বন্দিবিনিময়ে মুক্তি পেলেন মার্কিন সাংবাদিকসহ ২৬ জন

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বন্দিবিনিময়

বন্দিবিনিময়

স্নায়ুযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় বন্দিবিনিময় হয়েছে রাশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক ইভান গার্শকোভিচসহ উভয় পক্ষের ২৬ জন মুক্তি পেয়েছেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের মধ্যস্থতায় এই বন্দিবিনিময় চুক্তির সঙ্গে জড়িত ছিল সাতটি দেশ।

বিজ্ঞাপন

বন্দিবিনিময়ের আওতায় রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের জেলে আটক তাদের ১০ বন্দির বিনিময়ে মার্কিন ও জার্মানসহ ১৬ জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। মুক্তি দেওয়ার পর বন্দিদের আঙ্কারার মাধ্যমে নিজ নিজ দেশে পাঠানো হচ্ছে।

তুরস্কের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১০ রুশ বন্দি- যার মধ্যে আছে দুই শিশুও- তাদেরকে রাশিয়ায় পাঠানো হচ্ছে। এসব বন্দি যুক্তরাষ্ট্র, নরওয়ে, স্লোভেনিয়া, পোল্যান্ড, জার্মানির জেলে ছিল। রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সংশ্রবের সন্দেহে আটক থাকা কয়েকজনও এদের মধ্যে আছে।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, এই বন্দিদের বিনিময়ে রাশিয়ার জেল থেকে ছাড়া পাওয়া ১৬ জনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তিন নাগরিক ও এক গ্রিনকার্ডধারী-সহ জার্মানির পাঁচ জন বন্দি ছাড়াও আছে সাত জন রুশ রাজনৈতিক বন্দি। এই জার্মান ও রুশ নাগরিকরা ভুলবশত আটক হয়েছিলেন।

রাশিয়ায় আটক যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক ইভান গার্শকোভিচের সঙ্গে মুক্তি পেয়েছেন সাবেক মার্কিন মেরিন সেনা পল হুইলেন, রুশ-মার্কিন দ্বৈত নাগরিক অলসু কুরমাশেভা এবং আমেরিকান গ্রিনকার্ডধারী ভ্লাদিমির কারা মুর্জা। ওয়াল স্ট্রিট জানায়, তাদেরকে তুরস্কে পাঠানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিশ্চিত করেছেন মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিরা রাশিয়া থেকে তুরস্কে এসেছেন এবং শিগগিরই তাদের যুক্তরাষ্ট্রে আনা হবে। পরিবার এবং তিনি ওভাল অফিস থেকে টেলিফোনে তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

২০২৩ সালে গের্শকোভিচকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গত মাসে তাকে ১৬ বছরের কারাদণ্ড দেয় মস্কো। ওদিকে, সাবেক মেরিন সেনা পল হুইলান ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে মস্কোর একটি হোটেল থেকে আটক হয়েছিলেন। মস্কোর অভিযোগ, তিনি একটি গোয়েন্দা মিশনে জড়িত ছিলেন।

আর রাশিয়ান-আমেরিকান রেডিও সাংবাদিক অসলু কুরমাশেভা মার্কিন সরকারের আর্থিক অনুদানে চলা রেডিও ফ্রি ইউরোপ/রেডিও লিবার্টির হয়ে সাংবাদিকতা করতেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর তিনি রুশ সেনার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছেন। কুরমাশেভা তার স্বামী ও দুই বাচ্চার সঙ্গে প্রাগে ছিলেন। ২০২৩ সালে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

অন্যদিকে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার জন্য লবিং করা এবং মিথ্যা সংবাদ ছড়ানোর অভিযোগে সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী ভ্লাদিমির কারা-মুর্জাকে ২০২২ সালের এপ্রিলে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তাদের মুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এই বৃহত্তম বন্দিবিনিময় চুক্তির আওতায় মুক্তি পাচ্ছেন জার্মানির জেলে বন্দি থাকা রাশিয়ার নিরাপত্তা সেবার হিটম্যান ভাদিম ক্রাসিকভও। এই ব্যক্তির রুশ গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে।