কেজরিওয়ালের জামিন আদেশ স্থগিত
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) আবেদনের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিন আদেশ স্থগিত করেছেন দিল্লি হাইকোর্ট।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, তিহার জেল থেকে কেজরিওয়ালের বের হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে তার জামিন আদেশ চ্যালেঞ্জ করেছিল ইডি।
হাইকোর্ট জানিয়েছে, যতক্ষণ না আবেদনটির শুনানি হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ট্রায়াল কোর্টের আদেশ কার্যকর করা হবে না। বিচারপতি সুধীর কুমার জৈন এবং রবিন্দর দুদেজার বেঞ্চের সামনে জরুরি শুনানির জন্য ট্রায়াল কোর্টের জামিন আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে ইডি তার আবেদন পেশ করে।
জামিনে মুক্তি পাওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে জামিন আদেশ স্থগিত হওয়াটা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জন্য ধাক্কা হিসেবেই এসেছে। আজ স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জামিন মুক্তি উপলক্ষে তাঁর স্ত্রী সুনিতা কেজরিওয়াল এবং আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতা কর্মীরা তিহার জেলে উপস্থিত থাকার পরিকল্পনা করেছিলেন।
গত ২১ মার্চ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির (এএপি) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তার বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। দেশটির লোকসভা নির্বাচনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে নয়াদিল্লির রাজনীতিতে ঘটে এ ঘটনা।
২০২১ সালে দিল্লির সরকারের গৃহীত আবগারি নীতির মাধ্যমে শহরটিতে মদ বিক্রির আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে পরবর্তীতে অভিযোগ ওঠে যে, এই নীতি ব্যবহার করে ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আর এই অভিযোগেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
তবে লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন গত ১০ মে কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, ভোটের মধ্যে একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসেবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলের পাশে থাকা জরুরি। বিশেষত তিনি কোনো সন্ত্রাসবাদী বা দাগি অপরাধী নন। তাই তার জামিনের ব্যাপারে আপত্তি নেই।
সে সময় জেল থেকে বেরিয়ে কেজরিওয়াল দিল্লিতে দলের জন্য নির্বাচনী প্রচারণা চালান। তবে লোকসভায় তার দলের কোনো প্রার্থীই জয় পাননি। ভারতের বিরোধী দলগুলো অভিযোগ করেছিল যে, লোকসভা নির্বাচনের আগে তাদের চাপে রাখতে নেতা-কর্মীদের ওপর ধরপাকড় চালানো হচ্ছে।
স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথম ক্ষমতাসীন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কেজরিওয়াল গ্রেফতার হয়েছিলেন। যদিও তার রাজনৈতিক দল এএপি জানিয়েছিল, গ্রেফতার হলেও কেজরিওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে থাকবেন।