রাইসির হেলিকপ্টার খুঁজতে নিজস্ব ড্রোন ব্যবহার করেছে ইরান



ziaulziaa
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় পাহাড়ে বিধ্বস্ত হওয়ার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টারটি সনাক্ত করতে দেশীয়ভাবে তৈরি ড্রোন ব্যবহার করেছে তেহরান।

রয়টার্সকে বুধবার (২২ মে) এ তথ্য জানিয়েছে ইরানের সামরিক বাহিনী।

উল্লেখ্য, রাইসির হেলিকপ্টারটি আজারবাইজানের সীমান্তে একটি অনুষ্ঠান থেকে তাবরিজ শহরে ফিরে আসার সময় রবিবার (১৯ মে) একটি কুয়াশা-ঢাকা পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়।

সোমবার (২০ মে) ভোরে বিধ্বস্ত হওয়ার স্থানটি সনাক্ত হওয়ার আগে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া এবং তুরস্কের সহায়তা নিয়ে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শুরু হয়।

ইরানের সামরিক বাহিনী বলেছে, সেই সময় নাইট-ভিশন সরঞ্জাম থাকা সত্ত্বেও বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি সনাক্ত করতে ব্যর্থ হয় তুরস্কের পাঠানো একটি ড্রোন।

দেশটির সামরিক বার্তা সংস্থা আইআরএনএ’র এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ওই ড্রোনটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের অবস্থান সঠিকভাবে নির্ণয় করতে ব্যর্থ হয়েছিল এবং সেটিকে তুরস্কে ফেরত পাঠানো হয়েছে।’

আইআরএনএ ওই বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, ‘অবশেষে সোমবার ভোরে উদ্ধারকারীরা ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর ড্রোন দ্বারা হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের সঠিক স্থানটি সনাক্ত করতে সক্ষম হয়।’

এদিকে, সশস্ত্র বাহিনী প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি ওই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন।

অন্যদিকে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির তেহরানে অনুষ্ঠিত জানাজায় লাখো মুসল্লির ঢল নেমেছে। বুধবার (২২ মে) তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ জানাজায় ইমামতি করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।

সংবাদ মাধ্যম তেহরান টাইমস জানিয়েছে, ইরানের রাজধানী তেহরানে স্থানীয় সময় বুধবার (২২ মে) সকালে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইব্রাহিম রাইসির দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই জানাজায় ইমামতি করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।

এসময় হাজার হাজার মানুষ কালো পোশাক পরে রাইসি ও তার সফরসঙ্গীদের জানাজায় অংশ নেন। জানাজা শেষে প্রচুর মানুষকে রাইসির কফিন ছুঁয়ে শোক প্রকাশ করতে এবং কফিনের ছবিও তুলতে দেখা গেছে। এরপর আজাদি চত্বরের পথে একটি শোকযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এতেও যোগ দেন শোকার্ত জনতা।

   

ক্ষমতায় এলে বিদেশি গ্র্যাজুয়েটদের গ্রিন কার্ড দেবেন ট্রাম্প



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অভিবাসন ইস্যুতে সুর নরম করলেন মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি বলেন, তিনি যদি ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে, কলেজগুলো থেকে গ্র্যাজুয়েট করা বিদেশিদের গ্রিন কার্ড দেবেন।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প অঙ্গীকার করে বলেন, মেধাবীদের যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়ার প্রক্রিয়া তিনি সহজ করবেন ও যারা কলেজগুলো থেকে গ্র্যাজুয়েট করবেন তারা থাকতে পারবেন।

সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, হার্ভার্ড ও এমআইটিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের গ্র্যাজুয়েটদের হারানোটা দুঃখজনক।

ট্রাম্প বলেন, গ্রাজুয়েট শেষ করার পরে স্বাভাবিকভাবেই গ্রিন কার্ড পাওয়া উচিত ও এক্ষেত্রে জুনিয়র কলেজগুলোও অন্তর্ভুক্ত হবে।

গ্রিন কার্ড হলো যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস ও কাজ করার অনুমতি। এর মাধ্যমেই মূলত নাগরিক হওয়ার পথ সুগম হয়।

ট্রাম্পের এই প্রস্তাবের কারণে প্রতি বছর নতুন নাগরিকত্বের আবেদন উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। অভিবাসন ইস্যুতে নিজের কঠোর অবস্থান থেকে সরে এলেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, এতে রিপাবলিকান পার্টিতেও তার গুরুত্ব বাড়বে।

তবে অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বিতাড়িত করার ব্যাপারে অনড় রয়েছেন সাবেক এই বিতর্কিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এক্ষেত্রে তিনি বাইডেনের সমালোচনাও করেন।

;

‘হামাস নির্মূল’ অসম্ভব বললেন হাগারি, সেনা-সরকার তোলপাড়



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হামাস নির্মূলের হুংকার নিয়ে গাজায় ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এতদিন ধরে যুদ্ধ করলেও, প্রকৃতপক্ষে তা অসম্ভব ও অবাস্তব বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল দানিয়েল হাগারি। তার বক্তব্যকে ঘিরে তোলপাড় বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রশাসন।

সম্প্রতি ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রের দেওয়া এক বক্তব্য ঘিরে বিভক্তির বিষয়টি আরও প্রকাশ্যে এসেছে।

গাজায় ৯ মাসে ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেও ক্ষান্ত হয়নি ইসরায়েল। হামাস নির্মূল না করা পর্যন্ত নেতানিয়াহু এই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। কিন্তু হামাস এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছে গাজায়। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের তাই বিপদ বাড়ছে। বিপরীতে ইসরায়েলি জনগণও দিনে দিনে আস্থা হারাচ্ছে।

তবে সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল দানিয়েল হাগারির দেওয়া বক্তব্যে বিপাকে নেতানিয়াহু। তার হামাস নির্মূলের লক্ষ্য অর্জন নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

গত বুধবার দেশটির গণমাধ্যম চ্যানেল থার্টিন’কে হাগারি বলেছেন, হামাসকে নির্মূল করার কাজটি ‘অসম্ভব’ এবং এককথায় ‘ভুল’।

সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র বলেন, হামাসকে ধ্বংস করা, হামাসকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া; এককথায় জনগণের চোখে ধুলা দেওয়ার মতো বিষয়। 

এই সেনা কর্মকর্তার দাবি, হামাস একটি আদর্শ। সেই সাথে হামাস একটি দল। সংগঠনটি তাদের জনগণের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। কেউ যদি মনে করে আমরা হামাসকে নির্মূল করতে পারব, সেটা ভুল।

বিশ্লেষকরা বলছেন, হাগারির এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছে নেতানিয়াহুর সরকার। এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে চলমান যুদ্ধ নিয়ে নেতানিয়াহুর নেওয়া কৌশলের বিষয়ে একটি ধারণা পাওয়া যায়। আর মাঠে লড়াই চালিয়ে যাওয়া সেনাবাহিনী বলছে এই নীতি মূলত অবাস্তব।

হাগারির বক্তব্যের জবাবে নেতানিয়াহুর দপ্তর বলেছে, হামাসের সামরিক এবং সরকার পরিচালনার সক্ষমতা ধ্বংস করে দেওয়ার বিষয়টি যুদ্ধের লক্ষ্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ঠিক করে দিয়েছে। অবশ্যই ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীও এর প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এরপরই নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে দেওয়া বিবৃতিতে সামরিক বাহিনী বলেছে, মন্ত্রিসভার ঠিক করে দেওয়া যুদ্ধের সব লক্ষ্য অর্জনে সামরিক বাহিনী অঙ্গীকারবদ্ধ। যুদ্ধে দিনরাত সেই কাজটিই করে চলেছে সামরিক বাহিনী এবং অব্যাহতভাবে সেটা করে যাবে।

হাগারির মন্তব্যের বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, তার বক্তব্য ছিল মতাদর্শ ও ধারণা হিসেবে হামাসকে ধ্বংস করা নিয়ে। তিনি খুবই স্পষ্টভাবে বিষয়টি বলেছেন। এ নিয়ে অন্য সব দাবি তার বক্তব্যের সাথে অপ্রাসঙ্গিকভাবে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে।

;

হিজবুল্লাহর সঙ্গে উত্তেজনা এড়াতে ইসরায়েলকে ব্লিঙ্কেনের আহ্বান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠককালে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইসরায়েলি নেতাদের আহ্বান জানান যেন লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে উত্তেজনা এড়িয়ে চলে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছ্

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হ্যানেগবি ও ইসরায়েলের কৌশলগতবিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমারের সঙ্গে বৈঠকের সময় ব্লিঙ্কেন এই মন্তব্য করেছেন।

হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর কঠোর হুঁশিয়ারির পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যে বৈঠক হয়। নাসরুল্লাহ বলেছেন, লেবাননে হামলা চালালে হিজবুল্লাহ সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করবে। মানা হবে না কোনো নিয়মনীতি।

এর আগে বুধবার (১৯ জুন) ইরান-সমর্থিত সংগঠন হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে হামলার অনুমোদন দেয় তেল আবিব। এর জবাবে ইসরায়েল ও তাদের ‘সহযোগী’ সাইপ্রাসকে হুমকি দেন হিজবুল্লাহর হাসান নাসরুল্লাহ।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) ইসরায়েলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফাতে হামলার হুমকি দেয় হিজবুল্লাহ। এমনকি, তারা শহরটির ওপর দিয়ে একটি পর্যবেক্ষণ ড্রোনও উড়ায়। এর পরপরই হিজবুল্লাহকে ‘ধ্বংস’ করতে লেবাননে সর্বাত্মক যুদ্ধের ঘোষণা দেয় তেল আবিব।



;

উত্তর কোরিয়ায় অস্ত্র পাঠাতে পারে রাশিয়া: পুতিন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়া উত্তর কোরিয়ায় অস্ত্র পাঠাতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মূূলত ইউক্রেনে পশ্চিমাদের অস্ত্র পাঠানোর প্রতিশোধ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেবে মস্কো।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ভিয়েতনাম সফরকালে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন। এর আগে, উত্তর কোরিয়া সফরের সময় কিম জং উনের সঙ্গে পুতিন একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের শুরুতেও পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পশ্চিমা শত্রুদের অস্ত্র দিতে পারে রাশিয়া। কারণ তারা ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিচ্ছে।

এবার উত্তর কোরিয়া সফরে গিয়ে বিশ্বজুড়ে নতুন করে হইচই ফেলে দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, যা নিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে চলছে নানা বিশ্লেষণ।

বুধবার (১৯ জুন) সকালের উত্তর কোরিয়া সফরে যান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিমানবন্দরে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলেন কিম জং উন। পরে সেখানে পুতিনকে স্বাগত জানান কিম।

২৪ বছরের মধ্যে উত্তর কোরিয়ায় এটাই পুতিনের প্রথম সফর। ইউক্রেনে হামলার পর থেকে মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরালো হয়েছে। কারণ দুই দেশই পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে লড়ছে।

;