যুক্তরাজ্যের নতুন লর্ড চ্যান্সেলরের শপথ নিলেন শাবানা মাহমুদ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভায় এবারই প্রথমবারের মতো স্থান পেয়েছেন মুসলিম নারী ব্যারিস্টার শাবানা মাহমুদ। লন্ডনের রয়্যাল কোর্ট অব জাস্টিসে আইন ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে সোমবার (১৫ জুলাই) শপথ নিয়েছেন তিনি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত শাবানা মাহমুদ পবিত্র কুরআন নিয়ে শপথ গ্রহণ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে শাবানা মাহমুদ বলেন, ‘এই দায়িত্ব একই সঙ্গে সৌভাগ্য ও বোঝা। এই দায়িত্ব ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দ্বার খুলে দেবে, আমিই প্রথম লর্ড চ্যান্সেলর যে উর্দু বলতে পারে।’

৪৩ বছর বয়সি লেবার পার্টির এই সদস্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক্স-এ খবরটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আজ আমি লর্ড চ্যান্সেলর হিসাবে শপথ নিতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। আমাদের স্বাধীন বিচার বিভাগকে হস্তক্ষেপ এবং অযৌক্তিক চাপ থেকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।’

বিজ্ঞাপন

এর আগে বৃটিশ মন্ত্রিপরিষদে কোনো মুসলিম নারী ঠাঁই পাননি। তার এই দায়িত্বে এর আগে একজনমাত্র নারী দায়িত্বে এসেছিলেন। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস।

শাবানা মাহমুদের জন্ম ১৯৮০ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে। তার পিতা মাহমুদ আহমেদ এবং মাতা জুবাইদা আহমেদ।

শাবানা মাহমুদ যে শুধু যুক্তরাজ্যের প্রথম মুসলিম নারী বিচারমন্ত্রী তাই নয়; তিনি দেশটির ইতিহাসে দ্বিতীয় নারী যিনি ‘লর্ড অব চ্যান্সেলর’ নামক প্রাচীন পদ গ্রহণ করেছেন।

শাবানার জন্ম ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে। তবে তিনি পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণাধীন আজাদ-কাশ্মীর বংশোদ্ভূত। তার বাবা-মা আজাদ কাশ্মীরের মিরপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।

তবে শাবানা মাহমুদের শৈশব কেটেছে সৌদি আরবের তায়েফে। তিনি ইংরেজির পাশাপাশি উর্দু ও মিরপুরি ভাষায় কথা বলতে পারেন।

পূর্ণ মন্ত্রী হওয়ার আগে শাবানা যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ছায়া মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি গত দুই বছর ধরে উপনির্বাচনের সময় লেবার পার্টির নির্বাচনি প্রচারণার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০১৬ সাল থেকে শাবানা লেবার পার্টির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। ৪ জুলাইয়ের নির্বাচনের জন্য দলের ইশতেহার তৈরিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।

অক্সফোর্ড গ্র্যাজুয়েট এই নারী রাজনীতিক ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো লেবার পার্টির টিকিটে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তখন থেকেই জয়ী হয়ে আসছে।

এবারের নির্বাচনে তিনি ১৫ হাজার ৫৫৮ ভোট পেয়ে নিজ আসনে জয়ী হয়েছেন।