নতুন ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর কোরিয়া কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি নতুন ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি বড় ধরনের ওয়্যারহেড বহন করতে সক্ষম।

মঙ্গলবার (২ জুন) দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএন'র বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, পিয়ংইয়ং হোয়াসং-১১দ- ৪ দশমিক ৫ মাত্রার ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি ৪ দশমিক ৫ টন ওজনের সুপার-লার্জ ওয়্যারহেড বহন করতে সক্ষম।

কেসিএনএ’ জানায়, ‘ক্ষেপণাস্ত্রটির স্থিতিশীলতার যাচাইয়ের পাশাপাশি সর্বোচ্চ ৫শ’ কিলোমিটার এবং সর্বনিম্ন ৯০ কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানার নির্ভুলতা যাচাই করতে ৪.৫ টন ওজনের ওয়্যারহেডের সমপরিমাণ জিনিসের লোড দিয়ে এটির পরীক্ষা চালানো হয়।

এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী উত্তর কোরিয়ার সোমবারের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকে দু’টি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বলে বর্ণনা করে। এই দুটি ক্ষেপণাস্ত্রের একটির উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হয়েছে বলেও সিউল জানিয়েছিল।

পুরনো বন্ধু পুতিনকে দেখতে পেরে আনন্দিত শি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) মধ্য এশিয়ার একটি আঞ্চলিক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন, যেটি পশ্চিমা বিরোধী দেশগুলোকে একত্রিত করবে।

রয়টার্স জানিয়েছে, পুতিন এবং শি নিয়মিতভাবে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) জোটের তত্ত্বাবধানে মিলিত হন, যার সর্বশেষ অধিবেশন কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এই ব্লকের সঙ্গে একটি ‘সংলাপ অংশীদার’ হিসেবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানও সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

মূল অধিবেশনের প্রাক্কালে বুধবার (৩ জুলাই) এরদোয়ান এবং শি’র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন পুতিন।

চীনা নেতাকে পুতিন বলেছেন, সাংহাই জোট একটি ন্যায্য বহুমুখী বিশ্ব ব্যবস্থার অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হিসাবে তার ভূমিকা শক্তিশালী করছে।

এই সম্মেলনে বিশ্বমঞ্চে মার্কিন নেতৃত্বকে ‘আধিপত্যবাদ’ বলে অভিহিত করে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে রাশিয়া ও চীন।

মস্কোর প্রতি ক্রমবর্ধমান সমর্থনের জন্য পশ্চিমে সমালোচিত শি বুধবার পুতিনকে বলেছেন, তিনি তার পুরনো বন্ধুকে আবার দেখতে পেরে আনন্দিত।

এরদোয়ানও বুধবার পুতিনের সাথে সাক্ষাত করেন। এরদোয়ান, পুতিনকে তুরস্কে আমন্ত্রণ জানান এবং ইউক্রেনে উভয় পক্ষকে সন্তুষ্ট করতে পারে এমন ন্যায্যতার ভিত্তিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।

এদিকে, এসসিও সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

উল্লেখ্য, এসসিও ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি সক্রিয় হয়েছে। এর নয়টি পূর্ণ সদস্য দেশ হলো-চীন, ভারত, ইরান, রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, পাকিস্তান এবং তাজিকিস্তান।

নিরাপত্তা এবং অর্থনীতির উপর ফোকাসসহ পশ্চিমের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় সহযোগিতার একটি প্লাটফর্ম হওয়ার উদ্দেশ্যে এই জোট গঠিত হয়েছে।

পশ্চিমা-নিষেধাজ্ঞায় থাকা ইরান এ বছর পূর্ণ সদস্য হিসাবে সম্মেলনে যোগ দেয়। ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধে সমর্থন দেওয়া বেলারুশও বৃহস্পতিবার সংস্থার দশম পূর্ণ সদস্য হবে।

কাজাখ মিডিয়ার সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে এই জোটের প্রশংসা করেছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো।

;

লড়াই থেকে পালানো সেনাদের মৃত্যুদণ্ড দিল কঙ্গো



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই থেকে পালানোর অভিযোগে পঁচিশ জন সেনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক কঙ্গোর একটি সামরিক আদালত।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের আইনজীবী এবং সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্রের সূত্রে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে রয়টার্স।

উল্লেখ্য, কঙ্গোর সেনাবাহিনী দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে রুয়ান্ডা-সমর্থিত এম২৩ বিদ্রোহের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। পাশাপাশি অন্যান্য মিলিশিয়া সহিংসতার মুখোমুখি হয়েছে দেশটি।

এই লড়াইয়ে দেশটির উত্তর কিভু প্রদেশের প্রায় ২.৭ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

গত মঙ্গলবার দেশটির সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য কিভু প্রদেশের কেসেগে এবং মাতেম্বে গ্রামে তাদের অবস্থান ত্যাগ করলে বিদ্রোহীরা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অগ্রসর হয়।

এরপরই অবস্থান ত্যাগ তথা পালানোর অভিযোগে ২৭ জন সেনাকে আটক করে দেশটির সেনাবাহিনী।

সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রিগান এমবুয়ি কালনজি বলেছেন, ‘পলাতকদের নিকটবর্তী আলিম্বোংগো গ্রামের দোকান থেকে জিনিসপত্র চুরি করতে দেখা গেছে।’

তাদের বিচার করার জন্য গত বুধবার আলিমবোঙ্গোতে একটি সামরিক ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হয়। এই ট্রাইব্যুনালের বিচারক ২৫ জনকে চুরি, পালিয়ে যাওয়া এবং আদেশ লঙ্ঘনের জন্য অন্যান্য অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেন।

একজন সেনাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং অন্য এক সেনাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

২৫ জনের মধ্যে একজনকে বাদ দিয়ে সকলেই তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে।

তাদের আইনজীবী জুলেস মুভওয়েকো বলেছেন, তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।

দীর্ঘদিন ধরে অভ্যন্তরীণ বিভাজন, অপর্যাপ্ত সম্পদ, দুর্বল রসদ এবং দুর্নীতির কারণেচরমভাবে অকার্যকর হয়ে পড়েছে কঙ্গোর সামরিক বাহিনী।

দেশটিতে এর আগে কাপুরুষতা এবং অন্যান্য অপরাধের জন্য গত মে মাসে আট সেনা অফিসারকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

;

যুক্তরাজ্যে যেভাবে ভোট দেন জটিল রোগে আক্রান্ত প্রতিবন্ধীরা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
পল (৪৫) ছবি: সংগৃহীত

পল (৪৫) ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৪৫ বছর বয়সী পল। তিনি কানে শুনতে পান না (বধির), একই সঙ্গে জটিল মস্তিষ্কজনিত রোগে আক্রান্ত। পল এই প্রথম কোনো নির্বাচনে ভোট দিতে পেরেছেন। তাও সেটি আবার যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বাছাই করার ভোট।

পল লন্ডন ফরেস্টেরে শহর ওয়ালথামস্টোর একটি কেয়ার হোমের বাসিন্দা। কেয়ার হোমটি পরিচালক ক্যারোলিন ল্যাম্বওয়ে সর্বপ্রথম তাদের সদস্যদের ভোট দেওয়ার বিষয়টি আমলে নেন।

পল স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার যোগাযোগ করতে পারেন না। তাই ভোট দেওয়ার সময় তার বোঝার সুবিধার্থে দলীয় প্রতীকের সঙ্গে প্রার্থীর ছবি ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ছবি দেখে তিনি পছন্দের প্রার্থী বাছাই করেন।

কেয়ার হোমের পরিচালক ক্যারোলিন ল্যাম্বওয়ে বলেন, ‘আমরা চাই যারা এখানে বাসবাস করে তারাও নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক। প্রতিবন্ধী বলে আমরা তাদেরকে পিছিয়ে রাখতে চাই না। তিনি আরও বলেন, ‘পলের মতো লোকরা যখন ব্যালট বাক্সে তাদের ভোট দিতে পারে তখন গর্ববোধ হয়। অন্য প্রতিবন্ধীদের ভোট দিতে দেখে বিস্মিত হয়।’

পল স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার যোগাযোগ করতে পারেন না। তাই তার বোঝার সুবিধার্থে দলীয় প্রতীকের সঙ্গে প্রার্থীর ছবি ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ছবি দেখে তিনি পছন্দের প্রার্থী বাছাই করেন।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল সাতটা থেকে যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। লন্ডন সময় রাত ১০টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। বিবিসির খবর।

;

গোপনে ফিলিস্তিনের ৩১৩৮ একর জমি দখলে নিল ইসরায়েল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ফিলিস্তিনের বিপুল জমি দখলে নিল ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের বিপুল জমি দখলে নিল ইসরায়েল

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা আগ্রাসনের মধ্যেই অধিকৃত পশ্চিম তীরের ৩ হাজার ১৩৮ একর জমি নিজেদের বলে অনুমোদন করেছে দখলদার ইসরায়েল।

ইসরাইলের অবৈধ বসতি নজরদারি করা সংস্থা পিস নাউয়ের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯৩ সালে অসলো চুক্তির পর এবারই সবচেয়ে বেশি পরিমাণ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড নিজেদের বলে স্বীকৃতি দিয়েছে ইসরায়েল।

অসলো চুক্তির বিভিন্ন শর্তের মধ্যে উল্লেখ ছিল, ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকা থেকে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী ধীরে ধীরে সরে যাবে। কিন্তু বাস্তবে ঘটছে তার উল্টো। প্রায় প্রতিবছরই ফিলিস্তিনিদের কাছ থেকে ইসরায়েলিদের ছিনিয়ে নেওয়া জমিগুলোকে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দিয়ে আসছে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ।

নতুন ভূখণ্ড অনুমোদনের বিষয়ে ইসরায়েলি অধিকার সংস্থা ‘পিস নাউ’ একটি বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পশ্চিম তীরে বেসামরিক ইস্যুগুলো নিয়ে কাজ করা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট নতুন ভূখণ্ডের অনুমোদন দিয়েছে গত ২৫ জুন। তবে গতকাল বুধবারের আগ পর্যন্ত তা প্রকাশ করা হয়নি।

সংস্থাটি জানিয়েছে, নতুন ঘোষণার আওতায় পশ্চিম তীরের পূর্বাঞ্চলে জেরিকো শহরের কাছাকাছি ১ হাজার ২৭০ হেক্টর (৩ হাজার ১৩৮ একর) ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড সরকারিভাবে ইসরায়েলের করে নেওয়া হয়েছে।

অধিকার সংস্থা ‘পিস নাউ’এক বিবৃতিতে এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে বলেছে, এই ঘোষণায় ইসরায়েলের পাশাপাশি একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা আরও কঠিন হয়ে পড়বে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধিগ্রহণ করা ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলোতে নিয়ন্ত্রণ আরোপের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের দখল করা জমিগুলোকে অনুমোদ দিয়ে আসছে ইসরায়েল। একবার কোনো জমি সরকারিভাবে অনুমোদন করে নিলে পরবর্তী সময় এই জমিগুলোর ফিলিস্তিনি ব্যক্তিমালিকানাকে অস্বীকার করে ইসরায়েল।

পিস নাউয়ের বিবৃতির বিষয়ে সিএনএনের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

এর আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, হামাসের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধ শেষ হলে গাজা উপত্যকা দখল বা শাসন করতে চায় না ইসরায়েল।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। সেদিনই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গত নয় মাসে গাজায় ৩৮ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। ইসরায়েলের হামলা থেকে ঘরবাড়ি, বিদ্যালয়, হাসপাতাল, শরণার্থীশিবির—কিছুই বাদ যাচ্ছে না।

;