ইউক্রেন দখলের চেষ্টা করলে বিশ্বযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হবে: বাইডেন

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন

রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আবারও সরব হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রাশিয়াকে আবারও কঠিন হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।

বুধবার এক সংবাদমাধ্যমকে জো বাইডেন বলেছেন, রাশিয়া যেভাবে আগ্রাসন দেখাচ্ছে তার পরিণতি ভাল হবে না। ইউক্রেন দখলের চেষ্টা করলে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ বেঁধে যাবে, ফলে বিশ্বযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হবে। বিশ্ব কূটনীতির ভারসাম্য নষ্ট হবে, গোটা পৃথিবীই বদলে যাবে।

বিজ্ঞাপন

আমেরিকা জানিয়েছে, আট হাজার সেনাকে রাশিয়ার সীমান্তের কাছেই মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে সেনার সংখ্যা বাড়ানো হবে। ন্যাটো বাহিনীও রুশ সীমান্তের কাছে যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে।

চলতি বছরের শুরু থেকে তাদের সীমান্তে রাশিয়া অন্তত এক লক্ষ সেনা মোতায়েন করে রেখেছে বলে অভিযোগ করে আসছে ইউক্রেন। যে কোনও সময়ে মস্কো তাদের উপরে হামলা চালিয়ে গোটা ইউক্রেন দখল করে নেবে বলেও আশঙ্কাও করা হচ্ছে।  দুই দেশের সীমান্তে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের একাধিকবার বৈঠকও হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

হোয়াইট হাউস একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রশাসন এবং তার ইউরোপীয় মিত্র শক্তি ইউক্রেন সীমান্তে রুশ আগ্রাসন নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। রাশিয়াকে বলা হয়েছে, সামরিক আগ্রাসনের নীতি ছেড়ে অবিলম্বে কূটনৈতিক আলোচনার রাস্তায় হাঁটতে। রাশিয়ার সমঝোতার পথে না গেলে নিষেধাজ্ঞা চাপাতে বাধ্য হবে যুক্তরাষ্ট্র।

এমনকি ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে সব আর্থিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছিল, সেগুলি ফিরিয়ে আনা হবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রয়োজনে জার্মানির সঙ্গে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ চুক্তিও স্থগিত রাখা হতে পারে। ওই চুক্তি স্থগিত হয়ে গেলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বড় ধাক্কা খাবে রাশিয়া সরকার।

ইউক্রেন সীমান্ত জুড়ে সামরিক তৎপরতা বাড়িয়েছে মস্কো। সম্প্রতি ইউক্রেনের গোয়েন্দা দফতরের প্রধান কিরিলো বুদানভ জানিয়েছিলেন, ইউক্রেন সীমান্তে ইতিমধ্যেই কমপক্ষে ৯২ হাজার রুশ সেনা ঘাঁটি গেড়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, শুধু স্থলেই নয় আকাশপথেও হানা দিতে পারে রুশ বাহিনী।

ইউক্রেন-রাশিয়ার এই টানাপোড়েন নিয়ে উদ্বিগ্র আন্তর্জাতিক মহলও। এই পরিস্থিতিতে ন্যাটো বাল্টিক অঞ্চলে যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্পেন নৌশক্তি বাড়িয়েছে। যেকোনও ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেদারল্যান্ড যুদ্ধজাহাজ ও স্থল সামরিক বাহিনী প্রস্তুত রেখেছে। পূর্ব ইউরোপের ন্যাটো-র অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির নিরাপত্তা বাড়াতে সেনা পাঠিয়েচে আমেরিকা।

সূত্র : দ্য ওয়াল