বাইডেন বললেন যুদ্ধবিরতি কাছাকাছি, হামাসের প্রত্যাখ্যান

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিশরের অংশগ্রহণে গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে দুইদিনের আলোচনার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির একেবারে কাছাকাছি পৌঁছানো গেছে, যা আগে সম্ভবপর হয়নি।

এদিকে, গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী হামাস বলেছে, যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ‘নতুন শর্তের’ কারণে তারা এ আলোচনা প্রত্যাখ্যান করছে।

বিজ্ঞাপন

হামাস জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বজায় রেখে যুদ্ধবিরতি মানতে রাজি তেলআবিব। সে কারণে তারা এ আলোচনা প্রত্যাখ্যান করছে।

হামাসের দাবি, চলতি বছরের ৩১ মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট গাজায় যুদ্ধবিরতির যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছিলেন, তার ভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হোক। নতুন করে আর কোনো আলোচনার প্রয়োজন নেই। সে কারণে ১৫ আগস্ট থেকে দুইদিনব্যাপী কাতারের রাজধানী দোহায় আলোচনায় কোনো প্রতিনিধি পাঠায়নি হামাস। এ আলোচনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিশরের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

শনিবার (১৭ আগস্ট) হামাসের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এবং বিজনেস রিকোডার জানায়, হামাস বলেছে, গাজায় ১০ মাসব্যাপী যুদ্ধের ফলে যে মানুষের জীবনে ভোগান্তি নেমে এসেছে, তার অবসান ঘটাতে ব্যর্থ হয়েছে দোহারের দু’দিনের আলোচনা।

অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘আমরা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে গাজায় যুদ্ধবিরতির অনেক কাছাকাছি’।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন এই সপ্তাহে ইসরায়েল যাবেন তেলআবিবকে যুদ্ধবিরতি মানতে চাপ দেওয়ার জন্য।

এদিকে, দু’দিনের আলোচনা শেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিশরের প্রতিনিধিরা এক যুক্ত বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তারা হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে বিদ্যমান শূন্যতা পূরণ করার উদ্দেশ্যে দুই দেশের কাছে একটি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছেন। তারা বলেন, আগামী সপ্তাহে তারা ফের আলোচনায় বসবেন। তখন তারা গাজায় মানবিক পরিবেশ সৃষ্টি এবং হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে বন্দি বিনিময়ের বিষয়ে আরও আলোচনা করবেন।