এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমানের প্রথম চালান পেয়েছে মিয়ানমার
মিয়ানমারের বাণিজ্যমন্ত্রী চার্লি থান রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরআইএ'কে বলেছেন, মস্কোর কাছ থেকে প্রথম চালানে দুটি এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমান পেয়েছে মিয়ানমার।
রাশিয়ার বার্ষিক ফোরাম অঞ্চলে অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিকাশ এবং বিদেশী বিনিয়োগকে উত্সাহিত করার লক্ষ্যে ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামের সাইডলাইনে আরআইএকে থান বলেন, ‘দুটি বিমান ইতিমধ্যে আমাদের কাছে সরবরাহ করা হয়েছে।’
আরআইএ জানিয়েছে, রাশিয়া ও মিয়ানমার ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ছয়টি এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমান সরবরাহের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল।
রাশিয়ার রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত অস্ত্র রপ্তানিকারক রসোবরোনেক্সপোর্টের মতে, শত্রুর লক্ষবস্তুতে আঘাতের জন্য সুখোই এসইউ-৩০ ফাইটার জেটটির ডিজাইন বিশেষভাবে করা হয়েছে।
থান পৃথকভাবে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাসকে বলেন, ‘ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামে দুই দেশের মধ্যে পর্যটন উন্নয়নসহ বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।’
যদিও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করেছে যে, মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের জন্য রাশিয়ার সমর্থন অগ্রহণযোগ্য এবং দেশটিকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা মাত্র। রাশিয়ার অস্ত্র সরবরাহ দেশটির জন্য বিপর্যয়ের কারণ হয়ে উঠেছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং শীর্ষ কূটনীতিক ইতিমধ্যেই মিয়ানমার সফর করেছেন।
অন্যদিকে, জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং ২০২১ সাল থেকে বেশ কয়েকবার রাশিয়ায় সফর করেছেন। রাশিয়া তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দিয়েছিল।