিত হয়। কিক্সি হল চীনা পুরাণে তারকা-ক্রসড প্রেমিক ঝিনু এবং নিউলং-এর মধ্যে রোমান্টিক প্রেমের উদযাপন। তাই এই দিনে চীনাদের মাঝে গণহারে বিয়ে হওয়ার প্রচলন আছে।

রোমান্টিক এই দিনটিতে বিয়ে প্রদর্শনের লক্ষ্যে, সিচুয়ান প্রদেশের মিয়ানয়াং শহরের একটি বিবাহ নিবন্ধন অফিস চলতি বছরের উৎসবটিকে বিবাহ নিবন্ধন অনুষ্ঠানগুলোর লাইভস্ট্রিম করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই বছর দিনটি ছিল ২২ আগস্ট ৷ তাদের মতে এবারের অনুষ্ঠানে খুব কম দম্পতি বিয়ে করতে এসেছেন। এতে শেষ পর্যন্ত লাইভস্ট্রিম বিঘ্নিত হয়। একটি বড় আড়ম্বড়পূর্ণ বিবাহ নিবন্ধন হলের পরিবর্তে দর্শকদের সেদিন দেখানো হয়েছিলো মিয়ানয়াং শহরের মনোরম দৃশ্য।

আল জাজিরায় প্রকাশিত এক স্থিরচিত্রে দেখা যায়, ২০০৩ সালে সাংহাইতে এমন দিনের রোজ ওয়েডিং নামে পরিচিত এক অনুষ্ঠানে প্রায় ৫০ জন দম্পতির গণবিবাহের জন্য চীনা বধূরা প্রস্তুতি নিচ্ছে, গত ১০ বছরে যা লক্ষ্যণীয় হারে কমেছে ।

বিয়ের রেজিস্ট্রেশন করা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করা বর্তমানে চীনের তরুণদের একটি ট্রেন্ডিং বিষয় হয়ে উঠেছে। এই পরিসংখ্যানও বলছে বিয়েতে চীনা তরুণদের আগ্রহ ক্রমহ্রাসমান এবং অবিবাহিত থাকার প্রবণতা বেশি বাড়ছে।

যার প্রভাব পড়েছে চীনের জনসংখ্যায়। বিশ্বের শীর্ষ জনসংখ্যার দেশটি বর্তমানে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে। চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো (এনবিএস) জানিয়েছে, ২০২২ সালের শেষে চীনের জনসংখ্যা ১৪১ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজারে দাঁড়িয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৮ লাখ ৫০ হাজার কম।

এনবিএসের তথ্যমতে, গত বছর চীনে ৯৫ লাখ ৬০ হাজার শিশুর জন্ম হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ১ কোটি ৪ লাখ ১০ হাজার জনের।

;

শিখ নেতা হত্যা: কানাডার তদন্তে ভারতকে সহায়তার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শিখ নেতা হারদিপ সিং নিজ্জার হত্যার তদন্তে কানাডাকে সহযোগিতা করার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এই আহ্বান জানান।

ব্লিঙ্কেন বলেন, আমরা জবাবদিহিতা দেখতে চাই। তদন্ত প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং কাঙ্ক্ষিত ফল বেরিয়ে আসা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক দমন মারাত্মক একটি গুরুতর ইস্যু।

মার্কিন বিবৃতিটি এমন সময় এসেছে যখন ভারত-কানাডা সম্পর্ক খারাপ হয়ে গেছে। নয়াদিল্লি কানাডিয়ানদের জন্য ভিসা পরিষেবা স্থগিত করেছে এবং অটোয়া একজন ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে।

কানাডা অভিযোগ করেছে যে ভারতীয় সরকারের এজেন্টরা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল। তবে এ দাবি নয়াদিল্লি প্রত্যাখ্যান করেছে।

কানাডাও ভারতকে তদন্তে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছে। শুক্রবার ট্রুডো বলেছেন, অটোয়া ইতিমধ্যেই অভিযোগগুলো প্রকাশ্যে আসার আগে নয়াদিল্লির সঙ্গে তার উদ্বেগগুলি ভাগ করেছে।

চলতি বছরের জুনে ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশে নিজ্জারকে গুরুদ্বারের পার্কিং লটে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠে। শিখ ফর জাস্টিট (এসজেএফ)-এর মতে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের প্রধান ছিলেন তিনি। এই হত্যার জন্য ভারতকে দায়ী করে ওই খালিস্তানি সংগঠন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর মুখে সেই কথার প্রতিফলন দুই দেশের সম্পর্কেও প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।

শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হারদিপ সিং নিজ্জার হত্যার জেরে ভারত ও কানাডার মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব পৌঁছছে চরমে। বৃহস্পতিবার চলমান দ্বন্দ্বের জেরে কানাডার নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবা স্থগিত করেছে ভারত। এ প্রসঙ্গে অরিন্দম বাগচি বলেন, ইতিমধ্যেই যাদের ভিসা রয়েছে তারা ভারতে আসা- যাওয়া করতে পারবেন। নতুন করে ভিসা দেওয়া স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

কানাডার নাগরিকদের ভারতের ভিসা দেওয়া ও কূটনীতিকদের নিরাপত্তার বিষয়েও কথা বলেন তিনি। ভারতে বসবাসকারী কানাডার কূটনৈতিকদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ভারত। আশা করি কানাডায় আমাদের কূটনীতিকদের প্রতিও একই আচরণ করবে সে দেশের প্রশাসন।

;

সিনেটর বব মেনেনডেজের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
বব মেনেনডেজ। ছবি : সংগৃহীত

বব মেনেনডেজ। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় সিনেটর বব মেনেনডেজ এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।

ওই দুজনের বিরুদ্ধে মিশরকে সুবিধা পাইয়ে দিতে বৈদেশিক নীতিকে প্রভাবিত করাসহ বিভিন্ন দুর্নীতিমূলক কাজের মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ তুলেছেন প্রসিকিউটররা।

ম্যানহাটনের অ্যাটর্নি অফিস শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মেনেনডেজ এবং তার স্ত্রী নাদিনের বিরুদ্ধে নিউ জার্সির তিন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ করেছে।

ম্যানহাটনের অ্যাটর্নি অফিস তাদের অভিযোগে বলেছে, ‘ওই ঘুষের মধ্যে নগদ অর্থ, স্বর্ণ, একটি বাড়ির বন্ধকের জন্য অর্থপ্রদান, একটি কাজের জন্য ক্ষতিপূরণ, একটি বিলাসবহুল যানবাহন এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিস অন্তর্ভুক্ত ছিল।’

প্রসিকিউটররা বলেন, ওই সিনেটর দম্পতির বাড়িতে তল্লাশি করে সোনার বার এবং লুকানো নগদ ৪ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার পাওয়া গেছে।

ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মেনেনডেজ এবং তার স্ত্রী তিনটি ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি হয়েছেন। সেগুলো হলো, ঘুষ নেওয়ার ষড়যন্ত্র, পরিষেবা জালিয়াতির ষড়যন্ত্র এবং সরকারি অধিকারের আড়ালে চাঁদাবাজি।

অভিযোগগুলো প্রকাশ্যে আসার পরে এক বিবৃতিতে, মেনেনডেজ বলেছেন, তিনি মিথ্যা এবং অপপ্রচারের শিকার।

তিনি প্রসিকিউটরদেরকে তার এবং তার স্ত্রী সম্পর্কে মিথ্যা দাবির জন্য অভিযুক্ত করে বলেন, বিরোধীরা প্রথম প্রজন্মের ল্যাটিনো আমেরিকান, যারা মার্কিন আইনসভায় সততার সঙ্গে কাজ করতে পারাটা মেনে নিতে পারে না।

তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘অভিযোগকারীরা কংগ্রেসনাল অফিসের স্বাভাবিক কাজকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে। এ ছাড়াও, তারা শুধুমাত্র আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা দাবি করে সন্তুষ্ট নয়, তারা আমার স্ত্রীকেও আক্রমণ করেছে।’

প্রভাবশালী ইউএস সিনেট কমিটির পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক প্রধান ৬৯ বছর বয়সি সিনেটর মেনেনডেজের বিরুদ্ধে এর আগেও নিউ জার্সিতে সরকারি সুবিধার বিনিময়ে একজন ধনী পৃষ্ঠপোষকের কাছ থেকে ব্যক্তিগত ফ্লাইট, প্রচারাভিযানে অবদান এবং অন্যান্য ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছিল।

২০০৬ সাল থেকে মার্কিন সিনেটে থাকা মেনেনডেজ যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম সিনেটর হিসেবে দেখা হচ্ছে, যাকে দুটি ফৌজদারি অপরাধমূলক অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

মেনেনডেজ প্রথম প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন যে, তিনি গত অক্টোবরে একটি নতুন ফেডারেল তদন্তের মুখোমুখি হয়েছিলেন।

ঘুষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রসিকিউটররা মেনেনডেজের নিউ জার্সির বাড়ি, একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ, নগদ প্রায় ৫ লাখ ৬৬ হাজার মার্কিন ডলার, স্বর্ণের বার এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা অর্থ বাজেয়াপ্ত করার চেষ্টা করছেন৷

ব্যবসায়ী ওয়ায়েল হানা, হোসে উরিবে এবং ফ্রেড ডাইবসকেও ঘুষ প্রদানের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

প্রসিকিউটররা বলেন, হানা, যিনি মূলত মিশর থেকে ২০১৮ সালে মেনেনডেজ এবং মিশরীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে নৈশভোজ এবং বৈঠকের ব্যবস্থা করেছিলেন। ওই বৈঠকে মিশরের কর্মকর্তারা মার্কিন সামরিক সহায়তার অবস্থা সম্পর্কে জানতে সিনেটরকে চাপ দিয়েছিলেন।

মিশর ওই সময় মার্কিন সামরিক সাহায্যের বৃহত্তম প্রাপকদের মধ্যে একটি ছিল। কিন্তু, স্টেট ডিপার্টমেন্ট ২০১৭ সালে দেশটিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গণতন্ত্রের উন্নতি না করা পর্যন্ত ওই সাহায্য বাতিল করে।

প্রসিকিউটররা বলেন, ২০১৮ সালে একটি সভায় মেনেনডেজ হানাকে সাহায্যের অবস্থা সম্পর্কে অপ্রকাশ্য তথ্য জানান। তারপরে হানা একজন মিশরীয় কর্মকর্তাকে টেক্সট করেছিলেন যে, মিশরে ছোট অস্ত্র ও গোলাবারুদের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।

নৈতিকতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সিটিজেনস ফর রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড এথিক্সের প্রেসিডেন্ট শুক্রবার এক বিবৃতিতে, মেনেনডেজের প্রতি পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন।

;