সশরীরে বৈঠকে উপস্থিত করোনায় আক্রান্ত ইমরান!
করোনা ভাইরাসকরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার চার দিনের মাথায় নিজ বাসভবনে সশরীরে বৈঠক করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান!
গণমাধ্যমও সেখানে উপস্থিত ছিল।
যেখানে প্রধানমন্ত্রীর থাকার কথা কোয়ারেন্টিনে, সেখানে তিনি ‘সামাজিত দূরত্ব’ বজার রেখেই চালিয়ে গেছেন রাষ্ট্রীয় বৈঠক। এতে করে বিরোধী দলগুলোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন পাকিস্তানের এই সাবেক ক্রিকেটার।
পাকিস্তানের জাতীয় দৈনিক ডন জানায়, সেনেটর শিবলি ফারাজ এবং ফয়সাল জাভেদ নিজেদের টুইটার একাউন্টে সোমবারের ওই বৈঠকের ছবি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে ইমরান খানের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠে।
বিরোধীদলের পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশে এখন করোনাভাইরাস মহামারীর তৃতীয় ঢেউ চলছে। আর খোদ প্রধানমন্ত্রীই কিনা এই রোগের বিস্তার রোধে জারি করা দিকনির্দেশনা (এসওপিএস) লঙ্ঘন করছেন।বিরোধীদল থেকে অস্স্থু ইমরানের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার আহ্বানও জানানো হয়েছে।
গত ২০ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কোভিড-১৯ ‘পজিটিভ’ হন। তার দুইদিন আগে তিনি কোভিডের টিকা নিয়েছিলেন।
কোভিড-১৯ ‘পজিটিভ’ হওয়ার মাত্র চারদিন পর সশরীরে বৈঠকে যোগ দেওয়ার নিয়ে সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী ইমরানের প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এবং এনসিওসি চেয়ারম্যান আসাদ উমর বলেন, এসওপিএস এ শুধু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় দূরত্ব বজায় রেখেই ওই বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।
তবে কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় এ ধরনের বৈঠকে যোগ না দেওয়াই বেশি ভালো বলেও তিনি স্বীকার করেছেন।
সোমবারের বৈঠকে উপস্থিত ইউসুফ বেগ মির্জা বলেন, ‘‘আমরা কেউ কাউকে স্পর্শ করিনি এবং আমরা সবাই মাস্ক পরে ছিলাম। আমরা কিছু খাইনি বা পান করিনি এবং ৪৫ মিনিটের ওই বৈঠকের পুরোটা সময় আমরা প্রধানমন্ত্রীর থেকে প্রয়োজনীয় দূরত্ব বজায় রেখে ছিলাম।”
পবিত্র রমজান মাসে জনগণের জন্য কী কী ভর্তুকির ব্যবস্থা করা হবে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়ার জন্যই মূলত ওই জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছিল বলেও জানান তিনি।