মিয়ানমারের কোচিন প্রদেশে বন্যায় হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, মিয়ানমারের কোচিন প্রদেশে প্রবল বন্যায় হাজার হাজার মানুষ পান্দিবন্দি রয়েছেন

ছবি: সংগৃহীত, মিয়ানমারের কোচিন প্রদেশে প্রবল বন্যায় হাজার হাজার মানুষ পান্দিবন্দি রয়েছেন

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারের উত্তরের প্রদেশ কোচিনে প্রবল বন্যায় হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে রয়েছেন। বন্যার পানি কোথাও কোথাও মানুষের গলা সমান হওয়ায় উদ্ধারকর্মীরা উদ্ধার করতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।

কোথাও কোথাও কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎ নেই এবং সেইসঙ্গে টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) গালফ টুডে এ খবর জানিয়ে বলেছে, অনেক মানুষ আত্মীয়-স্বজনের বাড়িঘরে গিয়েও নিরাপদ স্থানে যেতে পারছেন না। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, বন্যার পানি দ্রুত হারে বাড়ছে।

এদিকে, মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানানো হয়, ইরাবতী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, বন্যার পানিতে কোথাও কোথাও হাঁটু সমান, কোথাও কোথাও গলাসমান পানি অতিক্রম করে মাথায় বোঝা নিয়ে মানুষজন নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছেন।

এ বিষয়ে কোচিন প্রদেশের মিটকিনা এলাকার বাসিন্দারা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রোববার থেকে অনেক মানুষ তাদের ঘরবাড়িতে আটকা পড়েছেন। অনেক স্থানেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। সেইসঙ্গে টেলিফোন নেটওয়ার্কও নেই। ফলে তারা অন্যান্যদের সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারছেন না। তারা আরো জানিয়েছেন, শহরে জ্বালানির ঘাটতি হয়েছে। এছাড়া মোটর বোটে করে কোথাও যেতে পারছেন না।

মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল থেকে বন্যার পানি আরো কিছুটা বেড়েছে। জুলাইয়ের প্রথম ১০ দিনের ভেতর কোচিন প্রদেশের মান্দালয়ের নদী ইরাবতীর পানি ৬ ফুট থেকে ১০ ফুট (১.৮ মিটার থেকে ৩ মিটার) পর্যন্ত বাড়তে পারে। গত অক্টোবর থেকে কোচিন শহরে ভারী বৃষ্টি, একের পর এক ভূমিধসের ঘটনা ঘটে চলেছে।

১৯৪৫ সালের পর এই প্রথম যুক্তরাজ্যের নির্বাচন জুলাই মাসে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচন ৪ জুলাই ২০২৪

ছবি: সংগৃহীত, যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচন ৪ জুলাই ২০২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৪৫ সালের পর এই প্রথম যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের নির্বাচন ২০২৪ সালের ৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে ৫ বছর পর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এবারই প্রথম আগাম ভোটের ঘোষণা করেন যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ (স্থানীয়ভাবে ‘টোরি’ হিসেবে পরিচিত) দলের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।

টোরি দলের ভেতরে অসন্তোষ সৃষ্টি হলে ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর তিনি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

এ বিষয়ে বিবিসি বাংলা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ৬ সপ্তাহের নির্বাচনি প্রচারণার পর শুরু হয়েছে যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের ৪০ হাজার ভোটকেন্দ্রে ৪ কোটি ৬০ লাখ ভোটার তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিচ্ছেন।

তবে এবারের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোট দেওয়ার আগে ফটো আইডি বা শনাক্তকরণ ছবি দেখাতে হবে তাদের।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) লন্ডন সময় সকাল সাতটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় বিদ্যালয়, কমিউনিটি হলের মতো ভবনগুলোকে পোলিং স্টেশন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

হাউস অব কমনসের ৬শ ৫০টি আসনের মধ্যে সরকার গঠনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে অর্ধেকের বেশি অর্থাৎ অন্তত ৩শ ২৬টি আসনে জয় পেতে হবে।

প্রথমবারের মতো ফটো আইডির ব্যবহার

বিবিসি জানিয়েছে, নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের এমন নাগরিকেরা যুক্তরাজ্যের এবারের নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। গত ১৮ জুন এই নিবন্ধনের সময়সীমা শেষ হয়।

২০২২ সালের এক আইনি পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশটির বাইরে ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে অবস্থান করা প্রায় ২০ লাখ ব্রিটিশ নাগরিকও ভোটের জন্য নিবন্ধন করতে সক্ষম হন।

এবারের নির্বাচনেই প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ড, ওয়েলস এবং স্কটল্যান্ডের ভোটারদের ভোট দেওয়ার জন্য ফটো আইডি বা শনাক্তকরণ ছবি দেখাতে হবে।

এক্ষেত্রে পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, বয়স্ক বা অক্ষম ব্যক্তির বাসের পাস এবং ওয়েস্টার ৬০+ কার্ডসহ মোট ২২ ধরনের আইডি কার্ড গ্রহণযোগ্য ধরা হচ্ছে। উত্তর আয়ারল্যান্ডে ২০০৩ সাল থেকেই ভোট দেওয়ার জন্য আইডি দেখাতে হয়। সেখানে ৯ ধরনের আইডি কার্ড দেখানো যায়।

অন্যদিকে, যারা সঠিক আইডি ছাড়া ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন, তারা ভোটার অথরিটি সার্টিফিকেট নামে বিনামূল্যের একটি নথির জন্য আবেদনের সুযোগ পেয়েছেন।

ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলসের যেসব ভোটারের আইডি কার্ড হারিয়ে গেছে বা চুরি হয়েছে, তারা ভোটের দিন বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত জরুরি প্রক্সি ভোটের জন্য আবেদন করতে পারবেন, যাতে করে অন্য কোনো নিবন্ধিত ভোটার তাদের পক্ষে ভোট দিতে পারেন।

অনেকেই ইতোমধ্যেই ডাকযোগে ভোট দিয়ে নিজ নির্বাচনি এলাকার জন্য নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। যারা পোস্টাল ভোটের জন্য আবেদন করেছেন কিন্তু এখনো তা ফেরত দিতে পারেননি তারা রাত ১০টায় ভোট শেষ হওয়ার সময়ের মধ্যে তাদের স্থানীয় ভোটকেন্দ্রে তা হস্তান্তর করতে পারবেন। এছাড়াও অফিস চলাকালীন স্থানীয় কাউন্সিল অফিসেও পোস্টাল ভোট জমা দেওয়া যাবে।

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনের খুঁটিনাটি বিষয়
যুক্তরাজ্যে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ হয়, ৫ বছরের। ২০১৯ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল কনজারভেটিভ পার্টি (টোরি)।

নিয়মমাফিক পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আগাম নির্বাচনের ঘোষণায় বাস্তবে তা ঘটেনি।

যুক্তরাজ্য ৬৫০টি নির্বাচনি কেন্দ্র বা এলাকায় বিভক্ত। এই প্রত্যেক নির্বাচনি এলাকার ভোটাররা একজন সংসদ সদস্য নির্বাচন করেন, যারা তাদের হয়ে হাউস অব কমন্সে প্রতিনিধিত্ব করেন। নির্বাচনি ময়দানে লড়াই করতে নামা প্রার্থীদের মধ্যে অধিকাংশ কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। তবে কেউ কেউ আবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও ভোটে লড়ছেন।

নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী
বর্তমানে যে দুই দল সবচেয়ে বেশি ভোট পেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে, সে দল দুটি হলো- ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি ও লেবার পার্টি।

৪৪ বছরের ঋষি সুনাক কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ২০২২ সালে যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী হন, তখন তার বয়স ছিল ৪২। আধুনিক সময়ে ব্রিটেনের সবচেয়ে কম বয়সের প্রধানমন্ত্রী মি. সুনাক। শুধু তাই-ই নয়, তার হাত ধরে এবারই প্রথম কোনো ব্রিটিশ-ভারতীয় ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।

কনজারভেটিভ দলের প্রার্থী ঋষি সুনাক এবং লেবার পার্টির প্রার্থী কিয়ের স্টারমার, ছবি- সংগৃহীত


অন্যদিকে, লেবার পার্টির নেতৃত্বে রয়েছেন স্যার কিয়ের স্টারমার। তার বয়স ৬১ বছর। ২০২০ সালে জেরেমি করবিনের পর দলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নির্বাচিত হন তিনি। এর আগে ‘ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস’-এর প্রধান ছিলেন স্টারমার। পাবলিক প্রসিকিউশনের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

ভোটের ফল ঘোষণার পরের পদক্ষেপ
ভোট গণনার পর যে দলের কাছে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক এমপি (সংসদ সদস্য) রয়েছেন, সেই দলের নেতাকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার এবং সরকার গঠন করার জন্য আহ্বান জানান রাজা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংসদ থাকা দলের নেতাই হন সংসদে বিরোধী দলনেতা।

যদি কোনো দলই সংসদ সদস্যের নিরিখে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়, তাহলে সেই দল নিজেদের সংসদ সদস্যের ওপর নির্ভর করে আইন পাস করতে পারে না। এর ফলে 'হাং পার্লামেন্ট' বা ত্রিশঙ্কু অবস্থা তৈরি হয়।

এই পরিস্থিতিতে বৃহত্তম দল সিদ্ধান্ত নিতে পারে অন্য দলের সঙ্গে মিলে জোট সরকার গঠনের অথবা সংখ্যালঘু সরকার হিসেবে কাজ করতে পারে। কিন্তু সেই পরিস্থিতিতে কোনো আইন পাস করার সময় তাদের অন্য দলের ভোটের ওপর নির্ভর করে থাকতে হয়।

;

যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদের ভোটগ্রহণ চলছে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদ হাউস অব কমন্সের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত, যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদ হাউস অব কমন্সের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয় এবং চলবে একটানা রাত ১০টা পর্যন্ত। ৪ কোটি ৬০ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন এবারের নির্বাচনে।

হাউস কমন্সে মোট আসন সংখ্যা ৬শ ৫০টি। শুক্রবার সকাল নাগাদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে জানা গেছে। যুক্তরাজ্যে সরকার গঠনের জন্য অর্ধেকের বেশি আসন অর্থাৎ ৩শ ২৬টি আসন পেতে হবে।

২০১০ সালে থেকে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতায় সরকার গঠন করেছে দক্ষিণপন্থি কনজারভেটিভ (স্থানীয়ভাবে ‘টোরি’ হিসেবে পরিচিত) দল।

তবে এক্সিট পোল অনুযায়ী জানা গেছে, এবার টোরি দল সবচেয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সম্প্রতি চালানো এক জরিপে জানা যায়, বিরোধীদল লেবার পার্টি এবার টোরি দলের চেয়ে ২০ পয়েন্টে বেশি পেয়ে এগিয়ে রয়েছে। তাতে ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৪ সালের যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে জিতে লেবার দল এবার সরকার গঠন করবে।

যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সের নির্বাচনের একটি ভোটকেন্দ্রের নির্দেশনা, ছবি- সংগৃহীত


প্রসঙ্গত, ২০১৫, ২০১৭ এবং ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত সব নির্বাচনে টোরি দল (কনজারভেটিভ দল) বার বার সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়।

২২ মে নিজের দলকে চমকে দিয়ে যুক্তরাজ্যের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আগাম ভোটের ঘোষণা করেন। এ নির্বাচন ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

ক্ষমতাসীন টোরি দলের ভেতরে অসন্তোষ সৃষ্ট হলে ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর ঋষি সুনাক যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ইয়র্কশায়ারে নিজের নির্বাচনি এলাকায় ভোট দেন ঋষি সুনাক।

ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ঋষি সুনাক বলেছেন, তার দল টোরি (কনজারভেটিভ) নির্বাচনে জয়লাভ করলে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কমানোর চেষ্টা করবে এবং জাতীয় স্বাস্থ্যসেবায় যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা সমাধান করা হবে।

;

২১৫ কি.মি গতিতে জ্যামাইকায় আঘাত হেনেছে হারিকেন 'বেরিল'



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রবল শক্তি নিয়ে জ্যামাইকায় আঘাত হেনেছে অতি বিপজ্জনক শক্তিশালী সামুদ্রিক ঝড় হারিকেন বেরিল। এতে ক্যারিবিয়ান দ্বীপটির বেশ কিছু ভবন ও গাছপালা ভেঙে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবিসি জানায়, বেরিল ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার (১৩০ মাইল) বেগে জ্যামাইকার দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হেনেছে।

হারিকেনটি আঘাত হানার পর ওই এলাকার বেশকিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে এসেছে। এতে অঞ্চলটির রাস্তা প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন বাসার ছাঁদ উড়ে এসে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।

এখন পর্যন্ত এই ঝড়ে ক্যারিবীয় অঞ্চলে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন।

বিবিসি জানায়, দক্ষিণ সেন্ট এলিজাবেথ প্যারিশের গ্রামীণ কৃষক সম্প্রদায়ের বাসিন্দা অ্যামোয় ওয়েলিংটন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, "ঝড়টি অতি ভয়ানক মাত্রায় আঘাত হেনেছে। আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। আমি আমার বাড়িতে আছি এবং ভয় পাচ্ছি।"

জ্যামাইকায় আগে থেকেই হারিকেন সতর্কতা কার্যকর রয়েছে এবং সেখানকার কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করেছে। প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হোলনেস এর আগে জনগণকে ‘এই হারিকেনকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়ার’ আহ্বান জানান।

যারা নিচু এলাকায় বাস করেন, যেখানে বন্যা ও ভূমিধসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অথবা নদী তীরবর্তী অবস্থানে থাকেন তাদেরকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি।

পরিচালক ব্রেনান আরও বলেন, প্রবল শক্তিশালী এ ঝড়টি জ্যামাইকার দক্ষিণ অংশের পাশ দিয়ে অথবা উপর দিয়ে অতিক্রম করবে। ওই সময় হারিকেনটির বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ২৪৯ কিলোমিটার।

হারিকেনটির কারণে জ্যামাইকার স্থলভাগ অতিক্রমের সময় সেখানে ৬ থেকে ৯ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হতে পারে সতর্কতা দেন তিনি।

;

গাজায় প্রতি ১০ জনের ৯ জনই ‘বাস্তুচ্যুত’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
গাজায় প্রতি ১০ জনের ৯ জনই ‘বাস্তুচ্যুত’। ছবি: সংগৃহীত

গাজায় প্রতি ১০ জনের ৯ জনই ‘বাস্তুচ্যুত’। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রতি ১০ জনের নয়জনই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অফ হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ)

সংস্থাটি বলছে, গাজায় প্রায় ১৯ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

ওসিএইচএ প্রধান আন্দ্রেয়া ডি ডোমেনিকো বলেন, গাজায় প্রায় ১৯ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জেরুজালেমে আন্দ্রেয়া বলেন, আমাদের ধারণা গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় প্রতি ১০ জনের মধ্যে নয়জন অন্তত একবার হলেও অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘এর আগে আমরা ১৭ লাখ অনুমান করেছিলাম। এরপর আমারা রাফাতে অনুসন্ধান করেছি। রাফায় বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা বেশি হয়েছে। তারপর আমরা গাজার উত্তরাঞ্চলেও অনুসন্ধান করেছি। এই ধরনের সামরিক অভিযান মানুষকে বারবার তাদের জীবন নতুন করে শুরু করতে বাধ্য করছে।

ওসিএইচএ প্রধান আরও বলেন, ‘ইসরাইলি সেনাবাহিনীর অভিযানে গাজা উপত্যকা দুভাগে ভাগ হয়েছে। ওসিএইচএর হিসাব মতে উত্তর গাজায় তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ মানুষ বসবাস করছেন, যারা দক্ষিণে যেতে পারছেন না।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন চালায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী। প্রায় ৯ মাস ধরে চলা এ বর্বরতায় নিহত হয়েছেন ৩৮ হাজারের মতো ফিলিস্তিনি। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। আর এ সময়ে আহত হয়েছেন ৮৭ হাজারেরও বেশি মানুষ।

;