চীন ও ভারতের ওপর বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা জাপানের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে রাশিয়াকে সমর্থনের জন্য চীন, ভারত, কাজাখস্তান এবং উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দূরপ্রাচ্যের দেশ জাপান।

শুক্রবার (২১ জুন) জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

জাপানি কোম্পানিগুলোকে পণ্য রপ্তানি করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে; যার মধ্যে রয়েছে হংকং-ভিত্তিক এশিয়া প্যাসিফিক লিংকস লিমিটেড এবং শেনজেনে অবস্থিত ইলুফা ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড।

ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে অস্ত্র দিচ্ছে উত্তর কোরিয়া; এর দায়ে গত মাসে ওই দুই দেশের কিছু ব্যক্তি, সংস্থা ও জাহাজের ওপর একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। এর পরই শুক্রবার বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে দেশটি।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার অধীনে এশিয়ার অন্য যেকোনো সরকারের তুলনায় মস্কোর বিরুদ্ধে এবার কঠোর অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

এর আগে গত বছর দেশটির হিরোশিমায় আয়োজিত জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের সময় কিশিদা ইউক্রেনকে সাহায্যের কথা জানান। 

এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহে রাশিয়াকে সহযোগিতার অভিযোগে চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং তুরস্কের ৩০০ প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

ভারতের লোকসভা

রাহুলের নেতৃত্বে খর্ব হবে বিজেপির স্বেচ্ছাচারিতা!



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, ভারতের লোকসভায় বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন রাহুল গান্ধী

ছবি: সংগৃহীত, ভারতের লোকসভায় বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন রাহুল গান্ধী

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৪ সালে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে এনডিএ (ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স) জোটের সমর্থনে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি- বিজেপি।

২০১৪ ষোড়শতম এবং ২০১৯ সপ্তদশ সালের লোকসভা নির্বাচনেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিজয়ী হয়েছিল দলটি। আগের দুটি নির্বাচনে সরকার গঠনে এককভাবে সক্ষমতা অর্জন করলেও বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের সঙ্গে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি।

কিন্তু ২০২৪ সালের অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে একক দল হিসেবে ২শ ৭২টি আসন পায়নি দলটি। ২শ ৪০টি আসন পেয়ে জোটভুক্ত শরিক দলের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে সরকার গঠন করে বিজেপি।

এক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করেন অন্ধ্রপ্রদেশের তেলেগু দেশম পার্টির চন্দ্রবাবু নাইডু ও বিহারের জেডি (ইউ) বা জনতা দল (সংযুক্ত)-এর নেতা নীতিশকুমার। এছাড়া ছোটখাটো দলগুলিও বিজেপি সরকার গঠনে ভূমিকা রাখে।

২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই টানা ১০ বছর বিরোধীদলবিহীন ছিল ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভা। লোকসভায় বিরোধী দলের আসনে বসতে হলে লোকসভার মোট ৫শ ৪৩টি আসনের মধ্যে অন্তত ৫৫টি আসনে জয়লাভ করতে হবে, শতকরা হারে যা দাঁড়ায় ১০ শতাংশ ভোট।

এই ১০ বছর সংসদের বাইরে সরকারে বিপক্ষে মূল শক্তি হিসেবে ভূমিকা রেখেছে সর্ব ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দল। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৯৯টি আসন পেয়ে বিরোধী দলের মর্যাদা অর্জন করেছে দলটি।

২৬ জুন (বুধবার) লোকসভায় এনডিএ জোটের কণ্ঠভোটে নতুন স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত হন ওম বিড়লা। এসময় লোকসভায় বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে নির্বাচিত হন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও।

২০২৪ সালের আমেথির রায়বেরিলি ও কেরালার ওয়ানডা থেকে লোকসভার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন রাহুল গান্ধী।

বিরোধীদলীয় নেতৃত্বের বিষয়ে পুস্তিকা
ভারতের লোকসভায় বিরোধী দলের নেতার ভূমিকা কী হবে, ২০১২ সালে সে বিষয়ে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে জাতীয় সংসদ। তাতে বলা হয়, লোকসভায় বিরোধীয়দলীয় নেতা হবেন ‘ছায়া মন্ত্রিসভার ছায়া প্রধানমন্ত্রী’। সংসদে যদি সরকারি দল অনাস্থা ভোটে হেরে যায়, তাহলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণসাপেক্ষে তিনিই হবেন পরবর্তী সরকার প্রধান।

পুস্তিকায় আরো বলা হয়, বিরোধীদলীয় নেতা কোনো সাংবিধানিক পদ নয়। তবে মূল মূল সরকারি পদগুলিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে তার মতামত গুরুত্ব পাবে।

সে হিসেবে লোকসভায় বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাহুল গান্ধীর বিশেষ ভূমিকা থাকবে। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত একটা ১০ বছর বিজেপি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে যেসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারতো, ২০২৪ সালের লোকসভায় সে আধিপত্য থাকছে না। তাদের চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত খর্ব হবে রাহুল গান্ধী বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচিত হওয়ায়।

যে সব ক্ষমতা থাকে বিরোধীদলীয় নেতার
ভারতের সংবিধান অনুসারে লোকসভায় বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে রাহুল গান্ধী সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণে যে যে ভূমিকা রাখতে পারবেন, তাহলো-

১. সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা, প্রশ্ন তোলা
সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বাধা দিতে না পারলেও সংসদে সে বিষয়ে জবাবদিহিতা করতে বাধ্য করতে পারবেন বিরোধীদলীয় নেতা। তারমানে সরকার চাইলেই বিনা চ্যালেঞ্জে আর কোনো সিদ্ধান্ত এককভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবে না।

২. ছায়া মন্ত্রিসভার ছায়া প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব
কোনো কারণে সরকারে থাকা প্রধামন্ত্রী রাষ্ট্রের দেওয়া দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয় এবং সংসদে অনাস্থা ভোটে হেরে যায়, তাহলে সংসদে তার দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণসাপেক্ষে দেশের স্বার্থে সরকার গঠন করতে পারবে। এজন্য বিরোধীদলীয় নেতা থাকাকালে ‘ছায়া মন্ত্রিসভা গঠন করে ছায়া প্রধানমন্ত্রী’র দায়িত্ব পালন করবেন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা।

৩. গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বিতর্ক আহ্বান
যদি বিরোধীদলীয় নেতার ধারণা হয় যে, সমালোচনার ভয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত সংসদকে পাশ কাটিয়ে বাস্তবায়ন করতে চায়, তাহলে বিরোধীদলীয় নেতা সরকারের কাছে সংসদে বিতর্কের আহ্বান জানাতে পারবেন।

৪. নীতিগত সিদ্ধান্তে প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ প্রদান
বৈদেশিক সম্পর্ক নির্ধারণ এবং জাতীয় নিরাপত্তায় কিংবা জাতির সংকটকালে বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে আলোচনা করে যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ, বিরোধীদলীয় নেতা দেশের সংহতির প্রতীক হিসেবে কাজ করে থাকেন। সে কারণে দেশের সংকটকালে বিরোধীদলীয় নেতার অঙ্গীকারও প্রয়োজন হয়।

৫. সরকারের সমালোচনা
বিরোধীদলীয় নেতা সংসদে বা দেশের বাইরে সফরকালে সরকারের সমালোচনা করতে পারবেন। তবে তখন তিনি ‘পার্টি পলিটিকস’ করতে পারবেন না।

৬. সংখ্যালঘুদের মুখপাত্র
সংসদের প্রকাশিত পুস্তিকা অনুসারে, লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা হবেন সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় এবং সুবিচারের মুখপাত্র। সে হিসেবে দায়িত্ব তিনি সে দায়িত্ব পালন করবেন।

৭.গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগদানে সিদ্ধান্তদানকারী
সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদের নিয়োগে বিরোধীদলীয় নেতার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের সুযোগ থাকে। এর মধ্যে রয়েছে, সেন্টাল ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)-এর পরিচালক নিয়োগ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নিয়োগ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপারসন নিয়োগ এবং জাতীয় পরিদর্শক নিয়োগে মতামত।

এছাড়াও বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে পাবলিক অ্যাকাউন্টস, পাবলিক আন্ডারটেকিংস, হিসাব এবং যৌথ সংসদীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সুযোগ থাকে।

ভারতের লোকসভায় বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে এত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করার সুযোগ থাকায় রাহুল গান্ধী সহজে বিজেপিকে একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ দেবেন, তা ভাবা যায় না।

এমনিতেই সংসদের বাইরে থাকার সময় ‘ইন্ডিয়া’ ব্লকের সমালোচনার কারণে বিজেপির নির্বাচনি জনসভায় দলের নেতাদের অনেক কিছুই সমঝে বক্তব্য দিতে হয়েছে। এবার লোকসভা বিরোধীদলের তীব্র সমালোচনা ও তর্কবির্তকে যে, বিজেপি তুলোধুনা হবে, তা সহজেই অনুমান করা যায়! বাকিটা সময়ই বলে দেবে, কতটুকু সফল হলেন রাহুল গান্ধী!

;

গৃহযুদ্ধের কবলে পড়তে পারে ফ্রান্স : ইমানুয়েল মাখোঁ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ চরম উদ্বিগ্ন। কারণ আশঙ্কা করা হচ্ছে, ফ্রান্সে গৃহযুদ্ধে শুরু হতে পারে এবং দাঙ্গা আরো চরম আকার ধারণ করতে পারে, যার নমুনা ইতিমধ্যেই ফ্রান্সের অনেক শহরে দেখিয়েছেন বামপন্থীরা।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, এরপরই মাখোঁ বলেছেন, তার আশঙ্কা আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ডানপন্থী বা বামপন্থীরা জয়ী হলে গৃহযুদ্ধের কবলে পড়তে পারে ফ্রান্স।

ফ্রান্সে আরএন দলকে ডানপন্থী এবং নিউ পপুলার ফ্রন্টকে বামপন্থী বলা হয়। এবারের নির্বাচনে তাদের দুজনেরই জোট রয়েছে। এক্সিট পোলে এই জোটের জয়ের ভালো সম্ভাবনা দেখা গেছে।

কিন্তু মাখোঁর মধ্যপন্থী এবং উদারপন্থী দল রেনেসাঁর জয়ের সম্ভবনা বেশ কম। এ কারণেই সম্ভাব্য গৃহযুদ্ধের বিষয়ে মাখোঁর বক্তব্য হালকাভাবে নিচ্ছেন না বিশ্লেষকরা।

সংসদ নির্বাচনের আগে জুনের শুরুতে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচনে তার ক্ষমতাসীন মধ্যপন্থী দলকে বিরোধী জোটের কাছে পরাজয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল। এছাড়াও ফ্রান্সে বামপন্থীরা যে ধরনের সহিংসতা সৃষ্টি করেছে, তাতে এক ভীতিকর মুহূর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

এরপরই সম্প্রতি মাখোঁ ফ্রান্সের বিখ্যাত পডকাস্ট 'জেনারেশন ডু ইট ইওরসেলফ'-এ তার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘নিউ পপুলার ফ্রন্ট কোয়ালিশন পার্টনার আরএন পার্টি এবং বামপন্থী ফ্রান্স আনবোড পার্টির নীতি বিভাজনমূলক। ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি বা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে তারা দেশের বাসিন্দাদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে চান। এই নীতি নিয়ে তারা দেশকে কখনোই নিরাপদ রাখতে পারবেন না।’

মাখোঁর গৃহযুদ্ধের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে আরএন দলের সভাপতি জর্ডান বারডেলা এই বলে উত্তর দেন যে, ‘একজন প্রেসিডেন্টের কখনোই এমন কথা বলা উচিত নয়।’

এদিকে কয়েক দিন আগেই দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছিল যে, এবারের নির্বাচনে মাখোঁর দল ‘রেনেসাঁ’ ধাক্কা খেতে পারে। সম্ভবত সে কারণেই দেশটিকে এই ভয়ঙ্কর সম্ভাবনার বিষয়ে সতর্ক করেছেন মাখোঁ।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচনে তার দলের পরাজয়ের পর তিনি প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনের ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোট আগামী ৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে সেদিন শুধুমাত্র সেসব আসনেই এই ভোট হবে, যেখানে প্রথম দফার ভোটে কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাননি।

এদিকে, গত সপ্তাহান্তে ফ্রান্সে পরিচালিত একটি সমীক্ষার ফলাফল দেখিয়েছে যে আরএন পার্টি এবং তার মিত্ররা ভোটের প্রথম রাউন্ডে ৩৫-৩৬ শতাংশ ভোট পাবে। আর নিউ পপুলার ফ্রন্ট পাবে ২৭-২৯.৫ শতাংশ ভোট।

জরিপে আরও দাবি করা হয়েছে যে, মাখোঁর রেনেসাঁ ১৯.৫.-২২ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে থাকতে পারে।

;

চীনের দুই সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে দল থেকে বহিষ্কার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শাংফু এবং তার পূর্বসূরি ওয়েই ফেংহেকে দুর্নীতির অভিযোগে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি থেকে বহিষ্কার করেছে চীন।

চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভির বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, এর মাধ্যমে সেনাবাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুদ্ধি আভিযান বেগবান আরো করলো বেইজিং।

উল্লেখ্য, প্রায় দুই মাস উধাও করে রাখার পরে গত বছরের অক্টোবরে লি’কে কোনো রকম ব্যাখ্যা ছাড়াই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

লি’র রহস্যজনক অন্তর্ধান এবং ক্ষমতাচ্যুত হওয়া বিষয়টি তখন সবার মাঝে তীব্র জল্পনার উদ্রেক করেছিল।

বেইজিংয়ের বৃহস্পতিবারের ঘোষণার মাধ্যমে চীনা কর্তৃপক্ষ প্রথমবারের মতো নিশ্চিত করলো যে, তার নাটকীয় অন্তর্ধানের নেপথ্যে ছিল দুর্নীতির অভিযোগ।

সিসিটিভি অনুসারে, লি’র পূর্বসূরি ওয়েই ফেংহেকেও বৃহস্পতিবার কমিউনিস্ট পার্টি থেকে দুর্নীতির অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে।

লি এবং ওয়েই-উভয়ই চীনের সশস্ত্র বাহিনী পরিচালনাকারী সংস্থা সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের (সিএমসি) সাবেক সদস্য ছিলেন।

সিসিটিভি জানিয়েছে, বেইজিংয়ে একটি নিরাপত্তা ফোরামে শেষবার জনসমক্ষে দেখা যাওয়ার দুই দিন পর গত বছরের ৩১ আগস্ট দলীয় শৃঙ্খলা ও আইনের গুরুতর লঙ্ঘনের জন্য লি-কে সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ তদন্তের অধীনে রাখা হয়েছিল।

সিএমসি-এর কমিশন ফর ডিসিপ্লিন ইন্সপেকশনের তদন্তে দেখা গেছে যে, লি দলীয়ং শৃঙ্খলা গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করেছেন, তদন্ত প্রতিহত করেছেন, নিজের এবং অন্যদের জন্য ব্যক্তিগত সুবিধা নিয়েছেন এবং ঘুষের মাধ্যমে বিশাল অর্থ হস্তগত করেছেন।

সিসিটিভির রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, দলের এবং সামরিক বাহিনীর একজন সিনিয়র নেতা হিসাবে লি শাংফু তার মূল লক্ষ্যের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।

লি’র বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্টের সারমর্মে বলা হয়েছে, ‘লি-র অসদাচরণের প্রকৃতি অত্যন্ত গুরুতর, এর প্রভাব এবং ফলাফলও অত্যন্ত ক্ষতিকারক।’

;

ডেনমার্কে পশুপালনে কর ধার্য, গরুপ্রতি দিতে হবে সাড়ে ১১ হাজার টাকা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: গরু

ছবি: গরু

  • Font increase
  • Font Decrease

ডেনমার্কে পশুপালনের উপর কর ধার্য করা হয়েছে। বিশ্বে প্রথমবারের মতো গবাদি পশুর ওপর এমন কর ধার্য করা হলো। ২০৩০ সাল থেকে এই কর আদায় কার্যকর হবে। একই সময়ে পশুপালনে কর নির্ধারণে ডেনমার্কই প্রথম দেশ। খবর সিএনএন’র।

গরুপ্রতি কর ধার্য করা হয়েছে ৬৭২ ক্রোন বা ৯৬ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ১১ হাজার টাকা। ২০৩৫ সালে এ কর গরু প্রতি ১ হাজার ৬৮০ ক্রোনে বৃদ্ধি পারে। দেশটি একটি প্রধান দুগ্ধ এবং শুয়োরের মাংসের শীর্ষ রপ্তানিকারক। ২৬ জুন সিএনএন এ সংবাদ প্রচার করে।

পৃথিবীর উত্তাপ বাড়াতে পশু থেকে নির্গত গ্যাস (কার্বন) বিশেষভাবে দায়ী। এর দায় পশু খামারীদেরও বহন করতে হবে। ইউরোপের অন্যতম কৃষি ও খামার নির্ভর অর্থনীতির দেশ ডেনমার্কে এই সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিটি গরুর জন্য বছরে কর ধার্য করা হয়েছে ৬৭২ ক্রোন বা ৯৬ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ১১ হাজার টাকা। অন্যান্য পশুর জন্য আলাদা আলাদা কর ধার্য করা হয়েছে। পশুপালন থেকে অর্জিত কর বনভূমি পুনরুদ্ধার ও জলাভূমি স্থাপনে খরচ হবে।

দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোককে রাসমুসেন বলেন, ‘ আমরা সাম্প্রতিক সময়ে ডেনমার্কের পরিবেশগত উন্নয়নে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছি। বিপুল অঙ্কের কর আমরা পরিবেশ সুরক্ষায় বিনিয়োগ করবো। একই সময়ে, আমরা কৃষিতে (কার্বন) কর নির্ধারক হিসেবে বিশ্বের প্রথম দেশ হবো।’

ডেনিশ দুগ্ধ শিল্প চুক্তি এবং এর লক্ষ্যগুলিকে ব্যাপকভাবে স্বাগত জানিয়েছে, তবে এটি কিছু কিছু খামারী এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতে, ২০১৫ সালে বিশ্বব্যাপী গ্রীন হাউজ গ্যাস নির্গমনের প্রায় ১২ শতাংশ গবাদি পশু চাষের প্রভাব রয়েছে। এই দূষণের একটি অংশ মিথেন থেকে আসে যা একটি শক্তিশালী উষ্ণায়ন সৃষ্টিকারী গ্যাস।

ইউরোপের বৃহত্তম ডেইরি গ্রুপ আরলা ফুডস-এর সিইও পেডার তুবর্গ বলেছেন যে চুক্তিটি "ইতিবাচক" কিন্তু যে কৃষকরা "নিঃসৃত গ্রীন হাউজ গ্যাস নির্গমন কমাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেন" তাদের ট্যাক্সের শিকার হওয়া উচিত নয়।

;