বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৫০ লাখ ছাড়ালো

  করোনা ভাইরাস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও আট হাজার ৩৩ জন। এ নিয়ে বিশ্বে এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ লাখ চার হাজার ৩৭০ জনে।

একই সময়ে নতুন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন চার লাখ ৮০ হাজার ৫২০ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়ালো ২৪ কোটি ৬৭ লাখ ৪৩ হাজার ৪৩৯ জনে। এছাড়া করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২২ কোটি ৩৫ লাখ ২৯ হাজার ৩১৪ জন।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) পরিসংখ্যান বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ও আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত চার কোটি ৬৭ লাখ ৭১ হাজার ৯৭৯ জন ও মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৬৫ হাজার ৭২২ জনে। সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিন কোটি ৬৬ লাখ ৪৬ হাজার ৯০০ জন।

তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন তিন কোটি ৪২ লাখ ৫৯ হাজার ৭১৯ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন চার লাখ ৫৭ হাজার ৭৭৩ জন।

তৃতীয় অবস্থানে থাকা ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ১৭ লাখ ৯৩ হাজার ৪০৬ জনে। এরমধ্যে মারা গেছেন ছয় লাখ সাত হাজার ৫০৪ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন দুই কোটি নয় লাখ ৮৬ হাজার ৯০১ জন।

তালিকায় এরপরের স্থানগুলোতে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, তুরস্ক, ফ্রান্স, ইরান, আর্জেন্টিনা, স্পেন, কলম্বিয়া ও ইতালি।

তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৩০ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৬৯ হাজার ১৬২ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ হাজার ৮৫৪ জন। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সেরে উঠেছেন ১৫ লাখ ৩২ হাজার ৯৬৬ জন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশের হুবেই শহরে প্রথম করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। এর কয়েক মাসের মধ্যেই ভাইরাসটি বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ছড়িয়ে পড়ে। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।

   

উইঘুর শিক্ষাবিদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলো চীন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
বিশিষ্ট উইঘুর শিক্ষাবিদ রাহিল দাউত। ছবি : সংগৃহীত

বিশিষ্ট উইঘুর শিক্ষাবিদ রাহিল দাউত। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করার দায়ে বিশিষ্ট উইঘুর শিক্ষাবিদ রাহিল দাউতকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে চীন।

বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার গ্রুপ ডুই হুয়া ফাউন্ডেশন অনুসারে, রাহিল দাউতের সাজা নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি ২০১৮ সালে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন।

চলতি মাসে ৫৭ বছর বয়সি এই অধ্যাপকের আপিল আবেদন খারিজ করে আদালত।

প্রসঙ্গত, চীনের বিরুদ্ধে উইঘুর জনসংখ্যা এবং জিনজিয়াংয়ের অন্যান্য মুসলিম জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বিশ্বাস করে যে, চীন গত কয়েক বছরে তাদের দশ লাখেরও বেশি উইঘুরকে আটক করেছে।

চীন এরই মধ্যে কয়েক হাজার মানুষকে নানা মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে।

ডুই হুয়া ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জন কাম বলেছেন, প্রফেসর রাহিল দাউতের শাস্তি একটি নিষ্ঠুর ট্র্যাজেডি। এটি উইঘুর জনগণের জন্য একটি বড় ক্ষতি।

রাহিল দাউতের অবিলম্বে মুক্তি এবং তার পরিবারের কাছে নিরাপদে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন জন কাম।

তার মেয়ে আকেদা পুলতি জানান, তিনি তার মাকে নিয়ে ভীষণ চিন্তিত।

ডুই হুয়া কর্তৃক প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘আমার নিরপরাধ মায়ের কারাগারে জীবন কাটানোর চিন্তা তার জন্য অসহনীয় যন্ত্রণা নিয়ে আসে। চীন, তোমার করুণা দেখাও এবং আমার নির্দোষ মাকে মুক্তি দাও।’

রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করার অপরাধে তাকে ২০১৭ সালে গ্রেপ্তারের পর ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জিনজিয়াংয়ের একটি আদালতে দাউতের গোপন বিচার সম্পন্ন করে।

চীন সরকারের একটি সূত্র ডুই হুয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা নিশ্চিত করেছে।

দাউত উইঘুর লোককাহিনী ও ঐতিহ্যের একজন বিশেষজ্ঞ এবং গ্রেপ্তারের আগে জিনজিয়াং ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ হিউম্যানিটিজে শিক্ষকতা করছিলেন।

তিনি ২০০৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতিগত সংখ্যালঘু গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং জিনজিয়াংজুড়ে মাঠপর্যায়ে কাজ পরিচালনা করেন।

তিনি হার্ভার্ড এবং কেমব্রিজসহ যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও বক্তৃতা করেছেন।

ডুই হুয়া জানিয়েছে, দাউত উইঘুর বুদ্ধিজীবীদের দীর্ঘ এবং ক্রমবর্ধমান তালিকার মধ্যে একজন ছিলেন, যারা ২০১৬ সাল থেকে আটক, গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।

জিনজিয়াংয়ে গণহত্যার জন্য চীনকে অভিযুক্ত করেছে এমন কয়েকটি দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রও রয়েছে। শীর্ষস্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ চীনকে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করেছে।

যদিও ওসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছে চীন।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং শুক্রবার এপিকে বলেছেন, দাউতের মামলার বিষয়ে তার কাছে কোনও তথ্য নেই।

  করোনা ভাইরাস

;

থাইল্যান্ডের নতুন বিরোধী দলীয় নেতা চৈথাওয়াত তুলথন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
নতুন এমএফপি নেতা চৈথাওয়াত তুলথন। ছবি : সংগৃহীত

নতুন এমএফপি নেতা চৈথাওয়াত তুলথন। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

থাইল্যান্ডের বিরোধী দল মুভ ফরওয়ার্ড পার্টি (এমএফপি) তাদের নতুন নেতার নাম ঘোষণা করেছে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।

কারণ, দলটির আগের নেতা পিটা লিমজারোয়েনরাত, যিনি গত মে মাসে একটি অত্যাশ্চর্য নির্বাচনী বিজয়ে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় তিনি পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

থাইল্যান্ডের একটি রাজনৈতিক ম্যাগাজিনের সাবেক সম্পাদক চৈথাওয়াত তুলথন এখন এমএফপির প্রধান হবেন বলে দলটির পক্ষ থেকে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জানানো হয়েছে।

দলটির নবনির্বাচিত নেতা পরিবেশগত প্রকৌশল বিষয়ে অধ্যয়ন করেছেন এবং এমএফপির সহ-প্রতিষ্ঠাতা বলে জানা গেছে। তিনি পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে থাইল্যান্ডের প্রগতিশীল রাজনৈতিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত।

তার ভূমিকার কারণেই যুব ও শহুরে সমর্থনের তরঙ্গে এই বছরের নির্বাচনে সংসদে সর্বাধিক আসন জিতেছে এমএফপি।

প্রসঙ্গত, রক্ষণশীল আইন প্রণেতারা এবং একটি অনির্বাচিত সিনেট এমএফপিকে সরকার গঠনের প্রচেষ্টায় বাধা দেওয়ার পরে দলটি এখন বিরোধী দল হিসাবে গণ্য হচ্ছে।

গত জুলাই মাসে একটি মিডিয়া কোম্পানিতে শেয়ারের মালিকানার অভিযোগে সংসদ থেকে বরখাস্ত হন পেটা। ওই অভিযোগ তাকে সাংসদ হিসাবে অযোগ্য করে তোলে। যদিও ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পিটা।

চৈথাওয়াত সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এটি দলের একটি অস্থায়ী পুনর্গঠন। আইনি কারণে পিটা লিমজারোয়েনরাত বিরোধী নেতার দায়িত্ব পালন করতে এবং এই মুহূর্তে সংসদে এমপি হতে পারবেন না। পিটা আবার সংসদে এমপি হিসেবে ফিরে আসলে আমি পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক।’

বর্তমানে পিটা দলের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং সংসদের বাইরের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

এই সপ্তাহের শুরুতে এক দশকেরও বেশি আগে অনলাইনে পোস্ট করা একটি ছবির জন্য একজন বিশিষ্ট এমএফপি সমর্থক পান্নিকা ওয়ানিচকে রাজনীতি থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করেছে দেশটির আদালত।

আদালতের বিচারে ওই পোস্ট রাজতন্ত্রের প্রতি অসম্মানজনক এবং নৈতিক মান লঙ্ঘনের জন্য বিবেচিত হয়েছিল।

মুভ ফরওয়ার্ড পার্টি দেশের কঠোর রাজকীয় অসম্মান আইন সংশোধন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যে আইনের অধীনে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে অপমানমূলক কর্মকাণ্ডের সর্বনিম্ন শাস্তি হিসাবে ১৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের থাইল্যান্ডের সিনিয়র গবেষক সুনাই ফাসুক বলেছেন, সামরিক শাসনের সময় তৈরি করা দেশটির সংবিধান নির্বিচারে স্পষ্টবাদী রাজনীতিবিদদের আক্রমণ করার একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।

তিনি আরও বলেন, এটি সহজেই বিরোধী দলের সদস্যদের নিশ্চিহ্ন করতে পারে, যারা সংস্কারের আহ্বান জানায়।

  করোনা ভাইরাস

;

যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ হতে পারে সিগারেট



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পরবর্তী প্রজন্মকে স্বাস্থ্য ঝুঁকির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য যুক্তরাজ্য সিগারেট নিষদ্ধ করতে যাচ্ছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এমন পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের বরাত দিয়ে এমন খবর প্রকাশ করেছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। 

শুক্রবার (২২ সেপ্টম্বর) সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করে দ্য গার্ডিয়ান। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, সুনাক নিউজিল্যান্ডের ঘোষিত আইনের দিকেই হাঁটছে। গত বছর নিউজিল্যান্ড ধূমপান-বিরোধী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে নতুন আইন ঘোষণা করেছে। ওই আইন অনুযায়ী, ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পরে জন্মগ্রহণকারী যে কারো কাছে তামাক বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

ব্রিটিশ সরকারের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে ইমেলের মাধ্যমে জানান, আমরা আরও বেশি লোককে ধূমপান ত্যাগ করতে উৎসাহিত করছি। ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের দেশকে সম্পূর্ণ ধূমপানমুক্ত দেশ হিসেবে বিশ্বের কাছে উপস্থাপন করার পদক্ষেপ নিয়েছি।

পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে বিনামূল্যে ভ্যাপ কিট বিতরণ, গর্ভবতী নারীদের ধূমপান থেকে বিরত রাখার জন্য ভাউচার স্কিম দেয়াসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

তবে, এসব পদক্ষেপগুলো আগামী বছর নির্বাচনের আগে সুনাকের দলের একটি নতুন ভোক্তা-কেন্দ্রিক ড্রাইভের অংশ বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। 

গত মে মাসে খুচরা বিক্রেতারা শিশুদের হাতে বিনামূল্যে ই-সিগারেট দিলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলো ব্রিটিশ সরকার।

এ ছাড়া গত জুলাই মাসে পরিবেশগত ও স্বাস্থ্য উভয় ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ২০২৪ সালের মধ্যে একক-ব্যবহারযোগ্য ভ্যাপ বিক্রি নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারেরর প্রতি আহ্বান জানায় ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের বিভিন্ন কাউন্সিল।

  করোনা ভাইরাস

;

চীনের বর্ধিত সামরিক মহড়া ‘অস্বাভাবিক’: তাইওয়ান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
তাইওয়ানের আকাশে চীনের জে-১৬ যুদ্ধবিমান। ছবি : সংগৃহীত

তাইওয়ানের আকাশে চীনের জে-১৬ যুদ্ধবিমান। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তাইওয়ানের চারপাশে চীনের বর্ধিত সামরিক তৎপরতাকে ‘অস্বাভাবিক’ বলে বর্ণনা করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী চিউ কুও-চেং।

তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ওই মহড়া দুর্ঘটনাজনিত সংঘর্ষের ঝুঁকি বাড়িয়েছে এবং পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে।

গত দুই সপ্তাহে কয়েক ডজন চীনা যুদ্ধবিমান, ড্রোন, বোমারু বিমান, যুদ্ধজাহাজ এবং চীনা রণতরী শানডংকে গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানের বাইরে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এই দ্বীপরাষ্ট্রটিকে বেইজিং তার নিজস্ব এলাকা বলে দাবি করে থাকে।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী চিউ কুও-চেং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বলেন, ‘দুর্ঘটনাজনিত সংঘর্ষের ঝুঁকির বিষয়ে আমরা খুব চিন্তিত।’

তিনি আরও বলেন, ওই সামরিক কার্যকলাপে কারণে ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং উভয় পক্ষকেই এক্ষেত্রে মনোযোগ দিতে হবে।

তার দাবি অনুসারে, চীনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ডের যুদ্ধজাহাজগুলো তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে একসঙ্গে স্পষ্ট যুদ্ধ মহড়া চালাচ্ছে।

এদিকে, গত সোমবার তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দ্বীপটির চারপাশে ২৪ ঘন্টার পর্যবেক্ষণে ১০৩টি চীনা যুদ্ধবিমানের উপস্থিতি রিপোর্ট করেছে। সোমবার থেকে সেখানে আরও ডজন খানেক যুদ্ধবিমান সনাক্ত করা হয়েছে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী চিউ শুক্রবার বলেন, ‘আমাদের শত্রুদের সাম্প্রতিক গতিবিধি সত্যিই খুবই অস্বাভাবিক। আমাদের প্রাথমিক বিশ্লেষণ হলো, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তারা স্থল, সমুদ্র, বায়ু এবং উভচরসহ যৌথ মহড়া চালাচ্ছে।’

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ওই সামরিক মহড়া সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেনি চীন এবং এর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মন্তব্যের জন্য অনুরোধের কোনও জবাব দেয়নি।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় চলতি সপ্তাহে আরও বলেছে, এটি চীনের দূরপাল্লার কামান, রকেট বাহিনী এবং ফুজিয়ান প্রদেশের দাচেং উপসাগরের চারপাশে স্থল সেনাদের পর্যবেক্ষণ করছে।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, শনিবার দ্বীপরাষ্ট্রটির উপকূলে দশটি চীনা সামরিক বিমান এবং পাঁচটি জাহাজ সনাক্ত করা হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান বাহিনী, নৌবাহিনী এবং স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাসহ তাদের কার্যকলাপের উপর নজর রেখেছে।

এই সপ্তাহের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের পেন্টাগনের কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে, তাইওয়ানের পাহাড়ী ভূখণ্ড এবং অবতরণ সৈকতের অভাবের কারণে চীনের সরাসরি আক্রমণ সহজ হবে না।

তারা আরও বলেছে, উভচর এবং বিমান হামলা পরিকল্পনা করাও চীনের জন্য অত্যন্ত জটিল হবে।

  করোনা ভাইরাস

;