প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতি চীনের যুদ্ধ প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
চীনের সামরিক বাহিনী

চীনের সামরিক বাহিনী

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বজুড়ে ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তন এখন দৃশ্যমান। একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল, অপরদিকে চীনের নেতৃত্বে রোড অ্যান্ড বেল্ট উদ্যোগসহ একাধিক বৈশ্বিক উদ্যোগ বাস্তবায়নের পথে। এমন সময় চীনের প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির খবর দেশটির যুদ্ধ প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে দশকব্যাপী যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেখানে খবর চীনের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি সাংফু ও ওয়েই ফেংহেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত চলছে। এনিয়ে পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) উচ্চপদে অস্বস্তি শুরু হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মাত্র সাত মাস দায়িত্ব পালনের পর ২০২৩ সালের অক্টোবরে পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি সাংফুকে এবং পাঁচ বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০২৩ সালে সরিয়ে দেওয়া হয় ওয়েই ফেংহেকে। ইতোমধ্যে দুর্নীতির তদন্তের পর ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।

আরও বলা হয়, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি সাংফু ও ওয়েই ফেংহেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত দেশটির সেনাবাহিনী করছে বলে, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বেইজিংয়ের স্থানীয় একটি গণমাধ্যম জানিয়েছে।

সিএনএন জানায়, গত গ্রীষ্মের পর থেকে চীনের প্রতিরক্ষা বিভাগে শুদ্ধি আভিযানে বাদ যাওয়াদের মধ্যে এই দুজনই সবচেয়ে বড় মাথা। এছাড়াও সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্স থেকে এক ডজনেরও বেশি সিনিয়র জেনারেল এবং নির্বাহী কর্মকর্তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দেশটির সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী ও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করতে চাচ্ছেন এবং বিরোধপূর্ণ অঞ্চলগুলো দখলে আনতে আক্রমণাত্মক হওয়ার চেষ্টা করছেন। এমন একটা সময় প্রতিরক্ষায় দুর্নীতিকে চীনের দুর্বল দিকই ফুটে উঠছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বিশ্লেষকদের মতে, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দুর্নীতিবিরোধী প্রচারাভিযান সত্ত্বেও সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ স্তরের এমন দশা দুর্নীতি প্রতিরোধে বাধার হয়ে দাঁড়ায়।

সিঙ্গাপুরের এস রাজারত্নম স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের একজন গবেষণা ফেলো জেমস চার বলেছেন, যদিও শি জিনপিং দুর্নীতিবিরোধী অভিযান কিছুটা সাফল্য অর্জন করেছে। তবে এটি কঠিন, তাই দুর্নীতি অব্যাহত থাকবে।

অস্ত্র সংগ্রহে দুর্নীতি

চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি-পিএলএ-কে যুদ্ধের জন্য বিশ্বমানের শক্তিতে রূপান্তর করার জন্য প্রেসিডেন্ট শিং জিনপিং সরঞ্জাম কেনা এবং আধুনিক করার জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ঢেলেছে। শিং জিনপিং রকেট ফোর্স তৈরি করেছেন, এটি এমন একটি অভিজাত শাখা যা দেশের দ্রুত সম্প্রসারিত পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের তদারকি করে।

সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি সাংফু ও ওয়েইসহ গত বছর ব্যাখ্যা ছাড়াই বরখাস্ত বা নিখোঁজ হওয়া বেশিরভাগ জেনারেলই রকেট ফোর্স বা সামরিক সরঞ্জামের সাথে যুক্ত ছিলেন।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী হওয়ার আগে দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত হওয়া সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি সাংফু পাঁচ বছর পিএলএ এর সরঞ্জাম উন্নয়ন বিভাগের প্রধান ছিলেন। পিএলএ সদর দফতরে পদায়ন হওয়ার আগে ৬৬ বছর বয়সী লি চীনের রকেট এবং স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে কয়েক দশক দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কাটিয়েছেন। তিনি একজন প্রকৌশলীও।

৭০ বছর বয়সী ওয়েই রকেট ফোর্সের উদ্বোধনী কমান্ডার ছিলেন। তিনি ২০১৫ সালের শেষের দিকে পিএলএ আসার আগে কয়েক দশক ধরে কাজ করেছেন সেকেন্ড আর্টিলারি কর্পস ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনীতে। রকেট ফোর্সে ওয়েই এর দুই উত্তরাধিকারীকেও আভিযানে বাদ দেওয়া হয়েছে।

ঘোষণার পর লির বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো স্পষ্টভাবে অস্ত্র সংগ্রহে দুর্নীতির দিকে ইঙ্গিত করে।

চীনা রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী সিসিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘুষ নেওয়া, দেওয়া এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের পাশাপাশি লির বিরুদ্ধে সামরিক সরঞ্জাম খাতের নিয়মকানুনে মারাত্মক অনিয়মের অভিযোগও আনা হয়েছে।

মার্কিন পেন্টাগনের অর্থায়নে চলা ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির সিনিয়র গবেষক জোয়েল উথনো বলেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থাগুলো যে অস্ত্র তৈরি করে তার সঙ্গে পিএলএর সংগ্রহ ব্যবস্থার মধ্যে যোগসাজশ নির্দেশ করে। আমরা জানি কিছু যোগসাজশ আছে, কিন্তু এটা স্পষ্ট নয় - এবং সিসিপি এটা স্বীকার করবে না।

তিনি আরও বলেন, যেসব অস্ত্র কেনায় দুর্নীতির কথা বলা হচ্ছে, সেসব অস্ত্র যদি নিম্নমানের প্রমাণিত হয়, তা হবে শিং জিনপিংয়ের জন্য ভয়ংকর খবর। কারণ তখন কেবল নৈতিকতা নয়, প্রকৃত সামরিক প্রস্তুতি নিয়েও সন্দেহ তৈরি হবে।

বিশ্লেষকরা বলেছেন, পিএলএ-র ক্রয় ব্যবস্থায় সমস্যা বহু বছরের পুরোনো।

২০১৮ সালে চীনের নেভাল ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং স্টাডিতে দেখা গেছে, নৌবাহিনীর সরঞ্জাম সংগ্রহ কেন্দ্র এবং কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশন পিএলএ এর সরঞ্জাম সংগ্রহে বিড কারচুপির বিশ্লেষণ করেছে। তারা তখন পিএলএ এর বিডিং ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন।

ঘটনার পর থেকে লাপাত্তা ভোলে বাবা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তার ডাকা সৎসঙ্গে পদপিষ্ট হয়ে শতাধিক মানুষের প্রাণ হারিয়েছেন ভারতে। কিন্তু, তারপর থেকেই লাপাত্তা স্বঘোষিত ধর্মগুরু সুরজ পাল ওরফে নারায়ণ সাকার হরি। ভক্তদের কাছে যিনি ভোলে বাবা নামেই পরিচিত।

মঙ্গলবারের (২ জুলাই) ঘটনার পর থেকেই হাথরসের বাসিন্দাদের একাংশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন এই ভোলে বাবার উপর। তার পোস্টার লক্ষ্য করে ছোড়া হচ্ছে ইট-পাথর। এমন ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

মঙ্গলবার হাথরসে একটি সৎসঙ্গের ডাক দিয়েছিলেন ভোলে বাবা। খোলা মাঠে তাঁবু খাটিয়ে সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠান শেষেই ঘটে বিপত্তি।

কেউ বলছেন, সৎসঙ্গের জন্য যে প্যান্ডেল বাঁধা হয়েছিল, তা ঘেরা ছিল। পাখার ব্যবস্থা ছিল না। ফলে সকলেই হাঁসফাঁস করছিলেন। সৎসঙ্গ শেষ হওয়ার পরেই মানুষ হুড়মুড়িয়ে মাঠের বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করেন।

আবার কারও ভাষ্যমতে, প্যান্ডলের আসা-যাওয়ার জন্য যে গেট তৈরি হয়েছিল, সেটিও অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ হওয়ার কারণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।

এদিকে, ঘটনার পর থেকে লাপাত্তা ভোলে বাবা। উত্তর প্রদেশ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কার দোষে এতো বড় দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

পুলিশ একটি এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। সেই এফআইআরে সৎসঙ্গের আয়োজকদের নাম থাকলেও, নাম নেই সেই ভোলে বাবার। তবে ঘটনার পর থেকেই ভোলে বাবাকে নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে মানুষের মধ্যে।

মঙ্গলবার হাথরসের মুঘলাগড়ি গ্রামে ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১২১। আহত আরও অনেক। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাদের।

বুধবার (৩ জুলাই) সকালে তাদের দেখতে হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

;

ইসরায়েলের শপিং মলে ছুরি হামলায় দুজন আহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর ইসরায়েলের একটি শপিং সেন্টারে বুধবার (৩ জুলাই) ছুরিকাঘাতে অন্তত দুইজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।

রয়টার্স জানিয়েছে, আহত দুইজনের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।

ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় শহর কারমিয়েলের হুটজট কারমিয়েল মলের দ্বিতীয় তলায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

ইসরায়েলের জাতীয় অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা বলেছে, চিকিৎসকরা আহত ২০ বছর বয়সি দুজনের চিকিৎসা করছেন। চিকিৎসকরা বলেছেন, একজনের অবস্থা খুবই গুরুতর এবং অন্যজন আশঙ্কামুক্ত।

এদিকে, সন্দেহভাজনের নাম প্রকাশ না করে পুলিশ বলেছে, ‘তাকে আটক করা হয়েছে এবং তারা ঘটনাটিকে সন্ত্রাসী হামলা হিসাবে তদন্ত করছেন।

ইসরায়েলের রেডিওর খবরে বলা হয়, ওই এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি ও চিরুনি অভিযান চালানোর কারণে পুলিশ মলের প্রবেশ পথগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।

ইসরায়েলের পুলিশ হামলা চালানোর জন্য একজন ফিলিস্তিনি ইসরায়েলিকে সন্দেহ করছে।

উল্লেখ্য, গাজা যুদ্ধের সময় অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। যুদ্ধ চলাকালীন ইসরায়েলি বাহিনী এই অঞ্চলে প্রায় প্রতিদিনই অভিযান চালিয়েছে। এই অভিযানে ৫ শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৫,৩০০ আহত হয়েছে।

অধিকৃত পশ্চিম তীরে রামাল্লা থেকে আল জাজিরার নুর ওদেহ বলেছেন, ‘পশ্চিম তীরে দখলদারিত্বের গতিশীলতা, গাজার যুদ্ধকে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা থেকে আলাদা করা অসম্ভব।’

;

আঞ্চলিক নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে কাজাখস্তানে রাশিয়া-চীনের প্রসিডেন্ট



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, আঞ্চলিক নিরাপত্তাবিষয়ক এক সম্মেলনে যোগ দিতে কাজাখস্তানে চীন ও রাশিয়ার প্রসিডেন্ট

ছবি: সংগৃহীত, আঞ্চলিক নিরাপত্তাবিষয়ক এক সম্মেলনে যোগ দিতে কাজাখস্তানে চীন ও রাশিয়ার প্রসিডেন্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়া ও চীন প্রভাবিত আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাবিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় পৌঁছেছেন। এর আগে মঙ্গলবার চীনের প্রসিডেন্ট শি জিনপিং সেখানে এসে পৌঁছান।

বুধবার (৩ জুন) মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যম গালফ টুডে ক্রেমলিনের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করে।

আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়ে ২০০১ সালে গঠিত দ্য সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজশনের (এসসিও) নামে একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন গঠন করা হয়। ৩ ও ৪ জুলাই দুদিনব্যাপী সম্মেলনে অংশ নিতে দুই দেশের প্রসিডেন্ট কাজাখস্তানে পোঁছান।

স্থায়ী নয় সদস্য বিশিষ্ট এসসিও সংগঠনে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান এবং ইরান।

এবার এ সংস্থার সম্মেলন কাজাখস্তানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২০২৩ সালে ইরানে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

এ বিষয়ে ক্রেমলিন থেকে এক বার্তায় জানানো হয়, কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন চীনের প্রেসিডেন্ট জিন শিংপিং এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাইয়েপ এন্ড্রোগানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা করবেন।

আশা করা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে রাশিয়া এবং চীন ছাড়াও আজারবাইজান, বেলারুশ, ভারত, ইরান, কাজাখস্তান, কাতার, কিরগিজস্তান, মঙ্গোলিয়া, দ্য ইউনাইটেড আরব আমিরাত, পাকিস্তান, তাজিকস্তান, তুর্কমেনিস্তান, তুরস্ক এবং উজবেকিস্তানের রাষ্ট্র প্রধান বা সরকার প্রধান কিংবা সে দেশগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।

খবরে বলা হয়, এসসিওভুক্ত দেশগুলি বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতি এবং সংগঠনের কার্যক্রম আরো বিস্তৃত করার বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

রাশিয়ার সংস্থাগুলি জানাচ্ছে, আশা করা হচ্ছে, জাতিসংঘের জেনারেল সেক্রেটারি আন্তেনিও গুতেরেসও এ সম্মেলনে যোগ দেবেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগস্ট মাসে রাশিয়া সফর করবেন। সে কারণে তিনি এ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না। তবে ভারতের প্রতিনিধি এ সম্মেলনে যোগ দেবেন।

২০২৩ সালের সম্মেলনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো ইউক্রেন পর্যন্ত সম্প্রসারণের কথা উল্লেখ না করে এক যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, পৃথিবী জুড়ে অপরিমিত এবং নিয়ন্ত্রণহীন মিসাইল নিক্ষেপ এক সংকটজনক অবস্থায় এসে পৌঁছেছে।

;

কুমিরের আক্রমণে নিখোঁজ শিশু, আতঙ্কে এলাকাবাসী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চল বিশ্বের অন্য যে কোনো জায়গার তুলনায় বেশি কুমিরের আবাসস্থল। এবার সেখান থেকেই কুমিরের আক্রমণে ১২ বছরের এক শিশু নিখোঁজ হয়েছেন। এঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ঘটনাটি ঘটেছে ডারউন শহরে থেকে ৭ ঘণ্টা পথের দূরত্বে এনগানমাররিয়াঙ্গার নামাক স্থানে। সেখানকার একটি খালে সর্বশেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিশুটিকে সাঁতার কাটতে দেখা যায়। খালটির সঙ্গে সমুদ্রের সংযোগ ছিল। ফলে শিশুটিকে কুমির ধরে নিয়ে গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বুধবার ( ৩ জুলাই) যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসিতে খবরটি প্রকাশিত হয়।

বিবিসিকে পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে শিশুটিকে কুমির আক্রমণ করেছে। তবে এবিষয়ে একটি বিশেষজ্ঞ অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করা হয়েছে। দলটি একইসঙ্গে স্থলভাগ ও পানিতে অভিযান চালাতে পারদর্শী।

বিশ্বের অন্য যে কোনও জায়গার তুলনায় বেশি কুমির থাকে সেখানে। ওখানে প্রায় ১ লাখ কুমিরের আবাসস্থল। কিন্তু কুমিরের এই ধরনের আক্রমণের ঘটনা খুব একটা লক্ষ্য করা যায় না। এনগানমাররিয়াঙ্গারে বসবাসকারীরা পালুম্পা নামে পরিচিত। পুরো এলাকাজুড়ে মাত্র ৩৬৪ লোকের বসবাস।

বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে উত্তরাঞ্চলের পুলিশ প্রধান বলেন, পুলিশের বিশেষজ্ঞ দল উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ছোট শিশুকে হারানো যে কোনো পিতামাতা বা পরিবারের সদস্যদের জন্য একটি দুঃখজনক ঘটনা। কুমিরের নিয়ে যাওয়ার ঘটনা আরও বেশি মর্মান্তিক।

উত্তর অস্ট্রেলিয়ায় মানুষ কুমির পেলে সাধারণত শিকার করে মেরে ফেলে। তাই মি. পটার বলেন, বন্যপ্রাণী কর্মকর্তাদের কুমিরটিকে এলাকা থেকে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে তাদের।

তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটি জায়গায় থাকি যেখানকার জঙ্গলে কুমিরের বসবাস। ফলে আমাদের পানি থেকে দূরে নিরাপদ স্থানে থাকতে হবে।
একসময় প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ার লবনাক্ত পানিতে কুমির। কিন্তু ১৯৭০ সালে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার ব্রুম থেকে কুইন্সল্যান্ডের গ্ল্যাডস্টোন পর্যন্ত কুমির শিকার নিষিদ্ধ করায় সংখ্যাটি আবার বাড়তে শুরু করে।

গত বছরে অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলে অন্তত আরও দুটি কুমিরের আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। জানুয়ারিতে কাকাডু ন্যাশনাল পার্কে সাঁতার কাটতে গিয়ে একটি নয় বছরে শিশু আক্রান্ত হয়। এছাড়াও অক্টোবরে এক কৃষককে আক্রমণ করলেও তিনি প্রাণে বেঁচে যান।

;