ডেনমার্কে পশুপালনে কর ধার্য, গরুপ্রতি দিতে হবে সাড়ে ১১ হাজার টাকা
![ছবি: গরু](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2024/Jun/27/1719497089944.jpg)
ছবি: গরু
ডেনমার্কে পশুপালনের উপর কর ধার্য করা হয়েছে। বিশ্বে প্রথমবারের মতো গবাদি পশুর ওপর এমন কর ধার্য করা হলো। ২০৩০ সাল থেকে এই কর আদায় কার্যকর হবে। একই সময়ে পশুপালনে কর নির্ধারণে ডেনমার্কই প্রথম দেশ। খবর সিএনএন’র।
গরুপ্রতি কর ধার্য করা হয়েছে ৬৭২ ক্রোন বা ৯৬ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ১১ হাজার টাকা। ২০৩৫ সালে এ কর গরু প্রতি ১ হাজার ৬৮০ ক্রোনে বৃদ্ধি পারে। দেশটি একটি প্রধান দুগ্ধ এবং শুয়োরের মাংসের শীর্ষ রপ্তানিকারক। ২৬ জুন সিএনএন এ সংবাদ প্রচার করে।
পৃথিবীর উত্তাপ বাড়াতে পশু থেকে নির্গত গ্যাস (কার্বন) বিশেষভাবে দায়ী। এর দায় পশু খামারীদেরও বহন করতে হবে। ইউরোপের অন্যতম কৃষি ও খামার নির্ভর অর্থনীতির দেশ ডেনমার্কে এই সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিটি গরুর জন্য বছরে কর ধার্য করা হয়েছে ৬৭২ ক্রোন বা ৯৬ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ১১ হাজার টাকা। অন্যান্য পশুর জন্য আলাদা আলাদা কর ধার্য করা হয়েছে। পশুপালন থেকে অর্জিত কর বনভূমি পুনরুদ্ধার ও জলাভূমি স্থাপনে খরচ হবে।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোককে রাসমুসেন বলেন, ‘ আমরা সাম্প্রতিক সময়ে ডেনমার্কের পরিবেশগত উন্নয়নে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছি। বিপুল অঙ্কের কর আমরা পরিবেশ সুরক্ষায় বিনিয়োগ করবো। একই সময়ে, আমরা কৃষিতে (কার্বন) কর নির্ধারক হিসেবে বিশ্বের প্রথম দেশ হবো।’
ডেনিশ দুগ্ধ শিল্প চুক্তি এবং এর লক্ষ্যগুলিকে ব্যাপকভাবে স্বাগত জানিয়েছে, তবে এটি কিছু কিছু খামারী এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতে, ২০১৫ সালে বিশ্বব্যাপী গ্রীন হাউজ গ্যাস নির্গমনের প্রায় ১২ শতাংশ গবাদি পশু চাষের প্রভাব রয়েছে। এই দূষণের একটি অংশ মিথেন থেকে আসে যা একটি শক্তিশালী উষ্ণায়ন সৃষ্টিকারী গ্যাস।
ইউরোপের বৃহত্তম ডেইরি গ্রুপ আরলা ফুডস-এর সিইও পেডার তুবর্গ বলেছেন যে চুক্তিটি "ইতিবাচক" কিন্তু যে কৃষকরা "নিঃসৃত গ্রীন হাউজ গ্যাস নির্গমন কমাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেন" তাদের ট্যাক্সের শিকার হওয়া উচিত নয়।