কোভিড-১৯ ভাইরাস নয়, ব্যাকটিরিয়া!

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস
  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

কোভিড-১৯ ভাইরাস নয়, একটি ব্যাকটিরিয়া বলে দাবি করেছে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা। সম্প্রতি সিঙ্গাপুর প্রথম দেশ হিসেবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা ব্যক্তির মরদেহ ময়নাতদন্ত করে। ময়নাতদন্তে দেশটির চিকিৎসকরা দেখতে পায়, কোভিড-১৯ ভাইরাস হিসেবে বিদ্যমান নয়, বরং এটি একটি ব্যাকটিরিয়াম যা বিকিরণের সংস্পর্শে এসে রক্তকে জমাট বাঁধিয়ে মানুষের মৃত্যু ঘটাচ্ছে।

কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের শিরায়  রক্ত জমাট বাঁধার কারণে ওই ব্যক্তির পক্ষে শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়, কারণ  মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড  এবং ফুসফুস অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে না, ফলে দ্রুত মৃত্যুবরণ করে।

বিজ্ঞাপন

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল ভেঙে শ্বাসযন্ত্রের শক্তির ঘাটতির কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা মরদেহের ময়নাতদন্ত করেছেন।

মরদেহের ময়নাতদন্ত করার পর দেখা যায়, চিকিৎসকরা হাত-পা এবং শরীরের অন্যান্য অংশ আলাদা করার পর, রক্তনালীগুলোতে একাধিক জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে, যার জেরে অক্সিজেন সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। অক্সিজেনের ঘাটতির ফলে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। 

বিজ্ঞাপন

সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ময়নাতদন্তের এমন ফলাফলে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার প্রটোকল পরিবর্তন করেছে। আক্রান্ত রোগীদের অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ প্রয়োগ শুরু করেছে।

দেশটির চিকিৎসকরা কোভিড রোগীদের ১০০ মিলিগ্রাম ইম্রোমাক ওষুধ দেয়া শুরু করেন। ফলাফলে, রোগী সুস্থ এবং তাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে শুরু করে। সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একদিনে ১৪ হাজারেরও বেশি রোগীকে সারিয়ে তুলে সক্ষম হয়েছে।

সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা ব্যাখ্যা করেছেন, কোভিড-১৯  ধরা পড়লে তাই  রক্তনালীগুলোর ভেতরে রক্ত জমাট বাঁধা আটকাতে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং এসপিরিনের মতো অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট নিতে হবে। এই চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করলে ভেন্টিলেটর এবং আইসিইউ’র দরকার পড়বে  না।