ডেনমার্কে পশুপালনে কর ধার্য, গরুপ্রতি দিতে হবে সাড়ে ১১ হাজার টাকা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: গরু

ছবি: গরু

  • Font increase
  • Font Decrease

ডেনমার্কে পশুপালনের উপর কর ধার্য করা হয়েছে। বিশ্বে প্রথমবারের মতো গবাদি পশুর ওপর এমন কর ধার্য করা হলো। ২০৩০ সাল থেকে এই কর আদায় কার্যকর হবে। একই সময়ে পশুপালনে কর নির্ধারণে ডেনমার্কই প্রথম দেশ। খবর সিএনএন’র।

গরুপ্রতি কর ধার্য করা হয়েছে ৬৭২ ক্রোন বা ৯৬ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ১১ হাজার টাকা। ২০৩৫ সালে এ কর গরু প্রতি ১ হাজার ৬৮০ ক্রোনে বৃদ্ধি পারে। দেশটি একটি প্রধান দুগ্ধ এবং শুয়োরের মাংসের শীর্ষ রপ্তানিকারক। ২৬ জুন সিএনএন এ সংবাদ প্রচার করে।

পৃথিবীর উত্তাপ বাড়াতে পশু থেকে নির্গত গ্যাস (কার্বন) বিশেষভাবে দায়ী। এর দায় পশু খামারীদেরও বহন করতে হবে। ইউরোপের অন্যতম কৃষি ও খামার নির্ভর অর্থনীতির দেশ ডেনমার্কে এই সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিটি গরুর জন্য বছরে কর ধার্য করা হয়েছে ৬৭২ ক্রোন বা ৯৬ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ১১ হাজার টাকা। অন্যান্য পশুর জন্য আলাদা আলাদা কর ধার্য করা হয়েছে। পশুপালন থেকে অর্জিত কর বনভূমি পুনরুদ্ধার ও জলাভূমি স্থাপনে খরচ হবে।

দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোককে রাসমুসেন বলেন, ‘ আমরা সাম্প্রতিক সময়ে ডেনমার্কের পরিবেশগত উন্নয়নে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছি। বিপুল অঙ্কের কর আমরা পরিবেশ সুরক্ষায় বিনিয়োগ করবো। একই সময়ে, আমরা কৃষিতে (কার্বন) কর নির্ধারক হিসেবে বিশ্বের প্রথম দেশ হবো।’

ডেনিশ দুগ্ধ শিল্প চুক্তি এবং এর লক্ষ্যগুলিকে ব্যাপকভাবে স্বাগত জানিয়েছে, তবে এটি কিছু কিছু খামারী এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতে, ২০১৫ সালে বিশ্বব্যাপী গ্রীন হাউজ গ্যাস নির্গমনের প্রায় ১২ শতাংশ গবাদি পশু চাষের প্রভাব রয়েছে। এই দূষণের একটি অংশ মিথেন থেকে আসে যা একটি শক্তিশালী উষ্ণায়ন সৃষ্টিকারী গ্যাস।

ইউরোপের বৃহত্তম ডেইরি গ্রুপ আরলা ফুডস-এর সিইও পেডার তুবর্গ বলেছেন যে চুক্তিটি "ইতিবাচক" কিন্তু যে কৃষকরা "নিঃসৃত গ্রীন হাউজ গ্যাস নির্গমন কমাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেন" তাদের ট্যাক্সের শিকার হওয়া উচিত নয়।

২১৫ কি.মি গতিতে জ্যামাইকায় আঘাত হেনেছে হারিকেন 'বেরিল'



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রবল শক্তি নিয়ে জ্যামাইকায় আঘাত হেনেছে অতি বিপজ্জনক শক্তিশালী সামুদ্রিক ঝড় হারিকেন বেরিল। এতে ক্যারিবিয়ান দ্বীপটির বেশ কিছু ভবন ও গাছপালা ভেঙে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবিসি জানায়, বেরিল ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার (১৩০ মাইল) বেগে জ্যামাইকার দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হেনেছে।

হারিকেনটি আঘাত হানার পর ওই এলাকার বেশকিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে এসেছে। এতে অঞ্চলটির রাস্তা প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন বাসার ছাঁদ উড়ে এসে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।

এখন পর্যন্ত এই ঝড়ে ক্যারিবীয় অঞ্চলে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন।

বিবিসি জানায়, দক্ষিণ সেন্ট এলিজাবেথ প্যারিশের গ্রামীণ কৃষক সম্প্রদায়ের বাসিন্দা অ্যামোয় ওয়েলিংটন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, "ঝড়টি অতি ভয়ানক মাত্রায় আঘাত হেনেছে। আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। আমি আমার বাড়িতে আছি এবং ভয় পাচ্ছি।"

জ্যামাইকায় আগে থেকেই হারিকেন সতর্কতা কার্যকর রয়েছে এবং সেখানকার কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করেছে। প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হোলনেস এর আগে জনগণকে ‘এই হারিকেনকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়ার’ আহ্বান জানান।

যারা নিচু এলাকায় বাস করেন, যেখানে বন্যা ও ভূমিধসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অথবা নদী তীরবর্তী অবস্থানে থাকেন তাদেরকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি।

পরিচালক ব্রেনান আরও বলেন, প্রবল শক্তিশালী এ ঝড়টি জ্যামাইকার দক্ষিণ অংশের পাশ দিয়ে অথবা উপর দিয়ে অতিক্রম করবে। ওই সময় হারিকেনটির বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ২৪৯ কিলোমিটার।

হারিকেনটির কারণে জ্যামাইকার স্থলভাগ অতিক্রমের সময় সেখানে ৬ থেকে ৯ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হতে পারে সতর্কতা দেন তিনি।

;

গাজায় প্রতি ১০ জনের ৯ জনই ‘বাস্তুচ্যুত’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
গাজায় প্রতি ১০ জনের ৯ জনই ‘বাস্তুচ্যুত’। ছবি: সংগৃহীত

গাজায় প্রতি ১০ জনের ৯ জনই ‘বাস্তুচ্যুত’। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রতি ১০ জনের নয়জনই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অফ হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ)

সংস্থাটি বলছে, গাজায় প্রায় ১৯ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

ওসিএইচএ প্রধান আন্দ্রেয়া ডি ডোমেনিকো বলেন, গাজায় প্রায় ১৯ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জেরুজালেমে আন্দ্রেয়া বলেন, আমাদের ধারণা গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় প্রতি ১০ জনের মধ্যে নয়জন অন্তত একবার হলেও অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘এর আগে আমরা ১৭ লাখ অনুমান করেছিলাম। এরপর আমারা রাফাতে অনুসন্ধান করেছি। রাফায় বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা বেশি হয়েছে। তারপর আমরা গাজার উত্তরাঞ্চলেও অনুসন্ধান করেছি। এই ধরনের সামরিক অভিযান মানুষকে বারবার তাদের জীবন নতুন করে শুরু করতে বাধ্য করছে।

ওসিএইচএ প্রধান আরও বলেন, ‘ইসরাইলি সেনাবাহিনীর অভিযানে গাজা উপত্যকা দুভাগে ভাগ হয়েছে। ওসিএইচএর হিসাব মতে উত্তর গাজায় তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ মানুষ বসবাস করছেন, যারা দক্ষিণে যেতে পারছেন না।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন চালায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী। প্রায় ৯ মাস ধরে চলা এ বর্বরতায় নিহত হয়েছেন ৩৮ হাজারের মতো ফিলিস্তিনি। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। আর এ সময়ে আহত হয়েছেন ৮৭ হাজারেরও বেশি মানুষ।

;

সব চাপ উপেক্ষা করে বাইডেন জানালেন ‘আমিই নির্বাচনে লড়ছি’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত সপ্তাহে দুর্বল বিতর্কের সমালোচনার পর আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে জো বাইডেনের সরে দাঁড়ানোর আলোচনা খোদ ডেমোক্রেটিক দলের মধ্যে জোরালো হয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে বাইডেন জানালেন আশার কথা।

সব চাপ উপেক্ষা করে লড়াইয়ে ‘শেষ পর্যন্ত’ থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাইডেন।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার তার প্রচারণা কর্মীদের সাথে ফোন কলে কথা বলেছেন এবং ডেমোক্র্যাটিক আইন প্রণেতা ও গভর্নরদের সাথে বৈঠক করেছেন। এসময় ২০২৪ সালের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

চলতি বছরের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। চার বছর আগের মতো এবারের নির্বাচনেরও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে থাকছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বাইডেনের এই ফোনকল সম্পর্কে অবগত দুটি সূত্র জানিয়েছে, কথা বলার সময় বাইডেন বলেন, ‘আমিই নির্বাচনে লড়ছি।’ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনী দৌড় থেকে কেউ তাঁকে বাইরে ঠেলে দিচ্ছে না। তিনি দলের মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী।

;

গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৮ হাজারে পৌঁছাল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গগত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলা চলছে। এতে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৩৮ হাজারে। এসময়ে আহত হয়েছেন আরও ৮৭ জন।

বুধবার (৩ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় আরও ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৯৫৩ জনে পৌঁছেছে বলে বুধবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত ৮৭ হাজার ২৬৬ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় তিনটি পরিবারের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি ‘হত্যাকাণ্ডে’ ২৮ জন নিহত এবং আরও ১২৫ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

;